মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে পানি সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে বোরো ধানচাষিরা। বোরো আবাদের ভরা মৌসুমে সেচ সংকট দেখা দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। বাড়তি খরচ গুনেও পানি পাচ্ছেন না অনেকে। অনেকে জমিতে চারা রোপণের পর এ সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কেউ কেউ সেচের অভাবে চারা রোপণ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলছেন, প্রতিবছর বোরো মৌসুমে পানির সংকট দেখা দেয়। বিভিন্ন সেচনালা খনন না করার কারণে পানি আসে না। নন হাওর এলাকায় যেমন পানির সমস্যা হয়, ঠিক তেমনি অনেক হাওরেও পানি সংকট দেখা দিয়েছে। একরপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে বোরো ধান চাষ করে পানির জন্য সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। জেলায় অন্ততপক্ষে ৫০ হাজার কৃষক পানি সংকটে আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার গিয়াসনগর, মোস্তফাপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন এবং কাঞ্জার হাওরের নিম্নাঞ্চলে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার, শমশেরনগর, আলীনগরসহ উজানের কয়েক হাজার কৃষক পানির সংকটে রয়েছেন। লাঘাটা নদীর উজানে পানি না যাওয়ার কারণে এই সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ক্রসবাঁধ ও স্লুইসগেট দিয়ে পানি আটকে চাষাবাদ করায় উজানের কৃষকেরা পানি পাচ্ছেন না।
এ দিকে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর, শরীফপুর, পৃথিমপাশাসহ বেশ কিছু ইউনিয়নে পানির সংকটে রয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। হাকালুকি হাওরের ওপরের অংশেও তীব্র পানি সংকট রয়েছে। হাওরের গভীর থেকে ফিতা পাইপের মাধ্যমে পানি নিয়ে আসতে হয়। এ ছাড়া জেলার জুড়ি ও বড়লেখায় পানি সংকটে বোরোধান আবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বোরোধানের চলতি মৌসুমে জেলায় ৬২ হাজার ১০০ হেক্টর জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ২১ টন। ইতিমধ্যে ৮৫ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। হাওর এলাকায় শতভাগ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। পানি সংকট থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলার কৃষক জুনেদ মিয়া বলেন, ‘আমরা টাকা খরচ করেও পানি পাচ্ছি না। ১ একর জমিতে প্রায় ২২ হাজার টাকা খরচ করে চাষ করেছি। এখন সবকিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পানির সংকট রয়েছে। বিভিন্ন নালা ও ছড়া দিয়ে পর্যাপ্ত পানি যাচ্ছে না; যার ফলে এই সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া নলকূপের সমস্যার কারণে পানি পাচ্ছেন না কৃষকেরা। পর্যাপ্ত পরিমাণে নলকূপ বা সেচের ব্যবস্থা করা হলে এই জেলায় বোরোধান আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছি যে সব ছড়া বা নালা দিয়ে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।’
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ বলেন, ‘নদীর উজানের পানি দিতে গেলে নিম্নাঞ্চলের বোরোধানের খেত ডুবে যায়। আমরা যতটুকু সম্ভব সবাইকে পানি দেওয়ার জন্য কাজ করছি। হাওরে পানি পেতে হলে নন হাওরের কিছু পানির সংকট থাকবেই। যেখানে সমস্যা আছে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
মৌলভীবাজারে পানি সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে বোরো ধানচাষিরা। বোরো আবাদের ভরা মৌসুমে সেচ সংকট দেখা দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। বাড়তি খরচ গুনেও পানি পাচ্ছেন না অনেকে। অনেকে জমিতে চারা রোপণের পর এ সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কেউ কেউ সেচের অভাবে চারা রোপণ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলছেন, প্রতিবছর বোরো মৌসুমে পানির সংকট দেখা দেয়। বিভিন্ন সেচনালা খনন না করার কারণে পানি আসে না। নন হাওর এলাকায় যেমন পানির সমস্যা হয়, ঠিক তেমনি অনেক হাওরেও পানি সংকট দেখা দিয়েছে। একরপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে বোরো ধান চাষ করে পানির জন্য সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। জেলায় অন্ততপক্ষে ৫০ হাজার কৃষক পানি সংকটে আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার গিয়াসনগর, মোস্তফাপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন এবং কাঞ্জার হাওরের নিম্নাঞ্চলে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার, শমশেরনগর, আলীনগরসহ উজানের কয়েক হাজার কৃষক পানির সংকটে রয়েছেন। লাঘাটা নদীর উজানে পানি না যাওয়ার কারণে এই সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ক্রসবাঁধ ও স্লুইসগেট দিয়ে পানি আটকে চাষাবাদ করায় উজানের কৃষকেরা পানি পাচ্ছেন না।
এ দিকে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর, শরীফপুর, পৃথিমপাশাসহ বেশ কিছু ইউনিয়নে পানির সংকটে রয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। হাকালুকি হাওরের ওপরের অংশেও তীব্র পানি সংকট রয়েছে। হাওরের গভীর থেকে ফিতা পাইপের মাধ্যমে পানি নিয়ে আসতে হয়। এ ছাড়া জেলার জুড়ি ও বড়লেখায় পানি সংকটে বোরোধান আবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বোরোধানের চলতি মৌসুমে জেলায় ৬২ হাজার ১০০ হেক্টর জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ২১ টন। ইতিমধ্যে ৮৫ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। হাওর এলাকায় শতভাগ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। পানি সংকট থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলার কৃষক জুনেদ মিয়া বলেন, ‘আমরা টাকা খরচ করেও পানি পাচ্ছি না। ১ একর জমিতে প্রায় ২২ হাজার টাকা খরচ করে চাষ করেছি। এখন সবকিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পানির সংকট রয়েছে। বিভিন্ন নালা ও ছড়া দিয়ে পর্যাপ্ত পানি যাচ্ছে না; যার ফলে এই সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া নলকূপের সমস্যার কারণে পানি পাচ্ছেন না কৃষকেরা। পর্যাপ্ত পরিমাণে নলকূপ বা সেচের ব্যবস্থা করা হলে এই জেলায় বোরোধান আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছি যে সব ছড়া বা নালা দিয়ে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।’
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ বলেন, ‘নদীর উজানের পানি দিতে গেলে নিম্নাঞ্চলের বোরোধানের খেত ডুবে যায়। আমরা যতটুকু সম্ভব সবাইকে পানি দেওয়ার জন্য কাজ করছি। হাওরে পানি পেতে হলে নন হাওরের কিছু পানির সংকট থাকবেই। যেখানে সমস্যা আছে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
দুই মাস আগে উদ্বোধন করা নোয়াখালী হাতিয়ায় ফজলুল আজিম মাছের ঘাটের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ রোববার উপজেলা সদরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে নাম পরিবর্তনের এই ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।
২ মিনিট আগেমেহরীন আহমেদ বলেন, ‘আমার মা ও বাবা আমাকে নির্যাতন করে। আমি সুন্দর একটা জীবন চাই। জাস্টিস পেতে আদালতে এসেছি।’
৪ মিনিট আগেনাটোরের লালপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের পদ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে সাবেক কৃষক লীগ নেতা মো. হুমায়ুন কবির ও যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে গোপালপুর পৌর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রান্টু দায়িত্ব
৯ মিনিট আগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বসানো স্থলমাইন বিস্ফোরণে আরেক বাংলাদেশি তরুণের পা উড়ে গেছে। আজ রোববার (২২ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে সীমান্তের ৪৪ পিলারের ৩০ গজ পূর্বে সাপমারাঝিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগে