চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
দফায় দফায় বৈঠকেও চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে আশানুরূপ কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মালিকপক্ষ ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করতে চাইলেও শ্রমিকেরা তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবারও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১৭টি বাগানের চা-শ্রমিকেরা। বাগানে বাগানে চলছে বিক্ষোভ, মিছিল ও কর্মবিরতি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলছেন শ্রমিকেরা।
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পালন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চা সংসদ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান হয়নি। মালিকপক্ষ ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা দৈনিক মজুরি দিতে চাচ্ছেন। আমরা তা মানিনি। আমাদের আন্দোলন চলবে।’
চুনারুঘাট উপজেলার দাড়াগাঁও চা বাগানের শ্রমিক পঞ্চায়েতের সভাপতি প্রেমলাল আহির বলেন, দৈনিক ২৪ কেজি পাতা সংগ্রহ করতে হয় শ্রমিকদের। এর বিনিময়ে তাঁরা ১২০ টাকা পান। এর বেশি হলে প্রতি কেজির জন্য ৪ টাকা ৫০ পয়সা করে দেওয়া হয়। আর কম হলে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা করে কেটে রাখা হয়। একজন শ্রমিক বর্তমান মৌসুমে দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত চা তুলতে পারেন। কিন্তু মৌসুম ছাড়া তাঁদের টার্গেট অর্জন করা সম্ভব হয় না।
প্রেমলাল আহির আরও বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি। এখন শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি না করলে তাঁরা চলতে পারবেন না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই দাবি পূরণের লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। কোম্পানির ক্ষতি হচ্ছে সেটি আমরা বুঝি। কিন্তু আমাদের পেটে যদি ভাত না পড়ে তাহলে আমরা কাজ করব কী করে! পাতা যদি বড় হয়ে যায় তাহলে চাও ভালো হয় না।’
এ বিষয়ে চা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাগান থেকে চা উত্তোলন হয় বছরে ৯ মাস। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি চা উত্তোলন বন্ধ থাকে। মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চা উত্তোলন করা সম্ভব হয়। পূর্ণ মৌসুম জুন, জুলাই ও আগস্ট। এ তিন মাসে বছরের প্রায় ৪০ শতাংশ চা উৎপাদন হয়। চলতি বছর দেশের ১৬৭টি চা বাগানে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০০ মিলিয়ন কেজি। গত বছর (২০২১ সালে) চা উৎপাদন হয় ৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি।
দফায় দফায় বৈঠকেও চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে আশানুরূপ কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মালিকপক্ষ ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করতে চাইলেও শ্রমিকেরা তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবারও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১৭টি বাগানের চা-শ্রমিকেরা। বাগানে বাগানে চলছে বিক্ষোভ, মিছিল ও কর্মবিরতি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলছেন শ্রমিকেরা।
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পালন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চা সংসদ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান হয়নি। মালিকপক্ষ ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা দৈনিক মজুরি দিতে চাচ্ছেন। আমরা তা মানিনি। আমাদের আন্দোলন চলবে।’
চুনারুঘাট উপজেলার দাড়াগাঁও চা বাগানের শ্রমিক পঞ্চায়েতের সভাপতি প্রেমলাল আহির বলেন, দৈনিক ২৪ কেজি পাতা সংগ্রহ করতে হয় শ্রমিকদের। এর বিনিময়ে তাঁরা ১২০ টাকা পান। এর বেশি হলে প্রতি কেজির জন্য ৪ টাকা ৫০ পয়সা করে দেওয়া হয়। আর কম হলে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা করে কেটে রাখা হয়। একজন শ্রমিক বর্তমান মৌসুমে দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত চা তুলতে পারেন। কিন্তু মৌসুম ছাড়া তাঁদের টার্গেট অর্জন করা সম্ভব হয় না।
প্রেমলাল আহির আরও বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি। এখন শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি না করলে তাঁরা চলতে পারবেন না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই দাবি পূরণের লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। কোম্পানির ক্ষতি হচ্ছে সেটি আমরা বুঝি। কিন্তু আমাদের পেটে যদি ভাত না পড়ে তাহলে আমরা কাজ করব কী করে! পাতা যদি বড় হয়ে যায় তাহলে চাও ভালো হয় না।’
এ বিষয়ে চা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাগান থেকে চা উত্তোলন হয় বছরে ৯ মাস। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি চা উত্তোলন বন্ধ থাকে। মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চা উত্তোলন করা সম্ভব হয়। পূর্ণ মৌসুম জুন, জুলাই ও আগস্ট। এ তিন মাসে বছরের প্রায় ৪০ শতাংশ চা উৎপাদন হয়। চলতি বছর দেশের ১৬৭টি চা বাগানে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০০ মিলিয়ন কেজি। গত বছর (২০২১ সালে) চা উৎপাদন হয় ৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি।
সড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
৪ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে