Ajker Patrika

সিলেটে ১৯ আসনের ৮টিতে নৌকার নতুন মুখ, বাদ পড়লেন ৫ এমপি 

ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ২২: ৩৪
সিলেটে ১৯ আসনের ৮টিতে নৌকার নতুন মুখ, বাদ পড়লেন ৫ এমপি 

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ১৯টি মধ্যে ৫টি আসনে গত নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত এমপিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি-অনিয়মসহ নানাভাবে সমালোচিত হওয়ায় তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আসনের দলীয় নেতা-কর্মীরা। আর নতুন মুখ হিসেবে ৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে মনোনয়ন চাননি সিলেট-৫ আসনের বর্তমান এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার। বাকি তিনটিতে আছেন অন্য দলের এমপিরা। তবে দলীয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯টি আসনে দুই এমপিসহ ২২ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হতে পারেন। এরই মধ্যে অনেকেই প্রার্থীতা ঘোষণাও দিয়েছেন।

সুনামগঞ্জ: জেলার ৫টি আসনের মধ্যে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা বাদ পড়েছেন। তাঁরা দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

২০০৮ সালের নির্বাচনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন রতন। জমিদখল ছাড়াও অর্থ আত্মসাৎ, নানা প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির পাশাপাশি ক্যাসিনো কাণ্ডেও নাম জড়ায় তাঁর। এসব অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নামে দুদক। তাঁকে দেওয়া হয় বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা। এ ছাড়া কিছুদিন আগে যাদুকাটায় রতনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসলে সংকটে পড়েন। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা বাদ পড়ার বিষয়টিকে বার্ধক্যজনিত কারণেই মনে করছেন স্থানীয় ও দলীয় নেতা-কর্মীরা।

মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতুষ সরকার বলেন, ‘এমপি রতন বিভিন্ন দুর্নীতি ও ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচনায় ছিলেন, সব মিলিয়ে একজন বির্তর্কিত এমপি ছিলেন তিনি। তাই দলের এই নতুন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।’

এই আসনে নতুন মুখ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার। সুনামগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই, ও শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন চৌধুরী) মনোনয়ন পেয়েছেন।

সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ও কবি ড. মুহাম্মদ সাদিক। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, ‘দল আমাদের সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের প্রার্থীতা সিলেকশন করে দিয়েছেন, আমরা সেই মোতাবেক কাজ করব। তবে দলে কোনো বির্তর্কিত কিছু থাকুক সেটা নেত্রী চাননি বিধায় কেউ কেউ দলীয় টিকিট পাননি।’

সিলেট: ৬টি আসনের মধ্যে একটিতে প্রার্থী বদল হয়েছে। আসনটির বর্তমান এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার বয়সের কারণে এবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। এই আসনে (সিলেট-৫) নতুন মুখ হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।

সিলেট-২ আসনে বর্তমান এমপি গণফোরামের মোকাব্বির খান। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি এর আগে গত দুই নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জন্য আসনটি ছেড়ে দিতে হয়।

মৌলভীবাজার: ৪টি আসনের দুটিতে নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার-৩ আসনের বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদের বদলে নতুন মুখ এসেছেন শিল্পপতি জিল্লুর রহমান। সম্প্রতি নেছারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় জেলাজুড়ে। এমন কী সাংবাদিকের জমি দখলেরও অভিযোগ উঠে তাঁর স্বজনদের প্রতি।

মৌলভীবাজার-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মুহাম্মদ মনসুর বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি ধানের শীষ নিয়ে গত নির্বাচনে জয়ী হন। এবার তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ‘গ্রিন সিগন্যাল’ না পাওয়ায় মনোনয়ন চাননি। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এই আসনে আওয়ামী লীগের গ্রুপিং তুঙ্গে, যা নাদেলের পথ সহজ করে দিয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনই কোনো মন্তব্য করব না। আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।’ 

হবিগঞ্জ: ৪ টির মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। হবিগঞ্জ-১ আসনে বর্তমান সাংসদ শাহনওয়াজ মোহাম্মদ মিলাদ গাজীর বদলে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নতুন মুখ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে। হবিগঞ্জ-২ আসনে টানা তিনবারের এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের বদলে বেছে নেওয়া হয়েছে তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েলকে। আর এই পরিবর্তনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকাকেই কারণ হিসেবে দেখছেন দুটি আসনের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। 

নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রিজভী আহমেদ খালেদ বলেন, ‘বর্তমানে মিলাদ গাজীর নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার জনসাধারণের সঙ্গে তেমন একটা সম্পৃক্ততা নেই। এ ছাড়া দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একেবারে যোগাযোগ ছিল না বললেই চলে। তাঁর পছন্দের নেতা-কর্মীদের বাইরে আর কারও সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোও তাঁর পছন্দের লোকদের নিয়েই করেছেন। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এসব নিয়ে তিনি কখনো কোনো আলোচনা করেননি।’

বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান বলেন, ‘এমপি মজিদ খানের সঙ্গে দলীয় নেতা-র্মীদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। এ বিষয়টি সভানেত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত অবগত। গত ১১ নভেম্বর বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়নে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা দুটির আওয়ামী নেতা-কর্মীরা ‘মজিদ খান হটাও’ শীর্ষক একটি সমাবেশও করেন। এসব কারণে তাঁকে বাদ দিয়েছেন।’

এদিকে, এরই মধ্যে দুজন এমপিসহ ২২ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে অনেকেই প্রার্থীতা ঘোষণাও দিয়েছেন। তাঁরা হলেন—সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব বিনয় ভুষণ তালুকদার, সুনামগঞ্জ-২ আসনে সাবেক যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান ও সাবেক শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীম চৌধুরী, সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, সিলেট-৩ আসনে বিএমএ’র মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক, সাবেক সংসদ সদস্য পীর হবিবুর রহমানের ছোট ছেলে ওলিউর রহমান, সিলেট-৫ আসনে ড. আহমদ আল কবীর, সিলেট-৬ আসনে কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন, মৌলভীবাজার-২ আসনে কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সলমান আহমদ, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মোলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার সুয়েব, হবিগঞ্জ-১ আসনে নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক তফাজ্জুল হোসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও মাধবপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গভীর রাতে ঢাবির পাঁচ ভবনে তালা, ওপরে লেখা ‘লকডাউন বিএসএল’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।

গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৩৭ মিনিটে চারুকলা অনুষদ, হাইকোর্টসংলগ্ন কার্জন হল গেট, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ পাঁচটি একাডেমিক স্থাপনায় তালা ঝোলানো হয় বলে জানা যায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালা খুলে ফেলে।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তালা লাগিয়েছে ৩টা ৩৭ মিনিটের দিকে, জানার পরেই আমার টিম ৪টা থেকে ৪টা ৩০ মিনিটের (তখনই) মধ্যে তালা ভেঙে ফেলে। ছবি ও সিসিটিভি অলরেডি (ইতিমধ্যে) আমরা হাতে পেয়েছি। তাদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ ও আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেই সময়ে যেসব গার্ড এসব গেটে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের সহকারী প্রক্টররা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না, তা আমরা যাচাই করছি। এ ধরনের ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’

তালা লাগানোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীরা জড়িত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘আমাদের এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, ১০ বছরের আগের শিক্ষার্থীকেও চেনা খুব ডিফিকাল্ট। আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমাদের শিক্ষার্থী নাকি কোথাকার কী। সেটা পুলিশও দেখছে।’

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এর মধ্যে ৮ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত (পাঁচ দিন) বিভিন্ন জায়গায় নানান সহিংস ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

তালা লাগানোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম আল আমিন আহমেদ।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তালা লাগানোর ঘটনাটি সত্য। সকালে তালাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ করছি এবং সিকিউরিটি অফিসারকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের চট্টগ্রামের বাসায় পুলিশের অভিযান, ৭ জন আটক

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৬
পূর্ব নাসিরাবাদের চশমাহিলে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পূর্ব নাসিরাবাদের চশমাহিলে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদের চশমাহিলে নওফেলের বাসায় এই অভিযান চলে, যেটি সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবন হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা জানাননি তিনি।

ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আজ (বুধবার) দুপুরে ফেসবুকে একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ দেওয়া একটি স্ট্যাটাস তাঁদের নজরে আসে। সেখানে উল্লেখ ছিল, ১৩ নভেম্বরের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি সফল করতে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী একত্র হয়ে মিটিং করছেন। এমন স্ট্যাটাসের পর আরও কয়েকজন নিজেদের জুলাই যোদ্ধা দাবি করে ওসিকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নওফেলের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে।

ওসি বলেন, ‘ওই বাসার গেটে তালা লাগানো। বাইরে থেকে কোনো লোক ঢোকার সুযোগ নেই। যেসব জুলাই যোদ্ধা আমাদের তথ্য দিয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সঙ্গে এই বাসায় আসতে চেয়েছিলেন। আমরা শুধু দুজন ছাড়া কাউকে অ্যালাউ করিনি। পুলিশের অনুমতি ব্যতীত কেউ যাতে সেখানে ঢুকতে না পারে, আমরা সজাগ ছিলাম। আমরা পুরো ভবনে অভিযান চালিয়েছি। ওই বাসায় এখন পরিবারের সদস্য কেউ থাকে না। সাতজনকে পেয়েছি, যারা নিজেদের কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাদের আমরা আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। যাচাই-বাছাই করে তাদের মধ্যে যদি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কিংবা ফ্যাসিস্টের সহযোগী কেউ থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ওসি সোলাইমানের দেওয়া তথ্যমতে, নওফেলের ছয়তলা বাসার চতুর্থ তলায় রান্নাবান্নার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নিয়মিত রান্না হয়, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁর ছোট ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও বিএনপি নেতা নিয়াজের যৌথ মালিকানায় নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদে ইয়াকুব সেন্টারে ক্যাফে মিলানো নামে একটি রেস্তোরাঁ আছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রেস্তোরাঁটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ওই হোটেলের নামে ফুডপান্ডা বা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে খাবার সরবরাহ করা হয়। ওই বাসার চতুর্থ তলার ওই রান্নাঘরে সেই খাবার রান্না করা হয় এবং প্যাকেটে ভরে সেটা সরবরাহ করা হয়। আজ দুটি অর্ডার পেয়েছিলেন হোটেলকর্মীরা, বেলা ২টার মধ্যে সেই খাবার সরবরাহ করা হয়। অনলাইনে কার্ডের মাধ্যমে বা নগদ টাকা গ্রহণ করে বিল দেওয়ার দুটি মেশিন ওই বাসায় পেয়ে সেগুলো জব্দ করেছে পুলিশ। তবে নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একত্র হয়ে সভা করার খবরটি ‘গুজব’ ছিল বলে জানান ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান।

তথ্যমতে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ২০১৮ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নওফেল দেশত্যাগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি অফিস ভাঙচুর

খুলনা প্রতিনিধি
অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।

এদিকে গভীর রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) খুলনা জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে নগরীর টাইগার গার্ডেনসংলগ্ন কার্যালয়ে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এনসিপি সূত্রে জানা যায়, রাত ১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং আসবাবপত্র নষ্ট করে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই দলীয় নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে পৌঁছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেন।

এ বিষয়ে এনসিপির খুলনা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজই আমরা মামলা করব।’

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, লবণচরার সাচিবুনিয়া টেক্সটাইল মিলের পাশে বাইপাস সড়কে রাত ৮টার দিকে ৪০-৫০ জন ঝটিকা মশালমিছিল করে। খুলনা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এ মিছিল বের হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়।

একই সময় মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন ঝটিকা মিছিল বের করে।খবর পেয়ে সদর ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

জানতে চাইলে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৮-১০ জন রাতে ফেরিঘাটের মোড় থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে। এর আগে আরও দুজনকে আটক করা হয়।

উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, ১৩ নভেম্বর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ ও সিটিএসবি এবং সঙ্গে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। মোবাইল টিম ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রতিবেশী গৃহবধূকে প্রেমিকের সঙ্গে দেখে ফেলায় খুন হয় শিশু আনাস: পুলিশ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
আনাস খান। ছবি: সংগৃহীত
আনাস খান। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে আলোচিত শিশু আনাস খান (৪) হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, আনাসের প্রতিবেশী গৃহবধূকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে আনাস। এ জন্য তাকে গলা টিপে ও কাঁচি দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করে মেরে লাশ বিলে ফেলে দেন ওই প্রেমিক। পরে আনাসের পরিবারের সঙ্গে লাশ খোঁজাখুঁজিতেও অংশ নেন ওই প্রেমিক। প্রতিবেশী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম এসব কথা জানান। এ ঘটনায় ওই নারী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আনাস উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া (নতুন বাজার) গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আল আমিন খান ও লিজা আক্তার দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণিতে পড়ত।

আনাস হত্যায় গ্রেপ্তার প্রতিবেশী নারী শাহিনূর বেগম ওরফে হাসিনা (৩০) চিনাশুকানিয়া (মধ্যপাড়া) গ্রামের নজরুল মোল্লার স্ত্রী। গ্রেপ্তার প্রেমিক মোমেন খাঁ উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া (নতুন বাজার) গ্রামের মোতালেব খাঁর ছেলে।

অভিযুক্ত নারীকে নিয়ে লাশ উদ্ধার করতে আসে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযুক্ত নারীকে নিয়ে লাশ উদ্ধার করতে আসে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে সৌদি আরব থেকে দেশে চলে আসি। খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কী বিচার চাইব। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার সকালে আনাস তার বাইসাইকেল নিয়ে প্রতিবেশী নজরুল মোল্লার ছেলে আবদুল্লাহর (৫) সঙ্গে খেলতে তার বাড়িতে যায়। কিছুক্ষণ পর আনাসের দাদি তাকে খোঁজার জন্য নজরুল মোল্লার বাড়িতে যান। তখন নজরুল মোল্লার স্ত্রী হাসিনা তাঁকে জানান, আনাস তাঁদের বাড়িতে সাইকেলটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় তার দাদা শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আনাসকে উদ্ধারে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে হাসিনা ও তাঁর স্বামী নজরুল মোল্লাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাসিনা স্বীকার করেন, পাশের বাড়ির মোতালেব খাঁর ছেলে মোমেনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন শুক্রবার সকালে স্বামী বের হয়ে গেলে প্রেমিককে ঘরে নিয়ে আসেন হাসিনা। আনাস তাঁর বাড়িতে এসে খেলার সাথি আবদুল্লাহকে খুঁজতে খুঁজতে ঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানে হাসিনা ও তাঁর প্রেমিক মোমেনকে একসঙ্গে দেখে ফেলে সে। নিজেদের অপকর্ম লুকাতে মোমেন আনাসের গলা টিপে ধরেন এবং কাঁচি দিয়ে তাকে নৃশংসভাবে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে সুযোগ বুঝে মোমেন আনাসের লাশ বাড়ির উত্তর পাশের বাঙ্গালপাড়া বিলে ফেলে আসেন। অন্যদিকে হাসিনা আনাসের সাইকেলটি আনাসের বাড়ির কাছে রাস্তায় রেখে আসেন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচিটি ধুয়ে রান্নাঘরের চালে গুঁজে রাখেন। পরে হাসিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গত সোমবার দুপুরে বিল থেকে আনাসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত