মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঈদের ছুটিতে বেড়েছে পর্যটকদের সমাগম। অসচেতনতায় নষ্ট হচ্ছে বনের পরিবেশ। অতিরিক্ত ভিড় ও পর্যটকদের হইহল্লায় হারিয়ে গেছে বনের সহজাত নীরব পরিবেশ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রাণীরা। ভয়ে ছোটাছুটি করছে তারা। এ অবস্থায় উদ্যানের পরিবেশ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে বন বিভাগ।
বন বিভাগ সূত্র বলেছে, পর্যটন আর বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ একসঙ্গে রক্ষা করা কঠিন। বন রক্ষা করতে হলে অবশ্যই পর্যটক কমাতে হবে। কিন্তু পর্যটক সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। অতিরিক্ত মানুষের কারণে বনের প্রাণীরা ভয়ে রয়েছে। দল বেঁধে আসা লোকজন অনেক সময় না বুঝে বনের ভেতরে বনভোজনের আয়োজন করে। এতে প্রাণীদের অবাধ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। ১৯৯৬ সালে লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঈদের ছুটিতে সরেজমিনে উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রধান ফটকের সামনে শত শত গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পর্যটকেরা বনে ঢুকছেন। অনেকে প্রাণীদের বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করছেন। কেউ কেউ দল বেঁধে রেললাইনে বসে গান গাইছেন, ইচ্ছেমতো ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন এবং বনের মধ্যে ছোটাছুটি করছেন।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকিট কাউন্টার সূত্র বলেছে, ঈদের দিন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার মানুষ প্রবেশ করেছে উদ্যানে।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, বনের প্রাণীদের নিরাপদ রাখতে হলে মানুষের প্রবেশ কমাতে হবে। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে ঢালাওভাবে পর্যটক না ঢুকিয়ে নিদিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ করলে ভালো হবে। বনের প্রাণীরা যদি অবাধে বিচরণ করতে না পারে, তাহলে একসময় বন ধ্বংস হয়ে যাবে। এক দশক আগে বনের ঘনত্ব ও প্রাণীর সংখ্যা বেশি ছিল। এখন বনের ঘনত্ব কমার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে প্রাণীর সংখ্যাও। প্রতিদিন চুরি হচ্ছে বনের গাছ।
কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, ‘গণহারে পর্যটক বনে প্রবেশ করলে এর পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হবে। পর্যটকেরা বনকে কক্সবাজার মনে করে চিৎকার করেন। এতে বনের প্রাণীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে। আগে বনে উল্লুক, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যেত। এসব আর তেমন চোখে পড়ে না।’
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীরা অবাধে বিচরণ করতে পারছে না। পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাইলেও আমরা আপত্তি জানিয়েছি। আমাদের প্রথম কাজ হলো বন ও বনের প্রাণী রক্ষা করা। এরপর পর্যটনের চিন্তা। পর্যটন ও পরিবেশ একসঙ্গে চিন্তা করা যাবে না। ভবিষ্যতে লাউয়াছড়া উদ্যানে পর্যটক কমিয়ে আনার জন্য অনলাইনে টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে আমরা খুবই চিন্তিত।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঈদের ছুটিতে বেড়েছে পর্যটকদের সমাগম। অসচেতনতায় নষ্ট হচ্ছে বনের পরিবেশ। অতিরিক্ত ভিড় ও পর্যটকদের হইহল্লায় হারিয়ে গেছে বনের সহজাত নীরব পরিবেশ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রাণীরা। ভয়ে ছোটাছুটি করছে তারা। এ অবস্থায় উদ্যানের পরিবেশ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে বন বিভাগ।
বন বিভাগ সূত্র বলেছে, পর্যটন আর বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ একসঙ্গে রক্ষা করা কঠিন। বন রক্ষা করতে হলে অবশ্যই পর্যটক কমাতে হবে। কিন্তু পর্যটক সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। অতিরিক্ত মানুষের কারণে বনের প্রাণীরা ভয়ে রয়েছে। দল বেঁধে আসা লোকজন অনেক সময় না বুঝে বনের ভেতরে বনভোজনের আয়োজন করে। এতে প্রাণীদের অবাধ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। ১৯৯৬ সালে লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঈদের ছুটিতে সরেজমিনে উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রধান ফটকের সামনে শত শত গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পর্যটকেরা বনে ঢুকছেন। অনেকে প্রাণীদের বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করছেন। কেউ কেউ দল বেঁধে রেললাইনে বসে গান গাইছেন, ইচ্ছেমতো ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন এবং বনের মধ্যে ছোটাছুটি করছেন।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকিট কাউন্টার সূত্র বলেছে, ঈদের দিন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার মানুষ প্রবেশ করেছে উদ্যানে।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, বনের প্রাণীদের নিরাপদ রাখতে হলে মানুষের প্রবেশ কমাতে হবে। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে ঢালাওভাবে পর্যটক না ঢুকিয়ে নিদিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ করলে ভালো হবে। বনের প্রাণীরা যদি অবাধে বিচরণ করতে না পারে, তাহলে একসময় বন ধ্বংস হয়ে যাবে। এক দশক আগে বনের ঘনত্ব ও প্রাণীর সংখ্যা বেশি ছিল। এখন বনের ঘনত্ব কমার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে প্রাণীর সংখ্যাও। প্রতিদিন চুরি হচ্ছে বনের গাছ।
কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, ‘গণহারে পর্যটক বনে প্রবেশ করলে এর পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হবে। পর্যটকেরা বনকে কক্সবাজার মনে করে চিৎকার করেন। এতে বনের প্রাণীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে। আগে বনে উল্লুক, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যেত। এসব আর তেমন চোখে পড়ে না।’
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীরা অবাধে বিচরণ করতে পারছে না। পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাইলেও আমরা আপত্তি জানিয়েছি। আমাদের প্রথম কাজ হলো বন ও বনের প্রাণী রক্ষা করা। এরপর পর্যটনের চিন্তা। পর্যটন ও পরিবেশ একসঙ্গে চিন্তা করা যাবে না। ভবিষ্যতে লাউয়াছড়া উদ্যানে পর্যটক কমিয়ে আনার জন্য অনলাইনে টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে আমরা খুবই চিন্তিত।’
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১৪ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২১ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
২৬ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
৩০ মিনিট আগে