সিলেট প্রতিনিধি
বকেয়া বেতনসহ সাত দফা দাবিতে আজ রোববার দ্বিতীয়দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের শ্রমিকেরা। দ্রুত দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চা বাগান শ্রমিক ও পঞ্চায়েত কমিটি। এর আগে গতকাল শনিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে শ্রমিকেরা।
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চৈতন্য মোদী ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল মোদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণে বারবার বেতন আটকে যাচ্ছে। এত দিন তারা একদিনের বেতন অন্যদিন দিলেও এখন টানা দুই সপ্তাহ ধরে বেতন বন্ধ। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বকেয়া বেতনের তৃতীয় কিস্তিও পাইনি। দাবি আদায়ে মঙ্গলবার থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু করব।’
তারা আরও বলেন, ‘বেতন না পাওয়ার কারণে শ্রমিক পরিবারে সংকট বাড়ছে, পানসে হয়ে গেছে সংক্রান্তি উৎসব। আমরা অচলাবস্থার অবসান চাই। বারবার বাগান বন্ধ থাকাটা আমরাও চাই না। বাধ্য হয়ে অভাবের তাড়নায় আন্দোলন করছি।’
এ দিকে তারাপুর চা–বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শুকনো মৌসুমের কলম বন্ধ থাকায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের ঘরে অভাব ও হাহাকার দেখা দিয়েছে। স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করতে পারছেন না শ্রমিকেরা।
তারাপুর চা–বাগানের শ্রমিক মমতা রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চা বাগানই আমাদের জীবন। আমরা চা–বাগান বন্ধ থাকুক এটা চাই না। দুই সপ্তাহ ধরে কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছি না। ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে পেটের তাগিদে আন্দোলন শুরু করেছি।’
গীতা হালদার নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে কোনো বেতন–ভাতা নাই। সন্তানদের স্কুলে ভর্তি যেমন করতে পারিনি, তেমনি নতুন ক্লাসের বইও কিনে দিতে পারছি না। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনাটা চাই।’
তারাপুর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) রিংকু চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রমিক বকেয়াসহ আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আট মাসের বেতন বাকি। মালিকপক্ষ লোকসানে থাকায় শ্রমিকসহ কারও বেতন দিতে পারছে না। যার কারণে, শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের বেতন বকেয়া রয়েছে। আজ (রোববার) ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা (মিটিং) আছে। সেখানে বিষয়গুলো আলোচনা হবে এবং মালিকপক্ষ উপস্থিত থাকবেন।’
তারাপুর চা-বাগানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিক্রম কর সম্রাট বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা লোকসানের মধ্যে আছি। যারাই মালিকপক্ষ আছি, সবাই নিজের পকেট থেকে শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছি। ব্যাংক থেকে সব চা-বাগান মালিকপক্ষ কোটি টাকা লোন পায়, কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা পাচ্ছি না। প্রশাসনিক সহযোগিতাও পাচ্ছি না।
তারপরও আমরা নিজেদের পকেট থেকে শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছি, যাতে তাদের অসহায় অবস্থা কাটাতে না হয়। আজ (রোববার) সন্ধ্যায় আমাদের সভা (মিটিং) আছে। সেখানে বিষয়গুলো আলোচনা হবে এবং এর একটা সমাধান করব।’
বকেয়া বেতনসহ সাত দফা দাবিতে আজ রোববার দ্বিতীয়দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের শ্রমিকেরা। দ্রুত দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চা বাগান শ্রমিক ও পঞ্চায়েত কমিটি। এর আগে গতকাল শনিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে শ্রমিকেরা।
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চৈতন্য মোদী ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল মোদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণে বারবার বেতন আটকে যাচ্ছে। এত দিন তারা একদিনের বেতন অন্যদিন দিলেও এখন টানা দুই সপ্তাহ ধরে বেতন বন্ধ। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বকেয়া বেতনের তৃতীয় কিস্তিও পাইনি। দাবি আদায়ে মঙ্গলবার থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু করব।’
তারা আরও বলেন, ‘বেতন না পাওয়ার কারণে শ্রমিক পরিবারে সংকট বাড়ছে, পানসে হয়ে গেছে সংক্রান্তি উৎসব। আমরা অচলাবস্থার অবসান চাই। বারবার বাগান বন্ধ থাকাটা আমরাও চাই না। বাধ্য হয়ে অভাবের তাড়নায় আন্দোলন করছি।’
এ দিকে তারাপুর চা–বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শুকনো মৌসুমের কলম বন্ধ থাকায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের ঘরে অভাব ও হাহাকার দেখা দিয়েছে। স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করতে পারছেন না শ্রমিকেরা।
তারাপুর চা–বাগানের শ্রমিক মমতা রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চা বাগানই আমাদের জীবন। আমরা চা–বাগান বন্ধ থাকুক এটা চাই না। দুই সপ্তাহ ধরে কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছি না। ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে পেটের তাগিদে আন্দোলন শুরু করেছি।’
গীতা হালদার নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে কোনো বেতন–ভাতা নাই। সন্তানদের স্কুলে ভর্তি যেমন করতে পারিনি, তেমনি নতুন ক্লাসের বইও কিনে দিতে পারছি না। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনাটা চাই।’
তারাপুর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) রিংকু চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রমিক বকেয়াসহ আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আট মাসের বেতন বাকি। মালিকপক্ষ লোকসানে থাকায় শ্রমিকসহ কারও বেতন দিতে পারছে না। যার কারণে, শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের বেতন বকেয়া রয়েছে। আজ (রোববার) ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা (মিটিং) আছে। সেখানে বিষয়গুলো আলোচনা হবে এবং মালিকপক্ষ উপস্থিত থাকবেন।’
তারাপুর চা-বাগানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিক্রম কর সম্রাট বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা লোকসানের মধ্যে আছি। যারাই মালিকপক্ষ আছি, সবাই নিজের পকেট থেকে শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছি। ব্যাংক থেকে সব চা-বাগান মালিকপক্ষ কোটি টাকা লোন পায়, কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা পাচ্ছি না। প্রশাসনিক সহযোগিতাও পাচ্ছি না।
তারপরও আমরা নিজেদের পকেট থেকে শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছি, যাতে তাদের অসহায় অবস্থা কাটাতে না হয়। আজ (রোববার) সন্ধ্যায় আমাদের সভা (মিটিং) আছে। সেখানে বিষয়গুলো আলোচনা হবে এবং এর একটা সমাধান করব।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য উপাচার্যের কাছে চার দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
৪ মিনিট আগেফরিদপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। এ সময় ছয়টি অবৈধ ড্রেজার জব্দসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে আটক তিনজনকে থানায় হস্তান্তরের কথা সেনাক্যাম্প জানালেও প্রশাসন তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে। তবে আটক ব্যক্তিরা সরকারি ড্রেজিং প্রকল্পের লোক বলে জানা গেছে। এ ছাড়া তিনটি ড্রেজারও ছেড়ে...
১৩ মিনিট আগেবগুড়ায় আদালত চত্বরে শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মতিনের শ্যালক ও তাঁর এক সহযোগীকে গণধোলাই দেওয়া। পরে পুলিশ মতিনের শ্যালক মিল্লাত হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছে।
২৫ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না তার সিদ্ধান্ত দেবে ইসি—প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি করেছেন বরিশাল জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আজ রোববার বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
২৬ মিনিট আগে