নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
‘সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা দেখলে আমার কাঁদবার ইচ্ছে হয়। এই বৈষম্য হতে পারে না। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না’- বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
আজ বুধবার সকালে নগরের রাজা গিরিশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (রাজা জি.সি) বার্ষিক ক্রীড়া সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আরো বলেন, ‘এক জেলায় ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি হবে আর আমার জেলা সিলেটে ৪টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এটা হতে পারে না। আমার কোমলমতি বাচ্চারা কোন অবস্থায় আছেন, যারা শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করেন এবং শিক্ষাবিদরা আছেন, এটা নিয়ে আপনারা রিসার্চ করেন, কথা বলেন।’
মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘একটি জেলা বা দেশ কখনো শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া এগোতে পারবে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বলেন আর উচ্চ বিদ্যালয় বলেন এগুলোর উন্নয়ন প্রয়োজন। কারণ বড়লোকের বাচ্চারা, ডিসি সাহেবের বাচ্চারা, কমিশনার সাহেবের বাচ্চারা, এসপি সাহেবের বাচ্চারা, পুলিশ কমিশনারের বাচ্চারা, রাজনীতিবিদদের বাচ্চারা তো ইংলিশ স্কুলে লেখাপড়া করে। এই কারণে হয়তো এই গরিব মানুষদের বাচ্চাদের পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এগুলো কিন্তু তারা করছে। এটা আমি বিশ্বাস করি, আমি মনে করি। সরকার হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে। এটা কেন হচ্ছে, কাদের কারণে হচ্ছে। আমি মনে করি এটা আমাদের সিলেটের যারা রাজনীতি করে এটা আমাদের ব্যর্থতার কারণে হচ্ছে।’
সিসিক মেয়র বলেন, ‘সিলেটে ৪টি স্কুল সরকারি এটা হতে পারে না। এখন যদি আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই, তাহলে ধানমন্ত্রী তো আমাকে প্রথমেই একটি বাড়ি (মাইর) দিবেন। তোমারা ১০ বছর শিক্ষামন্ত্রী ছিলে, অর্থমন্ত্রী ছিলে। এই সিলেট-১ এ অর্থমন্ত্রী ছিলেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। উনি একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলে, শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে গেলাম। এটার কারণ আমি বুঝি না।’
রাজা গিরিশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের সভাপতিত্বে এবং কম্পিউটার শিক্ষক গাওসিয়া চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মুমিত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সায়িদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ, সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. কবির খান, রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল আলম, রাজা গিরিশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাছিনা মমতাজ, ক্রীড়া শিক্ষক মুহাম্মদ মানিক খান, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হালিম, অভিভাবক অশোক কুমার রায়।
এরআগে সিলেট সিটি করপোরেশনের নবগঠিত ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেজরটিলার মোহাম্মদপুর প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ, আরসিসি ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, মোহাম্মদপুর জামেয়া আরাবিয়া মারকাজুল উলুম মাদ্রাসা সড়কের উদ্বোধন ও চামেলীবাগ ২ নম্বর সড়ক প্রশস্তকরণ, আরসিসি ড্রেন ও রাস্তা নির্মান কাজের ভিত্তি প্রস্থর করেন মেয়র।
‘সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা দেখলে আমার কাঁদবার ইচ্ছে হয়। এই বৈষম্য হতে পারে না। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না’- বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
আজ বুধবার সকালে নগরের রাজা গিরিশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (রাজা জি.সি) বার্ষিক ক্রীড়া সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আরো বলেন, ‘এক জেলায় ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি হবে আর আমার জেলা সিলেটে ৪টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এটা হতে পারে না। আমার কোমলমতি বাচ্চারা কোন অবস্থায় আছেন, যারা শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করেন এবং শিক্ষাবিদরা আছেন, এটা নিয়ে আপনারা রিসার্চ করেন, কথা বলেন।’
মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘একটি জেলা বা দেশ কখনো শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া এগোতে পারবে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বলেন আর উচ্চ বিদ্যালয় বলেন এগুলোর উন্নয়ন প্রয়োজন। কারণ বড়লোকের বাচ্চারা, ডিসি সাহেবের বাচ্চারা, কমিশনার সাহেবের বাচ্চারা, এসপি সাহেবের বাচ্চারা, পুলিশ কমিশনারের বাচ্চারা, রাজনীতিবিদদের বাচ্চারা তো ইংলিশ স্কুলে লেখাপড়া করে। এই কারণে হয়তো এই গরিব মানুষদের বাচ্চাদের পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এগুলো কিন্তু তারা করছে। এটা আমি বিশ্বাস করি, আমি মনে করি। সরকার হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে। এটা কেন হচ্ছে, কাদের কারণে হচ্ছে। আমি মনে করি এটা আমাদের সিলেটের যারা রাজনীতি করে এটা আমাদের ব্যর্থতার কারণে হচ্ছে।’
সিসিক মেয়র বলেন, ‘সিলেটে ৪টি স্কুল সরকারি এটা হতে পারে না। এখন যদি আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই, তাহলে ধানমন্ত্রী তো আমাকে প্রথমেই একটি বাড়ি (মাইর) দিবেন। তোমারা ১০ বছর শিক্ষামন্ত্রী ছিলে, অর্থমন্ত্রী ছিলে। এই সিলেট-১ এ অর্থমন্ত্রী ছিলেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। উনি একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলে, শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে গেলাম। এটার কারণ আমি বুঝি না।’
রাজা গিরিশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের সভাপতিত্বে এবং কম্পিউটার শিক্ষক গাওসিয়া চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মুমিত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সায়িদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ, সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. কবির খান, রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল আলম, রাজা গিরিশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাছিনা মমতাজ, ক্রীড়া শিক্ষক মুহাম্মদ মানিক খান, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হালিম, অভিভাবক অশোক কুমার রায়।
এরআগে সিলেট সিটি করপোরেশনের নবগঠিত ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেজরটিলার মোহাম্মদপুর প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ, আরসিসি ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, মোহাম্মদপুর জামেয়া আরাবিয়া মারকাজুল উলুম মাদ্রাসা সড়কের উদ্বোধন ও চামেলীবাগ ২ নম্বর সড়ক প্রশস্তকরণ, আরসিসি ড্রেন ও রাস্তা নির্মান কাজের ভিত্তি প্রস্থর করেন মেয়র।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে