সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৩৪ জনের মধ্যে ২টি শিশু ছিল। গতকাল বুধবার আদালত ৩২ জনকে জামিন দিলেও ২ শিশুকে জামিন দেওয়া হয়েছে আজ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুনানি শেষে সুনামগঞ্জের শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন ২ শিশুর জামিন মঞ্জুর করেন।
এই ২ শিশুকে গ্রেপ্তারের পর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী মহিউদ্দিন বাবর জামিন মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের দুধের আউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাটলাই নদী থেকে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির নৌকা থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীসহ ৩৪ জনকে আটক করা হয়। পরে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে গত সোমবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত বুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে মেটেরিয়ালস অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আফিফ আনোয়ার, মেকানিক্যাল বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বখতিয়ার নাফিস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. সাইখ সাদিক, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ইসমাইল ইবনে আজাদ, সব্বির আহম্মেদ, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তাজিমুর রাফি, বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগে তৃতীয় বর্ষের মো. সাদ আদনান অপি, বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগে প্রথম বর্ষের মো. শামীম আল রাজি, যন্ত্র কৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. আব্দুলাহ আল মুকিত, মাহমুদুর হাসান, যন্ত্র কৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. জায়িম সরকার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের হাইছাম বিন মাহবুব, আইপিই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের খালিদ আম্মার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. ফাহাদুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তানভির আরাফাত ফাহিম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এ টি এম আবরার মুহতাদী, মো. ফয়সাল হাবিব, আব্দুল বারি, বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আনোয়ারুল্লাহ সিদ্দিকী।
এ দিকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা দাবি করেন, শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত নয়।
বুয়েটের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী আলী আম্মার মুয়াজের বড় ভাই আলী আহসান জুনায়েদ।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, কোনো ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে আমাদের সন্তানেরা জড়িত নয়। ছোটবেলা থেকে মেধাবী ছাত্র হিসেবে এবং ভালো সন্তান হিসেবে আমরা তাঁদের ব্যাপারে গর্ব অনুভব করি। ছোটবেলা থেকেই তাঁদের পড়ালেখার প্রতি ঝোঁক ছিল; রাজনীতিসহ এ জাতীয় কোনো কাজের সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা ছিল না কখনোই।
‘উপরন্তু, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় আমরা সর্বদাই তাঁদের এ ব্যাপারে সাবধান করে গিয়েছি এবং তাঁরাও রাজনীতিমুক্ত হিসেবেই ছিল। অতএব, তাঁরা কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলছি তাঁরা সাধারণ শিক্ষার্থীমাত্র। কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে এমন ভয় মামলা সাজানো হলো, আমাদের বোধগম্য নয় বলে উল্লেখ করেন আলী আহসান জুনায়েদ।’
জুনায়েদ আরও বলেন, ‘কেন তাদের আটক করা হয়েছে তা আমরা জানতে পারছিলাম না। অনেক উদ্বিগ্নতার পরে জানতে পারি যে, তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা নাকি নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার জন্য সেখানে গেছে। আমাদের সন্তানদের ব্যাপারে এমন অকল্পনীয় অভিযোগ শুনে আমরা যারপরনাই আশ্চর্যান্বিত হই। আমরা মনে করি, এ রকম হাস্যকর ও বানোয়াট অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক।’
আরও পড়ুন:
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৩৪ জনের মধ্যে ২টি শিশু ছিল। গতকাল বুধবার আদালত ৩২ জনকে জামিন দিলেও ২ শিশুকে জামিন দেওয়া হয়েছে আজ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুনানি শেষে সুনামগঞ্জের শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন ২ শিশুর জামিন মঞ্জুর করেন।
এই ২ শিশুকে গ্রেপ্তারের পর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী মহিউদ্দিন বাবর জামিন মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের দুধের আউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাটলাই নদী থেকে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির নৌকা থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীসহ ৩৪ জনকে আটক করা হয়। পরে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে গত সোমবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত বুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে মেটেরিয়ালস অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আফিফ আনোয়ার, মেকানিক্যাল বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বখতিয়ার নাফিস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. সাইখ সাদিক, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ইসমাইল ইবনে আজাদ, সব্বির আহম্মেদ, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তাজিমুর রাফি, বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগে তৃতীয় বর্ষের মো. সাদ আদনান অপি, বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগে প্রথম বর্ষের মো. শামীম আল রাজি, যন্ত্র কৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. আব্দুলাহ আল মুকিত, মাহমুদুর হাসান, যন্ত্র কৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. জায়িম সরকার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের হাইছাম বিন মাহবুব, আইপিই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের খালিদ আম্মার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. ফাহাদুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তানভির আরাফাত ফাহিম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এ টি এম আবরার মুহতাদী, মো. ফয়সাল হাবিব, আব্দুল বারি, বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আনোয়ারুল্লাহ সিদ্দিকী।
এ দিকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা দাবি করেন, শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত নয়।
বুয়েটের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী আলী আম্মার মুয়াজের বড় ভাই আলী আহসান জুনায়েদ।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, কোনো ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে আমাদের সন্তানেরা জড়িত নয়। ছোটবেলা থেকে মেধাবী ছাত্র হিসেবে এবং ভালো সন্তান হিসেবে আমরা তাঁদের ব্যাপারে গর্ব অনুভব করি। ছোটবেলা থেকেই তাঁদের পড়ালেখার প্রতি ঝোঁক ছিল; রাজনীতিসহ এ জাতীয় কোনো কাজের সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা ছিল না কখনোই।
‘উপরন্তু, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় আমরা সর্বদাই তাঁদের এ ব্যাপারে সাবধান করে গিয়েছি এবং তাঁরাও রাজনীতিমুক্ত হিসেবেই ছিল। অতএব, তাঁরা কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলছি তাঁরা সাধারণ শিক্ষার্থীমাত্র। কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে এমন ভয় মামলা সাজানো হলো, আমাদের বোধগম্য নয় বলে উল্লেখ করেন আলী আহসান জুনায়েদ।’
জুনায়েদ আরও বলেন, ‘কেন তাদের আটক করা হয়েছে তা আমরা জানতে পারছিলাম না। অনেক উদ্বিগ্নতার পরে জানতে পারি যে, তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা নাকি নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার জন্য সেখানে গেছে। আমাদের সন্তানদের ব্যাপারে এমন অকল্পনীয় অভিযোগ শুনে আমরা যারপরনাই আশ্চর্যান্বিত হই। আমরা মনে করি, এ রকম হাস্যকর ও বানোয়াট অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক।’
আরও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) সদস্য বলে পুলিশ দাবি করেছে। আজ শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি সদরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেহান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমি আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসব না। কখনো বলব না আপনারা আমাকে ভোট দেন। আপনারা যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান, তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবুও আমি চাইব, অবহেলিত এই হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক।
১ ঘণ্টা আগেসি-সেফ লাইফ গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামির চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা এবং পেশায় রেফ্রিজারেটর মেকানিক। সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, সকালে সামিরসহ চার বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। দুপুরে সৈকতে গোসলে নামলে ঢেউয়ে ভেসে যেতে থাকেন সামির।
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
১ ঘণ্টা আগে