মৌলভীবাজার
মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
গত বছরের দফায় দফায় বন্যায় মৌলভীবাজারে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বছর পেরিয়ে আবার বর্ষা মৌসুম এলেও সড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে জেলাবাসী। সড়কগুলোর কোনোটির পিচ উঠে ইট-সুরকি বেরিয়ে গেছে, কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। বৃষ্টিতে সেসব গর্তে পানি-কাদায় একাকার। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা, কমলগঞ্জ উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অসংখ্য রাস্তা বেহাল। কোনো রাস্তা ভেঙে গেছে, কোনোটিতে আবার হাজারো গর্ত। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে যান ও মানুষ দুর্ভোগ নিয়ে চলছে। বৃষ্টিতে ছোট গর্তগুলো প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, জেলায় গ্রামীণ ও আঞ্চলিক ৫ হাজার ১৪৬ কিলোমিটার সড়ক এলজিইডির আওতাভুক্ত। এর মধ্যে পাকা সড়ক রয়েছে ২ হাজার ৮২ কিলোমিটার ও কাঁচা সড়ক ৩ হাজার ৬৪ কিলোমিটার। পাকা সড়কের মধ্যে প্রায় ২০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়। গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরাদ্দের অভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।
সওজ সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত বছরের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জুড়ী, ফুলতলা, বটলি সড়কের ১৯ কিলোমিটার, রাজনগর বালাগঞ্জ সড়কের ১৭ কিলোমিটার, শাহবাজপুর, দৌলতপুর সড়ক ও বড়লেখা শাহবাজপুর সড়কের ২৫ কিলোমিটার। বন্যার পর কয়েকটি সড়কে প্রাথমিক কাজ করা হলেও স্থায়ী কোনো কাজ হয়নি।
জেলার বিভিন্ন গাড়িচালক বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ভাঙা থাকায় আমরা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারি না। একবার ভাঙা সড়ক দিয়ে গেলে ফিরে এসে গাড়িতে কাজ করাতে হয়। সড়ক চলাচলের অনুপযোগী থাকায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে আমাদের পড়তে হয়। অথচ হাজার হাজার টাকা খরচ করে গাড়ির কাগজপত্র ঠিক রাখি।’
‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর কমলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মো. আব্দুস সালাম বলেন, জেলার কয়েকটি সড়ক বাদে বেশির ভাগ সড়ক বেহাল; বিশেষ করে কমলগঞ্জে এলজিইডির আদমপুরের সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। গত বন্যায় সড়কের বেশির ভাগ অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এখন বৃষ্টিতে একেবারেই শেষ। স্থানীয়রা বারবার আবেদন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। সড়ক চলাচলের অনুপযোগী থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
এলজিইডি মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক অবস্থায় কিছু সড়ক মেরামত করেছি। কিছু রাস্তা কাজের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় সবগুলোর কাজ করা যাচ্ছে না।’
মৌলভীবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়ছার হামিদ বলেন, ‘প্রায় ৫০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক রয়েছে। এগুলো কিছুটা মেরামত করা হলেও নতুনভাবে কাজ করানো যাচ্ছে না। কিছু সড়ক প্রাথমিকভাবে আমরা মূল্যায়ন করেছি। বরাদ্দ পেলে কাজ করানো সম্ভব।’
গত বছরের দফায় দফায় বন্যায় মৌলভীবাজারে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বছর পেরিয়ে আবার বর্ষা মৌসুম এলেও সড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে জেলাবাসী। সড়কগুলোর কোনোটির পিচ উঠে ইট-সুরকি বেরিয়ে গেছে, কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। বৃষ্টিতে সেসব গর্তে পানি-কাদায় একাকার। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা, কমলগঞ্জ উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অসংখ্য রাস্তা বেহাল। কোনো রাস্তা ভেঙে গেছে, কোনোটিতে আবার হাজারো গর্ত। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে যান ও মানুষ দুর্ভোগ নিয়ে চলছে। বৃষ্টিতে ছোট গর্তগুলো প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, জেলায় গ্রামীণ ও আঞ্চলিক ৫ হাজার ১৪৬ কিলোমিটার সড়ক এলজিইডির আওতাভুক্ত। এর মধ্যে পাকা সড়ক রয়েছে ২ হাজার ৮২ কিলোমিটার ও কাঁচা সড়ক ৩ হাজার ৬৪ কিলোমিটার। পাকা সড়কের মধ্যে প্রায় ২০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়। গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরাদ্দের অভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।
সওজ সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত বছরের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জুড়ী, ফুলতলা, বটলি সড়কের ১৯ কিলোমিটার, রাজনগর বালাগঞ্জ সড়কের ১৭ কিলোমিটার, শাহবাজপুর, দৌলতপুর সড়ক ও বড়লেখা শাহবাজপুর সড়কের ২৫ কিলোমিটার। বন্যার পর কয়েকটি সড়কে প্রাথমিক কাজ করা হলেও স্থায়ী কোনো কাজ হয়নি।
জেলার বিভিন্ন গাড়িচালক বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ভাঙা থাকায় আমরা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারি না। একবার ভাঙা সড়ক দিয়ে গেলে ফিরে এসে গাড়িতে কাজ করাতে হয়। সড়ক চলাচলের অনুপযোগী থাকায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে আমাদের পড়তে হয়। অথচ হাজার হাজার টাকা খরচ করে গাড়ির কাগজপত্র ঠিক রাখি।’
‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর কমলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মো. আব্দুস সালাম বলেন, জেলার কয়েকটি সড়ক বাদে বেশির ভাগ সড়ক বেহাল; বিশেষ করে কমলগঞ্জে এলজিইডির আদমপুরের সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। গত বন্যায় সড়কের বেশির ভাগ অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এখন বৃষ্টিতে একেবারেই শেষ। স্থানীয়রা বারবার আবেদন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। সড়ক চলাচলের অনুপযোগী থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
এলজিইডি মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক অবস্থায় কিছু সড়ক মেরামত করেছি। কিছু রাস্তা কাজের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় সবগুলোর কাজ করা যাচ্ছে না।’
মৌলভীবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়ছার হামিদ বলেন, ‘প্রায় ৫০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক রয়েছে। এগুলো কিছুটা মেরামত করা হলেও নতুনভাবে কাজ করানো যাচ্ছে না। কিছু সড়ক প্রাথমিকভাবে আমরা মূল্যায়ন করেছি। বরাদ্দ পেলে কাজ করানো সম্ভব।’
দখল-দূষণে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে কুমিল্লার পুরাতন গোমতী নদী। দখলদারদের কাছ থেকে নদীটি উদ্ধারের পর সংস্কার করে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে নান্দনিক করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নদীপাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার বিষয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক), পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ধর্ষণের মামলা থেকে বাঁচতে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা জন্মসনদে বয়স কমানোর অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তরুণের নাম কাউসার হোসেন (১৯)। তিনি উপজেলার বাগানবাজার ইউনিয়নের হলুদিয়া এলাকার প্রয়াত মুকলেছুর রহমানের ছেলে। জালিয়াতির মাধ্যমে করা জন্মসনদে কাউসারের বয়স দেখানো হয়েছ
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ঘিরে রেখেছে নাউতারা, কুমলাই, ধুম ও বুড়িতিস্তা নদ-নদী। তবে দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে এগুলো। তিন বছর আগে প্রাণ ফেরাতে নাউতারা ও ধুম খনন করা হলেও কাজে আসেনি। খননের পরও নিশ্চিত করা যায়নি পানির প্রবাহ। নাব্যতা হারিয়ে এগুলো শুকিয়ে জেগে উঠেছে চর। সেখানে ধানসহ সবজির চাষ হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ইজিবাইকের সংখ্যা। অদক্ষ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরদের হাতে ইজিবাইক থাকায় বাড়ছে যানজট ও দুর্ঘটনা। এসব ইজিবাইকচালকের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। ফলে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো আর পাল্লা দিয়ে ইজিবাইক চালানোর কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
৫ ঘণ্টা আগে