Ajker Patrika

মৌলভীবাজার

গর্তে ভরা ২৫০ কিমি সড়কে হাঁটাও দায়

  • ভাঙা সড়ক দিয়ে গেলে ফিরে এসে গাড়িতে কাজ করাতে হয়: চালক
  • অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
  • বন্যার পর কয়েকটি সড়কে প্রাথমিক কাজ হলেও স্থায়ী কোনো কাজ হয়নি।
মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
আপডেট : ০৫ মে ২০২৫, ০৭: ২৩
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের শহীননগর বাজার এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের শহীননগর বাজার এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গত বছরের দফায় দফায় বন্যায় মৌলভীবাজারে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বছর পেরিয়ে আবার বর্ষা মৌসুম এলেও সড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে জেলাবাসী। সড়কগুলোর কোনোটির পিচ উঠে ইট-সুরকি বেরিয়ে গেছে, কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। বৃষ্টিতে সেসব গর্তে পানি-কাদায় একাকার। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা, কমলগঞ্জ উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অসংখ্য রাস্তা বেহাল। কোনো রাস্তা ভেঙে গেছে, কোনোটিতে আবার হাজারো গর্ত। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে যান ও মানুষ দুর্ভোগ নিয়ে চলছে। বৃষ্টিতে ছোট গর্তগুলো প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, জেলায় গ্রামীণ ও আঞ্চলিক ৫ হাজার ১৪৬ কিলোমিটার সড়ক এলজিইডির আওতাভুক্ত। এর মধ্যে পাকা সড়ক রয়েছে ২ হাজার ৮২ কিলোমিটার ও কাঁচা সড়ক ৩ হাজার ৬৪ কিলোমিটার। পাকা সড়কের মধ্যে প্রায় ২০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়। গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরাদ্দের অভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।

সওজ সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত বছরের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জুড়ী, ফুলতলা, বটলি সড়কের ১৯ কিলোমিটার, রাজনগর বালাগঞ্জ সড়কের ১৭ কিলোমিটার, শাহবাজপুর, দৌলতপুর সড়ক ও বড়লেখা শাহবাজপুর সড়কের ২৫ কিলোমিটার। বন্যার পর কয়েকটি সড়কে প্রাথমিক কাজ করা হলেও স্থায়ী কোনো কাজ হয়নি।

জেলার বিভিন্ন গাড়িচালক বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ভাঙা থাকায় আমরা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারি না। একবার ভাঙা সড়ক দিয়ে গেলে ফিরে এসে গাড়িতে কাজ করাতে হয়। সড়ক চলাচলের অনুপযোগী থাকায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে আমাদের পড়তে হয়। অথচ হাজার হাজার টাকা খরচ করে গাড়ির কাগজপত্র ঠিক রাখি।’

‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর কমলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মো. আব্দুস সালাম বলেন, জেলার কয়েকটি সড়ক বাদে বেশির ভাগ সড়ক বেহাল; বিশেষ করে কমলগঞ্জে এলজিইডির আদমপুরের সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। গত বন্যায় সড়কের বেশির ভাগ অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এখন বৃষ্টিতে একেবারেই শেষ। স্থানীয়রা বারবার আবেদন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। সড়ক চলাচলের অনুপযোগী থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।

এলজিইডি মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক অবস্থায় কিছু সড়ক মেরামত করেছি। কিছু রাস্তা কাজের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় সবগুলোর কাজ করা যাচ্ছে না।’

মৌলভীবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়ছার হামিদ বলেন, ‘প্রায় ৫০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক রয়েছে। এগুলো কিছুটা মেরামত করা হলেও নতুনভাবে কাজ করানো যাচ্ছে না। কিছু সড়ক প্রাথমিকভাবে আমরা মূল্যায়ন করেছি। বরাদ্দ পেলে কাজ করানো সম্ভব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত