Ajker Patrika

মশা-মাছির উপদ্রব কমাতে জঙ্গল সাফের নামে সিসিকের বৃক্ষ নিধন

সিলেট প্রতিনিধি
মশা-মাছির উপদ্রব কমাতে জঙ্গল সাফের নামে সিসিকের বৃক্ষ নিধন

মশা-মাছির উপদ্রব কমাতে জঙ্গল সাফ করার সময় সিলেটের মানিক পীর টিলা কবরস্থানের ৫০ টির মতো গাছ কেটে নিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ (সিসিক)। পরে পরিবেশকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে গাছ কাটা বন্ধ করেন তাঁরা। এ সময় কয়েকটি বড় বড় কাটা গাছ সিটি করপোরেশনের গাড়িযোগে সরিয়ে ফেলা হয়। 

আজ সোমবার থেকে গাছ কাটা বন্ধ করে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এর আগে, গত শনিবার দুপুরের দিকে গাছ কাটা শুরু করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এ সময় তাঁরা অন্তত ৫০টি গাছ কেটে নেন। টিলার ওপরে গাছ কাটার ফলে মাটি ধসে পড়ার আশঙ্কাও দেখা দেয়। পরে গতকাল রোববার দুপুরে বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদ করতে সেখানে যান পরিবেশবিদরা। তাঁদের আন্দোলনের পরে আজ গাছ কাটা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

স্থানীয়রা জানান, মানিক পীর (রহ.) টিলায় কয়েক বছর আগে হাজারো গাছ ছিল। সেগুলোর বয়স শতবর্ষেরও বেশি। প্রাকৃতিকভাবেই এসব গাছ বেড়ে ওঠে। নতুন করে মাজার কম্পাউন্ড নির্মাণের ফলে এসব এলাকার গাছ কাটা হয়। ওই সময় এলাকার মানুষ প্রতিবাদ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

মানিক পীর টিলা কবরস্থানের এলাকার কাটা গাছের ডালধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ’র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘মানিক পীর টিলায় টিকে থাকা সামান্য কিছু বৃক্ষ ও গুল্মকে ‘ছাফছুতরার’ নামে কেটে বিরাণ করতে চেয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশন। আমাদের প্রতিবাদকে আমলে নিয়ে বৃক্ষ ও গুল্ম নিধন আপাতত বন্ধ হয়েছে।’ 

মানিক পীর টিলা কবরস্থানের এলাকায় গাছ কাটা হয়সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ মশা-মাছির উপদ্রব থেকে জনসাধারণকে রক্ষা করতে জঙ্গল সাফ করছিল। এ সময় কয়েকটা গাছ ও ডালপালা কেটে ফেলেন তাঁরা। কিম ভাই আমাকে বিষয়টা জানালে আমি সঙ্গে সঙ্গেই এটার পদক্ষেপ নেই। আর কোনো ডালপালা কাটা হবে না। পূর্বে কাটা গাছের বিপরীতে গাছ লাগানো হয়েছিল। তখন কোনো প্রকার বাউন্ডারি না থাকায় সেগুলো আশপাশ এলাকার ছাগল খেয়ে ফেলে। আগামী এপ্রিলে আমরা এই টিলা জুড়ে বৃক্ষরোপণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। সবাইকে নিয়েই আমরা পরিবেশ রক্ষা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার এ রায় দেন। রায়ের সময় দুই আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন মিরাজ মৃধা (পলাতক), সাঈদ মৃধা, মনিরুল শেখ, আশরাফুল শেখ, আশরাফ শেখ, আছাদ শেখ, দিলু মৃধা, তোফাজ্জেল ওরফে তোফা, মাহাতাব শেখ, ঠান্ডা মৃধা (পলাতক)।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ জুন পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জাগিরমালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল সাত্তার মৃধাকে পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন সকালে গলা কেটে হত্যা করেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার স্থলে শেখ হাসিনার নাম বলা সেই বিএনপি নেতাকে শোকজ

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়া। ছবি: সংগৃহীত
মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়া। ছবি: সংগৃহীত

৭ই নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামের স্থলে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’ বলে ফেলা তিতাস উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারী মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার ও সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাকে এ নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশে মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, গত ৭ নভেম্বর তিতাস উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় আপনি বক্তৃতার মাঝে ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার’ স্থলে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’ বলেছেন। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনার এ বক্তব্যে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এবং দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দাখিল করবেন। ব্যর্থতায় আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না: চট্টগ্রামে নৌ উপদেষ্টা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আজ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বেশির ভাগ বন্দর বেসরকারি অপারেটররা পরিচালনা করে, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? তাই আমরাও এগিয়ে যেতে চাই।’

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘আমি এখানে আছি, মরব এখানেই। দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চর কনটেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা ৫৬ হাজার টিইইউএস থেকে ১০ হাজার বেড়ে ৬৬ হাজারে উন্নীত হবে। যারা বিজনেস করে তাদের জন্য লালদিয়ার চর টার্মিনাল বড় সুযোগ। ১০ হাজার কনটেইনার রাখার ক্যাপাসিটি বাড়বে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৪ একর জমিতে নির্মিত লালদিয়ার চর টার্মিনালে রয়েছে ১ হাজার ৫০০ ট্রাক রাখার ব্যবস্থা। এ ছাড়া ৮ একর জায়গায় হেভি লিফট কার্গো জেটির ব্যাকআপ ও ১০ একর জায়গায় এপিএম টার্মিনাল এলাকা তৈরি করা হয়েছে।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বে-টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল, তালতলা কনটেইনার ইয়ার্ড (ইস্ট কলোনিসংলগ্ন) উদ্বোধন করেন এবং এক্সওয়াই শেড ও কাস্টমস অকশন শেড পরিদর্শন করেন।

বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ ও পোর্ট চার্জেসসংক্রান্ত সভায় তাঁর অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবে। ১৯৮৪ সালে ট্যারিফ নির্ধারিত হয়েছিল–এখন সময় এসেছে তা হালনাগাদ করার। ব্যবসায়ীরা আয় করছে ১ হাজার টাকা, বন্দর পাচ্ছে ৫০০ টাকা। আমরা জনবল দিয়ে বন্দর চালাচ্ছি, তাই ট্যারিফ সংস্কার প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবিতে রেজিস্ট্রার ও রাকসু জিএস আম্মারের বাগ্‌বিতণ্ডা ভাইরাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে রাকসু জিএস আম্মারের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: স্ক্রিনশট
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে রাকসু জিএস আম্মারের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: স্ক্রিনশট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে তীব্র বাগ্‌বিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে এখন আলোচনার ঝড়। গত রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রশাসন ভবনের রেজিস্ট্রারের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। রাতের মধ্যেই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাস সরগরম হয়ে ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিতর্কটির সূত্রপাত দুটি কারণে। প্রথমত, সম্প্রতি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল। রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ওই শিক্ষকের অব্যাহতির চিঠিতে সই করলেও, চিঠিটি রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিভাগে পাঠানোয় বিলম্ব হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

দ্বিতীয়ত, জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার অভিযোগ পান, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে ‘মহানগর বিএনপির’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সভা করছেন।

এই দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আম্মার রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

রেজিস্ট্রার ও জিএস-এর মধ্যে সরাসরি বাগ্‌বিতণ্ডায় শোনা যায়, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করায় আম্মারকে বের হয়ে যেতে বলছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যেসব বাগ্‌বিতণ্ডা দেখা যায়:

জিএস আম্মার: আমি স্যার ভেতরে আসব না?

রেজিস্ট্রার: তোমাকে আমি বাইরে ১০ মিনিট ওয়েট (অপেক্ষা) করতে বলেছি।

জিএস আম্মার: আপনি স্যার চিঠি (চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতিকে অপসারণের চিঠি) আটকে রাখছেন।

রেজিস্ট্রার (ক্ষুব্ধ হয়ে) : এই বেয়াদব ছেলে, কীসের চিঠি আটকে রাখছি আমি?

জিএস আম্মার: বেয়াদব তো আমি। ডেফিনেটলি বেয়াদব।

রেজিস্ট্রার: আমার সঙ্গে বেয়াদবি কেন? তুমি কে ওই ডিপার্টমেন্টের?

জিএস আম্মার: আমি কে মানে? আমি রাকসুর নির্বাচিত জিএস।

এ নিয়ে পরে সালাহউদ্দিন আম্মার সাংবাদিকদের জানান, রেজিস্ট্রার প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং সেদিনও তাঁকে বারবার ‘গেট আউট’ বলে চিৎকার করেন। তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং দায়িত্বশীল জায়গা থেকে তিনি ঘটনাটি যাচাই করতে গিয়েছিলেন।

অন্যদিকে অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম অভিযোগ করেন, সালাহউদ্দিন আম্মার অনুমতি ছাড়াই তাঁর দপ্তরে ঢুকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। তিনি দাবি করেন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে সভাপতি নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান ছিল, কোনো ফাইল আটকে রাখা হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শিক্ষার্থীসংক্রান্ত বিষয় হলেও প্রশাসনিক নিয়োগ নিয়ে রাকসু নেতাদের হস্তক্ষেপ করা অনুচিত।

এদিকে রেজিস্ট্রারের কক্ষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করার অভিযোগ নিয়ে ক্যাম্পাসে চলছে রাজনৈতিক বিতর্ক। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক মোবাশ্বের রাজ ফেসবুকে লিখেছেন, বাগ্‌বিতণ্ডার সময় সেখানে বিএনপির কেউ ছিলেন না, কেবল এনসিপি-এর নেতৃত্ব সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। তিনি অনুমান করেন, রেজিস্ট্রারের পিএস ভুলবশত এনসিপি নেতাদের ‘বিএনপির কর্মী’ ভেবে ভুল তথ্য দেন, যেখান থেকে ভুল–বোঝাবুঝি শুরু।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ (রাহী) এই ঘটনায় বিএনপির নাম জড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার অফিসে আম্মার ও শিক্ষক পরস্পরকে ধমকাচ্ছেন, অথচ বিএনপির নাম টেনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সেখানে বিএনপির কেউ ছিল না।’

এদিকে, এই ঘটনায় প্রশাসনের একাংশের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ)। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে তাঁদের এ আচরণ পরিবর্তন হওয়াটা সমীচীন ছিল; কিন্তু এখনো প্রশাসনের কারও কারও আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা রাকসুর প্রতিনিধি নির্বাচিত করে তাঁদের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত