সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কবিতা নাগ (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা নাগপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
কবিতা নাগ চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চান্দাইকোনা নাগপাড়ায় কবিতা নাগ তাঁর স্বামী আকাশ বিশ্বাস ও ছোট মেয়ে বর্ষা নাগকে নিয়ে বাস করতেন। গতকাল শনিবার সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আজ ভোরে কবিতা নাগকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে।
রায়গঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জাফর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে গিয়ে লাশটি আমরা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম মাসুদ রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ১৬ জুলাই কবিতা ম্যাডামকে হতাশ দেখলে কারণ জানতে চান। জবাবে কবিতা পারিবারিক কলহের কথা বলেছিলেন।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কবিতা নাগ (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা নাগপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
কবিতা নাগ চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চান্দাইকোনা নাগপাড়ায় কবিতা নাগ তাঁর স্বামী আকাশ বিশ্বাস ও ছোট মেয়ে বর্ষা নাগকে নিয়ে বাস করতেন। গতকাল শনিবার সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আজ ভোরে কবিতা নাগকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে।
রায়গঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জাফর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে গিয়ে লাশটি আমরা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম মাসুদ রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ১৬ জুলাই কবিতা ম্যাডামকে হতাশ দেখলে কারণ জানতে চান। জবাবে কবিতা পারিবারিক কলহের কথা বলেছিলেন।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কবিতা নাগ (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা নাগপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
কবিতা নাগ চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চান্দাইকোনা নাগপাড়ায় কবিতা নাগ তাঁর স্বামী আকাশ বিশ্বাস ও ছোট মেয়ে বর্ষা নাগকে নিয়ে বাস করতেন। গতকাল শনিবার সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আজ ভোরে কবিতা নাগকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে।
রায়গঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জাফর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে গিয়ে লাশটি আমরা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম মাসুদ রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ১৬ জুলাই কবিতা ম্যাডামকে হতাশ দেখলে কারণ জানতে চান। জবাবে কবিতা পারিবারিক কলহের কথা বলেছিলেন।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কবিতা নাগ (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা নাগপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
কবিতা নাগ চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চান্দাইকোনা নাগপাড়ায় কবিতা নাগ তাঁর স্বামী আকাশ বিশ্বাস ও ছোট মেয়ে বর্ষা নাগকে নিয়ে বাস করতেন। গতকাল শনিবার সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আজ ভোরে কবিতা নাগকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে।
রায়গঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জাফর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে গিয়ে লাশটি আমরা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম মাসুদ রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চান্দাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ১৬ জুলাই কবিতা ম্যাডামকে হতাশ দেখলে কারণ জানতে চান। জবাবে কবিতা পারিবারিক কলহের কথা বলেছিলেন।

দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়।
৩ মিনিট আগে
হাওরে বছরে একটি ফসলই ফলে, আর তা হলো বোরো ধান। এ ফসলের ওপর নির্ভর করে চলে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের ঘর-গেরস্থালি। আগাম বন্যার হাত থেকে বোরো রক্ষায় প্রতিবছর দেওয়া হয় অস্থায়ী বাঁধ। সেই বাঁধের কাজ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যন্ত নেত্রকোনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিই (পিআইসি) গঠন করা হয়নি।
৮ মিনিট আগে
নীলফামারীর চারটি সংসদীয় আসনের দুটিতে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। একটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যটিও শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে। সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোটের মাঠে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী।
১৩ মিনিট আগে
বর্ষা মৌসুমে শেষে শুষ্ক মৌসুমেও থামছে না উপকূলীয় জেলা বরগুনার তিনটি নদীতীরের ভাঙন। অসময়ের এই ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে নদীতীরের কয়েক হাজার বাসিন্দার। জেলার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর ভাঙনে প্রায় দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
১ ঘণ্টা আগেসুরেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি
মেহেদী হাসান, (দিনাজপুর) ফুলবাড়ী

দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সুজাপুর গ্রামে শতবর্ষী ‘সুরেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি’ আজ নীরব অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে—ইতিহাস, শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক জীবন্ত সাক্ষী হয়ে।
জানা গেছে, ১৯১৬ সালে তৎকালীন জমিদার সুরেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর ছেলে ক্ষীতিশ চন্দ্র রায়ের উদ্যোগে ফুলবাড়ী দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে সুজাপুর গ্রামে যাত্রা শুরু করে এ পাবলিক লাইব্রেরিটি। সুজাপুর হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার পর দরিদ্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বইয়ের সংকট দূর করতে বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় পাঠাগারটি নির্মাণ করা হয়। বাবার স্মৃতি অমর করে রাখতে এর নামকরণ করা হয় ‘সুরেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি’।
একসময় এ লাইব্রেরিতে ছিল বিপুল বই। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা গ্রন্থে ভরপুর ছিল তাকগুলো। পাঠকদের পদচারণে মুখর ছিল পুরো প্রাঙ্গণ। এ লাইব্রেরি থেকেই বহু মানুষ জ্ঞানের আলোয় পথচলা শুরু করেছিলেন। কালের বিবর্তনে যেমন ছোট যমুনা নদী আজ মরা নদীতে পরিণত হয়েছে, তেমনি এ লাইব্রেরিও ধীরে ধীরে হারিয়েছে তার প্রাণ। সবচেয়ে বড় আঘাত আসে ১৯৭১ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী আগুনে পুড়িয়ে দেয় লাইব্রেরির অমূল্য বই ও আসবাবপত্র।
দীর্ঘ নীরবতার পর ২০১১ সালের ১৪ অক্টোবর লাইব্রেরি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরোনো ভবনের পাশে ১২ শতাংশ জমিতে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১২ সালে পুরোনো ভবন সংস্কার ও নতুন ভবন নির্মাণের পাশাপাশি কেনা হয় ১ হাজার ১২০টি বই। ২০১৫ সালে আরও ২ লাখ টাকা অনুদানে নির্মিত হয় অতিরিক্ত একটি ঘর। ২০১৭ সালে সেখানে চালু হয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এলাকার শিক্ষিত যুবকেরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। পাঠকদের পদচারণে আবারও মুখর হয়ে ওঠে লাইব্রেরিটি। গঠিত হয় পরিচালনা কমিটি। মনে হয়েছিল, আবার বুঝি ফিরবে সেই দিন।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অর্থাভাব, লাইব্রেরিয়ানের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের চাপে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। কে নেবে এর দায়িত্ব—এ প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এর মধ্যেই আঘাত হানে করোনা মহামারি। বন্ধ হয়ে যায় সব কার্যক্রম। ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতের আঁধারে চুরি যায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছয়টি কম্পিউটার। এভাবেই নতুন আশার শেষ আলোটুকুও যেন নিভে যায়।
এ বিষয়ে ইউএনও আহমেদ হাছান জানান, তিনি লাইব্রেরিটি পরিদর্শন করে পরিচালনা কমিটিকে আপাতত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে লাইব্রেরি খুলে বসার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। পরবর্তী সময়ে জনবলসংকটসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেবেন।

দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সুজাপুর গ্রামে শতবর্ষী ‘সুরেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি’ আজ নীরব অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে—ইতিহাস, শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক জীবন্ত সাক্ষী হয়ে।
জানা গেছে, ১৯১৬ সালে তৎকালীন জমিদার সুরেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর ছেলে ক্ষীতিশ চন্দ্র রায়ের উদ্যোগে ফুলবাড়ী দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে সুজাপুর গ্রামে যাত্রা শুরু করে এ পাবলিক লাইব্রেরিটি। সুজাপুর হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার পর দরিদ্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বইয়ের সংকট দূর করতে বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় পাঠাগারটি নির্মাণ করা হয়। বাবার স্মৃতি অমর করে রাখতে এর নামকরণ করা হয় ‘সুরেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি’।
একসময় এ লাইব্রেরিতে ছিল বিপুল বই। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা গ্রন্থে ভরপুর ছিল তাকগুলো। পাঠকদের পদচারণে মুখর ছিল পুরো প্রাঙ্গণ। এ লাইব্রেরি থেকেই বহু মানুষ জ্ঞানের আলোয় পথচলা শুরু করেছিলেন। কালের বিবর্তনে যেমন ছোট যমুনা নদী আজ মরা নদীতে পরিণত হয়েছে, তেমনি এ লাইব্রেরিও ধীরে ধীরে হারিয়েছে তার প্রাণ। সবচেয়ে বড় আঘাত আসে ১৯৭১ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী আগুনে পুড়িয়ে দেয় লাইব্রেরির অমূল্য বই ও আসবাবপত্র।
দীর্ঘ নীরবতার পর ২০১১ সালের ১৪ অক্টোবর লাইব্রেরি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরোনো ভবনের পাশে ১২ শতাংশ জমিতে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১২ সালে পুরোনো ভবন সংস্কার ও নতুন ভবন নির্মাণের পাশাপাশি কেনা হয় ১ হাজার ১২০টি বই। ২০১৫ সালে আরও ২ লাখ টাকা অনুদানে নির্মিত হয় অতিরিক্ত একটি ঘর। ২০১৭ সালে সেখানে চালু হয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এলাকার শিক্ষিত যুবকেরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। পাঠকদের পদচারণে আবারও মুখর হয়ে ওঠে লাইব্রেরিটি। গঠিত হয় পরিচালনা কমিটি। মনে হয়েছিল, আবার বুঝি ফিরবে সেই দিন।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অর্থাভাব, লাইব্রেরিয়ানের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের চাপে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। কে নেবে এর দায়িত্ব—এ প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এর মধ্যেই আঘাত হানে করোনা মহামারি। বন্ধ হয়ে যায় সব কার্যক্রম। ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতের আঁধারে চুরি যায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছয়টি কম্পিউটার। এভাবেই নতুন আশার শেষ আলোটুকুও যেন নিভে যায়।
এ বিষয়ে ইউএনও আহমেদ হাছান জানান, তিনি লাইব্রেরিটি পরিদর্শন করে পরিচালনা কমিটিকে আপাতত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে লাইব্রেরি খুলে বসার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। পরবর্তী সময়ে জনবলসংকটসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেবেন।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কবিতা নাগ (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা নাগপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২৭ জুলাই ২০২৫
হাওরে বছরে একটি ফসলই ফলে, আর তা হলো বোরো ধান। এ ফসলের ওপর নির্ভর করে চলে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের ঘর-গেরস্থালি। আগাম বন্যার হাত থেকে বোরো রক্ষায় প্রতিবছর দেওয়া হয় অস্থায়ী বাঁধ। সেই বাঁধের কাজ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যন্ত নেত্রকোনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিই (পিআইসি) গঠন করা হয়নি।
৮ মিনিট আগে
নীলফামারীর চারটি সংসদীয় আসনের দুটিতে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। একটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যটিও শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে। সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোটের মাঠে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী।
১৩ মিনিট আগে
বর্ষা মৌসুমে শেষে শুষ্ক মৌসুমেও থামছে না উপকূলীয় জেলা বরগুনার তিনটি নদীতীরের ভাঙন। অসময়ের এই ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে নদীতীরের কয়েক হাজার বাসিন্দার। জেলার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর ভাঙনে প্রায় দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

হাওরে বছরে একটি ফসলই ফলে, আর তা হলো বোরো ধান। এ ফসলের ওপর নির্ভর করে চলে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের ঘর-গেরস্থালি। আগাম বন্যার হাত থেকে বোরো রক্ষায় প্রতিবছর দেওয়া হয় অস্থায়ী বাঁধ। সেই বাঁধের কাজ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যন্ত নেত্রকোনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিই (পিআইসি) গঠন করা হয়নি। ফলে আগাম বন্যায় ফসল ভেসে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন জেলার হাওরপাড়ের বাসিন্দারা।
নেত্রকোনায় হাওরের ফসল রক্ষায় ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প নির্ধারণ, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন, ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের নির্মাণ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত পিআইসি গঠন সম্পন্ন করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফলে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
পাউবো ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৩৪টি হাওর রয়েছে। এসব হাওরে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়। বোরো রক্ষায় গত বছর জেলার ৭ উপজেলায় ১৪৯ কিলোমিটার অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এ জন্য ১৯১টি পিআইসি গঠন করা হয়। বরাদ্দ ছিল ২২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তবে এবার কত কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে হবে সেই জরিপই শেষ করতে পারেনি পাউবো। ফলে চূড়ান্ত হয়নি কতগুলো পিআইসি গঠন করা হবে। ফলে এর বরাদ্দের পরিমাণও জানাতে পারেনি পাউবো।
মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্তর গ্রামের একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা ঋণ করে বোরোর আবাদ করছেন। বাঁধের কাজ সময়মতো শুরু হয়নি। এ কারণে তাঁরা আতঙ্কে আছেন। আগাম বন্যায় ফসল নষ্ট হলে নিজেদের সংসারের খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। তাই এ বিষয়ে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ চান তাঁরা।
খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘একটিমাত্র বোরো ফসলের ওপরে আমাদের সারা বছরের খাওয়াদাওয়া, হাটবাজার ও পোলাপানের লেখাপড়ার খরচসহ যাবতীয় খরচ নির্ভর করে। এবার সময়মতো বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়নি, ফলে যথাসময়ে শেষ করতে পারবে না। আগাম বন্যা হলে আমাদের ফসল বাঁচানো যাবে না।’
পাউবো ও জেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির কাজে সরাসরি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে যুক্ত করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নসহ তদারকিতে জেলা প্রশাসককে সভাপতি ও নেত্রকোনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে সদস্যসচিব করে জেলা কমিটি করা হয়। একইভাবে উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওকে সভাপতি ও পাউবোর একজন কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। মূলত উপজেলা কমিটি প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠন করে জেলা কমিটিতে পাঠায়। পরে জেলা কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য প্রকৃত কৃষক ও স্থানীয় সুবিধাভোগীদের নিয়ে পাঁচ থেকে সাত সদস্যের পিআইসি থাকে।
প্রকল্পের সদস্যসচিব ও নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরিপ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে পিআইসি গঠন করার পাশাপাশি কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। জরিপের রিপোর্ট এখনো হাতে না পাওয়ায় এবার কতগুলো পিআইসি গঠন হবে আর বরাদ্দ কত হবে জানানো যাচ্ছে না।
কাজ শুরু করতে দেরি হলেও নির্ধারিত সময়েই শেষ করতে পারব। এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী।
এ বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, চলতি সপ্তাহে পিআইসি কমিটি গঠন সম্পন্ন হবে। আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করা হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কিছু জটিলতা ছিল, পাশাপাশি হাওরের পানি নামতে দেরি হয়েছে। সব জটিলতা সমাধান করে পিআইসি গঠন শুরু হয়েছে। দেরিতে কাজ শুরু হলেও নির্ধারিত সময়েই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

হাওরে বছরে একটি ফসলই ফলে, আর তা হলো বোরো ধান। এ ফসলের ওপর নির্ভর করে চলে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের ঘর-গেরস্থালি। আগাম বন্যার হাত থেকে বোরো রক্ষায় প্রতিবছর দেওয়া হয় অস্থায়ী বাঁধ। সেই বাঁধের কাজ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যন্ত নেত্রকোনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিই (পিআইসি) গঠন করা হয়নি। ফলে আগাম বন্যায় ফসল ভেসে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন জেলার হাওরপাড়ের বাসিন্দারা।
নেত্রকোনায় হাওরের ফসল রক্ষায় ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প নির্ধারণ, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন, ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের নির্মাণ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত পিআইসি গঠন সম্পন্ন করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফলে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
পাউবো ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৩৪টি হাওর রয়েছে। এসব হাওরে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়। বোরো রক্ষায় গত বছর জেলার ৭ উপজেলায় ১৪৯ কিলোমিটার অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এ জন্য ১৯১টি পিআইসি গঠন করা হয়। বরাদ্দ ছিল ২২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তবে এবার কত কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে হবে সেই জরিপই শেষ করতে পারেনি পাউবো। ফলে চূড়ান্ত হয়নি কতগুলো পিআইসি গঠন করা হবে। ফলে এর বরাদ্দের পরিমাণও জানাতে পারেনি পাউবো।
মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্তর গ্রামের একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা ঋণ করে বোরোর আবাদ করছেন। বাঁধের কাজ সময়মতো শুরু হয়নি। এ কারণে তাঁরা আতঙ্কে আছেন। আগাম বন্যায় ফসল নষ্ট হলে নিজেদের সংসারের খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। তাই এ বিষয়ে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ চান তাঁরা।
খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘একটিমাত্র বোরো ফসলের ওপরে আমাদের সারা বছরের খাওয়াদাওয়া, হাটবাজার ও পোলাপানের লেখাপড়ার খরচসহ যাবতীয় খরচ নির্ভর করে। এবার সময়মতো বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়নি, ফলে যথাসময়ে শেষ করতে পারবে না। আগাম বন্যা হলে আমাদের ফসল বাঁচানো যাবে না।’
পাউবো ও জেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির কাজে সরাসরি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে যুক্ত করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নসহ তদারকিতে জেলা প্রশাসককে সভাপতি ও নেত্রকোনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে সদস্যসচিব করে জেলা কমিটি করা হয়। একইভাবে উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওকে সভাপতি ও পাউবোর একজন কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। মূলত উপজেলা কমিটি প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠন করে জেলা কমিটিতে পাঠায়। পরে জেলা কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য প্রকৃত কৃষক ও স্থানীয় সুবিধাভোগীদের নিয়ে পাঁচ থেকে সাত সদস্যের পিআইসি থাকে।
প্রকল্পের সদস্যসচিব ও নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরিপ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে পিআইসি গঠন করার পাশাপাশি কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। জরিপের রিপোর্ট এখনো হাতে না পাওয়ায় এবার কতগুলো পিআইসি গঠন হবে আর বরাদ্দ কত হবে জানানো যাচ্ছে না।
কাজ শুরু করতে দেরি হলেও নির্ধারিত সময়েই শেষ করতে পারব। এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী।
এ বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, চলতি সপ্তাহে পিআইসি কমিটি গঠন সম্পন্ন হবে। আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করা হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কিছু জটিলতা ছিল, পাশাপাশি হাওরের পানি নামতে দেরি হয়েছে। সব জটিলতা সমাধান করে পিআইসি গঠন শুরু হয়েছে। দেরিতে কাজ শুরু হলেও নির্ধারিত সময়েই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কবিতা নাগ (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা নাগপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২৭ জুলাই ২০২৫
দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়।
৩ মিনিট আগে
নীলফামারীর চারটি সংসদীয় আসনের দুটিতে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। একটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যটিও শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে। সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোটের মাঠে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী।
১৩ মিনিট আগে
বর্ষা মৌসুমে শেষে শুষ্ক মৌসুমেও থামছে না উপকূলীয় জেলা বরগুনার তিনটি নদীতীরের ভাঙন। অসময়ের এই ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে নদীতীরের কয়েক হাজার বাসিন্দার। জেলার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর ভাঙনে প্রায় দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
১ ঘণ্টা আগে জসিম উদ্দিন, নীলফামারী

নীলফামারীর চারটি সংসদীয় আসনের দুটিতে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। একটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যটিও শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে। সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোটের মাঠে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী। প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে ব্যস্ত অন্য দলগুলোও। তবে নীলফামারীর আসনগুলোতে চমক দেখাতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেই তালিকায় রয়েছেন সাবেক এমপি, বিএনপির নেতা ও ক্রীড়া সংগঠক।
বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) নীলফামারীর আসনগুলো থেকে জয় পেয়ে আসছে। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলায় দলটির রাজনৈতিক তৎপরতা তেমন নেই বললেই চলে। স্থানীয় জাপা নেতাদের মতে, ঢাকায় দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। সে হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণে তাঁদের প্রস্তুতিও রয়েছে।
নীলফামারী-১ (ডোমার ও ডিমলা)
সীমানাঘেঁষা ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নিয়ে গঠিত নীলফামারী-১ আসনে জাতীয় পার্টি অথবা আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছিলেন। এবার তাঁদের অনুপস্থিতিতে আসনটি দখলে মরিয়া বিএনপি জোট ও জামায়াত। জয় নিশ্চিত করতে বিএনপি এ আসন জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে ছেড়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। জোটকে ছেড়ে দেওয়ায় বিএনপির এই নেতা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে জামায়াতে ইসলামী এখানে দলটির জেলা শাখার আমির আবদুস সাত্তারকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বেশ আগেই নাম ঘোষণা করায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন তিনি।
নীলফামারী-২ (সদর)
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জেলা সদস্যসচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ (রুবেল)। তিনি দিনরাত সমানতালে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বসে নেই নারী কর্মীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁর বিপরীতে জামায়াত জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও দলের জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি আল ফারুক আবদুল লতীফকে প্রার্থী করেছে। জামায়াতের এ নেতাকে দাঁড়িপাল্লার কান্ডারি করায় নেতা-কর্মীরা রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। তবে বিএনপি ও জামায়াতের দুই প্রার্থীই দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় সভা-সমাবেশসহ গণসংযোগ করায় ভোটারদের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা সদস্যসচিব চিকিৎসক কামরুল ইসলাম দর্পণ। তিনিও প্রচার চালাচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্রীড়া সংগঠক মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ।
নীলফামারী-৩ (জলঢাকা)
এ আসনে বিএনপি এখনো কারও নাম ঘোষণা করেনি। শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করার উদ্দেশ্যে এখনো ফাঁকা রাখা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে কাকে প্রার্থী করা হতে পারে, তা অনুমান করতে পারছে না কেউ, কারণ একাধিক জোট শরিককে বিকল্প ধরা হচ্ছে। তবুও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন দলটির জেলা কমিটির সাবেক সহসভাপতি এবং দুইবারের নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী। ইতিমধ্যে তিনি কেন্দ্রের সবুজসংকেত পেয়েছেন বলে দাবি করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে আসনটি জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তিনবার এই সংসদীয় আসন থেকে জিতেছেন জামায়াতের প্রার্থী। এবার দাঁড়িপাল্লার কান্ডারি করা হয়েছে জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য ওবায়দুল্লাহ সালাফীকে। তিনি নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে দলের বাইরে থেকে মাঠ গোছাতে সব ইউনিয়নে উঠান বৈঠক, সভা, সেমিনারসহ বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। এ আসনে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওন দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে কোমর বেঁধে প্রচারণায় নেমেছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে মো. আমজাদ হোসেন মাঠে আছেন।
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ)
এ আসনে কখনো জাতীয় পার্টি, কখনো আওয়ামী লীগ কিংবা কখনো বিএনপি জয় পেয়েছে। এবার সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। বিগত দেড় দশক নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন এই নেতা। আসনটিতে কখনো জয় পায়নি জামায়াত। এবার মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল মুনতাকিম। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য শিল্পপতি সিদ্দিকুল আলম ও বিএনপি নেতা রিয়াদ আরফান সরকার রানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ভোটারের কাছে আলোচনায় রয়েছে এ দুটি মুখ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই পাল্টে দিতে পারে এ আসনের হিসাবনিকাশ। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন।

নীলফামারীর চারটি সংসদীয় আসনের দুটিতে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। একটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যটিও শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে। সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোটের মাঠে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী। প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে ব্যস্ত অন্য দলগুলোও। তবে নীলফামারীর আসনগুলোতে চমক দেখাতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেই তালিকায় রয়েছেন সাবেক এমপি, বিএনপির নেতা ও ক্রীড়া সংগঠক।
বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) নীলফামারীর আসনগুলো থেকে জয় পেয়ে আসছে। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলায় দলটির রাজনৈতিক তৎপরতা তেমন নেই বললেই চলে। স্থানীয় জাপা নেতাদের মতে, ঢাকায় দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। সে হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণে তাঁদের প্রস্তুতিও রয়েছে।
নীলফামারী-১ (ডোমার ও ডিমলা)
সীমানাঘেঁষা ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নিয়ে গঠিত নীলফামারী-১ আসনে জাতীয় পার্টি অথবা আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছিলেন। এবার তাঁদের অনুপস্থিতিতে আসনটি দখলে মরিয়া বিএনপি জোট ও জামায়াত। জয় নিশ্চিত করতে বিএনপি এ আসন জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে ছেড়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। জোটকে ছেড়ে দেওয়ায় বিএনপির এই নেতা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে জামায়াতে ইসলামী এখানে দলটির জেলা শাখার আমির আবদুস সাত্তারকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বেশ আগেই নাম ঘোষণা করায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন তিনি।
নীলফামারী-২ (সদর)
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জেলা সদস্যসচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ (রুবেল)। তিনি দিনরাত সমানতালে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বসে নেই নারী কর্মীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁর বিপরীতে জামায়াত জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও দলের জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি আল ফারুক আবদুল লতীফকে প্রার্থী করেছে। জামায়াতের এ নেতাকে দাঁড়িপাল্লার কান্ডারি করায় নেতা-কর্মীরা রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। তবে বিএনপি ও জামায়াতের দুই প্রার্থীই দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় সভা-সমাবেশসহ গণসংযোগ করায় ভোটারদের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা সদস্যসচিব চিকিৎসক কামরুল ইসলাম দর্পণ। তিনিও প্রচার চালাচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্রীড়া সংগঠক মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ।
নীলফামারী-৩ (জলঢাকা)
এ আসনে বিএনপি এখনো কারও নাম ঘোষণা করেনি। শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করার উদ্দেশ্যে এখনো ফাঁকা রাখা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে কাকে প্রার্থী করা হতে পারে, তা অনুমান করতে পারছে না কেউ, কারণ একাধিক জোট শরিককে বিকল্প ধরা হচ্ছে। তবুও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন দলটির জেলা কমিটির সাবেক সহসভাপতি এবং দুইবারের নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী। ইতিমধ্যে তিনি কেন্দ্রের সবুজসংকেত পেয়েছেন বলে দাবি করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে আসনটি জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তিনবার এই সংসদীয় আসন থেকে জিতেছেন জামায়াতের প্রার্থী। এবার দাঁড়িপাল্লার কান্ডারি করা হয়েছে জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য ওবায়দুল্লাহ সালাফীকে। তিনি নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে দলের বাইরে থেকে মাঠ গোছাতে সব ইউনিয়নে উঠান বৈঠক, সভা, সেমিনারসহ বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। এ আসনে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওন দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে কোমর বেঁধে প্রচারণায় নেমেছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে মো. আমজাদ হোসেন মাঠে আছেন।
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ)
এ আসনে কখনো জাতীয় পার্টি, কখনো আওয়ামী লীগ কিংবা কখনো বিএনপি জয় পেয়েছে। এবার সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। বিগত দেড় দশক নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন এই নেতা। আসনটিতে কখনো জয় পায়নি জামায়াত। এবার মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল মুনতাকিম। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য শিল্পপতি সিদ্দিকুল আলম ও বিএনপি নেতা রিয়াদ আরফান সরকার রানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ভোটারের কাছে আলোচনায় রয়েছে এ দুটি মুখ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই পাল্টে দিতে পারে এ আসনের হিসাবনিকাশ। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কবিতা নাগ (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা নাগপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২৭ জুলাই ২০২৫
দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়।
৩ মিনিট আগে
হাওরে বছরে একটি ফসলই ফলে, আর তা হলো বোরো ধান। এ ফসলের ওপর নির্ভর করে চলে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের ঘর-গেরস্থালি। আগাম বন্যার হাত থেকে বোরো রক্ষায় প্রতিবছর দেওয়া হয় অস্থায়ী বাঁধ। সেই বাঁধের কাজ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যন্ত নেত্রকোনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিই (পিআইসি) গঠন করা হয়নি।
৮ মিনিট আগে
বর্ষা মৌসুমে শেষে শুষ্ক মৌসুমেও থামছে না উপকূলীয় জেলা বরগুনার তিনটি নদীতীরের ভাঙন। অসময়ের এই ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে নদীতীরের কয়েক হাজার বাসিন্দার। জেলার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর ভাঙনে প্রায় দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
১ ঘণ্টা আগেমনোতোষ হাওলাদার, বরগুনা

বর্ষা মৌসুমে শেষে শুষ্ক মৌসুমেও থামছে না উপকূলীয় জেলা বরগুনার তিনটি নদীতীরের ভাঙন। অসময়ের এই ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে নদীতীরের কয়েক হাজার বাসিন্দার। জেলার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর ভাঙনে প্রায় দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। ভাঙনের করাল থাবায় এরই মধ্যে ফসলি জমি, বসতঘর ও ভিটেমাটিহারা হয়েছে শত শত পরিবার।
জেলার বামনা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে বিষখালী নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে একটি আবাসন প্রকল্প ও উপজেলার একমাত্র খাদ্যগুদামটি। দক্ষিণ রামনা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এক-তৃতীয়াংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যেকোনো সময় বাঁধটি পুরোপুরি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
জানা গেছে, বরগুনা জেলা ভেতর দিয়ে প্রমত্তা পায়রা ও বিষখালী নদী বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। এ ছাড়া পাথরঘাটা উপজেলার পূর্বে বিষখালী ও পশ্চিম পাশ দিয়ে সাগরে মিলেছে বলেশ্বর। ফলে নদীবেষ্টিত বরগুনা জেলায় সারা বছরই ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটায় বাসিন্দারা।
জেলার তিনটি নদীর ভাঙনের হুমকিতে থাকা স্থানগুলো হলো বরগুনা সদর উপজেলার ছোট বালিয়াতলী, লতাকাটা, ডালভাঙা ও পালের বালিয়াতলী; বামনা উপজেলার দক্ষিণ রামনা, চলাভাঙ্গা, কলাগাছিয়া ও চেঁচান; বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি ও মোকামিয়া; পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া, কালমেঘা, পরিঘাটা ও গোড়াপদ্মা এবং তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া, জয়ালভাঙা ও নিশানবাড়িয়া।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব এলাকায় কাগজে-কলমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থাকলেও বাস্তবে কোনো বাঁধই অবশিষ্ট নেই। অনেক স্থানে জলোচ্ছ্বাস ঠেকাতে দায়সারাভাবে কোনোমতে রিং বাঁধ নির্মাণ করা হয়; যা জোয়ারের তোড়ে উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।
বরগুনা সদরের পায়রাতীরের বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা ছগির হোসেন বলেন, ‘পায়রা প্রতিবছর আমাদের ভিটেমাটি, ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে। আমাদের এই স্থানে বাঁধ নেই দেড় যুগ ধরে। প্রতিবছরই নতুন করে বসতঘর স্থানান্তর করতে হয়। এবার ভাঙলে আমাদের মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই থাকবে না। তখন পথে নামতে হবে। পায়রা আমাদের শেষ করে দিয়েছে।’
একই গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পায়রা নদীর অসময় ভাঙনে আমাদের বাড়িঘর হারাতে বসেছি। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু কেড়ে নিচ্ছে নদী। আমাদের এখানে প্রায় ৬০টি পরিবারকে ভাঙনের ঝুঁকিতে রেখে ৫০০ ফুট দূরত্বে একটি রিং বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যার সময় দিনরাত পানিতে ভাসতে হয়। আমাদের এই স্থানে যদি জিও বালুর বস্তা ফেলা হয়, তাহলে আমরা ভাঙন থেকে রক্ষা পাব।’
বামনার রামনা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জিও ব্যাগ ধসে বিষখালী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এই স্থান দিয়ে বাঁধটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে বিলীন হতে পারে। ভাঙন এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক নাসির মিয়া বলেন, ‘গত বছর এখানে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হয়েছিল, কিন্তু তা ছয় মাসও টেকেনি। বিষখালীর উত্তাল ঢেউয়ের কবলে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে বাঁধের যে অংশটুকু টিকে আছে, তা যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে।’
বরগুনা পাউবো কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ২২টি পোল্ডারে ৮০৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে ৪১/১ এ, বি ও ৪১/৭ পোল্ডারের বাঁধ পুনর্বাসন, বেতাগী শহর, বিষখালী ও পায়রা নদীভাঙন প্রতিরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আরএডিপি প্রকল্পের অর্থায়নে ৮২৬ কোটি টাকা বরাদ্দে ৪৬ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় আরএডিপি প্রকল্পের অর্থায়নের ৭১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ দশমিক ১৬০ কিলোমিটার টেকসই (ব্লক দিয়ে নির্মাণ) বাঁধ নির্মাণকাজ চলছে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করা হবে বলে আশাবাদী পাউবো।
বরগুনা জেলা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘ঝড় বা অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে উপকূলের নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার হলে পানির উচ্চতা ১৫ থেকে ১৮ ফুট বৃদ্ধি পায়। জেলার বিভিন্ন নদীতীরে ষাটের দশকের দিকে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বাঁধের উচ্চতা কম থাকায় উচ্চ জোয়ারে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। উপকূলের বাসিন্দাদের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য বাঁধ মেরামতের পাশাপাশি উচ্চতাও বাড়ানো দরকার।’
বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল হান্নান প্রধান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়েছি, বরগুনায় ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা অনেক স্থানে এরই মধ্যে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ করেছি। ভাঙনকবলিত স্থানগুলো সাময়িকভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করব। তবে ওই জায়গাগুলোতে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ করার জন্য সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা করা হয়েছে। একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। অর্থ বরাদ্দ পেলে নতুন ওই জায়গাগুলোতেও স্থায়ী প্রতিরক্ষার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।’

বর্ষা মৌসুমে শেষে শুষ্ক মৌসুমেও থামছে না উপকূলীয় জেলা বরগুনার তিনটি নদীতীরের ভাঙন। অসময়ের এই ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে নদীতীরের কয়েক হাজার বাসিন্দার। জেলার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর ভাঙনে প্রায় দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। ভাঙনের করাল থাবায় এরই মধ্যে ফসলি জমি, বসতঘর ও ভিটেমাটিহারা হয়েছে শত শত পরিবার।
জেলার বামনা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে বিষখালী নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে একটি আবাসন প্রকল্প ও উপজেলার একমাত্র খাদ্যগুদামটি। দক্ষিণ রামনা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এক-তৃতীয়াংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যেকোনো সময় বাঁধটি পুরোপুরি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
জানা গেছে, বরগুনা জেলা ভেতর দিয়ে প্রমত্তা পায়রা ও বিষখালী নদী বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। এ ছাড়া পাথরঘাটা উপজেলার পূর্বে বিষখালী ও পশ্চিম পাশ দিয়ে সাগরে মিলেছে বলেশ্বর। ফলে নদীবেষ্টিত বরগুনা জেলায় সারা বছরই ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটায় বাসিন্দারা।
জেলার তিনটি নদীর ভাঙনের হুমকিতে থাকা স্থানগুলো হলো বরগুনা সদর উপজেলার ছোট বালিয়াতলী, লতাকাটা, ডালভাঙা ও পালের বালিয়াতলী; বামনা উপজেলার দক্ষিণ রামনা, চলাভাঙ্গা, কলাগাছিয়া ও চেঁচান; বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি ও মোকামিয়া; পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া, কালমেঘা, পরিঘাটা ও গোড়াপদ্মা এবং তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া, জয়ালভাঙা ও নিশানবাড়িয়া।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব এলাকায় কাগজে-কলমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থাকলেও বাস্তবে কোনো বাঁধই অবশিষ্ট নেই। অনেক স্থানে জলোচ্ছ্বাস ঠেকাতে দায়সারাভাবে কোনোমতে রিং বাঁধ নির্মাণ করা হয়; যা জোয়ারের তোড়ে উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।
বরগুনা সদরের পায়রাতীরের বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা ছগির হোসেন বলেন, ‘পায়রা প্রতিবছর আমাদের ভিটেমাটি, ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে। আমাদের এই স্থানে বাঁধ নেই দেড় যুগ ধরে। প্রতিবছরই নতুন করে বসতঘর স্থানান্তর করতে হয়। এবার ভাঙলে আমাদের মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই থাকবে না। তখন পথে নামতে হবে। পায়রা আমাদের শেষ করে দিয়েছে।’
একই গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পায়রা নদীর অসময় ভাঙনে আমাদের বাড়িঘর হারাতে বসেছি। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু কেড়ে নিচ্ছে নদী। আমাদের এখানে প্রায় ৬০টি পরিবারকে ভাঙনের ঝুঁকিতে রেখে ৫০০ ফুট দূরত্বে একটি রিং বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যার সময় দিনরাত পানিতে ভাসতে হয়। আমাদের এই স্থানে যদি জিও বালুর বস্তা ফেলা হয়, তাহলে আমরা ভাঙন থেকে রক্ষা পাব।’
বামনার রামনা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জিও ব্যাগ ধসে বিষখালী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এই স্থান দিয়ে বাঁধটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে বিলীন হতে পারে। ভাঙন এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক নাসির মিয়া বলেন, ‘গত বছর এখানে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হয়েছিল, কিন্তু তা ছয় মাসও টেকেনি। বিষখালীর উত্তাল ঢেউয়ের কবলে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে বাঁধের যে অংশটুকু টিকে আছে, তা যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে।’
বরগুনা পাউবো কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ২২টি পোল্ডারে ৮০৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে ৪১/১ এ, বি ও ৪১/৭ পোল্ডারের বাঁধ পুনর্বাসন, বেতাগী শহর, বিষখালী ও পায়রা নদীভাঙন প্রতিরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আরএডিপি প্রকল্পের অর্থায়নে ৮২৬ কোটি টাকা বরাদ্দে ৪৬ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় আরএডিপি প্রকল্পের অর্থায়নের ৭১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ দশমিক ১৬০ কিলোমিটার টেকসই (ব্লক দিয়ে নির্মাণ) বাঁধ নির্মাণকাজ চলছে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করা হবে বলে আশাবাদী পাউবো।
বরগুনা জেলা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘ঝড় বা অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে উপকূলের নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার হলে পানির উচ্চতা ১৫ থেকে ১৮ ফুট বৃদ্ধি পায়। জেলার বিভিন্ন নদীতীরে ষাটের দশকের দিকে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বাঁধের উচ্চতা কম থাকায় উচ্চ জোয়ারে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। উপকূলের বাসিন্দাদের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য বাঁধ মেরামতের পাশাপাশি উচ্চতাও বাড়ানো দরকার।’
বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল হান্নান প্রধান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়েছি, বরগুনায় ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা অনেক স্থানে এরই মধ্যে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ করেছি। ভাঙনকবলিত স্থানগুলো সাময়িকভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করব। তবে ওই জায়গাগুলোতে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ করার জন্য সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা করা হয়েছে। একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। অর্থ বরাদ্দ পেলে নতুন ওই জায়গাগুলোতেও স্থায়ী প্রতিরক্ষার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।’

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কবিতা নাগ (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা নাগপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২৭ জুলাই ২০২৫
দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, কোনো পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ি। লতা-পাতায় ঢাকা দেয়াল, আগাছায় ভরা চত্বর আর তালাবদ্ধ দরজার ভেতরে মাকড়সার জাল। অথচ একসময় এ জায়গাটিই ছিল পাঠকের ভিড়ে মুখর, জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল এক প্রজন্মের আশ্রয়।
৩ মিনিট আগে
হাওরে বছরে একটি ফসলই ফলে, আর তা হলো বোরো ধান। এ ফসলের ওপর নির্ভর করে চলে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের ঘর-গেরস্থালি। আগাম বন্যার হাত থেকে বোরো রক্ষায় প্রতিবছর দেওয়া হয় অস্থায়ী বাঁধ। সেই বাঁধের কাজ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যন্ত নেত্রকোনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিই (পিআইসি) গঠন করা হয়নি।
৮ মিনিট আগে
নীলফামারীর চারটি সংসদীয় আসনের দুটিতে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। একটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যটিও শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে। সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোটের মাঠে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী।
১৩ মিনিট আগে