তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস ধরে ওষুধের তীব্র সংকটের কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। যদিও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বর্তমানে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহের দাবি করছেন, কিন্তু মাঠপর্যায়ের চিত্র ভিন্ন—চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল সরবরাহ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সেবাগ্রহীতারা ও ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা।
তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় মোট ৩১টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে (বর্তমানে ৩০টি চালু)। এই ক্লিনিকগুলো থেকে বিনা খরচে চিকিৎসার পরামর্শের পাশাপাশি রোগীদের রোগ অনুযায়ী প্রায় ২২ প্রকার ওষুধ সরবরাহ করার কথা।
কিন্তু ক্লিনিকের কর্মীদের মতে, গত সাড়ে তিন মাস যাবৎ সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৬ জুন এক কার্টন ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছিল, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ বিরতি। স্বাস্থ্যসেবা দানকারী বা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) এই সময়ে শুধু ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রোগীদের বিদায় করতে বাধ্য হয়েছেন।
শোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল মান্নান ও সবুজপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা মো. মোখলেছুর রহমান জানান, গত সাড়ে তিন মাস ধরে জ্বর, সর্দি, ভিটামিন, মা ও শিশুদের নানা রোগসহ অন্যান্য রোগের প্রয়োজনীয় সরকারি ওষুধ তাঁরা পাননি।
রোগীরা বলছেন, বর্তমানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যান্টিবায়োটিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওষুধগুলো ক্লিনিক থেকে দেওয়া হয় না। এসব ওষুধ আনতে বা কিনতে তাদের সদর হাসপাতাল বা অন্যত্র যেতে যাতায়াতেই প্রায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে এবং প্রচুর সময়ও নষ্ট হচ্ছে।
বিভিন্ন মিডিয়ায় লেখালেখির পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর ক্লিনিকগুলোতে এক কার্টন করে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। তবে সিএইচসিপিরা বলছেন, এই সরবরাহ চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
শোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি ফিরোজ জামান জানান, সাধারণত তিন মাস পরপর ওষুধ সরবরাহ করা হতো, যা দিয়ে তিন মাসে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ রোগীর চাহিদা মেটানো সম্ভব ছিল। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী ব্যবস্থাপত্র নেন। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রাপ্ত ওষুধে এই মাসের ১৫ দিন চলতে পারে মাত্র। বাকি দিনগুলোর জন্য আরও ওষুধ সরবরাহ না হলে সংকট থেকেই যাবে।’
নওগাঁ কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি বজলার রহমানও জানান, বিগত সাড়ে তিন মাস সরবরাহ না থাকায় এ অঞ্চলের রোগীদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. এরফান আহম্মেদ বলেন, ‘২০২৫-২৬ নতুন অর্থবছরের ওষুধ কেনার দরপত্র আহ্বান করার কারণে ওষুধ সরবরাহ কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছিল। তবে এখন পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস ধরে ওষুধের তীব্র সংকটের কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। যদিও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বর্তমানে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহের দাবি করছেন, কিন্তু মাঠপর্যায়ের চিত্র ভিন্ন—চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল সরবরাহ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সেবাগ্রহীতারা ও ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা।
তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় মোট ৩১টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে (বর্তমানে ৩০টি চালু)। এই ক্লিনিকগুলো থেকে বিনা খরচে চিকিৎসার পরামর্শের পাশাপাশি রোগীদের রোগ অনুযায়ী প্রায় ২২ প্রকার ওষুধ সরবরাহ করার কথা।
কিন্তু ক্লিনিকের কর্মীদের মতে, গত সাড়ে তিন মাস যাবৎ সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৬ জুন এক কার্টন ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছিল, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ বিরতি। স্বাস্থ্যসেবা দানকারী বা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) এই সময়ে শুধু ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রোগীদের বিদায় করতে বাধ্য হয়েছেন।
শোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল মান্নান ও সবুজপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা মো. মোখলেছুর রহমান জানান, গত সাড়ে তিন মাস ধরে জ্বর, সর্দি, ভিটামিন, মা ও শিশুদের নানা রোগসহ অন্যান্য রোগের প্রয়োজনীয় সরকারি ওষুধ তাঁরা পাননি।
রোগীরা বলছেন, বর্তমানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যান্টিবায়োটিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওষুধগুলো ক্লিনিক থেকে দেওয়া হয় না। এসব ওষুধ আনতে বা কিনতে তাদের সদর হাসপাতাল বা অন্যত্র যেতে যাতায়াতেই প্রায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে এবং প্রচুর সময়ও নষ্ট হচ্ছে।
বিভিন্ন মিডিয়ায় লেখালেখির পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর ক্লিনিকগুলোতে এক কার্টন করে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। তবে সিএইচসিপিরা বলছেন, এই সরবরাহ চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
শোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি ফিরোজ জামান জানান, সাধারণত তিন মাস পরপর ওষুধ সরবরাহ করা হতো, যা দিয়ে তিন মাসে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ রোগীর চাহিদা মেটানো সম্ভব ছিল। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী ব্যবস্থাপত্র নেন। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রাপ্ত ওষুধে এই মাসের ১৫ দিন চলতে পারে মাত্র। বাকি দিনগুলোর জন্য আরও ওষুধ সরবরাহ না হলে সংকট থেকেই যাবে।’
নওগাঁ কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি বজলার রহমানও জানান, বিগত সাড়ে তিন মাস সরবরাহ না থাকায় এ অঞ্চলের রোগীদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. এরফান আহম্মেদ বলেন, ‘২০২৫-২৬ নতুন অর্থবছরের ওষুধ কেনার দরপত্র আহ্বান করার কারণে ওষুধ সরবরাহ কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছিল। তবে এখন পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে (জিসিসি) চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত রক্ত আমাশয়ের (শিগেলা) টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিতে চায় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। চীনা প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে আইসিডিডিআরবির সহযোগিতা চেয়েছিল।
৫ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে অ্যানথ্রাক্স (তড়কা রোগ)। গবাদিপশুর এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এ উপসর্গ নিয়ে মারাও গেছেন মোছা. রোজিনা বেগম নামের এক নারী। কিন্তু সে তুলনায় নেই সচেতনতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা। ফলে চরম উৎকণ্ঠা আর উদ্বিগ্নে দিন কাটছে সুন্দরগঞ্জবাসীর।
৫ ঘণ্টা আগেতিন বছর ধরে বরগুনার তালতলীর ফাতরার বনের উত্তর নিদ্রার চরের শত শত বিভিন্ন প্রজাতির বড় গাছ মরে যাচ্ছে। তবে সেগুলো বিক্রির কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বন বিভাগ। অভিযোগ উঠেছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা সেসব গাছ চোরাই পথে বিক্রি করছেন।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে স্থানীয় পর্যায়ের এনজিওগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ দাউদ মিয়া। রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে স্থানীয়করণ-বিষয়ক এক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে