শেরপুর প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত সাড়ে ছয় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাটির ঘরে থাকা পরিবারগুলো। প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করাসহ টিন ও অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সেগুলো বিতরণ করা হবে।
জানা গেছে, ৪ অক্টোবর ভোর থেকে স্মরণকালের ভয়াবহ এক পাহাড়ি ঢল দেখেছে শেরপুরবাসী। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিবছর বর্ষায় দুই–তিনবার ঢলে ভাসলেও এর আগে এমন তাণ্ডবলীলা কেউ দেখেনি আগে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢল চারটি নদীপাড়ের মানুষের সব লন্ডভন্ড করে দেয়। গত তিন দিন থেকে বৃষ্টি না থাকায় ও উজানের পানি কমতেই ভেসে উঠছে তাণ্ডবলীলার চিত্র।
এ বন্যায় জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার অন্তত সাড়ে ছয় হাজার মাটির কাঁচা, আধা পাকা ও পাকা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঢলের স্রোতে যা যা পড়েছে সব মিশিয়ে দিয়েছে মাটির সঙ্গে, নয়তো নিয়ে গেছে ভাসিয়ে। সব হারিয়ে দিশেহারা এসব পরিবারগুলো। পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ ঘরে ফিরছেন মানুষ, ভেঙে যাওয়া ঘর থেকে প্রয়োজনীয় আসবাব উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তাঁরা।
ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্রিজপাড় এলাকার বাসিন্দা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ঢলে আমার তিনটা ঘর ভেঙে গেছে। আমি গরিব মানুষ। এখন কীভাবে এই ঘর ঠিক করমু, চিন্তা করে কূল পাইতাছি না।’
‘ঢলের দিন আমার ছোট মেয়েটাকে কোনো রকমে ঘাড়ে নিয়ে ঘরের খুঁটি ধইরা গলা সমান পানিতে সারা রাত দাঁড়ায়া ছিলাম। মনে করছিলাম নিজেও বাঁচমু না, আর মাইয়াটারেও বাঁচাতে পারমু না। চোখের সামনে ঘরের সব জিনিস ভাসায়া নিয়ে গেছে, কিচ্ছু বাঁচাইতে পারি নাই। অটো চালায়া সংসার চালাইতাম, সেইটাও নষ্ট হয়ে গেছে গা। এহন কী যে করমু বুঝতাছি না।’ ছলছলে চোখে কথাগুলো বলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার খলিশাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম।
একই এলাকার বাসিন্দা নাকুগাঁও স্থলবন্দরের শ্রমিক চিন্তাহরণ বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ দিন আইনা দিন খাই। আমার তিনটা ঘর ঢলে ভাইঙ্গা নিয়ে গেছে গা। ঘরের ধান-চাল সবই ভাসায়া নিয়ে গেছে গা। এখন কি খায়া বাঁচমু? সরকার আমগরে সাহায্য না করলে আর কোনো উপায় নাই।’
আরেক বাসিন্দা জুলহাস বলেন, ‘ঢলের পানিতে হাঁস, মুরগিসহ ঘরের সব ভাসায়া নিয়ে গেছে গা। ছোট ছোট পুলাপান নিয়া কোনো মতে জীবন বাঁচাইছি।’
তাঁদের মতো এমন অসহায়ত্বের গল্প দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের। দিন এনে দিন খাওয়া এসব দরিদ্র মানুষ তাঁদের পেটের ক্ষুধার চেয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে বেশি চিন্তিত। প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের পুনর্বাসনে সহায়তা করা হবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল জানান, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যে এ উপজেলায় ৫০০ ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত এবং এক হাজারের মতো ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সহায়তা করা হবে।
নালিতাবাড়ীর ইউএনও মো. মাসুদ রানা বলেন, এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬৮টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও প্রায় ১ হাজার ২০০ ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে টিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত সাড়ে ছয় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাটির ঘরে থাকা পরিবারগুলো। প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করাসহ টিন ও অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সেগুলো বিতরণ করা হবে।
জানা গেছে, ৪ অক্টোবর ভোর থেকে স্মরণকালের ভয়াবহ এক পাহাড়ি ঢল দেখেছে শেরপুরবাসী। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিবছর বর্ষায় দুই–তিনবার ঢলে ভাসলেও এর আগে এমন তাণ্ডবলীলা কেউ দেখেনি আগে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢল চারটি নদীপাড়ের মানুষের সব লন্ডভন্ড করে দেয়। গত তিন দিন থেকে বৃষ্টি না থাকায় ও উজানের পানি কমতেই ভেসে উঠছে তাণ্ডবলীলার চিত্র।
এ বন্যায় জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার অন্তত সাড়ে ছয় হাজার মাটির কাঁচা, আধা পাকা ও পাকা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঢলের স্রোতে যা যা পড়েছে সব মিশিয়ে দিয়েছে মাটির সঙ্গে, নয়তো নিয়ে গেছে ভাসিয়ে। সব হারিয়ে দিশেহারা এসব পরিবারগুলো। পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ ঘরে ফিরছেন মানুষ, ভেঙে যাওয়া ঘর থেকে প্রয়োজনীয় আসবাব উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তাঁরা।
ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্রিজপাড় এলাকার বাসিন্দা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ঢলে আমার তিনটা ঘর ভেঙে গেছে। আমি গরিব মানুষ। এখন কীভাবে এই ঘর ঠিক করমু, চিন্তা করে কূল পাইতাছি না।’
‘ঢলের দিন আমার ছোট মেয়েটাকে কোনো রকমে ঘাড়ে নিয়ে ঘরের খুঁটি ধইরা গলা সমান পানিতে সারা রাত দাঁড়ায়া ছিলাম। মনে করছিলাম নিজেও বাঁচমু না, আর মাইয়াটারেও বাঁচাতে পারমু না। চোখের সামনে ঘরের সব জিনিস ভাসায়া নিয়ে গেছে, কিচ্ছু বাঁচাইতে পারি নাই। অটো চালায়া সংসার চালাইতাম, সেইটাও নষ্ট হয়ে গেছে গা। এহন কী যে করমু বুঝতাছি না।’ ছলছলে চোখে কথাগুলো বলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার খলিশাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম।
একই এলাকার বাসিন্দা নাকুগাঁও স্থলবন্দরের শ্রমিক চিন্তাহরণ বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ দিন আইনা দিন খাই। আমার তিনটা ঘর ঢলে ভাইঙ্গা নিয়ে গেছে গা। ঘরের ধান-চাল সবই ভাসায়া নিয়ে গেছে গা। এখন কি খায়া বাঁচমু? সরকার আমগরে সাহায্য না করলে আর কোনো উপায় নাই।’
আরেক বাসিন্দা জুলহাস বলেন, ‘ঢলের পানিতে হাঁস, মুরগিসহ ঘরের সব ভাসায়া নিয়ে গেছে গা। ছোট ছোট পুলাপান নিয়া কোনো মতে জীবন বাঁচাইছি।’
তাঁদের মতো এমন অসহায়ত্বের গল্প দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের। দিন এনে দিন খাওয়া এসব দরিদ্র মানুষ তাঁদের পেটের ক্ষুধার চেয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে বেশি চিন্তিত। প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের পুনর্বাসনে সহায়তা করা হবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল জানান, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যে এ উপজেলায় ৫০০ ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত এবং এক হাজারের মতো ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সহায়তা করা হবে।
নালিতাবাড়ীর ইউএনও মো. মাসুদ রানা বলেন, এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬৮টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও প্রায় ১ হাজার ২০০ ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে টিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে এলাকাবাসীর পিটুনিতে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভোরে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় উভয় পক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধ হন, যাঁদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সদর উপজেলা কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিএনপি। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ভোলা শহরে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পর সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপি কেন
২৮ মিনিট আগে
নেত্রকোনার মদনে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে সাজ্জাদ মিয়াকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
৪৪ মিনিট আগেগাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে এলাকাবাসীর পিটুনিতে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোরে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বুলবুল ইসলামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাসিরাবাদ গ্রামের আব্দুস ছালামের গোয়ালঘর থেকে ওই তিন ব্যক্তি তিনটি গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন। টের পেয়ে এলাকাবাসী তাঁদের ধাওয়া করে। ধাওয়ার মুখে প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা ওই গ্রামের একটি পুকুরে লাফ দেন। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গ্রামবাসী তাঁদের পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে এবং অপর একজনকে গুরুতর অবস্থায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে এলাকাবাসীর পিটুনিতে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোরে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বুলবুল ইসলামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাসিরাবাদ গ্রামের আব্দুস ছালামের গোয়ালঘর থেকে ওই তিন ব্যক্তি তিনটি গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন। টের পেয়ে এলাকাবাসী তাঁদের ধাওয়া করে। ধাওয়ার মুখে প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা ওই গ্রামের একটি পুকুরে লাফ দেন। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গ্রামবাসী তাঁদের পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে এবং অপর একজনকে গুরুতর অবস্থায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত সাড়ে ছয় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাটির ঘরে থাকা পরিবারগুলো।
১০ অক্টোবর ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় উভয় পক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধ হন, যাঁদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সদর উপজেলা কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিএনপি। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ভোলা শহরে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পর সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপি কেন
২৮ মিনিট আগে
নেত্রকোনার মদনে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে সাজ্জাদ মিয়াকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
৪৪ মিনিট আগেনবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় উভয় পক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধ হন, যাঁদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম শিপন মিয়া (৩০)। তিনি স্থানীয় মোন্নাফ মিয়ার ছেলে। এই ঘটনার পর এক পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে। এলাকায় নতুন করে সংঘাত ও হামলার আশঙ্কায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারে একটি স্থানীয় হোটেলে এলাকার কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেকের ছেলে শিপন মিয়া আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় একদল অস্ত্রধারী লোক হোটেলটিতে গুলি করতে থাকে। এতে শিপন মিয়া (৩০) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন।
মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর তাঁর গ্রাম নূরজাহানপুরে ছড়িয়ে পড়লে মনেকের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় গণি শাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় মনেকের সশস্ত্র লোকজনের ছোড়া গুলিতে এমরান মাস্টার (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন।
এমরান মাস্টার ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই। তিনি পার্শ্ববর্তী শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এমরান মাস্টারের বাড়ি বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে। বিক্ষুব্ধ সশস্ত্র লোকজন এরপর থোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন সকালে মারা যান ও হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোন্নাফ মিয়া ও তাঁর ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের আরাফাতের নেতৃত্বে থাকা সশস্ত্র লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। আরাফাত থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেন মাস্টারের জ্ঞাতিগোষ্ঠীর একজন। এই আধিপত্যের দ্বন্দ্বই পাল্টাপাল্টি হামলার মূল কারণ বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন।
হামলার খবর পেয়ে রাতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক এবং নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো ডাকাতির ভাগাভাগি নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় উভয় পক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধ হন, যাঁদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম শিপন মিয়া (৩০)। তিনি স্থানীয় মোন্নাফ মিয়ার ছেলে। এই ঘটনার পর এক পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে। এলাকায় নতুন করে সংঘাত ও হামলার আশঙ্কায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারে একটি স্থানীয় হোটেলে এলাকার কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেকের ছেলে শিপন মিয়া আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় একদল অস্ত্রধারী লোক হোটেলটিতে গুলি করতে থাকে। এতে শিপন মিয়া (৩০) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন।
মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর তাঁর গ্রাম নূরজাহানপুরে ছড়িয়ে পড়লে মনেকের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় গণি শাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় মনেকের সশস্ত্র লোকজনের ছোড়া গুলিতে এমরান মাস্টার (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন।
এমরান মাস্টার ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই। তিনি পার্শ্ববর্তী শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এমরান মাস্টারের বাড়ি বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে। বিক্ষুব্ধ সশস্ত্র লোকজন এরপর থোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন সকালে মারা যান ও হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোন্নাফ মিয়া ও তাঁর ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের আরাফাতের নেতৃত্বে থাকা সশস্ত্র লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। আরাফাত থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেন মাস্টারের জ্ঞাতিগোষ্ঠীর একজন। এই আধিপত্যের দ্বন্দ্বই পাল্টাপাল্টি হামলার মূল কারণ বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন।
হামলার খবর পেয়ে রাতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক এবং নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো ডাকাতির ভাগাভাগি নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।’

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত সাড়ে ছয় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাটির ঘরে থাকা পরিবারগুলো।
১০ অক্টোবর ২০২৪
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে এলাকাবাসীর পিটুনিতে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভোরে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সদর উপজেলা কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিএনপি। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ভোলা শহরে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পর সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপি কেন
২৮ মিনিট আগে
নেত্রকোনার মদনে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে সাজ্জাদ মিয়াকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
৪৪ মিনিট আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সদর উপজেলা কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিএনপি।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ভোলা শহরে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পর সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভোলা জেলাধীন সদর উপজেলা বিএনপির কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ এবং বিজেপি অফিসে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ও কার্যক্রম স্থগিত হওয়া ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ। সদর উপজেলা বিএনপির কমিটির কার্যক্রম স্থগিতাদেশের সঙ্গে বিজেপি-বিএনপির সংঘর্ষের যোগসূত্র থাকতে পারে বলেও মনে করছেন বিএনপির এই দুই নেতা।
অন্যদিকে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কার্যক্রম স্থগিত হওয়া ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. হেলালউদ্দিন বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। কারণ উল্লেখ থাকলে জবাব দেওয়া যেত।’ হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে যারা কটূক্তি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।’

ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সদর উপজেলা কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিএনপি।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ভোলা শহরে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পর সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভোলা জেলাধীন সদর উপজেলা বিএনপির কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ এবং বিজেপি অফিসে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ও কার্যক্রম স্থগিত হওয়া ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ। সদর উপজেলা বিএনপির কমিটির কার্যক্রম স্থগিতাদেশের সঙ্গে বিজেপি-বিএনপির সংঘর্ষের যোগসূত্র থাকতে পারে বলেও মনে করছেন বিএনপির এই দুই নেতা।
অন্যদিকে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কার্যক্রম স্থগিত হওয়া ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. হেলালউদ্দিন বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। কারণ উল্লেখ থাকলে জবাব দেওয়া যেত।’ হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে যারা কটূক্তি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।’

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত সাড়ে ছয় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাটির ঘরে থাকা পরিবারগুলো।
১০ অক্টোবর ২০২৪
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে এলাকাবাসীর পিটুনিতে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভোরে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় উভয় পক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধ হন, যাঁদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
নেত্রকোনার মদনে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে সাজ্জাদ মিয়াকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
৪৪ মিনিট আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার মদনে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে সাজ্জাদ মিয়াকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতেন। শনিবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার গ্রহণ শেষে নিজের ঘরে শুয়েছিলেন মোস্তফা। হঠাৎ ছেলে সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে মোস্তফা মারা যান।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ আজ রোববার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সাজ্জাদকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হচ্ছে।

নেত্রকোনার মদনে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে সাজ্জাদ মিয়াকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতেন। শনিবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার গ্রহণ শেষে নিজের ঘরে শুয়েছিলেন মোস্তফা। হঠাৎ ছেলে সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে মোস্তফা মারা যান।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ আজ রোববার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সাজ্জাদকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হচ্ছে।

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত সাড়ে ছয় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাটির ঘরে থাকা পরিবারগুলো।
১০ অক্টোবর ২০২৪
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে এলাকাবাসীর পিটুনিতে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভোরে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় উভয় পক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধ হন, যাঁদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সদর উপজেলা কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিএনপি। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ভোলা শহরে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পর সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপি কেন
২৮ মিনিট আগে