জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর

‘ঘরবাড়ি সব ভাসায়া নিয়া গেছে পাহাড়ি ঢলে। ঘর তো দূরের কথা, ভিটারই কোনো চিহ্ন নাই। ওইখানে নদীর মতো হইয়া গেছে। আমগরে থাকার মতোন আর কোনো জায়গা থাকল না। পথের ভিখারি হয়ে গেলাম আমরা।’ আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঘরবাড়ি হারিয়ে এভাবেই বিলাপ করছিলেন বিধবা রহিমা বেগম।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া গ্রামের বাসিন্দা রহিমা। প্রতিবছর ঢলের পানি তাঁর বাড়িতে উঠলেও এবার সবকিছু ভাসিয়ে নিয়েছে। ভিটেমাটির কোনো চিহ্ন আর নেই। সেখানে এখন পানি জমে রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে রহিমা পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি প্রতিবন্ধী স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু রহিমা বেগম নন, তাঁর মতো ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি পরিবারের লোকজন ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে তাঁদের শুকনো খাবার এবং সকালবেলা স্থানীয় উদ্যোগে রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই আশ্রয় তো সাময়িক। সামনের দিনগুলোতে থাকবেন কোথায়, খাবেন কী—চিন্তায় দিশেহারা রহিমাসহ অন্যরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মো. জিহাদ হাসান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবারের ঢলে আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলাদি সব ভাসায়া নিয়া গেছে। কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নাই। এই যে স্কুলে আইসা আশ্রয় নিছি। সকালবেলা কিছু নাশতা দিছে, সেটা খায়াই আছি। এখন সরকার আমাদের একটা ব্যবস্থা না করে দিলে আমাদের আর কিছু করার নাই।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জাহিদুল হক মনির বলেন, এই ১১টি পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাদের বাড়িঘর ভেসে গেছে। এটি পুরোপুরি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি। তারা যদি এই ভাঙা মেরামত করত, তাহলে এমন ক্ষতি হতো না। এই এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি টেকসই কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ জনগণের প্রাণের দাবি। নইলে এলাকার লোকজন হয়তো কিছুদিন পর তাঁদের মৌলিক অধিকার আদায়ে রাস্তায় দাঁড়াবেন।
এদিকে ঢলের পানিতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবক ইসমাইল হোসেনের লাশ ঝিনাইগাতীর পূর্ব খৈলকুড়া এলাকা থেকে আজ শুক্রবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসমাইল পার্শ্ববর্তী ডাকাবর এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আব্দুল্লাহর ছেলে। এর আগে গতকাল নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে যাওয়া হুমায়ুন (১০) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি ও সোমেশ্বরী এবং নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী ও ভোগাই নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে গতকাল দুপুরে মহারশির নদীর বাঁধের পুরোনো ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ে। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক, বাজার ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এ সময় উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া এলাকার সাত্তার মিয়া, রহিমা বেগম, রহিম মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, বারেক মিয়া, বাচ্চু মিয়ার পরিবারসহ অন্তত ১১টি পরিবারের বাড়িঘর ঢলের পানিতে ভেসে যায়। এ ছাড়া মহারশি নদীর দীঘিরপাড়, সোমেশ্বরী নদীর কাড়াগাঁওসহ নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ রোপা আমন ও সবজির আবাদ তলিয়ে যায়।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ হাজার ৫৭৬ হেক্টর জমির রোপা আমন আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে আংশিক তলিয়েছে ১ হাজার ৪০ হেক্টর এবং সম্পূর্ণ তলিয়েছে ৫৩৬ হেক্টর জমির আমন আবাদ। এ ছাড়া ৮৬ হেক্টর শীতকালীন আগাম সবজি পানিতে ডুবেছে।
সরেজমিনে আজ বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া এলাকায় দেখা যায়, মহারশি নদীর পানি একেবারে কমে গেছে। ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বহু বাড়িঘরের মালামাল ভেসে গিয়ে দূরে খেতের মধ্যে ধ্বংসাত্মক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অনেকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে সেগুলো নিয়ে এক জায়গায় জড়ো করছেন। রোপা আমন আবাদের ওপর পলিমাটি পড়ে অনেক ধানগাছ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়িও ভেঙে গেছে, আবার ধানের জমির ওপর পলি পড়ে আবাদও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সামনের দিনগুলোতে কীভাবে চলব, সেই চিন্তাই আছি। বাঁধটা তিন বছর আগে ভাঙছে। মেরামত না করায় প্রতিবছর একই জায়গায় ভাঙতেছে। এখন আমরা কোথায় যাব?’
বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান বলেন, পানি নেমে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপৎকালীন কাজ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত শুরু হবে। আর টেকসই বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করে দেখেছি। পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে নেমে গেলে কৃষকেরা কম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আর পলি পড়ে আবাদ নষ্ট হওয়া কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণের আওতায় আনা হবে।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, আসলে এই মহারশি নদীতে শক্ত কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ ছাড়া পাহাড়ি ঢলের সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। আর বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ঘর নির্মাণের টিন বিতরণ করা হবে।

‘ঘরবাড়ি সব ভাসায়া নিয়া গেছে পাহাড়ি ঢলে। ঘর তো দূরের কথা, ভিটারই কোনো চিহ্ন নাই। ওইখানে নদীর মতো হইয়া গেছে। আমগরে থাকার মতোন আর কোনো জায়গা থাকল না। পথের ভিখারি হয়ে গেলাম আমরা।’ আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঘরবাড়ি হারিয়ে এভাবেই বিলাপ করছিলেন বিধবা রহিমা বেগম।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া গ্রামের বাসিন্দা রহিমা। প্রতিবছর ঢলের পানি তাঁর বাড়িতে উঠলেও এবার সবকিছু ভাসিয়ে নিয়েছে। ভিটেমাটির কোনো চিহ্ন আর নেই। সেখানে এখন পানি জমে রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে রহিমা পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি প্রতিবন্ধী স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু রহিমা বেগম নন, তাঁর মতো ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি পরিবারের লোকজন ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে তাঁদের শুকনো খাবার এবং সকালবেলা স্থানীয় উদ্যোগে রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই আশ্রয় তো সাময়িক। সামনের দিনগুলোতে থাকবেন কোথায়, খাবেন কী—চিন্তায় দিশেহারা রহিমাসহ অন্যরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মো. জিহাদ হাসান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবারের ঢলে আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলাদি সব ভাসায়া নিয়া গেছে। কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নাই। এই যে স্কুলে আইসা আশ্রয় নিছি। সকালবেলা কিছু নাশতা দিছে, সেটা খায়াই আছি। এখন সরকার আমাদের একটা ব্যবস্থা না করে দিলে আমাদের আর কিছু করার নাই।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জাহিদুল হক মনির বলেন, এই ১১টি পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাদের বাড়িঘর ভেসে গেছে। এটি পুরোপুরি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি। তারা যদি এই ভাঙা মেরামত করত, তাহলে এমন ক্ষতি হতো না। এই এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি টেকসই কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ জনগণের প্রাণের দাবি। নইলে এলাকার লোকজন হয়তো কিছুদিন পর তাঁদের মৌলিক অধিকার আদায়ে রাস্তায় দাঁড়াবেন।
এদিকে ঢলের পানিতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবক ইসমাইল হোসেনের লাশ ঝিনাইগাতীর পূর্ব খৈলকুড়া এলাকা থেকে আজ শুক্রবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসমাইল পার্শ্ববর্তী ডাকাবর এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আব্দুল্লাহর ছেলে। এর আগে গতকাল নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে যাওয়া হুমায়ুন (১০) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি ও সোমেশ্বরী এবং নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী ও ভোগাই নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে গতকাল দুপুরে মহারশির নদীর বাঁধের পুরোনো ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ে। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক, বাজার ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এ সময় উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া এলাকার সাত্তার মিয়া, রহিমা বেগম, রহিম মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, বারেক মিয়া, বাচ্চু মিয়ার পরিবারসহ অন্তত ১১টি পরিবারের বাড়িঘর ঢলের পানিতে ভেসে যায়। এ ছাড়া মহারশি নদীর দীঘিরপাড়, সোমেশ্বরী নদীর কাড়াগাঁওসহ নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ রোপা আমন ও সবজির আবাদ তলিয়ে যায়।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ হাজার ৫৭৬ হেক্টর জমির রোপা আমন আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে আংশিক তলিয়েছে ১ হাজার ৪০ হেক্টর এবং সম্পূর্ণ তলিয়েছে ৫৩৬ হেক্টর জমির আমন আবাদ। এ ছাড়া ৮৬ হেক্টর শীতকালীন আগাম সবজি পানিতে ডুবেছে।
সরেজমিনে আজ বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া এলাকায় দেখা যায়, মহারশি নদীর পানি একেবারে কমে গেছে। ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বহু বাড়িঘরের মালামাল ভেসে গিয়ে দূরে খেতের মধ্যে ধ্বংসাত্মক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অনেকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে সেগুলো নিয়ে এক জায়গায় জড়ো করছেন। রোপা আমন আবাদের ওপর পলিমাটি পড়ে অনেক ধানগাছ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়িও ভেঙে গেছে, আবার ধানের জমির ওপর পলি পড়ে আবাদও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সামনের দিনগুলোতে কীভাবে চলব, সেই চিন্তাই আছি। বাঁধটা তিন বছর আগে ভাঙছে। মেরামত না করায় প্রতিবছর একই জায়গায় ভাঙতেছে। এখন আমরা কোথায় যাব?’
বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান বলেন, পানি নেমে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপৎকালীন কাজ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত শুরু হবে। আর টেকসই বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করে দেখেছি। পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে নেমে গেলে কৃষকেরা কম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আর পলি পড়ে আবাদ নষ্ট হওয়া কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণের আওতায় আনা হবে।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, আসলে এই মহারশি নদীতে শক্ত কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ ছাড়া পাহাড়ি ঢলের সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। আর বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ঘর নির্মাণের টিন বিতরণ করা হবে।
জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর

‘ঘরবাড়ি সব ভাসায়া নিয়া গেছে পাহাড়ি ঢলে। ঘর তো দূরের কথা, ভিটারই কোনো চিহ্ন নাই। ওইখানে নদীর মতো হইয়া গেছে। আমগরে থাকার মতোন আর কোনো জায়গা থাকল না। পথের ভিখারি হয়ে গেলাম আমরা।’ আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঘরবাড়ি হারিয়ে এভাবেই বিলাপ করছিলেন বিধবা রহিমা বেগম।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া গ্রামের বাসিন্দা রহিমা। প্রতিবছর ঢলের পানি তাঁর বাড়িতে উঠলেও এবার সবকিছু ভাসিয়ে নিয়েছে। ভিটেমাটির কোনো চিহ্ন আর নেই। সেখানে এখন পানি জমে রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে রহিমা পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি প্রতিবন্ধী স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু রহিমা বেগম নন, তাঁর মতো ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি পরিবারের লোকজন ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে তাঁদের শুকনো খাবার এবং সকালবেলা স্থানীয় উদ্যোগে রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই আশ্রয় তো সাময়িক। সামনের দিনগুলোতে থাকবেন কোথায়, খাবেন কী—চিন্তায় দিশেহারা রহিমাসহ অন্যরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মো. জিহাদ হাসান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবারের ঢলে আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলাদি সব ভাসায়া নিয়া গেছে। কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নাই। এই যে স্কুলে আইসা আশ্রয় নিছি। সকালবেলা কিছু নাশতা দিছে, সেটা খায়াই আছি। এখন সরকার আমাদের একটা ব্যবস্থা না করে দিলে আমাদের আর কিছু করার নাই।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জাহিদুল হক মনির বলেন, এই ১১টি পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাদের বাড়িঘর ভেসে গেছে। এটি পুরোপুরি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি। তারা যদি এই ভাঙা মেরামত করত, তাহলে এমন ক্ষতি হতো না। এই এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি টেকসই কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ জনগণের প্রাণের দাবি। নইলে এলাকার লোকজন হয়তো কিছুদিন পর তাঁদের মৌলিক অধিকার আদায়ে রাস্তায় দাঁড়াবেন।
এদিকে ঢলের পানিতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবক ইসমাইল হোসেনের লাশ ঝিনাইগাতীর পূর্ব খৈলকুড়া এলাকা থেকে আজ শুক্রবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসমাইল পার্শ্ববর্তী ডাকাবর এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আব্দুল্লাহর ছেলে। এর আগে গতকাল নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে যাওয়া হুমায়ুন (১০) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি ও সোমেশ্বরী এবং নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী ও ভোগাই নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে গতকাল দুপুরে মহারশির নদীর বাঁধের পুরোনো ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ে। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক, বাজার ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এ সময় উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া এলাকার সাত্তার মিয়া, রহিমা বেগম, রহিম মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, বারেক মিয়া, বাচ্চু মিয়ার পরিবারসহ অন্তত ১১টি পরিবারের বাড়িঘর ঢলের পানিতে ভেসে যায়। এ ছাড়া মহারশি নদীর দীঘিরপাড়, সোমেশ্বরী নদীর কাড়াগাঁওসহ নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ রোপা আমন ও সবজির আবাদ তলিয়ে যায়।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ হাজার ৫৭৬ হেক্টর জমির রোপা আমন আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে আংশিক তলিয়েছে ১ হাজার ৪০ হেক্টর এবং সম্পূর্ণ তলিয়েছে ৫৩৬ হেক্টর জমির আমন আবাদ। এ ছাড়া ৮৬ হেক্টর শীতকালীন আগাম সবজি পানিতে ডুবেছে।
সরেজমিনে আজ বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া এলাকায় দেখা যায়, মহারশি নদীর পানি একেবারে কমে গেছে। ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বহু বাড়িঘরের মালামাল ভেসে গিয়ে দূরে খেতের মধ্যে ধ্বংসাত্মক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অনেকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে সেগুলো নিয়ে এক জায়গায় জড়ো করছেন। রোপা আমন আবাদের ওপর পলিমাটি পড়ে অনেক ধানগাছ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়িও ভেঙে গেছে, আবার ধানের জমির ওপর পলি পড়ে আবাদও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সামনের দিনগুলোতে কীভাবে চলব, সেই চিন্তাই আছি। বাঁধটা তিন বছর আগে ভাঙছে। মেরামত না করায় প্রতিবছর একই জায়গায় ভাঙতেছে। এখন আমরা কোথায় যাব?’
বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান বলেন, পানি নেমে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপৎকালীন কাজ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত শুরু হবে। আর টেকসই বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করে দেখেছি। পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে নেমে গেলে কৃষকেরা কম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আর পলি পড়ে আবাদ নষ্ট হওয়া কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণের আওতায় আনা হবে।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, আসলে এই মহারশি নদীতে শক্ত কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ ছাড়া পাহাড়ি ঢলের সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। আর বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ঘর নির্মাণের টিন বিতরণ করা হবে।

‘ঘরবাড়ি সব ভাসায়া নিয়া গেছে পাহাড়ি ঢলে। ঘর তো দূরের কথা, ভিটারই কোনো চিহ্ন নাই। ওইখানে নদীর মতো হইয়া গেছে। আমগরে থাকার মতোন আর কোনো জায়গা থাকল না। পথের ভিখারি হয়ে গেলাম আমরা।’ আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঘরবাড়ি হারিয়ে এভাবেই বিলাপ করছিলেন বিধবা রহিমা বেগম।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া গ্রামের বাসিন্দা রহিমা। প্রতিবছর ঢলের পানি তাঁর বাড়িতে উঠলেও এবার সবকিছু ভাসিয়ে নিয়েছে। ভিটেমাটির কোনো চিহ্ন আর নেই। সেখানে এখন পানি জমে রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে রহিমা পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি প্রতিবন্ধী স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু রহিমা বেগম নন, তাঁর মতো ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি পরিবারের লোকজন ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে তাঁদের শুকনো খাবার এবং সকালবেলা স্থানীয় উদ্যোগে রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই আশ্রয় তো সাময়িক। সামনের দিনগুলোতে থাকবেন কোথায়, খাবেন কী—চিন্তায় দিশেহারা রহিমাসহ অন্যরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মো. জিহাদ হাসান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবারের ঢলে আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলাদি সব ভাসায়া নিয়া গেছে। কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নাই। এই যে স্কুলে আইসা আশ্রয় নিছি। সকালবেলা কিছু নাশতা দিছে, সেটা খায়াই আছি। এখন সরকার আমাদের একটা ব্যবস্থা না করে দিলে আমাদের আর কিছু করার নাই।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জাহিদুল হক মনির বলেন, এই ১১টি পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাদের বাড়িঘর ভেসে গেছে। এটি পুরোপুরি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি। তারা যদি এই ভাঙা মেরামত করত, তাহলে এমন ক্ষতি হতো না। এই এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি টেকসই কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ জনগণের প্রাণের দাবি। নইলে এলাকার লোকজন হয়তো কিছুদিন পর তাঁদের মৌলিক অধিকার আদায়ে রাস্তায় দাঁড়াবেন।
এদিকে ঢলের পানিতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবক ইসমাইল হোসেনের লাশ ঝিনাইগাতীর পূর্ব খৈলকুড়া এলাকা থেকে আজ শুক্রবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসমাইল পার্শ্ববর্তী ডাকাবর এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আব্দুল্লাহর ছেলে। এর আগে গতকাল নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে যাওয়া হুমায়ুন (১০) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি ও সোমেশ্বরী এবং নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী ও ভোগাই নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে গতকাল দুপুরে মহারশির নদীর বাঁধের পুরোনো ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ে। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক, বাজার ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এ সময় উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া এলাকার সাত্তার মিয়া, রহিমা বেগম, রহিম মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, বারেক মিয়া, বাচ্চু মিয়ার পরিবারসহ অন্তত ১১টি পরিবারের বাড়িঘর ঢলের পানিতে ভেসে যায়। এ ছাড়া মহারশি নদীর দীঘিরপাড়, সোমেশ্বরী নদীর কাড়াগাঁওসহ নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ রোপা আমন ও সবজির আবাদ তলিয়ে যায়।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ হাজার ৫৭৬ হেক্টর জমির রোপা আমন আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে আংশিক তলিয়েছে ১ হাজার ৪০ হেক্টর এবং সম্পূর্ণ তলিয়েছে ৫৩৬ হেক্টর জমির আমন আবাদ। এ ছাড়া ৮৬ হেক্টর শীতকালীন আগাম সবজি পানিতে ডুবেছে।
সরেজমিনে আজ বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া এলাকায় দেখা যায়, মহারশি নদীর পানি একেবারে কমে গেছে। ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বহু বাড়িঘরের মালামাল ভেসে গিয়ে দূরে খেতের মধ্যে ধ্বংসাত্মক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অনেকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে সেগুলো নিয়ে এক জায়গায় জড়ো করছেন। রোপা আমন আবাদের ওপর পলিমাটি পড়ে অনেক ধানগাছ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়িও ভেঙে গেছে, আবার ধানের জমির ওপর পলি পড়ে আবাদও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সামনের দিনগুলোতে কীভাবে চলব, সেই চিন্তাই আছি। বাঁধটা তিন বছর আগে ভাঙছে। মেরামত না করায় প্রতিবছর একই জায়গায় ভাঙতেছে। এখন আমরা কোথায় যাব?’
বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান বলেন, পানি নেমে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপৎকালীন কাজ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত শুরু হবে। আর টেকসই বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করে দেখেছি। পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে নেমে গেলে কৃষকেরা কম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আর পলি পড়ে আবাদ নষ্ট হওয়া কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণের আওতায় আনা হবে।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, আসলে এই মহারশি নদীতে শক্ত কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ ছাড়া পাহাড়ি ঢলের সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। আর বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ঘর নির্মাণের টিন বিতরণ করা হবে।

কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অফিসটিতে ঢুকে সাইনবোর্ড, একটি কক্ষের দরজা-জানালা এবং বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
৩২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস ভালুকার পাইওনিয়ার...
৪৩ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রথম আলো চারতলা ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা ভবনটির চারপাশে ঘিরে রাখে।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আলাদা স্থান থেকে দুটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রাম ও রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাজুরিয়া গ্রামের শফিউল্লা মোল্লার ছেলে...
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অফিসটিতে ঢুকে সাইনবোর্ড, একটি কক্ষের দরজা-জানালা এবং বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টহল জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কুষ্টিয়ায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও সাধারণ জনতা মিছিল করে। মিছিলকারীরা পরে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর কর্মসূচি শেষ হয় এবং রাত ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর রাত দেড়টার দিকে প্রথম আলো অফিসসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘এ ধরনের কিছু খবর শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অরাজকতা রোধে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অফিসটিতে ঢুকে সাইনবোর্ড, একটি কক্ষের দরজা-জানালা এবং বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টহল জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কুষ্টিয়ায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও সাধারণ জনতা মিছিল করে। মিছিলকারীরা পরে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর কর্মসূচি শেষ হয় এবং রাত ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর রাত দেড়টার দিকে প্রথম আলো অফিসসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘এ ধরনের কিছু খবর শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অরাজকতা রোধে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া গ্রামের বাসিন্দা রহিমা। প্রতিবছর ঢলের পানি তাঁর বাড়িতে উঠলেও এবার সবকিছু ভাসিয়ে নিয়েছে। ঘর বা বসতভিটার কোনো চিহ্ন আর নেই।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস ভালুকার পাইওনিয়ার...
৪৩ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রথম আলো চারতলা ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা ভবনটির চারপাশে ঘিরে রাখে।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আলাদা স্থান থেকে দুটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রাম ও রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাজুরিয়া গ্রামের শফিউল্লা মোল্লার ছেলে...
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস ভালুকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দিপু চন্দ্র দাসকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু তিনি ক্ষমা না চাওয়ায় ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানার ভেতরে ও বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পরে তোপের মুখে কর্তৃপক্ষ দিপু চন্দ্রকে বের করে দিলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া হয়।
পুলিশ দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে রাত আড়াইটার দিকে দিপু চন্দ্র দাসের মরদেহ মর্গে পাঠায়।
ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তেজিত জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। শুনেছি ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজন তাকে ডেকে নিলে শত শত লোক তাকে আক্রমণ করে। এখন নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আসলে মামলা নেওয়া হবে।’

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস ভালুকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দিপু চন্দ্র দাসকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু তিনি ক্ষমা না চাওয়ায় ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানার ভেতরে ও বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পরে তোপের মুখে কর্তৃপক্ষ দিপু চন্দ্রকে বের করে দিলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া হয়।
পুলিশ দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে রাত আড়াইটার দিকে দিপু চন্দ্র দাসের মরদেহ মর্গে পাঠায়।
ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তেজিত জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। শুনেছি ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজন তাকে ডেকে নিলে শত শত লোক তাকে আক্রমণ করে। এখন নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আসলে মামলা নেওয়া হবে।’

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া গ্রামের বাসিন্দা রহিমা। প্রতিবছর ঢলের পানি তাঁর বাড়িতে উঠলেও এবার সবকিছু ভাসিয়ে নিয়েছে। ঘর বা বসতভিটার কোনো চিহ্ন আর নেই।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অফিসটিতে ঢুকে সাইনবোর্ড, একটি কক্ষের দরজা-জানালা এবং বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
৩২ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রথম আলো চারতলা ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা ভবনটির চারপাশে ঘিরে রাখে।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আলাদা স্থান থেকে দুটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রাম ও রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাজুরিয়া গ্রামের শফিউল্লা মোল্লার ছেলে...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী কারওয়ান বাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ভবনের সামনে চারপাশে হিসেবে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।
আজ শুক্রবার সকালে জমিনে দেখা গেছে, প্রথম আলো চারতলা ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা ভবনটির চারপাশে ঘিরে রাখে।
সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করার জন্য প্রথম আলো ভবনে এসেছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ সময় সরেজমিনে দেখা গেছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিসংযোগের পর ভবনের ভেতর ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন। বিক্ষোভের শুরুতেই রাত ১০টার সময় ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশন থেকে কয়েকটি ইউনিট ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে দিকে রওনা হয়। তবে তাদের বাধা দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

রাজধানী কারওয়ান বাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ভবনের সামনে চারপাশে হিসেবে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।
আজ শুক্রবার সকালে জমিনে দেখা গেছে, প্রথম আলো চারতলা ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা ভবনটির চারপাশে ঘিরে রাখে।
সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করার জন্য প্রথম আলো ভবনে এসেছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ সময় সরেজমিনে দেখা গেছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিসংযোগের পর ভবনের ভেতর ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন। বিক্ষোভের শুরুতেই রাত ১০টার সময় ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশন থেকে কয়েকটি ইউনিট ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে দিকে রওনা হয়। তবে তাদের বাধা দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া গ্রামের বাসিন্দা রহিমা। প্রতিবছর ঢলের পানি তাঁর বাড়িতে উঠলেও এবার সবকিছু ভাসিয়ে নিয়েছে। ঘর বা বসতভিটার কোনো চিহ্ন আর নেই।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অফিসটিতে ঢুকে সাইনবোর্ড, একটি কক্ষের দরজা-জানালা এবং বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
৩২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস ভালুকার পাইওনিয়ার...
৪৩ মিনিট আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আলাদা স্থান থেকে দুটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রাম ও রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাজুরিয়া গ্রামের শফিউল্লা মোল্লার ছেলে...
১ ঘণ্টা আগেফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আলাদা স্থান থেকে দুটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রাম ও রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাজুরিয়া গ্রামের শফিউল্লা মোল্লার ছেলে বিটু মোল্লা (৪০) ও গাব্দেরগাঁও গ্রামের বাবুল ব্যাপারীর স্ত্রী সেলিনা বেগম (৫০)।
বিটু মোল্লার স্বজন মিজান মোল্লা বলেন, ‘আমরা একই বাড়ির বাসিন্দা। শুনেছি রাতে বিটু মোল্লা ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়েছে। পরে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যায় বিটু মোল্লা নিজেদের বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছে। পরিবারের সদস্যদের ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।’
এদিকে সেলিনা বেগমের মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম মৃধা বলেন, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে ঋণ করে তার এক ছেলেকে প্রবাসে পাঠানো হয়েছে। এখনো ঋণ পরিশোধ করা হয়নি, এর মধ্যে ছেলে বিদেশ থেকে চলে আসতে চায়। এই খবরে তার পরিবারে কলহের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে সেলিনা বেগম ঘুমিয়ে পড়লেও সকালে বসতঘরের পাশে একটি কাঁঠালগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্বজনেরা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আলাদা স্থান থেকে দুটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রাম ও রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাজুরিয়া গ্রামের শফিউল্লা মোল্লার ছেলে বিটু মোল্লা (৪০) ও গাব্দেরগাঁও গ্রামের বাবুল ব্যাপারীর স্ত্রী সেলিনা বেগম (৫০)।
বিটু মোল্লার স্বজন মিজান মোল্লা বলেন, ‘আমরা একই বাড়ির বাসিন্দা। শুনেছি রাতে বিটু মোল্লা ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়েছে। পরে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যায় বিটু মোল্লা নিজেদের বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছে। পরিবারের সদস্যদের ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।’
এদিকে সেলিনা বেগমের মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম মৃধা বলেন, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে ঋণ করে তার এক ছেলেকে প্রবাসে পাঠানো হয়েছে। এখনো ঋণ পরিশোধ করা হয়নি, এর মধ্যে ছেলে বিদেশ থেকে চলে আসতে চায়। এই খবরে তার পরিবারে কলহের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে সেলিনা বেগম ঘুমিয়ে পড়লেও সকালে বসতঘরের পাশে একটি কাঁঠালগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্বজনেরা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া গ্রামের বাসিন্দা রহিমা। প্রতিবছর ঢলের পানি তাঁর বাড়িতে উঠলেও এবার সবকিছু ভাসিয়ে নিয়েছে। ঘর বা বসতভিটার কোনো চিহ্ন আর নেই।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অফিসটিতে ঢুকে সাইনবোর্ড, একটি কক্ষের দরজা-জানালা এবং বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
৩২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস ভালুকার পাইওনিয়ার...
৪৩ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রথম আলো চারতলা ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা ভবনটির চারপাশে ঘিরে রাখে।
১ ঘণ্টা আগে