Ajker Patrika

সুন্দরবনে ফের বেড়েছে বনদস্যুদের উৎপাত

  • অন্তত ১০টি বাহিনী দস্যুতা শুরু করেছে।
  • আতঙ্কে বনে যাওয়া কমিয়েছেন বনজীবীরা।
  • দস্যুতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন উদ্বিগ্ন।
আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা 
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৫, ০১: ০০
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সুন্দরবনে ফের বেড়েছে বনদস্যুদের উৎপাত। জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে তারা। আতঙ্কে অনেকে পেশা ত্যাগ করছেন। অনেকে আবার কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেছেন।

বন বিভাগ সূত্র বলেছে, ২০১৬ সাল থেকে কয়েক ধাপে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন দস্যু ৪৬২টি অস্ত্র ও ৫০৪টি গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেছিল। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে বনদস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর বনজীবীরা স্বচ্ছন্দে মাছ, কাঁকড়া, মধু ও গোলপাতা আহরণ করে আসছিলেন। তবে সম্প্রতি বনদস্যুদের উৎপাত আবার বেড়েছে।

শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালীগঞ্জের স্থানীয় সূত্র বলেছে, গত সাত মাসে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলার তিন শতাধিক জেলে সুন্দরবনে অপহৃত হয়েছেন। সর্বশেষ অপহৃত হয়েছেন আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কয়েকজন জেলে। তবে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের কোনো তথ্য পুলিশ কিংবা বন বিভাগের কাছে নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে জানান, সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আন্ধারমানিক, আড়পাঙ্গাসিয়া, আড়ুয়া, শিবসা, মান্ধারখালিসহ কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে শরীফ বাহিনী, মজনু বাহিনী, রবিউল বাহিনী, মঞ্জুর বাহিনীসহ কমপক্ষে ১০টি বাহিনী দস্যুতা শুরু করেছে। পশ্চিম সুন্দরবন থেকে পূর্ব সুন্দরবন পর্যন্ত সব এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল হান্নান বাহিনী। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাটের রামপাল খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ সহযোগীসহ হান্নান শেখকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।

প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি আবু দাউদ বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি রাতে দুবলারচরের বাহির সমুদ্রের ৮ নম্বর বয়া এলাকা থেকে ১৫ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি করে জলদস্যুরা। তাঁদের ৯ জনেরই বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নে। জনপ্রতি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে অপহরণের ১৭ দিন পর ১৩ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় চোখ বাঁধা অবস্থায় তাঁদের ছেড়ে দেয় বনদস্যুরা।

অপহরণের শিকার আশাশুনির দৃষ্টিনন্দন গ্রামের নূরে আলমের মা আম্বিয়া খাতুন বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চাকলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফের নৌকা নিয়ে তাঁর ছেলে নূরে আলমসহ অনেকে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ২৬ জানুয়ারি রাতে দুবলারচরের বাহির সমুদ্রের ৮ নম্বর বয়া এলাকা থেকে তাঁর ছেলেসহ ১৫ জনকে অপহরণ করে বনদস্যুরা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ফিশিং বোটের মালিক আব্দুর রউফ বলেন, ২৬ জানুয়ারি যেদিন জেলেরা অপহৃত হন, সেদিন কোনো এক মাধ্যমে তাঁর কাছে একটি মোবাইল নম্বর পাঠানো হয়। তবে পাঁচ দিন ওই নম্বর বন্ধ ছিল। ৩১ জানুয়ারি সকালে ওই নম্বর খোলা পেলে জেলেদের সন্ধান চেয়ে কথা বলেন তিনি। বনদস্যুরা জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

শ্যামনগরের ভেটখালি এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ‘একটা নৌকায় ৪-৫ জন লোক যাচ্ছি। তখন দস্যুরা ধরে ফেলল। বাড়িতে ফোন দিল, মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমাদের এমনিতেই সংসার চলে না, তাতে টাকা দেব কীভাবে। সরকার যদি এটা নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারে, তবে আমরা বনে যেতে পারব না।’ একই এলাকার কমলা দাশ বলেন, ‘আমরা রাত হলেই ভয়ে থাকি। একদিকে বাঘের ভয়, নদীতে কুমিরের ভয়, অন্যদিকে ডাকাতের ভয়। এখন বনে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছি।’

ট্রলারমালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন হলো ডাকাতের তৎপরতা বেড়ে গেছে। জেলেরা ভয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছেন না। আমরা যাঁরা ট্যুরিস্টের ব্যবসা করি, তাঁরাও সুন্দরবনে পর্যটক কমে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কারণ, যারা খবরাখবর রাখে, তারা সুন্দরবনে আসতে চায় না।’

এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনি খাতুন বলেন, বনদস্যুদের নিয়ে প্রশাসন উদ্বিগ্ন। জেলা ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় বনদস্যুদের তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ফলাফলও এসেছে। কোস্ট গার্ড অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করেছে।

এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার অনিক মাহমুদ জানান, সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকাকে দস্যুমুক্ত রাখতে কোস্ট গার্ড দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। হান্নান বাহিনীর প্রধান হান্নান শেখসহ তাঁর সহযোগীরা অস্ত্রসহ আটক হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য বাহিনীকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পানিতে ডুবে মৃত্যুর সচেতনতায় কুতুবদিয়া চ্যানেলে সাঁতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে আজ শনিবার সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে আজ শনিবার সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পাঁচ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার কমাতে সচেতনতা তৈরি, সাঁতারের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি, পানিদূষণ রোধ ও নদীভিত্তিক পর্যটনকে উৎসাহিত করতে এই আয়োজন করা হয়।

আজ শনিবার সকাল ৯টায় ‘তৃতীয় পাহাড় থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল সুইমিং ২০২৫’ শিরোনামের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং (বোয়াস)। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এস এম নূরুল আক্তার নিলয় এবং বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ের (বোয়াস) উপদেষ্টা মোহাম্মদ শিমুল চৌধুরী। টাইটেল স্পনসর হিসেবে সহযোগিতায় ছিল ‘পাহাড় থেকে ডট কম’।

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া দ্বীপের বড়কূপ ঘাট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ এই সাঁতার। যেখানে অংশ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১২ জন দক্ষ সাঁতারু।

দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার পথ দ্রুত সময়ে পাড়ি দিয়ে সবার আগে মাত্র ১ ঘণ্টা ৪ মিনিটে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে প্রথম স্থান অর্জন করেন রাব্বী রহমান। এ ছাড়া ১ ঘণ্টা ৬ মিনিটে সাঁতরে দ্বিতীয় অর্জন করেন ইংলিশ চ্যানেল সাঁতারু মো. নাজমুল হক। আর ১ ঘণ্টা ৭ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছে তৃতীয় হন এস আই এম ফেরদৌস আলম।

বোয়াসের সভাপতি নাসির আহমেদ সৌরভ বলেন, ‘একই স্থানে এটি আমাদের তৃতীয়বারের মতো সুইমিং আয়োজন। এবার খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোনো সমস্যা ছাড়া আমাদের প্রতিযোগীরা তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। বিষয়টি আমাদের জন্য ইতিবাচক। তরুণ প্রজন্মকে সাঁতারে উৎসাহিত এবং শারীরিক সক্ষমতার বিকাশে আমরা কাজ করছি। অতীতে সৃষ্টিশীল এমন আরও অনেক আয়োজন আমরা সম্পন্ন করেছি।’

নাসির আহমেদ সৌরভ আরও বলেন, ‘এবার সব সুইমারই এই উত্তাল চ্যানেলটি পাড়ি দিতে পেরেছেন। তাই এই আয়োজনটি শতভাগ সফল। এবার পানিতে ডুবে মৃত্যু হার কমানো বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, সুইমিংয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানো, পানিদূষণ রোধ করা ও নদীভিত্তিক পর্যটনকে গুরুত্ব দিতে এই সাঁতারের আয়োজন। আশা করি ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজন করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কস অলরাউন্ডার আঞ্চলিক পর্ব সম্পন্ন আরও পাঁচ জেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শিশু-কিশোরদের প্রতিভা যাচাইয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা ‘মার্কস অলরাউন্ডার’-এর আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতা আরও পাঁচ জেলায় (দিনাজপুর, নীলফামারী, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ) সম্পন্ন হয়েছে। ‘দেখাও যত প্রতিভা তোমার’ স্লোগানে আয়োজিত এসব জেলায় প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর। এতে অংশ নিয়েছিল বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ ও ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, কুষ্টিয়ার কলাকলি সেকেন্ডারি হাইস্কুল, দিনাজপুরে কলেজিয়েট গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ (দিনাজপুর), ঝিনাইদহ নিউ একাডেমি ও নীলফামারী জেলার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশব্যাপী এই আয়োজন তিন ধাপে চলছে—আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, যশোর, পাবনা, কিশোরগঞ্জ, ভোলা, বগুড়াসহ ৩৬টির বেশি জেলায় আঞ্চলিক পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। ১৪ নভেম্বর থেকে বরিশাল আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকেরা জানান, মার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপে (জুনিয়র, মিডল ও হাইস্কুল-কলেজ) গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা ও উপস্থিত বক্তৃতা বিষয়ে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মূলত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।

প্রতিযোগিতায় তিনটি গ্রুপের সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। পাশাপাশি মোট এক কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে। গ্র্যান্ড ফিনালে ফার্স্ট ও সেকেন্ড রানার্সআপরা পাবে যথাক্রমে পাঁচ লাখ ও তিন লাখ টাকার বৃত্তি। আর প্রতিটি বিষয়ের সেরা তিন পারফরমারকে দেওয়া হবে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক।

প্রতিযোগিতার বিস্তারিত জানতে ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য www. marksallrounder. com ওয়েবসাইট ভিজিট অথবা ০৯৬১৪৫১৬১৭১ ( সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ) নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক যুবক নিহত হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা পৌনে ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় শাহজাহান রোলিং মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় অজ্ঞাতনামা (২৮) যুবকের দেহ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবকটি খাঁ বাড়ি রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। লাশটি আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ-রুটে বিনা মূল্যে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও লাশ পরিবহন সেবা চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ-রুটে স্পিডবোট উপহার প্রদান অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ-রুটে স্পিডবোট উপহার প্রদান অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাগরপথে সন্দ্বীপবাসীর যাতায়াতের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে নুরুল মোস্তফা খোকন ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রামের কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ-রুটে বিনা মূল্যে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও লাশ পরিবহন সেবা চালু হয়েছে। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে সন্দীপের গুপ্তছড়াঘাটে উদ্যোগের উদ্বোধন করেন সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী নুরুল মোস্তফা খোকন।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে নুরুল মোস্তফা খোকনের পক্ষ থেকে গুপ্তছড়াঘাটে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি স্পিডবোট উপহার দেওয়া হয়েছে। নৌযানটিতে রয়েছে ছাদযুক্ত কেবিন, ঝড়-বৃষ্টি ও রোদ থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা, যাত্রীদের জন্য ওয়াশরুম এবং আরামদায়ক আসনের সুবিধা। এই স্পিডবোটে বিনা মূল্যে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও লাশ পরিবহন করা হবে। সন্দ্বীপের যাত্রীসেবায় একে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

নুরুল মোস্তফা খোকন বলেন, ‘এখন থেকে আমার এই স্পিডবোটে মৃতদেহ পরিবহনের সময় সঙ্গে চারজন যাত্রী বিনা মূল্যে যাতায়াত করতে পারবেন। আর গর্ভবতী মায়েদের সঙ্গে দুজন অতিরিক্ত যাত্রীও বিনা মূল্যে এই সার্ভিস পাবেন—দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী জানুয়ারিতে আমার অর্থায়নে আরও পাঁচটি নতুন স্পিডবোট আসবে, যা সাধারণ যাত্রীরা স্বল্প ভাড়ায় ব্যবহার করতে পারবেন।’ পুন্টন প্রকল্প নিয়ে নুরুল মোস্তফা খোকন বলেন, ‘সন্দ্বীপবাসী বছরের পর বছর হাঁটুসমান কাদা মাড়িয়ে স্পিডবোটে উঠতে বাধ্য হচ্ছেন। এ নিয়ে আপনারা আন্দোলন করেছেন, কষ্ট করেছেন। আজ সেই দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে আমি পুন্টন স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের টিম সার্ভে শুরু করেছে। ইনশা আল্লাহ, খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে।’

পরে নুরুল মোস্তফা খোকন ও কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের দল গুপ্তছড়াঘাটে ভাসমান পুন্টন স্থাপনের অগ্রগতি পরিদর্শন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত