Ajker Patrika

রংপুরে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি অভিভাবকদের

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি অভিভাবকদের

রংপুরের তারাগঞ্জে বাছুরবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকেরা। আজ বুধবার উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ দেন তাঁরা।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বাছুরবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল লায়েক অনেক দিন ধরে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ, যথা সময়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া না করা, শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিদ্যালয়ের শৌচাগার পরিষ্কার ও শৌচাগারের পানি পরিবহন করা, ছাত্রীদের দিয়ে মাথায় তেল মালিশ করা, ক্লাস না নিয়ে মোবাইল ফোনে ঘণ্টারপর ঘণ্টা কথা বলাসহ বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। কেউ তাঁর এসব কাজের প্রতিবাদ করলে তাঁদের খারাপ ভাষা গালিগালাজ ও হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালে ওই প্রধান শিক্ষককে বদলির জন্য এলাকাবাসী আন্দোলন করলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তির অনুরোধে তাঁকে বিদ্যালয়ের রাখা হয়। এরপর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে শৌচাগার পরিষ্কার করান। এই ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবকেরা ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। ওই সময় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি তদন্তের জন্যে বিদ্যালয়ে গেলে সেখানে প্রধান শিক্ষকের স্বামী অভিভাবকদের গালিগালাজ করেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে ওই প্রধান শিক্ষকের স্বামী এক বৃদ্ধার বাম হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ও তাঁর স্বামীকে উদ্ধার করেন এবং আহত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। এই ঘটনায় ওই বৃদ্ধাকে চিকিৎসা বাবদ কিছু টাকা দিয়ে মীমাংসা করা হয়।

অভিযোগ ও মানববন্ধনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নাজমুল লায়েক বলেন, ‘গত বছরের সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর আমাকে ছয় মাস ছুটিতে রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে অন্য কোথাও বদলি করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিদ্যালয়ে এসেছি। কে মানববসতি করল, কে অভিযোগ করল করল তা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। কর্তৃপক্ষ যেখানে যোগদান দেবেন সেখানেই কাজ করব।’

এ বিষয়ে ইউএনও রাসেল মিয়া বলেন, ‘বাছুরবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমানা আরা বেগম বলেন, ‘আমি জেলা শিক্ষা অফিসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের ও মানববন্ধনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে এসেছি। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত