গাইবান্ধা প্রতিনিধি
সারা দেশে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে গাইবান্ধা জেলার দুটি উপজেলা রয়েছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সব আয়োজন প্রায় শেষ। ভোটারের জন্য সব প্রস্তুত শেষ করলেও যাদের ঘিরে এই আয়োজন, তাদের মাঝেই তেমন আগ্রহ নেই।
জেলার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেখানকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, আরেকটিতে শুধু আওয়ামী লীগের দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। প্রধান দুটি পদেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম থাকায় এ নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ কম।
সরেজমিন ফুলছড়ি উপজেলায় দেখা গেছে, প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তবে অধিকাংশ ভোটারই প্রার্থীদের কথার ফুলঝুরিতে আস্থা রাখতে পারছেন না। সেই সঙ্গে আতঙ্কিত রয়েছেন তাঁরা।
ভোটাররা বলছেন, এ উপজেলায় দুজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ। সেলিম পারভেজের পক্ষে প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলীর সমর্থকেরা মাঠে কাজ করছেন। অন্যদিকে আবু সাইদের পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপনের নেতা-কর্মীরা। দুই প্রার্থীই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ভোটের মাঠে তাদের মারমুখী অবস্থানের কারণে আতঙ্কিত স্থানীয় ভোটাররা।
ফুলছড়ির উড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আপেল মিয়া বলেন, ‘ভোটারদের চেয়ে প্রার্থীদের নেতা-কর্মীদের মাঝে ভোটের আমেজ বেশি। ভোটের আগে অনেক কিছু করে দিতে চায়। ভোট পার হলে তাদের ছায়াও দেখা যায় না।’
নয়নাল হোসেন নামের একজন ভোটার বলেন, ‘এখন ভোট ভোট করে ঘরোত-বাইরোত থাকা যাচ্ছে না। ওমাহেরে কাম কোনা শেষ হলে, আর দেখা যাবে না।’
ফুলছড়ি চরের ভোটার ফারুক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোট আসলেই প্রার্থীরা চরে আসে, আর অন্য কোনো সময় তাদের দেখা পাওয়া যায় না।’
এসব এলাকার শতাধিক ভোটার আজকের পত্রিকার কাছে এমন মন্তব্য করেছেন।
অন্যদিকে সাঘাটা উপজেলায় দেখা গেছে, নির্বাচন উপলক্ষে স্থানীয় নির্বাচনে হাটবাজার, গ্রামাঞ্চলের চায়ের দোকানে ঝড় ওঠার কথা থাকলেও অনেকটাই নির্জীব ভূমিকা ভোটারদের। প্রধান পদ হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ অনীহা লক্ষ করা গেছে। তবে এ উপজেলায় সক্রিয় রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা।
এ উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও আসন্ন নির্বাচনের ভোটার মোশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভোট দিয়ে কী হবে? এখানে তো আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল অংশগ্রহণ করেনি। সময় পেলে ভেবে দেখব, ভোট দিতে কেন্দ্রে যাব কি না?’
মানিক মিয়া নামে অপর এক ভোটার বলেন, ‘নির্বাচন তো হয়ে গেছে। চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য পদগুলোও এভাবেই হবে।’
মো. সাইমুল ইসলাম নামের একজন তরুণ ভোটার বলেন, ‘এবার ভোট দেওয়া খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করবেন, সে রকম প্রার্থী মাঠে পেলাম না। তাই ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ইচ্ছে নেই।’
পদুম শহরের আইজাল মিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওমরা ওমরাই মাঠোত খেলছে। ভোট দিমো কাক। ভোটের দিন ধান কাটপার গেলে তাও দুই পয়সা আয় হবে।’
প্রসঙ্গত, সাঘাটা উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সামশীল আরেফিন টিটু সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
সাঘাটা উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৭১২ জন । ফুলছড়ি উপজেলায় ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০। ৮ মে এই দুই উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সারা দেশে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে গাইবান্ধা জেলার দুটি উপজেলা রয়েছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সব আয়োজন প্রায় শেষ। ভোটারের জন্য সব প্রস্তুত শেষ করলেও যাদের ঘিরে এই আয়োজন, তাদের মাঝেই তেমন আগ্রহ নেই।
জেলার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেখানকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, আরেকটিতে শুধু আওয়ামী লীগের দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। প্রধান দুটি পদেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম থাকায় এ নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ কম।
সরেজমিন ফুলছড়ি উপজেলায় দেখা গেছে, প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তবে অধিকাংশ ভোটারই প্রার্থীদের কথার ফুলঝুরিতে আস্থা রাখতে পারছেন না। সেই সঙ্গে আতঙ্কিত রয়েছেন তাঁরা।
ভোটাররা বলছেন, এ উপজেলায় দুজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ। সেলিম পারভেজের পক্ষে প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলীর সমর্থকেরা মাঠে কাজ করছেন। অন্যদিকে আবু সাইদের পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপনের নেতা-কর্মীরা। দুই প্রার্থীই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ভোটের মাঠে তাদের মারমুখী অবস্থানের কারণে আতঙ্কিত স্থানীয় ভোটাররা।
ফুলছড়ির উড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আপেল মিয়া বলেন, ‘ভোটারদের চেয়ে প্রার্থীদের নেতা-কর্মীদের মাঝে ভোটের আমেজ বেশি। ভোটের আগে অনেক কিছু করে দিতে চায়। ভোট পার হলে তাদের ছায়াও দেখা যায় না।’
নয়নাল হোসেন নামের একজন ভোটার বলেন, ‘এখন ভোট ভোট করে ঘরোত-বাইরোত থাকা যাচ্ছে না। ওমাহেরে কাম কোনা শেষ হলে, আর দেখা যাবে না।’
ফুলছড়ি চরের ভোটার ফারুক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোট আসলেই প্রার্থীরা চরে আসে, আর অন্য কোনো সময় তাদের দেখা পাওয়া যায় না।’
এসব এলাকার শতাধিক ভোটার আজকের পত্রিকার কাছে এমন মন্তব্য করেছেন।
অন্যদিকে সাঘাটা উপজেলায় দেখা গেছে, নির্বাচন উপলক্ষে স্থানীয় নির্বাচনে হাটবাজার, গ্রামাঞ্চলের চায়ের দোকানে ঝড় ওঠার কথা থাকলেও অনেকটাই নির্জীব ভূমিকা ভোটারদের। প্রধান পদ হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ অনীহা লক্ষ করা গেছে। তবে এ উপজেলায় সক্রিয় রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা।
এ উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও আসন্ন নির্বাচনের ভোটার মোশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভোট দিয়ে কী হবে? এখানে তো আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল অংশগ্রহণ করেনি। সময় পেলে ভেবে দেখব, ভোট দিতে কেন্দ্রে যাব কি না?’
মানিক মিয়া নামে অপর এক ভোটার বলেন, ‘নির্বাচন তো হয়ে গেছে। চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য পদগুলোও এভাবেই হবে।’
মো. সাইমুল ইসলাম নামের একজন তরুণ ভোটার বলেন, ‘এবার ভোট দেওয়া খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করবেন, সে রকম প্রার্থী মাঠে পেলাম না। তাই ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ইচ্ছে নেই।’
পদুম শহরের আইজাল মিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওমরা ওমরাই মাঠোত খেলছে। ভোট দিমো কাক। ভোটের দিন ধান কাটপার গেলে তাও দুই পয়সা আয় হবে।’
প্রসঙ্গত, সাঘাটা উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সামশীল আরেফিন টিটু সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
সাঘাটা উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৭১২ জন । ফুলছড়ি উপজেলায় ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০। ৮ মে এই দুই উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ১৯ জন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিকাল ২৫ বছর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত চাকরিবিধি অনুযায়ী এই অবসর দেওয়া হয়।
২৪ মিনিট আগেবিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজীবী শামীম আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানা থেকে মহানগর দায়রা জজকে জানানো হয়, মাহমুদুল হক খুব অসুস্থ। তারপর আমরা পুনরায় আবেদন করেছিলাম। পরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’
৩৫ মিনিট আগেনাটোরের নলডাঙ্গায় একটি হোটেলে মরা মুরগি রাখার দায়ে হোটেলের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৪১ মিনিট আগেচট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানায় আসামিদের অবাধে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগ তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ এ বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে