প্রতিনিধি বোদা (পঞ্চগড়)
প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মন্দিরের ঠাকুরঘরের পাশে রঙিন কাগজ, কার্টন টুকরো ও গোলানো ময়দা নিয়ে বসে থাকেন হরিপদ। আর মিষ্টির কার্টন তৈরি করে প্রতিদিন ২০০-২৫০ টাকা আয় করেন তিনি। এই আয় দিয়ে চলে মা, স্ত্রী, সন্তানসহ চারজনের পুরো সংসার। পান না কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা। মাঝেমধ্যে ঈদ অথবা পুজোয় পান ১০ কেজি চাল। এভাবে অভাব-অনটনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবনযুদ্ধের সঙ্গে চলতে হচ্ছে বোদা উপজেলার বড়ুয়াপাড়া গ্রামের মৃত কালীপদর ছেলে হরিপদর।
আজ মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে সংসার চালাতে হয়। পূজা-পার্বণ ছাড়া মাছ, মাংস খেতে পারি না। কোনো দিন ২০০, আবার কোনো দিন ২৫০ টাকা আয় হয়। তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়।’
হরিপদ আরও বলেন, ‘একসময় সবই ছিল। কিন্তু বর্তমানে কার্টন বিক্রি করে চলতে হয়। অনেকে এ কাজ করায় উপহাস করে। কিন্তু তাতে আমার কোনো লজ্জা নেই। কারণ আমাকে মানুষের কাছে যেতে হয় না। কোনো কোনো সময় আমার স্ত্রী ও সন্তান আমাকে সহযোগিতা করেন।’
হরিপদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ১০ শতক জমি আছে। শুকনো মৌসুমে ওই জমিতে চাষাবাদ করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে পুরো জমিতে থাকে এক কোমর পানি। ফলে চার-পাঁচ মাস বসে থাকতে হয়। এক ফসল আবাদ করে চলতে হয় পুরো বছর।’
ওই এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ দে বিসু ও কংকর বলেন, হরিপদ অভাব-অনটনে থাকলেও মানুষের কাছে হাত পাতেন না। তাঁর এককথা, ‘আমরা না খেয়ে মরে যাব কিন্তু ছোট হব না।’
ঝলইশালশিড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সে অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র। প্রতিদিন সকাল হলে নতুন হাটবাজারে চা-নাশতা খেয়ে কার্টন তৈরিতে নেমে পড়েন। আর সে আয় দিয়ে চলে তাঁর সংসার। আমি ব্যক্তিগত সহযোগিতা করতে চাইলে সে লজ্জা পায়। এর বাইরে তাকে সরকারিভাবে সুযোগ হলে সাহায্য করার চেষ্টা করি।’
প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মন্দিরের ঠাকুরঘরের পাশে রঙিন কাগজ, কার্টন টুকরো ও গোলানো ময়দা নিয়ে বসে থাকেন হরিপদ। আর মিষ্টির কার্টন তৈরি করে প্রতিদিন ২০০-২৫০ টাকা আয় করেন তিনি। এই আয় দিয়ে চলে মা, স্ত্রী, সন্তানসহ চারজনের পুরো সংসার। পান না কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা। মাঝেমধ্যে ঈদ অথবা পুজোয় পান ১০ কেজি চাল। এভাবে অভাব-অনটনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবনযুদ্ধের সঙ্গে চলতে হচ্ছে বোদা উপজেলার বড়ুয়াপাড়া গ্রামের মৃত কালীপদর ছেলে হরিপদর।
আজ মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে সংসার চালাতে হয়। পূজা-পার্বণ ছাড়া মাছ, মাংস খেতে পারি না। কোনো দিন ২০০, আবার কোনো দিন ২৫০ টাকা আয় হয়। তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়।’
হরিপদ আরও বলেন, ‘একসময় সবই ছিল। কিন্তু বর্তমানে কার্টন বিক্রি করে চলতে হয়। অনেকে এ কাজ করায় উপহাস করে। কিন্তু তাতে আমার কোনো লজ্জা নেই। কারণ আমাকে মানুষের কাছে যেতে হয় না। কোনো কোনো সময় আমার স্ত্রী ও সন্তান আমাকে সহযোগিতা করেন।’
হরিপদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ১০ শতক জমি আছে। শুকনো মৌসুমে ওই জমিতে চাষাবাদ করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে পুরো জমিতে থাকে এক কোমর পানি। ফলে চার-পাঁচ মাস বসে থাকতে হয়। এক ফসল আবাদ করে চলতে হয় পুরো বছর।’
ওই এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ দে বিসু ও কংকর বলেন, হরিপদ অভাব-অনটনে থাকলেও মানুষের কাছে হাত পাতেন না। তাঁর এককথা, ‘আমরা না খেয়ে মরে যাব কিন্তু ছোট হব না।’
ঝলইশালশিড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সে অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র। প্রতিদিন সকাল হলে নতুন হাটবাজারে চা-নাশতা খেয়ে কার্টন তৈরিতে নেমে পড়েন। আর সে আয় দিয়ে চলে তাঁর সংসার। আমি ব্যক্তিগত সহযোগিতা করতে চাইলে সে লজ্জা পায়। এর বাইরে তাকে সরকারিভাবে সুযোগ হলে সাহায্য করার চেষ্টা করি।’
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এই তথ্য জানায়। এ ছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের ডেঙ্গু এবং ২০ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে।
০১ জানুয়ারি ১৯৭০রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ৫০০ বিঘার অধিক ফসলি জমি। তার মধ্যে অনেক জমিতে ছিল আমন ধান। এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও কাঁচা-পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অবৈধভাবে অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে খালের মুখ বন্ধ হয়ে পড়ায় এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্ট হয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেখুঁড়িয়ে চলছে দেশের অন্যতম তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বড়পুকুরিয়া। চালুর পর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কখনোই এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পূর্ণ লক্ষ্যমাত্রার বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি। তিনটি ইউনিটের মধ্যে কখনো একটি, কখনোবা দুটি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে। বর্তমানে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে দুটি ইউনিট।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনায় গত শুক্রবার রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তিনজন খুন এবং একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, হত্যাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ডকে টার্গেট কিলিং বলছে পুলিশ। তারা বলছে, এসব পুলিশের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
৩ ঘণ্টা আগে