রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরে তর্কের একপর্যায়ে স্ত্রীকে থাপ্পড় দেন স্বামী আফজালুল হক (৫৩)। স্ত্রী আকতারা বেগম (৪৭) এ ঘটনা জানান ভাইদের। বোনকে থাপ্পড় মারায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দুলাইকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেন শ্যালকেরা।
এ ঘটনায় শ্যালকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন আফজালুল হক। কিন্তু মামলা ও পুলিশি ধরপাকর থেকে বাঁচতে শ্যালকেরা আকতারাকে দিয়ে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা দেন।
পুলিশ বার বার বাসায় তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে আজ স্ট্রেচারে করে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন আফজালুল হক। আদালতে জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এফ এম আহসানুল হকের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আফজালুল হকের বাড়ি রংপুর নগরীর হাজীরহাট জগদীশপুর এলাকায়।
স্বামীর জামিনের খবর শুনে আদালত চত্বর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যান আকতারা বেগম। এ সময় মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
মামলায় জামিনের পর স্বামী আফজালুল হক বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে টুকটাক কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্ত্রীকে তিনি চড় মারেন। পরে স্ত্রী তার ভাইদের জানালে, তারা রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে পা ভেঙে দেন। এরপর তিনি বাদী হয়ে তার ৪ শ্যালকের বিরুদ্ধে গত ৩১ শে মার্চ মামলা দায়ের করেন।
আফজালুল হক বলেন, ‘শ্যালকেরা মামলা থেকে বাঁচার জন্য আমার স্ত্রীকে বাদী করে আমার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এরপর পুলিশ গ্রেপ্তারের জন্য বারবার বাসায় যাওয়ায় বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স করে স্ট্রেচারে চড়ে আদালতে এসে হাজিরা দিলাম। জামিন পেলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে, আমার প্রতি যে অন্যায় হয়েছে তাঁর ন্যায় বিচার চাই।’
স্ত্রীর দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩১ বছর যাবৎ সংসার জীবনে নানা সময়ে যৌতুকের জন্য চাপ দেন স্বামী আফজালুল হক। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা সালিসও করেন। কিন্তু সর্বশেষ ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন স্বামী। আকতারা ভাইদের কাছ থেকে যৌতুকের টাকা এনে না দেওয়ায় লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ বলেন, ‘গ্রেপ্তার আতঙ্কে সম্পূর্ণ মিথ্যে ও সাজানো একটি মামলায় শয্যাশায়ী একজন মানুষ স্ট্রেচারে হাজিরা দিতে এসেছেন। আদালত সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে তার জামিনের আদেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, আসামি নিজেই হামলার শিকার হয়েছেন। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। মামলা রেকর্ডের আগে পুলিশের তদন্ত করা প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রংপুরে তর্কের একপর্যায়ে স্ত্রীকে থাপ্পড় দেন স্বামী আফজালুল হক (৫৩)। স্ত্রী আকতারা বেগম (৪৭) এ ঘটনা জানান ভাইদের। বোনকে থাপ্পড় মারায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দুলাইকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেন শ্যালকেরা।
এ ঘটনায় শ্যালকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন আফজালুল হক। কিন্তু মামলা ও পুলিশি ধরপাকর থেকে বাঁচতে শ্যালকেরা আকতারাকে দিয়ে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা দেন।
পুলিশ বার বার বাসায় তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে আজ স্ট্রেচারে করে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন আফজালুল হক। আদালতে জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এফ এম আহসানুল হকের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আফজালুল হকের বাড়ি রংপুর নগরীর হাজীরহাট জগদীশপুর এলাকায়।
স্বামীর জামিনের খবর শুনে আদালত চত্বর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যান আকতারা বেগম। এ সময় মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
মামলায় জামিনের পর স্বামী আফজালুল হক বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে টুকটাক কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্ত্রীকে তিনি চড় মারেন। পরে স্ত্রী তার ভাইদের জানালে, তারা রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে পা ভেঙে দেন। এরপর তিনি বাদী হয়ে তার ৪ শ্যালকের বিরুদ্ধে গত ৩১ শে মার্চ মামলা দায়ের করেন।
আফজালুল হক বলেন, ‘শ্যালকেরা মামলা থেকে বাঁচার জন্য আমার স্ত্রীকে বাদী করে আমার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এরপর পুলিশ গ্রেপ্তারের জন্য বারবার বাসায় যাওয়ায় বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স করে স্ট্রেচারে চড়ে আদালতে এসে হাজিরা দিলাম। জামিন পেলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে, আমার প্রতি যে অন্যায় হয়েছে তাঁর ন্যায় বিচার চাই।’
স্ত্রীর দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩১ বছর যাবৎ সংসার জীবনে নানা সময়ে যৌতুকের জন্য চাপ দেন স্বামী আফজালুল হক। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা সালিসও করেন। কিন্তু সর্বশেষ ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন স্বামী। আকতারা ভাইদের কাছ থেকে যৌতুকের টাকা এনে না দেওয়ায় লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ বলেন, ‘গ্রেপ্তার আতঙ্কে সম্পূর্ণ মিথ্যে ও সাজানো একটি মামলায় শয্যাশায়ী একজন মানুষ স্ট্রেচারে হাজিরা দিতে এসেছেন। আদালত সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে তার জামিনের আদেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, আসামি নিজেই হামলার শিকার হয়েছেন। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। মামলা রেকর্ডের আগে পুলিশের তদন্ত করা প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ...
১ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি পিস্তল, ৪টি গ্রেনেড, ৩টি মর্টার শেল, ১০টি রাইফেলের গুলি উদ্ধার করেছে বিজিবি
২ মিনিট আগেদিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল ইউনিয়নের চালান দীঘিরপাড় নামক সীমান্ত এলাকা দিয়ে চারজনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
১৭ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টা বা তাঁর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করালে আগামীকাল মঙ্গলবার যমুনা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই ঘোষণা দেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে
২১ মিনিট আগে