গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে প্রথম দিনে আজ রোববার কোনো নেতা-কর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। বিএনপির জেলা কার্যালয়ও বন্ধ ছিল। অবরোধে গাইবান্ধায় তেমন কোনো প্রভাব না পড়লেও সাধারণ মানুষকেও অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কোথাও যেতে দেখা যায়নি।
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। রংপুর-বগুড়ায় জরুরি কাজ থাকলেও মানুষ নিজস্ব মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হিসেবে ব্যবহার করছেন।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল ও জেলা যুবদলের সভাপতি রাগীব হাসান চৌধুরীসহ বিএনপির পাঁচ নেতা গ্রেপ্তার হন। ওই দিন পুলিশ বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০-৫০ জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।
প্রথম দফার কর্মসূচিতে অনেক নেতা-কর্মীকে দেখা গেলেও দ্বিতীয় দফার কর্মসূচিতে মাঠে না থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে খোদ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই। জেলায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা বিএনপির সভাপতিসহ পাঁচ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কোথায়। দলের কঠিন মুহূর্তে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা শুধু এমপি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিএনপি করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলায় একই ব্যক্তি দলের চার পাঁচটা অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকলে এটা সমস্যা হবে। যিনি বিএনপির জেলা কমিটিতে আছে, উনি আবার অঙ্গ দলের নেতা। এখানে কর্মীই বা নেতা বাড়বে ক্যামনে?’
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে সড়কে অটোরিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন লক্ষ্য করা যায়নি। সকালে দিকে দোকান-পাট বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে খুলতে থাকে দোকানপাট।
শহরের বাসিন্দা আখলাজ মিয়া বলেন, ‘যদিও বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোনো ধরনের সমস্যা করছে না, তারপরও আতঙ্কে থাকি। কখন যে কী হয়? তাই জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে ওতটা বের হই না।’
বিএনপির বিগত সময়ে কর্মসূচির মতোই গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়তে সাহস পাচ্ছেন না শ্রমিকেরা। দূরপাল্লার বাস চালক সাদা মিয়া বলেন, ‘একদিকে যাত্রী নাই। অন্যদিকে স্ট্যান্ড থেকে বাস ছাড়ার সাহসও পাচ্ছি না। পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ ও বগুড়ার অবস্থা ভালো না। খবরে দেখছি ওই সব এলাকায় গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, ভাঙচুর করতেছে। গাড়ি চালানো নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
সার্বিক বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির অবরোধ নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি। সকাল থেকে শহরসহ জেলা জুড়ে পুলিশের ট্রাফিক ও মোবাইল ডিউটি শুরু হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে। অবরোধের নামে কোথাও নৈরাজ্য করা হলে পুলিশ তা প্রতিহত করবে।’
গাইবান্ধায় বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে প্রথম দিনে আজ রোববার কোনো নেতা-কর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। বিএনপির জেলা কার্যালয়ও বন্ধ ছিল। অবরোধে গাইবান্ধায় তেমন কোনো প্রভাব না পড়লেও সাধারণ মানুষকেও অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কোথাও যেতে দেখা যায়নি।
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। রংপুর-বগুড়ায় জরুরি কাজ থাকলেও মানুষ নিজস্ব মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হিসেবে ব্যবহার করছেন।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল ও জেলা যুবদলের সভাপতি রাগীব হাসান চৌধুরীসহ বিএনপির পাঁচ নেতা গ্রেপ্তার হন। ওই দিন পুলিশ বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০-৫০ জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।
প্রথম দফার কর্মসূচিতে অনেক নেতা-কর্মীকে দেখা গেলেও দ্বিতীয় দফার কর্মসূচিতে মাঠে না থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে খোদ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই। জেলায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা বিএনপির সভাপতিসহ পাঁচ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কোথায়। দলের কঠিন মুহূর্তে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা শুধু এমপি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিএনপি করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলায় একই ব্যক্তি দলের চার পাঁচটা অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকলে এটা সমস্যা হবে। যিনি বিএনপির জেলা কমিটিতে আছে, উনি আবার অঙ্গ দলের নেতা। এখানে কর্মীই বা নেতা বাড়বে ক্যামনে?’
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে সড়কে অটোরিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন লক্ষ্য করা যায়নি। সকালে দিকে দোকান-পাট বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে খুলতে থাকে দোকানপাট।
শহরের বাসিন্দা আখলাজ মিয়া বলেন, ‘যদিও বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোনো ধরনের সমস্যা করছে না, তারপরও আতঙ্কে থাকি। কখন যে কী হয়? তাই জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে ওতটা বের হই না।’
বিএনপির বিগত সময়ে কর্মসূচির মতোই গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়তে সাহস পাচ্ছেন না শ্রমিকেরা। দূরপাল্লার বাস চালক সাদা মিয়া বলেন, ‘একদিকে যাত্রী নাই। অন্যদিকে স্ট্যান্ড থেকে বাস ছাড়ার সাহসও পাচ্ছি না। পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ ও বগুড়ার অবস্থা ভালো না। খবরে দেখছি ওই সব এলাকায় গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, ভাঙচুর করতেছে। গাড়ি চালানো নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
সার্বিক বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির অবরোধ নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি। সকাল থেকে শহরসহ জেলা জুড়ে পুলিশের ট্রাফিক ও মোবাইল ডিউটি শুরু হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে। অবরোধের নামে কোথাও নৈরাজ্য করা হলে পুলিশ তা প্রতিহত করবে।’
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন সরকারকে মারধরও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাকিনুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার পাকেরহাট বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১১ মিনিট আগেজানা গেছে, মঙ্গলবার কুষ্টিয়ায় আদালতে একটি মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা বলে থানা থেকে বের হন শাকিল আহমেদ। এরপর থেকে মাসুরা খাতুনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার শাকিল আহমেদের থানায় ফেরার কথা থাকলেও শুক্রবার পর্যন্ত তিনি ফেরেননি। এদিকে মাসুরা খাতুনের শ্বশুর বজলুর রহমান বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি...
১২ মিনিট আগেরাজশাহীর বাঘায় মিনি ট্রাক চাপায় বানেরা বেগম ওরফে (বানু) (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার মীরগঞ্জ মোড়ের উত্তরে আব্দুর রহমান মাস্টারের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেদিনাজপুরের বিরামপুরে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাওয়া কোহিনুর বেগম (২৭) ও তার ছেলে রিশাত কাইফ (২ মাস) ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপর ১২টার দিকে পৌর শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কোহিনুর উপজেলার ধানঘরা এলাকার গোলাম রব্বানীর স্ত্রী।
৩৯ মিনিট আগে