Ajker Patrika

গঙ্গাচড়ায় চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫৩
গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খোকা মিয়া, দছির উদ্দিন ও সোনা মিয়া। এর মধ্যে দছির উদ্দিন আগে একটি মাদক মামলায় ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

গঙ্গাচড়া মডেল থানা-পুলিশ গত শুক্রবার রাতে মহিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

মহিপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাল বাদশার (২৩) লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই পদক্ষেপ নেয়। অভিযোগে বলা হয়, গ্রেপ্তার আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। তাঁরা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন।

অভিযোগে জামাল বাদশা উল্লেখ করেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা তাঁর কাছেও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরে টাকা না দেওয়ায় স্থানীয় কিছু যুবককে ভুল বুঝিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও মিছিল করে অপপ্রচার চালানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দছির উদ্দিন মাদক মামলায় ৩৪ বছরের সাজা নিয়ে পলাতক ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিনি এখনো মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে টাকা আদায় করত। এমনকি তারা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তও মানত না। ‘বিচারের নামে’ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আল হাদী বলেন, ‘দছির, সোনা মিয়াসহ আমার ইউনিয়নের সকল মাদক কারবারির বিরুদ্ধে এর আগে আমি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এই লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় তারা আমাকে মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়েছে।’

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁদের মধ্যে দছির উদ্দিন নামের একজন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে এবং আজ সকালে তাঁদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শাহজালালের আগুন, ফ্লাইট ওঠানামা স্থগিত

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে কী ধরনের পণ্য থাকে

গঙ্গাচড়ায় চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগুন নেভাতে বাধা ছিল বাতাস, কারণ জানা যাবে তদন্তের পর: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শনিবার রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শনিবার রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। ছবি: আজকের পত্রিকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাতাস সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। বর্তমানে আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর আপনারা জানেন ডমেস্টিক ফ্লাইট কিন্তু চালু হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের হিসাবে দুজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়ে থাকতে পারেন। আমরা সংখ্যাটা এখনো কনফার্ম না।’

জাহেদ কামাল বলেন, আর যে জায়গায় আগুনের ঘটনা, এটা হচ্ছে আমদানি কার্গো রাখার জায়গা, আনুমানিক ৪০০ বাই ৪০০ গজ, যেখানে খোলা জায়গায় এবং বদ্ধ জায়গায় বা বিভিন্ন স্টোরে নানা ধরনের মালামাল রক্ষিত থাকে। আমরা সেখানেই আগুন নেভানোর কাজ করেছি। আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব। নির্বাপণের পর আমরা কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব হ্যান্ডওভার করে চলে যাব।’

অন্যান্য বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘এই কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের আমরা দেখেছি, তাঁরা বিভিন্নভাবে আগুন নেভানোর কাজে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত আসলে আগুন নেভানোর পরে বলা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এখন আমরা এটা বলতে পারছি না।’

আগুন নেভাতে এসে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন—জানতে চাইলে ডিজি বলেন, ‘আসলে আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় প্রবলেম ছিল বাতাস। যেহেতু এটা খোলা জায়গা, প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের একটা প্রাপ্তি সব সময় ছিল, যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করে। যে কারণে আপনারা অনেক ওপরে পর্যন্ত ধোঁয়া দেখতে পেয়েছেন। নিচে হয়তো আগুন অল্প। কিন্তু বাতাসের কারণে আপনাদের কাছে মনে হয়েছে অনেক বড়, ওপরে যেহেতু ধোঁয়া উঠেছে। আর দুই নাম্বার হচ্ছে, কার্গোর ভেতরের জায়গাগুলো খোপ খোপ করা, এই খোপ খোপের মধ্যে আবার দেয়াল দেওয়া। ফলে প্রত্যেকটা খোপ পরিষ্কার করে আমাদের আগুন নেভাতে হয়েছে। এটা আমাদের একটা ডিফিকাল্টিস ছিল।’

ডিজি আরও বলেন, ‘আর কিছু কার্গো ছিল খোলা জায়গায়, তো খোলা জায়গায় যেহেতু কার্গো ছিল, আপনারা দেখেছেন, এয়ারপোর্টে খোলা জায়গায় কিছু কার্গো থাকে, সেগুলোতে খুব সহজেই আগুন ধরে গেছে। যেহেতু বাতাস ছিল, বাতাসের ফ্লোতে দ্রুত আগুনটা ছড়িয়ে পড়েছে। যা হোক, আমরা সবকিছু আমাদের কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমাদের চেষ্টা জারি আছে। আমরা চেষ্টা করেছি, যাতে দ্রুত সময়ে ইন্টারন্যাশনাল এবং ডমেস্টিক ফ্লাইট চালু করে দেওয়া যায়।’

আগুন থেকে আপনারা কী কী রক্ষা করতে পারলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ যখন আগুন নির্বাপণের কাজ চলছিল, তখন আমরা একদিকে আগুন নেভানোর কাজ করেছি এবং অন্যদিকে আমরা জায়গা করে দিয়েছি জিনিসপত্র বের করে নিয়ে আসার জন্য। অনেক জিনিসপত্র আমরা বের করতে দেখেছি। এখন কী পরিমাণ, কতটুকু হয়েছে, এটা আসলে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘আমরা এখনো কাজ করছি। কাজ করার সময় মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। কাজ করার পর আমরা বুঝব, কোন জায়গায় প্রবলেম ফেস করেছি। কারণ আমরা সবাই কাজ করছি। সম্মিলিতভাবে যখন সবার মতামত পাব, তখন আমরা বলতে পারব কী কী মানদণ্ড ছিল না বা কোন জায়গায় তারা প্রবলেম ফেস করেছে। একটি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টকে কীভাবে সচল করা যায়, আমরা সেই চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলাম। আমরা সেটা আল্লাহর রহমতে করেছি। এখন আমরা বাকিদের সঙ্গে বসব। কোথাও কোনো সমস্যা ফেস করেছি কি না? এক ভাই জানতে চাইলেন কোনো কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না? সেগুলো তখন জানা যাবে। এখন আমাদের কাছে প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে, আগুনটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাপণ করে ফেলা। সেটা আমরা করছি।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘এয়ারপোর্টের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কোনো অফিস নেই। আমরা যখন আড়াইটায় খবর পেয়েছি, তারপর মুভ করেছি। এখানে যাদের ফায়ার ফাইটিং গাড়ি দেখেছেন এটা হচ্ছে এভিয়েশনের, আমাদের না। প্রাথমিক রেসপন্সটা এখানকার এভিয়েশন টিম করেছে।’

এতটা সময় লাগল কেন এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণ কেন করা গেল না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমার বক্তব্যে বলেছি যে আমরা যখন এসেছি আগুন অলমোস্ট ডেভেলপড স্টেজে ছিল। এই জায়গা হচ্ছে পুরোটা খোলা। খোলা জায়গার মধ্যে কার্গো আছে। প্রচুর বাতাস ছিল। আবার কার্গোর ভেতরে ওগুলো খোপ খোপ কম্পার্টমেন্ট করা।

কেমিক্যাল ছিল কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এখন বলা যাবে না। তবে কিছু কিছু নীল ধোঁয়া আমরা দেখেছি। তার মানে কেমিক্যাল ছিল, এটা বলা যাবে না। যখন নির্বাপণ হবে, তখন আমরা ওভারঅল বলতে পারব, আসলে কোনো কেমিক্যাল ছিল কি না।’

পুরোপুরি নির্বাপণে আর কতটুকু সময় লাগতে পারে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অলরেডি পুরোপুরি আমাদের কন্ট্রোলে চলে এসেছে। আর বেশিক্ষণ লাগবে না।’

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এর আগে চট্টগ্রাম, মিরপুরে আগুন লাগার ঘটনা দেখলাম। আগুন লাগার পর দেখা যায় অনুমোদন, ফায়ার লাইসেন্স ছিল না। আগুন লাগার পরে দেখা যায় যে অনুমতি ছিল না। তো এই বিষয়টা আপনারা জোরালোভাবে দেখবেন কি না?

জবাবে ডিজি বলেন, ‘আপনি যদি একটু খোঁজ নেন, তাহলে দেখবেন যেসব প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগছে, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সেখানে যথাযথ নোটিশ প্রদান, ইন্সপেকশন করা, তাদের সতর্ক করা, লাইসেন্স না দেওয়া—এসব করা হয়েছে। কিন্তু আপনাকে বলার পর যদি আইন না মানেন, তাহলে? আইন না মানার জন্য, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। আগুন বা দুর্যোগে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো, তাদের উদ্ধার করা। কিন্তু আইন প্রয়োগের জায়গাটা অন্যান্য অথরিটির। তবে আমরা মানুষকে সচেতন করি। আপনি বলতে পারেন সমন্বিত একটি চেষ্টার প্রয়াস প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শাহজালালের আগুন, ফ্লাইট ওঠানামা স্থগিত

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে কী ধরনের পণ্য থাকে

গঙ্গাচড়ায় চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওমানে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আট বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আট বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ওমানের মাস্কাট থেকে কফিনবন্দী মরদেহগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এরপর বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষ রাত সোয়া ৯টার পর মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. ইব্রাহীম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মরদেহ আসার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নিহতদের স্বজনদের পাশাপাশি সন্দ্বীপ উপজেলার বিএনপি, জামায়াতের নেতারাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

রাত সোয়া ৯টার পর একে একে ৮টি মরদেহের কফিন স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া নিহত প্রবাসীদের লাশ দাফন-কাফনের জন্য প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বজনদের কাছে একটি করে চেক হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে মরদেহ বুঝে পাওয়ার পর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় বিমানবন্দরে। এ সময় আত্মীয়স্বজনদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বিমানবন্দর থেকে পৃথক অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহগুলো নিয়ে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন স্বজনেরা।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী মো. আমিন সওদাগরের ভাই মো. আজগর বলেন, ‘আমার ভাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় ওনার হঠাৎ মৃত্যুতে আজ পুরো পরিবার একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।’ এ সময় তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে ওমানের দুখুম সিদ্দা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আট বাংলাদেশি। এদের মধ্যে সাতজন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা। অপরজন রাউজান উপজেলার বাসিন্দা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শাহজালালের আগুন, ফ্লাইট ওঠানামা স্থগিত

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে কী ধরনের পণ্য থাকে

গঙ্গাচড়ায় চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চমেকে ট্রিপল মার্ডারের বিচার হয়নি আজও, স্মরণসভায় আক্ষেপ চিকিৎসকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চমেক কনফারেন্স হলে শহীদ ডা. মিজানুর রহমানের ৩২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চমেক কনফারেন্স হলে শহীদ ডা. মিজানুর রহমানের ৩২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) আজও বয়ে বেড়াচ্ছে ৩২ বছরের পুরোনো ক্ষত। ১৯৯৩ সালের ১৮ অক্টোবর ট্রিপল মার্ডার হন মেধাবী শিক্ষার্থী ডা. মিজানুর রহমানসহ তিনজন। তিন দশক পার হলেও সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) চমেক কনফারেন্স হলে শহীদ ডা. মিজানুর রহমানের ৩২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে এ আক্ষেপের সুর ওঠে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডা. মিজান স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

বক্তারা বলেন, তৎকালীন প্রশাসনের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে আজও বিচার পেল না ডা. মিজানের পরিবার। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই মিজানদের হত্যার বিচার হয় না। তাই অবিলম্বে ডা. মিজান হত্যা মামলার পুনরুত্থাপন করে হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচার ও শাস্তির দাবি তোলেন চমেকের সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শহীদ ডা. মিজান ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও চমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. সেলিম। প্রধান অতিথি ছিলেন বি এম এ চট্টগ্রাম শাখার প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট সদস্য ডা. এ কে এম ফজলুল হক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. তসলিম উদ্দিন, ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কার্ডিওলজির কনসালট্যান্ট ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ৩০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশিষ্ট সার্জন ডা. মো. আবু নাসের, চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও অর্থোপেডিক সার্জন ডা. এ টি এম রেজাউল করিম, শহীদ ডা. মিজান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।

বক্তব্য দেন ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ, চমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এ ওয়াই এম এন জাহাঙ্গীর, শিশু মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল আজম সাজ্জাদ, মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ৩৯তম প্রজন্মের শিক্ষার্থী ডা. ইমরোজ উদ্দিন।

স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৩০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম কামরুল হক।

স্মরণসভায় বলা হয়, ১৯৯৩ সালের ১৮ অক্টোবর ছাত্রলীগের তৎকালীন চমেক ছাত্র সংসদের ভিপি ও জিএসের নেতৃত্বে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার হয়নি। বরং খুনিরা আজও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলার আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়েছে; যা ন্যায়বিচারের চরম পরাজয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শাহজালালের আগুন, ফ্লাইট ওঠানামা স্থগিত

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে কী ধরনের পণ্য থাকে

গঙ্গাচড়ায় চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজার থেকে ৬ ঘণ্টা পর ঢাকার পথে বিমান ছেড়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (আমদানি করা পণ্যের মজুত স্থান) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে রাত ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে গত ৬ ঘণ্টায় অন্তত ৭টি ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে, যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীরা।

একটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের কথা ছিল। কিন্তু সেটি যেতে পেরেছে রাত ৯টায়।

রাত ৯টার পর থেকে ঢাকার উদ্দেশে আটকে থাকা ফ্লাইটগুলো রওনা করছে বলে জানান কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক গোলাম মুর্তজা। তিনি বলেন, ‘এখন ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ঢাকা থেকেও বিমান নামবে, যাত্রীরা সাময়িক কষ্ট পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শাহজালালের আগুন, ফ্লাইট ওঠানামা স্থগিত

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে কী ধরনের পণ্য থাকে

গঙ্গাচড়ায় চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত