জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা (গাইবান্ধা)
‘টিকে থাকব বলে এত দিন আশা আশায় ছিলাম, এখন বুঝি আর শেষ রক্ষা হয় না! টিকে থাকার লড়াইয়ে হার মেনে শেষমেশ হয়তো এখান থেকে বাড়িঘর নিয়ে সরে যেতেই হবে।’ এভাবে হতাশা ব্যক্ত করে কথা গুলো বলছিলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার মানুষ।
গতকাল রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের দেখে তারা এই হতাশা প্রকাশ করেন। এবার বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে এরই মধ্যেই ১৫০ পরিবারের ঘরবাড়ি ও বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি বিলীন হয়েছে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৮০০ কোটি টাকার নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের অধীনে জরুরিভাবে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেললেও ভাঙন থামানো যাচ্ছে না। ফলে নদীর তীরে ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছেন নদী তীরের মানুষ। আতঙ্কে এরই মধ্যেই দুই শতাধিক পরিবার বসতভিটা থেকে বাড়িঘর সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭৯৮ কোটি টাকার যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের অধীনে সাঘাটা উপজেলার মূল ভূখণ্ড রক্ষা কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণে ভাঙন প্রতিরোধ হচ্ছে না। ফলে এখনো বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দীঘলকান্দি, সাঘাটা ইউনিয়নের হাটবাড়ি ও মুন্সির হাট এলাকা যমুনার প্রবল ভাঙনের মুখে পড়েছে। অব্যাহত ভাঙনের কারণে এসব এলাকার দেড় শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি ও বিস্তীর্ণ এলাকার ধান, পাট, মরিচ, কাউন, তিলসহ নানা ধরনের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ভয়ে বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছরই যমুনার ভাঙনে ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়। হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য দক্ষিণ দীঘলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই, পাতিলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মণির উদ্দিন জানান, ভাঙনের কবলে পড়ায় তাড়াহুড়া করে তাঁদের বাড়িঘর সরিয়ে নিতে হয়েছে।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর বসতভিটাসহ ৫০ টির বেশি পরিবারের ঘরবাড়ি ও অনেক আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, এবার বর্ষা শুরু থেকে যমুনা নদীর তীরবর্তী তার ইউনিয়নের হাটবাড়ি ও মুন্সির হাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। টানা ভাঙনে এক মাসের ব্যবধানে কমপক্ষে শতাধিক পরিবারের ভিটে-মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গৃহহারা পরিবারগুলো বিভিন্ন স্থানে গিয়ে অস্থায়ীভাবে আশ্রিত জীবন যাপন করছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাই করিমের সঙ্গে। তিনি জানান, যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা কাজে কোনোরূপ অবহেলা বা গাফিলতি নেই, জোরালোভাবে কাজ চরছে। স্থায়ী কাজ চলমান আছে, শেষ হলে ভাঙবে না।
‘টিকে থাকব বলে এত দিন আশা আশায় ছিলাম, এখন বুঝি আর শেষ রক্ষা হয় না! টিকে থাকার লড়াইয়ে হার মেনে শেষমেশ হয়তো এখান থেকে বাড়িঘর নিয়ে সরে যেতেই হবে।’ এভাবে হতাশা ব্যক্ত করে কথা গুলো বলছিলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার মানুষ।
গতকাল রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের দেখে তারা এই হতাশা প্রকাশ করেন। এবার বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে এরই মধ্যেই ১৫০ পরিবারের ঘরবাড়ি ও বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি বিলীন হয়েছে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৮০০ কোটি টাকার নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের অধীনে জরুরিভাবে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেললেও ভাঙন থামানো যাচ্ছে না। ফলে নদীর তীরে ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছেন নদী তীরের মানুষ। আতঙ্কে এরই মধ্যেই দুই শতাধিক পরিবার বসতভিটা থেকে বাড়িঘর সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭৯৮ কোটি টাকার যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের অধীনে সাঘাটা উপজেলার মূল ভূখণ্ড রক্ষা কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণে ভাঙন প্রতিরোধ হচ্ছে না। ফলে এখনো বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দীঘলকান্দি, সাঘাটা ইউনিয়নের হাটবাড়ি ও মুন্সির হাট এলাকা যমুনার প্রবল ভাঙনের মুখে পড়েছে। অব্যাহত ভাঙনের কারণে এসব এলাকার দেড় শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি ও বিস্তীর্ণ এলাকার ধান, পাট, মরিচ, কাউন, তিলসহ নানা ধরনের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ভয়ে বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছরই যমুনার ভাঙনে ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়। হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য দক্ষিণ দীঘলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই, পাতিলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মণির উদ্দিন জানান, ভাঙনের কবলে পড়ায় তাড়াহুড়া করে তাঁদের বাড়িঘর সরিয়ে নিতে হয়েছে।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর বসতভিটাসহ ৫০ টির বেশি পরিবারের ঘরবাড়ি ও অনেক আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, এবার বর্ষা শুরু থেকে যমুনা নদীর তীরবর্তী তার ইউনিয়নের হাটবাড়ি ও মুন্সির হাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। টানা ভাঙনে এক মাসের ব্যবধানে কমপক্ষে শতাধিক পরিবারের ভিটে-মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গৃহহারা পরিবারগুলো বিভিন্ন স্থানে গিয়ে অস্থায়ীভাবে আশ্রিত জীবন যাপন করছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাই করিমের সঙ্গে। তিনি জানান, যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা কাজে কোনোরূপ অবহেলা বা গাফিলতি নেই, জোরালোভাবে কাজ চরছে। স্থায়ী কাজ চলমান আছে, শেষ হলে ভাঙবে না।
রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
২ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের শিবচরে নিজের ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আড়িয়াল খাঁ নদে ফেলে দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ছেলের বোঝা বইতে না পেরে ছেলেকে নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর সদর উপজেলায় মাদ্রাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার শিক্ষকেরা নির্যাতনে জিদানকে হত্যা করে লাশ শৌচাগারে ঝুলিয়ে রেখেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল
৩ ঘণ্টা আগে