মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
বাজারে হাঁড়িভাঙা আমের সরবরাহ বাড়লেও গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ভোক্তারা। স্বাদ ও দৃঢ়তার ঘাটতির কারণে আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ী ও চাষিরা—এতে লোকসানের আশঙ্কাও করছেন তাঁরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার মিঠাপুকুর উপজেলার ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির আমবাগানে ২৬ থেকে ৩০ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গরমের তীব্রতায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ৭ জুন থেকে বাজারে ওঠে ‘হাঁড়িভাঙা’ আম। তখন কেজিপ্রতি দাম ছিল ৭০ থেকে ৯০ টাকা। কিন্তু সময়ের আগেই পাকানোর জন্য অনেক ব্যবসায়ী ক্যালসিয়াম কার্বাইড বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার করায় আম দ্রুত নরম হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
হাঁড়িভাঙা আম পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম সরকার বলেন, ‘চাষিরা সাধারণত রাসায়নিক ব্যবহার করেন না। তবে বাগান কিনে নেওয়া কিছু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক প্রয়োগ করছেন, এতে আমের স্বাদ ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে।’
অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাতকরণ শুরু হয় ১৭ জুন। ওই দিন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল পদাগঞ্জ হাটে আম বাজারজাত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও।
তবে বাজারে আমের সরবরাহ বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মিঠাপুকুর উপজেলা সদরের আম ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া বলেন, ‘গত বছর এ সময় প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এ বছর তা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়ছি।’
রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘চরম গরমে আম দ্রুত পেকে যাচ্ছে। ফলে সংরক্ষণ কঠিন, তাই দামও কম।’
আরেক ব্যবসায়ী লিটন জানান, পাকা আমের চেয়ে এখন কাঁচা আমের দাম বেশি।
ভোক্তা প্রসেনজিৎ কুমার বলেন, ‘আম দেখতে তাজা হলেও ভেতরে নরম। খেতে ভালো লাগে না।’
চাষি আব্দুস সালাম সরকার বলেন, ‘এই বছর আমি আমার ২৮ বিঘা জমির বাগান আট লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। অথচ গত বছর এই একই বাগান ১২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গত বছর হাঁড়িভাঙা আম জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে, তাই এর গুণগত মান ধরে রাখা জরুরি। গবেষণার অভাবে গুণাগুণ দিনদিন কমে যাচ্ছে।’
জেলা বিএনপির সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান রানা বলেন, ‘রংপুর ব্র্যান্ড হিসেবে হাঁড়িভাঙা আমের সুনাম রক্ষায় ব্যবসায়ী ও চাষিদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল আবেদীন বলেন, ‘রংপুর জেলার মোট আম উৎপাদনের ৮০ ভাগই আসে মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ও ময়েনপুর ইউনিয়ন থেকে। আম দ্রুত নরম হয়ে যাওয়ার পেছনে প্রাকৃতিক কারণও রয়েছে। তবে হাঁড়িভাঙা আম রপ্তানিযোগ্য করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষণাকেন্দ্র ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে।’
বাজারে হাঁড়িভাঙা আমের সরবরাহ বাড়লেও গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ভোক্তারা। স্বাদ ও দৃঢ়তার ঘাটতির কারণে আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ী ও চাষিরা—এতে লোকসানের আশঙ্কাও করছেন তাঁরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার মিঠাপুকুর উপজেলার ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির আমবাগানে ২৬ থেকে ৩০ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গরমের তীব্রতায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ৭ জুন থেকে বাজারে ওঠে ‘হাঁড়িভাঙা’ আম। তখন কেজিপ্রতি দাম ছিল ৭০ থেকে ৯০ টাকা। কিন্তু সময়ের আগেই পাকানোর জন্য অনেক ব্যবসায়ী ক্যালসিয়াম কার্বাইড বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার করায় আম দ্রুত নরম হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
হাঁড়িভাঙা আম পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম সরকার বলেন, ‘চাষিরা সাধারণত রাসায়নিক ব্যবহার করেন না। তবে বাগান কিনে নেওয়া কিছু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক প্রয়োগ করছেন, এতে আমের স্বাদ ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে।’
অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাতকরণ শুরু হয় ১৭ জুন। ওই দিন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল পদাগঞ্জ হাটে আম বাজারজাত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও।
তবে বাজারে আমের সরবরাহ বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মিঠাপুকুর উপজেলা সদরের আম ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া বলেন, ‘গত বছর এ সময় প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এ বছর তা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়ছি।’
রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘চরম গরমে আম দ্রুত পেকে যাচ্ছে। ফলে সংরক্ষণ কঠিন, তাই দামও কম।’
আরেক ব্যবসায়ী লিটন জানান, পাকা আমের চেয়ে এখন কাঁচা আমের দাম বেশি।
ভোক্তা প্রসেনজিৎ কুমার বলেন, ‘আম দেখতে তাজা হলেও ভেতরে নরম। খেতে ভালো লাগে না।’
চাষি আব্দুস সালাম সরকার বলেন, ‘এই বছর আমি আমার ২৮ বিঘা জমির বাগান আট লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। অথচ গত বছর এই একই বাগান ১২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গত বছর হাঁড়িভাঙা আম জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে, তাই এর গুণগত মান ধরে রাখা জরুরি। গবেষণার অভাবে গুণাগুণ দিনদিন কমে যাচ্ছে।’
জেলা বিএনপির সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান রানা বলেন, ‘রংপুর ব্র্যান্ড হিসেবে হাঁড়িভাঙা আমের সুনাম রক্ষায় ব্যবসায়ী ও চাষিদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল আবেদীন বলেন, ‘রংপুর জেলার মোট আম উৎপাদনের ৮০ ভাগই আসে মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ও ময়েনপুর ইউনিয়ন থেকে। আম দ্রুত নরম হয়ে যাওয়ার পেছনে প্রাকৃতিক কারণও রয়েছে। তবে হাঁড়িভাঙা আম রপ্তানিযোগ্য করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষণাকেন্দ্র ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে।’
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার ও এর আশপাশের এলাকায় পর্যটকবাহী হাউসবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
৪ মিনিট আগেসরকারি চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সচিবালয়ে কর্মচারীদের দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগারে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা।
৮ মিনিট আগে২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগম বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।
২৭ মিনিট আগেরাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে