সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ছোটবেলা থেকে চাকরির প্রতি তেমন কোনো ইচ্ছা ছিল না নাহিদ হোসেনের। ভাবতেন নিজেই একজন উদ্যোক্তা হবেন। কারও অধীনে চাকরি করবেন না। তাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজ এলাকায় শুরু করেন মৌ খামার। তরুণ এই উদ্যোক্তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের বকুড়াল গ্রামে।
নাহিদ ২০২১ সাল থেকে মৌ খামারে মধু উৎপাদন শুরু করেন। গ্রামের সরিষাখেত, লিচুর মুকুল, কুমড়ো খেত থেকে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করেন নাহিদ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মধুর অর্ডার পান তিনি। এ ছাড়া ক্রেতারা মধু কিনতে ভিড় করেন তাঁর বাড়িতে। ক্রেতারা তাঁর উৎপাদিত মধু কেনেন প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
এ বিষয়ে উদ্যোক্তা নাহিদ বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর গত বছর লকডাউনে মৌ চাষ শুরু করি। এর আগে মৌ খামারের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। রপ্ত করা প্রশিক্ষণ কাজে লাগাই মৌ চাষে। টিউশনের জমানো ৭ হাজার টাকায় দুটি মৌমাছির বাক্স কিনে শুরু করি যাত্রা। এখন ১০টিরও বেশি মৌ বাক্সে রয়েছে। প্রতি মৌসুমে প্রতিটি বাক্স থেকে ৮-১০ হাজার টাকার মধু পাই।’
মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে নাহিদ জানান, মৌবাক্স ফসলের মাঠে রেখে দিই। দিনের বেলা মৌমাছিগুলো ফুল থেকে নেকটার (ফুলের রস) সংগ্রহ করে। ফুলের এই রসকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মধুতে পরিণত করি। নেকটার সংগ্রহের সময় তাতে পানির পরিমাণ থাকে ৫০-৬০ ভাগ। পরে মেশিন দিয়ে মধু সংগ্রহ করতে হয়। মেশিনে সংগ্রহের ফলে মৌচাক কিংবা বাচ্চা কিছুই নষ্ট হয় না।
নাহিদ আরও বলেন, ‘আমি পড়াশোনার পাশাপাশি মৌ খামার শুরু করেছি। শুরুটা শখের বশে হলেও আশা করছি নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারব। দিনে দিনে আমার স্বপ্নের প্রসার ঘটছে। এখন লেখাপড়ার খরচের পাশাপাশি পরিবারকেও আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারছি। ভবিষ্যতে আমি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি প্রত্যাশা করি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা পেলে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।’
এ বিষয়ে মধু ক্রেতা সাফিউন ইসলাম বলেন, ‘বাজারে খুব একটা খাঁটি মধু মেলে না। নাহিদের কাছে খুব সহজেই খাঁটি মধু পাই। আমি নিয়মিত তাঁর খামার থেকে মধু কিনি।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী জানে আলম বলেন, ‘উপজেলায় নাহিদের মৌ খামারটি বেশ আলোচিত। ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী। তার এই মৌ খামার তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, ‘মধু চাষ করে একদিকে লাভবান হচ্ছেন মৌচাষিরা, অন্যদিকে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও। মৌ চাষ সম্প্রসারণ হলে যুবসমাজ জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া মৌ চাষে বড় ধরনের পুঁজি লাগে না। মৌচাষিদের বড় পুঁজি হলো প্রশিক্ষণ, যা আমরা বিভিন্নভাবে মৌচাষিদের দিয়ে আসছি।’
ছোটবেলা থেকে চাকরির প্রতি তেমন কোনো ইচ্ছা ছিল না নাহিদ হোসেনের। ভাবতেন নিজেই একজন উদ্যোক্তা হবেন। কারও অধীনে চাকরি করবেন না। তাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজ এলাকায় শুরু করেন মৌ খামার। তরুণ এই উদ্যোক্তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের বকুড়াল গ্রামে।
নাহিদ ২০২১ সাল থেকে মৌ খামারে মধু উৎপাদন শুরু করেন। গ্রামের সরিষাখেত, লিচুর মুকুল, কুমড়ো খেত থেকে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করেন নাহিদ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মধুর অর্ডার পান তিনি। এ ছাড়া ক্রেতারা মধু কিনতে ভিড় করেন তাঁর বাড়িতে। ক্রেতারা তাঁর উৎপাদিত মধু কেনেন প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
এ বিষয়ে উদ্যোক্তা নাহিদ বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর গত বছর লকডাউনে মৌ চাষ শুরু করি। এর আগে মৌ খামারের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। রপ্ত করা প্রশিক্ষণ কাজে লাগাই মৌ চাষে। টিউশনের জমানো ৭ হাজার টাকায় দুটি মৌমাছির বাক্স কিনে শুরু করি যাত্রা। এখন ১০টিরও বেশি মৌ বাক্সে রয়েছে। প্রতি মৌসুমে প্রতিটি বাক্স থেকে ৮-১০ হাজার টাকার মধু পাই।’
মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে নাহিদ জানান, মৌবাক্স ফসলের মাঠে রেখে দিই। দিনের বেলা মৌমাছিগুলো ফুল থেকে নেকটার (ফুলের রস) সংগ্রহ করে। ফুলের এই রসকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মধুতে পরিণত করি। নেকটার সংগ্রহের সময় তাতে পানির পরিমাণ থাকে ৫০-৬০ ভাগ। পরে মেশিন দিয়ে মধু সংগ্রহ করতে হয়। মেশিনে সংগ্রহের ফলে মৌচাক কিংবা বাচ্চা কিছুই নষ্ট হয় না।
নাহিদ আরও বলেন, ‘আমি পড়াশোনার পাশাপাশি মৌ খামার শুরু করেছি। শুরুটা শখের বশে হলেও আশা করছি নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারব। দিনে দিনে আমার স্বপ্নের প্রসার ঘটছে। এখন লেখাপড়ার খরচের পাশাপাশি পরিবারকেও আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারছি। ভবিষ্যতে আমি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি প্রত্যাশা করি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা পেলে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।’
এ বিষয়ে মধু ক্রেতা সাফিউন ইসলাম বলেন, ‘বাজারে খুব একটা খাঁটি মধু মেলে না। নাহিদের কাছে খুব সহজেই খাঁটি মধু পাই। আমি নিয়মিত তাঁর খামার থেকে মধু কিনি।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী জানে আলম বলেন, ‘উপজেলায় নাহিদের মৌ খামারটি বেশ আলোচিত। ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী। তার এই মৌ খামার তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, ‘মধু চাষ করে একদিকে লাভবান হচ্ছেন মৌচাষিরা, অন্যদিকে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও। মৌ চাষ সম্প্রসারণ হলে যুবসমাজ জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া মৌ চাষে বড় ধরনের পুঁজি লাগে না। মৌচাষিদের বড় পুঁজি হলো প্রশিক্ষণ, যা আমরা বিভিন্নভাবে মৌচাষিদের দিয়ে আসছি।’
২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৯৩ জন রোগী। যা গত কয়েক বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯৫ জনে। এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২১ জন।
১ মিনিট আগেরাজধানীতে কোনো ধরনের মব জাস্টিসকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি আরও বলেন, এসব ঘটনায় মামলা করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া মব জাস্টিস বা গণপিটুনির মতো ঘটনাগুলো প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের...
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি পাটকলের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে মহাসড়কের কাচঁপুর এলাকায় মালেক জুট মিলের শ্রমিকের এ মিছিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়াটিয়ার সঙ্গে দ্বন্দে আহত হয়ে এক বাড়িয়েওয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. আবুল বাশার (৭০)। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় এ দ্বন্দের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া পরিবারের তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে