পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে মুসল্লি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহতের পর বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিনভর আতঙ্কে পঞ্চগড় বাজারের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও আজ শনিবার সকাল থেকে সেসব খুলতে শুরু করেছে। শহরে জনসাধারণের যাতায়াত ও দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক গতিতে চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।
আজ বেলা ৩টার দিকে এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানিয়েছেন জলসা সংশ্লিষ্টরা। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত আহমদিয়াদের প্রতিষ্ঠানগুলো বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেগুলোতে কোনো মালামাল দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম সিরিজুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এর পরও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।’
এসপি আরও বলেন, ‘জলসাকে কেন্দ্র করে নিহত দুজন হলেন শহরের মসজিদপাড়া মহল্লার ফরমান আলীর পুত্র আরিফুর রহমান (২৭) এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জাহিদ হাসান (২৩)। জাহিদ জলসায় যোগ দিতে এসে আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হন।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্ভূত ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।’
এদিকে সালানা জলসার আয়োজক কমিটির মিডিয়া আহ্বায়ক মাহমুদ আহমদ সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ বেলা ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে আমরা বিস্তারিত জানাব।’
সুমন আরও বলেন, ‘আমরা সব সময়ই আতঙ্কে থাকতাম, গতকালের ঘটনার পর এখনো আতঙ্কে আছি।’
এ বিষয়ে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের নিহত মুসল্লির জানাজা শেষে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’
গতকাল শুক্রবার পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আহমদিয়াদের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সালানা জলসা বন্ধসহ তাঁদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদের ডাকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের তেঁতুলিয়া রোডের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বড় পরিসরে চৌরঙ্গী মোড়ের দিকে আসতে থাকে। এ সময় পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন মুসল্লিরা। এ সময় পুলিশও শত শত রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এর মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের কয়েকটি অংশ জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। তারা পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর, ট্রাফিক পুলিশের অফিসে অগ্নিসংযোগ করে।
এ ছাড়া আরেকটি অংশ পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের চারটি দোকানের মালামাল বের করে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাঁদের অন্তত ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা।
সংঘর্ষ চলাকালে গুলির আঘাতে আরিফুর রহমান নামে এক যুবক আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত। দুজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন। এবার পঞ্চগড়ের আহমদনগর এলাকায় ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সালানা জলসার আয়োজন করেন কাদিয়ানিরা। এই জলসা বন্ধ করতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধসহ ভাঙচুর ও আহমদিয়াদের বাড়িতে হামলা করে ইসলামি সংগঠনগুলোর কর্মী-সমর্থকেরা। শুক্রবার সম্মিলিত বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে মুসল্লি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহতের পর বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিনভর আতঙ্কে পঞ্চগড় বাজারের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও আজ শনিবার সকাল থেকে সেসব খুলতে শুরু করেছে। শহরে জনসাধারণের যাতায়াত ও দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক গতিতে চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।
আজ বেলা ৩টার দিকে এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানিয়েছেন জলসা সংশ্লিষ্টরা। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত আহমদিয়াদের প্রতিষ্ঠানগুলো বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেগুলোতে কোনো মালামাল দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম সিরিজুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এর পরও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।’
এসপি আরও বলেন, ‘জলসাকে কেন্দ্র করে নিহত দুজন হলেন শহরের মসজিদপাড়া মহল্লার ফরমান আলীর পুত্র আরিফুর রহমান (২৭) এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জাহিদ হাসান (২৩)। জাহিদ জলসায় যোগ দিতে এসে আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হন।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্ভূত ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।’
এদিকে সালানা জলসার আয়োজক কমিটির মিডিয়া আহ্বায়ক মাহমুদ আহমদ সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ বেলা ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে আমরা বিস্তারিত জানাব।’
সুমন আরও বলেন, ‘আমরা সব সময়ই আতঙ্কে থাকতাম, গতকালের ঘটনার পর এখনো আতঙ্কে আছি।’
এ বিষয়ে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের নিহত মুসল্লির জানাজা শেষে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’
গতকাল শুক্রবার পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আহমদিয়াদের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সালানা জলসা বন্ধসহ তাঁদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদের ডাকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের তেঁতুলিয়া রোডের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বড় পরিসরে চৌরঙ্গী মোড়ের দিকে আসতে থাকে। এ সময় পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন মুসল্লিরা। এ সময় পুলিশও শত শত রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এর মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের কয়েকটি অংশ জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। তারা পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর, ট্রাফিক পুলিশের অফিসে অগ্নিসংযোগ করে।
এ ছাড়া আরেকটি অংশ পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের চারটি দোকানের মালামাল বের করে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাঁদের অন্তত ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা।
সংঘর্ষ চলাকালে গুলির আঘাতে আরিফুর রহমান নামে এক যুবক আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত। দুজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন। এবার পঞ্চগড়ের আহমদনগর এলাকায় ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সালানা জলসার আয়োজন করেন কাদিয়ানিরা। এই জলসা বন্ধ করতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধসহ ভাঙচুর ও আহমদিয়াদের বাড়িতে হামলা করে ইসলামি সংগঠনগুলোর কর্মী-সমর্থকেরা। শুক্রবার সম্মিলিত বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
মানিকগঞ্জে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। আজ রোববার দুপরে তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
৬ মিনিট আগেঢাকা-নোয়াখালী রুটে বরাদ্দ নতুন ট্রেন ‘সুবর্ণচর এক্সপ্রেস’ দ্রুত চালুর দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা। এ সময় তাঁরা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ইয়াছিন (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সামাইর এলাকায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শুকুর শিকদার (৩৪) সামাইর গ্রামের গদু সিকদারের ছেলে। তিনি রঙের কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে