আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না দেওয়াসহ বিভিন্ন সংকট দেখা দিয়েছে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে। এদিকে সরবরাহ তালিকায় বরাদ্দ থাকলেও ওষুধ না দেওয়া, হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করছেন রোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালটিতে শয্যার অভাবে মেঝেতেই রোগী রেখে চিকিৎসাসেবা চলছে। ওয়ার্ডগুলো অপরিষ্কার, শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী। এতে করে নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, জেলাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালটিকে সম্প্রতি ২৫০ শয্যার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেখানে ১০০ শয্যার চিকিৎসকই নেই। ১০০ শয্যার হিসেবে মোট ৪২ জন চিকিৎসক দরকার। বর্তমানে আছে ১৯ জন। দীর্ঘদিন ধরে ২৩ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য। বিশেষত চক্ষু, চর্ম-যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জারি বিভাগের কোনো চিকিৎসক নেই। সূত্রটি আরও জানায়, হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে ১ হাজার ৫০০ জন রোগীকে সেবা দিতে হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন ২৭০-৩০০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। চিকিৎসক সংকটের কারণে তাঁদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, টিকিট কাউন্টারের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্বজনেরা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন রোগীরা। হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসাধীন রোগী শয্যা পেতেছেন। রোগীর সঙ্গে আছেন স্বজনেরা। ওয়ার্ডের ভেতরে অপরিষ্কার।
জেলার প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল এ হাসপাতালটি। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করলেও চিকিৎসদের নিয়মিত না আসা ও প্রয়োজনীও চিকিৎসক না পাওয়ায় বেলা শেষে হতাশা হয়ে ফিরতে হয় তাঁদের। শুধু তা-ই নয়, সরকারিভাবে সরবরাহ তালিকায় ওষুধ থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি চিকিৎসক রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে যে পরিমাণ ওষুধ দেওয়ার স্লিপ দিয়ে থাকেন, কাউন্টারে স্লিপ জমা নিলেও সে পরিমাণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করলেও কোনো লাভ হয়নি। মান বাড়েনি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায়। অন্যদিকে দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে জনবল থাকলেও হাসপাতালটিতে এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ভোগান্তি ও হয়রানিতে পড়েছেন রোগীরা।
হামিলা বেগম নামের এক রোগী বলেন, ‘হাসপাতালে ওয়াডত কোনো চকি ফাঁকা নাই। তিন দিন ধরে বারান্দাত আছি। এটে বসে থাকি দম বন্ধ হয়ে যায় বাবা।’ ইসাহাক আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কোনো পরিবেশ নাই। চারদিক থেকে দুর্গন্ধে এখানে টেকা দায়।’
আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আসিফ রহমান বলেন, ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চালানোয় রোগীদের দুর্ভোগ হচ্ছে। জনবল ও অবকাঠামো সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের সবকিছু নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়ে থাকে। কিন্তু রোগীর লোকজন এগুলো ময়লা ফেলে নোংরা করে। চিকিৎসকের চাহিদা চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। কোনো সাড়া পাই নাই। সরকার থেকে চাহিদামতো ওষুধ না পেলে রোগীদের কীভাবে দেব।’
নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না দেওয়াসহ বিভিন্ন সংকট দেখা দিয়েছে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে। এদিকে সরবরাহ তালিকায় বরাদ্দ থাকলেও ওষুধ না দেওয়া, হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করছেন রোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালটিতে শয্যার অভাবে মেঝেতেই রোগী রেখে চিকিৎসাসেবা চলছে। ওয়ার্ডগুলো অপরিষ্কার, শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী। এতে করে নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, জেলাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালটিকে সম্প্রতি ২৫০ শয্যার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেখানে ১০০ শয্যার চিকিৎসকই নেই। ১০০ শয্যার হিসেবে মোট ৪২ জন চিকিৎসক দরকার। বর্তমানে আছে ১৯ জন। দীর্ঘদিন ধরে ২৩ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য। বিশেষত চক্ষু, চর্ম-যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জারি বিভাগের কোনো চিকিৎসক নেই। সূত্রটি আরও জানায়, হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে ১ হাজার ৫০০ জন রোগীকে সেবা দিতে হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন ২৭০-৩০০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। চিকিৎসক সংকটের কারণে তাঁদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, টিকিট কাউন্টারের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্বজনেরা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন রোগীরা। হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসাধীন রোগী শয্যা পেতেছেন। রোগীর সঙ্গে আছেন স্বজনেরা। ওয়ার্ডের ভেতরে অপরিষ্কার।
জেলার প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল এ হাসপাতালটি। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করলেও চিকিৎসদের নিয়মিত না আসা ও প্রয়োজনীও চিকিৎসক না পাওয়ায় বেলা শেষে হতাশা হয়ে ফিরতে হয় তাঁদের। শুধু তা-ই নয়, সরকারিভাবে সরবরাহ তালিকায় ওষুধ থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি চিকিৎসক রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে যে পরিমাণ ওষুধ দেওয়ার স্লিপ দিয়ে থাকেন, কাউন্টারে স্লিপ জমা নিলেও সে পরিমাণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করলেও কোনো লাভ হয়নি। মান বাড়েনি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায়। অন্যদিকে দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে জনবল থাকলেও হাসপাতালটিতে এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ভোগান্তি ও হয়রানিতে পড়েছেন রোগীরা।
হামিলা বেগম নামের এক রোগী বলেন, ‘হাসপাতালে ওয়াডত কোনো চকি ফাঁকা নাই। তিন দিন ধরে বারান্দাত আছি। এটে বসে থাকি দম বন্ধ হয়ে যায় বাবা।’ ইসাহাক আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কোনো পরিবেশ নাই। চারদিক থেকে দুর্গন্ধে এখানে টেকা দায়।’
আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আসিফ রহমান বলেন, ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চালানোয় রোগীদের দুর্ভোগ হচ্ছে। জনবল ও অবকাঠামো সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের সবকিছু নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়ে থাকে। কিন্তু রোগীর লোকজন এগুলো ময়লা ফেলে নোংরা করে। চিকিৎসকের চাহিদা চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। কোনো সাড়া পাই নাই। সরকার থেকে চাহিদামতো ওষুধ না পেলে রোগীদের কীভাবে দেব।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে