Ajker Patrika

পঞ্চগড়ে অরক্ষিত রেলক্রসিং গেট, দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পথচারীরা

তেতুঁলিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২: ৩৭
পঞ্চগড়ে অরক্ষিত রেলক্রসিং গেট, দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পথচারীরা

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে প্রতিদিনই ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা, দূতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসসহ তিনটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়াও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস নামে আরও একটি ট্রেন পঞ্চগড়-রাজশাহী রুটে এবং দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসসহ মোট পাঁচ জোড়া ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। 

গত কয়েক বছরে রেলক্রসিংগুলোর উন্নয়নে কিংবা রেলক্রসিংয়ের সমস্যা সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। ট্রেনে কাটা পড়ে জীবন হারাতে হচ্ছে। 

দেশের দীর্ঘতম রেলপথ পঞ্চগড় থেকে ঢাকার দূরত্ব ৬৩৯ কিলোমিটার। ১৯৬৮ সালে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষের যাতায়াত সুলভ করার জন্য রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়। পঞ্চগড়-ঢাকা, পঞ্চগড়-রাজশাহী ও পঞ্চগড়-সান্তাহার রুটে পাঁচ জোড়া আন্তনগর ট্রেনে এখন যাত্রীরা স্বচ্ছন্দে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। পঞ্চগড় জেলা রেলপথ রয়েছে মোট ১৭ কিলোমিটার। স্টেশন রয়েছে তিনটি। 

রেলপথের রেলক্রসিং গেট রয়েছে নয়টি। তবে নয়টি রেলক্রসিং গেটের মধ্যে শুধুমাত্র কিসমত স্টেশন সংলগ্ন রেলক্রসিং গেটে গেটম্যান রয়েছে। আর বাকি আটটি গেটেই গেটম্যান নেই। ফলে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে আটটি রেলক্রসিং গেট। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছেন রেলক্রসিং পারাপার হওয়া স্থানীয় মানুষ। 

প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় পথচারীদের। ছবি: আজকের পত্রিকাসরেজমিনে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঝলইহাট-আমলারহার সড়ক। এই সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিনই চলাচল করছে শত শত সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন। সড়কটিতে চলাচল করতে আরোহীদের অতিক্রম করতে হয় একটি রেলক্রসিং গেট। কিন্তু গেটে কোনো গেটম্যান না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে তাদের। 

একই চিত্র দেখা যায়, সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের নয়নীবুরুজ রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেলক্রসিং গেট থাকলেও সেখানে নেই কোনো গেটম্যান। ফলে প্রায় সময় এই গেটে নানান দুর্ঘটনা ঘটে। গত ২০১৯ সালে রেলক্রসিংয়ের গেট পার হওয়ার সময় একই সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকসহ দুজনের মৃত্যু হয়। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্রসিং গেটের আশপাশে বাড়িসহ নানা স্থাপনা থাকার কারণে অনেক সময় ট্রেন এলেও বুঝতে পারেন না পথচারীরা। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কায় থাকেন তারা। দ্রুতই গেটগুলোতে গেটম্যান নিয়োগ করা না গেলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। 

নয়নীবুরুজ এলাকার বাসিন্দা হাসেম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন রেলক্রসিং গেটের ওপর দিয়ে পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রতিদিন কয়েক শতাধিক পথচারী যাতায়াত করেন। এই গেট পার হওয়ার সময় মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। তারপরও গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অনেক সময় আমরাই গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করি। কিছুদিন আগে একটি বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস অল্পের জন্য রক্ষা পায়।’ 

সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে রেল ক্রসিং গেট পার হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা টেংগনমারী রেলগেট এলাকায় কথা হয় পথচারী তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গেটম্যান ও সিগনালের ব্যবস্থা না থাকায় ট্রেন কখন আসে পথচারীরা আমরা বুঝতেই পারি না। ফলে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।’ 

সাইফুল ইসলাম নামের আরেক পথচারী বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও চলাচল সহজ করতে দ্রুত রেলক্রসিং গেটে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই। বিভিন্ন সময় আমরা স্থানীয়রা রেলক্রসিং গেটে গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানালেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি রেল বিভাগ।’ 

এ বিষয়ে রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘জনবলের অভাবে প্রতিটি রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা গেটম্যানবিহীন রেলক্রসিংগুলোকে নিরাপদ করতে রেলপথের পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সতর্কতামূলক নোটিশ টানিয়ে দিয়েছি। সমস্যাটি দ্রুত সমাধান হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দশম শ্রেণিপড়ুয়া ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের মামলায় আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন নাটোরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে আরও ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ব্যক্তির নাম ফিরোজ আহমেদ। তিনি নাটোরের একটি উপজেলার বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে দশম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীকে বেশি নম্বর দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করেন প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ। ওই ছাত্রীকে রাজশাহীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি।

এ ঘটনায় শিক্ষক ফিরোজ আহমেদসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। পুলিশ তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে নাটোরের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগ গঠনের সময় বিচারক দুজনকে অব্যাহতি দেন। পরে দ্রুত বিচারের জন্য মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুন্সী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সমস্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চবিতে পোষ্য কোটা বাতিল, কমেছে আসনসংখ্যা

চবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য নির্ধারিত ‘পোষ্য’ কোটা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইউনিটে আবেদনের ন্যূনতম জিপিএর মান কমানোসহ বিভাগগুলোর আসন কমিয়ে সর্বোচ্চ ১০০টি নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগে গত রোববার উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির দ্বিতীয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পোষ্য কোটা বাতিলের জন্য শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন ও দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই কোটাব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি

বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী, ২ জানুয়ারি ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম।

এ ছাড়া, ৩ জানুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট, ৯ জানুয়ারি ‘সি’ ইউনিট ও ১০ জানুয়ারি ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উপ-ইউনিটগুলোর মধ্যে ডি-১ ইউনিটের (শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগ) পরীক্ষা হবে ৫ জানুয়ারি, বি-১ ইউনিটের ৭ জানুয়ারি ও বি-২ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ৮ জানুয়ারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন ১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার ক্ষেত্রে জিপিএর ন্যূনতম মান গত বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমানো হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান অনুষদ) আবেদনকারীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে (চতুর্থ বিষয়সহ) সর্বনিম্ন মোট জিপিএ ৭ দশমিক ৭৫ থাকতে হবে, তবে আবেদনকারীকে আলাদাভাবে মাধ্যমিক কমপক্ষে ৪ পয়েন্ট এবং উচ্চমাধ্যমিকে কমপক্ষে ৩ দশমিক ২৫ থাকতে হবে।

‘বি’ ইউনিটে (কলা ও মানবিক অনুষদ) মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম মোট জিপিএ ৭ পয়েন্ট এবং বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৭ দশমিক ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।

‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ন্যূনতম মোট জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫০। ‘ডি’ ইউনিটে (সমন্বিত ইউনিট) সব বিভাগ থেকে আবেদন করা যাবে, যেখানে মোট জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ পয়েন্ট।

চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয়টি বিবেচনা রেখে এই ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে মাধ্যমিকের ফলাফলের ক্ষেত্রে আগের শর্তই বহাল থাকছে। এ ছাড়া যেসব বিভাগে শতাধিক আসন ছিল, সেসব বিভাগ সর্বোচ্চ ১০০ আসনে সীমিত করা হয়েছে।

নতুন শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৯টি কোটা থাকবে। এগুলো হলো—মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, বিদেশি শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠী, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি শিক্ষার্থী, শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, বিকেএসপির খেলোয়াড়, পেশাদার খেলোয়াড় ও দলিত শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি কমিটি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কোটার সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনে। এবার নতুন শিক্ষাবর্ষে তা সম্পূর্ণ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানায় যৌথ অভিযান, সরঞ্জাম উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জে উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম। ছবি: সংগৃহীত
মুন্সিগঞ্জে উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জে সুমল লাল নামের এক ব্যক্তির গুদামে অভিযান চালিয়ে একটি অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার পূর্ব শীলমন্দি এলাকায় মুন্সিগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর টহল দল এবং পুলিশের একটি টহল দলের সমন্বয়ে পরিচালিত এ যৌথ অভিযানে বিভিন্ন রকম অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

অভিযানে অবৈধ দেশীয় অস্ত্র তৈরির ৩টি সিসা কার্তুজ, ৫টি লোহার বাঁট, ৭টি লোহার ব্যারেল, ৭টি রিকয়েল স্প্রিং, ১টি ওয়েল্ডিং মেশিন, ১টি ড্রিল মেশিন, ৬টি লোহার বোল্ট ও লোহার তৈরি লেদ মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিশেষ করে চরসংলগ্ন অঞ্চলগুলোয় স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে প্রায়ই অবৈধ অস্ত্র ও ককটেল জাতীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উদ্ধার হওয়া এই কারখানা থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে সংঘটিত সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্রের সরবরাহও এই কারখানা থেকে করা হয়েছিল। উদ্ধার করা সরঞ্জামাদি পরবর্তী আইনিপ্রক্রিয়ার জন্য সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, ‘সদর দপ্তর ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের অধীনে মুন্সিগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে একটি গোডাউন (গুদাম) ঘর থেকে অবৈধ দেশীয় অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষে ওই সরঞ্জামাদি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যেহেতু এগুলোর মালিকানা বা কার জন্য ব্যবহার হচ্ছিল, তা আমাদের জানা নেই, তাই বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের পর যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত সরঞ্জামাদি আদালতে জমা দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেমরায় আ.লীগের সাবেক এমপিসহ ২২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ডেমরায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (ঢাকা-৫ আসন) মশিউর রহমান মোল্লা সজলসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের ২২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ডেমরা থানা মহিলা লীগের প্রচার সম্পাদক ফয়জুন নাহার দিপাকে (৩৫) আজ মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতেই ডেমরা থানায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী মিছিলের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল ৬টার দিকে মাতুয়াইল-কোনাপাড়া এলাকায় সাবেক এমপি মশিউর রহমান মোল্লা সজলের ব্যানারে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের একদল নেতা-কর্মী আকস্মিকভাবে মিছিল বের করে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁরা দ্রুত সরে যান।

মামলায় সাবেক এমপি সজল ছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ফয়জুন নাহার দিপা, মো. হানিফ তালুকদার, মো. আকরামুল ইসলাম সাগর, সিফাত সাদেকিন ফয়সাল, জুবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপু আহমেদ, মো. হাকিম মীর, হাবিবুর রহমান হাবিব, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজাউল হক রেজু, হানিফ ভূঁইয়া, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. শ্রাবণ আহম্মেদ, পলিন সাউদ, মো. নিয়াজ উদ্দিন, মো. জাফর আলী, মো. জাকির হোসেন, জিহাদ, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, শামিম ওরফে কাইল্যা শামিম ও মুসলা চৌধুরী ওরফে মুসলা মেলা।

পুলিশের দাবি, স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী এবং বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মিছিলের অর্থায়ন করেছেন সাবেক এমপি সজল, দিপা, হানিফ তালুকদার ও আকরামুল ইসলাম সাগর।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, মামলায় যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত