Ajker Patrika

নীলফামারীর সৈয়দপুর

ঈদে নষ্ট গাড়ি চালানোর প্রস্তুতি

  • উপজেলায় দেড় শতাধিক ফিটনেসবিহীন বাস-মিনিবাস রয়েছে।
  • ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িগুলো মেরামত করে সড়কে নামানোর প্রস্তুতি চলছে।
রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী) 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঈদকে কেন্দ্র করে ওয়ার্কশপে মেরামত করা হচ্ছে লক্কড়-ঝক্কড় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঈদকে কেন্দ্র করে ওয়ার্কশপে মেরামত করা হচ্ছে লক্কড়-ঝক্কড় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে আন্তজেলাসহ বিভিন্ন রুটে ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস-মিনিবাস ওয়ার্কশপে রং-চং করে সড়কে চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। যাত্রীরা বলছেন, এসব বাস-মিনিবাসের ফলে যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সঙ্গে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি—এসবের ঝুঁকি তো রয়েছেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে গাড়িগুলো ঢাকাসহ বিভিন্ন দূরপাল্লার রুটে চালানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) নীলফামারী অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বাস টার্মিনাল থেকে আন্তজেলাসহ রংপুর, দিনাজপুর ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, পঞ্চগড় এবং ঢাকা রুটে চার শতাধিক বাস চলাচল করে। এসবের মধ্যে ২১৭টি বাস ও মিনিবাসের ফিটনেস ও রুট পারমিটের হালনাগাদ সনদ রয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী বিআরটিএর অধীন চারটি বাস, ২৩টি মিনিবাস এবং মালিক সমিতির অধীনে ১০৪ বাস ও ৮৬টি মিনিবাস রেজিস্ট্রেশন করা। বাকি দেড় শতাধিক বাস-মিনিবাস শর্ত পূরণ করে পরিদর্শন সাপেক্ষে এখনো ফিটনেস বা রুট পারমিট সনদ গ্রহণ করেনি। ফিটনেস ও রুট পারমিট হালনাগাদ করা এই যানবাহনগুলোর বাইরেও বেশ কিছু যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন-সম্পর্কিত জটিলতা রয়েছে। সেগুলোও সড়কে চলছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ফিটনেসহীন এসব গাড়ির কোনোটির সিট ছেঁড়া, চেসিস ভাঙা। আবার কোনোটির বডিতে রং নেই। বহু পুরোনো এসব গাড়ি মেরামত করে নতুন সাজে রোডে নামানো হয়েছে। ফিটনেসবিহীন ভাঙাচোরা গাড়িগুলো জোড়াতালি ও রং দেওয়া হচ্ছে বাস টার্মিনালসংলগ্ন ওয়ার্কশপগুলোতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ার্কশপের এক শ্রমিক বলেন, পুরোনো এসব গাড়ি যতই ঠিক করা হোক, রাস্তায় নামানোর পর থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।

বাসমালিকেরা বলছেন, ‘আমাদের একটি ইঞ্জিন ও চেসিসের মেয়াদ ন্যূনতম ২০ বছর। এর আগে তেমন কিছু হয় না।’

আজিজুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি সৈয়দপুর থেকে প্রতিদিন বাসে দিনাজপুর যাই। অধিকাংশ বাসই লক্কড়-ঝক্কড়।’

নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার বলেন, ‘আমরা মালিক সমিতি থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে গাড়ির মালিকদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি, যথাযথ কাগজপত্র ছাড়া যেন তাঁদের যানবাহন রাস্তায় না নামান।’ 

বিআরটিএ নীলফামারীর সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, জনবল-সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সেবিহীন চালকদের গাড়ি চালানো বন্ধ করতে অভিযান জোরদার করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়া-পাকিস্তান চুক্তি: দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্যে নতুন মোড়ের ইঙ্গিত

নগদের ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ নিয়ে যা বললেন নাহিদের সাবেক পিএ আতিক

আরাকান আর্মির হাতে মিয়ানমারের জেনারেল নিহত, চীনা টার্মিনালের কাছে চলছে লড়াই

সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধই সেনাবাহিনীর চেতনার উৎস: সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার

বগুড়ায় ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ ও আনসার সদস্য কারাগারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত