রংপুর নগরী
শিপুল ইসলাম, রংপুর
রংপুর নগরীর প্রতিটি সড়ক, গলি, মোড় যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। চারপাশে ছড়িয়ে থাকা এসব পচা ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধে নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। দুর্গন্ধে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নাগরিকদের জীবনযাত্রা। এতে যেমন নগরীর পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে, তেমনি জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়ছে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চললেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর মুন্সিপাড়া রোড, সেনপাড়া রোড, ঝন্টু মোড়, গুপ্তপাড়া রোড, সিঙ্গারগলি, কেরানীপাড়া রোড ও লালবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রংপুর নগরীর এসব এলাকা অভিজাত হলেও বর্জ্য ফেলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। লোকজন বাড়ির পচা উচ্ছিষ্ট ময়লা পলিথিন, বালতিতে করে সড়কের পাশে জনবহুল এলাকাগুলোর পাশে ফেলছে। সড়কের পাশে, মোড়ে জমে থাকা সেসব ময়লা আবর্জনা গরু, কুকুর উল্টেপাল্টে চারিদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে পথচারীরা নাক-মুখ চেপে চলাচল করছেন।
ঝন্টু মোড়ে কথা হয় কামাল কাছনার বাসিন্দা সুজা মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাস্তার ধারে খোলা জায়গায় ময়লাগুলো ফেলা হচ্ছে। সেগুলো থেকে উৎকট দুর্গন্ধ বের হয়। এই পথে নাক-মুখ চেপে না গেলে বমি হওয়ার উপক্রম হয়।’
ঝন্টু মোড়ের অদূরেই রংপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ কলেজের শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কলেজ যাওয়া আসা করতে হয়। গন্ধে বমি আসে।’
মুন্সিপাড়া সড়কে ফেলা ময়লার স্তূপের পাশে কথা হয় দোকানি সুমন শাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দোকানে বসে থাকা যায় না। মাছি আর দুর্গন্ধে কাস্টমার আসে না, ব্যবসা নেই। বৃষ্টি হলে খুব দুর্গন্ধ ছড়ায়। এখানে ডাস্টবিন নেই, সড়কের ওপর সবাই ময়লা ফেলে।’
গুপ্তপাড়ার বাসিন্দা মীর আলী বলেন, ‘আমরা কর দিই, নাগরিক সুবিধা চাই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি রংপুর চাই। সেই মৌলিক চাহিদাটুকু এখন যেন সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধের দুর্ভোগে আমাদের দিন কাটাতে হচ্ছে। এমন নগরী আমরা চাইনি।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলে রাখলে রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে গ্রীষ্ম মৌসুমে এসব আবর্জনা দ্রুত পচে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং মশা-মাছি জন্ম দেয়, যা ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও ডেঙ্গুর মতো রোগের আশঙ্কা বাড়ায়।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বলেন, ‘রংপুর নগরীর এই সংকটের সমাধানে দরকার পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্তসংখ্যক ডাস্টবিন স্থাপন, জনসচেতনতা এবং সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল ভূমিকা।’
রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপরিকল্পিত এবং টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পথে অগ্রসর হতে হবে। দায়িত্বে অবহেলা এবং জবাবদিহি না থাকায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।’
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, ‘আমরা শহরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ময়লা রাখার স্থান নির্ধারণ করেছি। ডাস্টবিনের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু যেখানে ডাস্টবিন আছে, সেখানে ময়লা ফেলার সদিচ্ছার প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে লোকজন তাদের মোড়ের মাথায় ফেলছে। আমরা সক্ষমতা অনুযায়ী ডাস্টবিন কিনেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রমও হাতে নিয়েছি।’
রংপুর নগরীর প্রতিটি সড়ক, গলি, মোড় যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। চারপাশে ছড়িয়ে থাকা এসব পচা ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধে নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। দুর্গন্ধে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নাগরিকদের জীবনযাত্রা। এতে যেমন নগরীর পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে, তেমনি জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়ছে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চললেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর মুন্সিপাড়া রোড, সেনপাড়া রোড, ঝন্টু মোড়, গুপ্তপাড়া রোড, সিঙ্গারগলি, কেরানীপাড়া রোড ও লালবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রংপুর নগরীর এসব এলাকা অভিজাত হলেও বর্জ্য ফেলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। লোকজন বাড়ির পচা উচ্ছিষ্ট ময়লা পলিথিন, বালতিতে করে সড়কের পাশে জনবহুল এলাকাগুলোর পাশে ফেলছে। সড়কের পাশে, মোড়ে জমে থাকা সেসব ময়লা আবর্জনা গরু, কুকুর উল্টেপাল্টে চারিদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে পথচারীরা নাক-মুখ চেপে চলাচল করছেন।
ঝন্টু মোড়ে কথা হয় কামাল কাছনার বাসিন্দা সুজা মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাস্তার ধারে খোলা জায়গায় ময়লাগুলো ফেলা হচ্ছে। সেগুলো থেকে উৎকট দুর্গন্ধ বের হয়। এই পথে নাক-মুখ চেপে না গেলে বমি হওয়ার উপক্রম হয়।’
ঝন্টু মোড়ের অদূরেই রংপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ কলেজের শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কলেজ যাওয়া আসা করতে হয়। গন্ধে বমি আসে।’
মুন্সিপাড়া সড়কে ফেলা ময়লার স্তূপের পাশে কথা হয় দোকানি সুমন শাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দোকানে বসে থাকা যায় না। মাছি আর দুর্গন্ধে কাস্টমার আসে না, ব্যবসা নেই। বৃষ্টি হলে খুব দুর্গন্ধ ছড়ায়। এখানে ডাস্টবিন নেই, সড়কের ওপর সবাই ময়লা ফেলে।’
গুপ্তপাড়ার বাসিন্দা মীর আলী বলেন, ‘আমরা কর দিই, নাগরিক সুবিধা চাই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি রংপুর চাই। সেই মৌলিক চাহিদাটুকু এখন যেন সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধের দুর্ভোগে আমাদের দিন কাটাতে হচ্ছে। এমন নগরী আমরা চাইনি।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলে রাখলে রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে গ্রীষ্ম মৌসুমে এসব আবর্জনা দ্রুত পচে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং মশা-মাছি জন্ম দেয়, যা ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও ডেঙ্গুর মতো রোগের আশঙ্কা বাড়ায়।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বলেন, ‘রংপুর নগরীর এই সংকটের সমাধানে দরকার পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্তসংখ্যক ডাস্টবিন স্থাপন, জনসচেতনতা এবং সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল ভূমিকা।’
রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপরিকল্পিত এবং টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পথে অগ্রসর হতে হবে। দায়িত্বে অবহেলা এবং জবাবদিহি না থাকায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।’
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, ‘আমরা শহরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ময়লা রাখার স্থান নির্ধারণ করেছি। ডাস্টবিনের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু যেখানে ডাস্টবিন আছে, সেখানে ময়লা ফেলার সদিচ্ছার প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে লোকজন তাদের মোড়ের মাথায় ফেলছে। আমরা সক্ষমতা অনুযায়ী ডাস্টবিন কিনেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রমও হাতে নিয়েছি।’
রাজশাহীতে জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পর একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধান ছাড়াও এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচয় এ মামলা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আসামিদের অনেকেই ‘পয়সাওয়ালা ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় অভিযোগ...
৩৭ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই প্রতিষ্ঠান ঘিরে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একাডেমিতে মৈতৈ, বিষ্ণুপ্রিয়া এবং পাঙন—এই তিন সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও শুধু বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এতে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে...
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে ভূমি অফিসের সহায়ক রশিদুজ্জামান বিপ্লবের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল ও জামায়াত। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি...
১ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় জুজখোলা সম্মিলিত বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। মুখোশধারী হামলাকারীরা তাঁর দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয় বলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারও (৪৬) আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে