কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী সেই মানিক পা দিয়ে লিখে এবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ১৯২তম স্থান অধিকার করেছেন। পাবলিক পরীক্ষার মতো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়ও পা দিয়ে লিখে সফলতা পেয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
মানিকের পুরো নাম মানিক রহমান। বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে। ওই গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়।
প্রতিবন্ধী মানিক স্কুলজীবন থেকে প্রতিটি পরীক্ষায় পা দিয়ে লিখে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। ২০২২ সালে ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২৪ সালে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) নিয়ে উত্তীর্ণ হন মানিক।
এসএসসিতে তিনি ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রথম হয়েছিলেন। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এই মেধাবী। শুধু তা-ই নয়, এই তরুণ পা দিয়ে কম্পিউটার ও স্মার্ট মোবাইল ফোন চালাতেও পারদর্শী। দৃঢ় মনোবল ও মা-বাবার নিবিড় যত্নে এবার আরেক সফলতার সিঁড়িতে পা রাখলেন প্রতিবন্ধী এই তরুণ।
জানতে চাইলে মানিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্য সব পরীক্ষার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও পা দিয়ে লিখেছি। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। শুধু জাবিতে অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছি। এর মধ্যে ৬ মে হাবিপ্রবিতে ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। আজ (রোববার) ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। আমি মেধাতালিকায় ১৯২তম স্থান পেয়েছি।’
কম্পিউটার নিয়ে পড়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে মানিক বলেন, ‘আশা করছি কম্পিউটার বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাব। ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছা ছিল কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার। আমার ইচ্ছা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। সবাই দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ আমার সেই ইচ্ছা পূরণ করে দেন।’
সফলতার পেছনে কৃতিত্বের প্রশ্নে বলেন মানিক বলেন, ‘আমার প্রথম অনুপ্রেরণা আমার মা-বাবা। এরপর আমার শিক্ষক ও বন্ধুরা। সবাই আমাকে অকৃত্রিম সহায়তা করেছেন। আমি যেন আমার নিজের পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যাশারও সম্মান রাখতে পারি।’
ছেলের সফলতায় খুশি মানিকের মা-বাবা। তাঁর মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘সবকিছুর মূলে আল্লাহর রহমত। দুই হাত না থাকলেও আল্লাহ ওকে আলাদা দক্ষতা দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী হলেও দৃঢ় মনোবল মানিককে এ পর্যন্ত এগিয়ে আসতে সহায়তা করেছে। আমরা তার পেছনে শ্রম দিয়েছি। কিন্তু তার চেষ্টা ও একাগ্রতা ছিল মূল শক্তি। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন, যেন সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’
মানিকের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ছেলের ইচ্ছা ছিল বুয়েটে পড়ার। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য সেখানে তাকে আনফিট দেখানো হয়েছে। এখন আল্লাহর ইচ্ছায় সে হাবিপ্রবিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। তার ইচ্ছা কম্পিউটার নিয়ে পড়ার। আল্লাহ যেন সে সুযোগ দেন। আল্লাহ যেন তাকে কম্পিউটারে দক্ষ হওয়ার সুযোগ দেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী সেই মানিক পা দিয়ে লিখে এবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ১৯২তম স্থান অধিকার করেছেন। পাবলিক পরীক্ষার মতো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়ও পা দিয়ে লিখে সফলতা পেয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
মানিকের পুরো নাম মানিক রহমান। বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে। ওই গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়।
প্রতিবন্ধী মানিক স্কুলজীবন থেকে প্রতিটি পরীক্ষায় পা দিয়ে লিখে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। ২০২২ সালে ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২৪ সালে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) নিয়ে উত্তীর্ণ হন মানিক।
এসএসসিতে তিনি ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রথম হয়েছিলেন। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এই মেধাবী। শুধু তা-ই নয়, এই তরুণ পা দিয়ে কম্পিউটার ও স্মার্ট মোবাইল ফোন চালাতেও পারদর্শী। দৃঢ় মনোবল ও মা-বাবার নিবিড় যত্নে এবার আরেক সফলতার সিঁড়িতে পা রাখলেন প্রতিবন্ধী এই তরুণ।
জানতে চাইলে মানিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্য সব পরীক্ষার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও পা দিয়ে লিখেছি। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। শুধু জাবিতে অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছি। এর মধ্যে ৬ মে হাবিপ্রবিতে ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। আজ (রোববার) ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। আমি মেধাতালিকায় ১৯২তম স্থান পেয়েছি।’
কম্পিউটার নিয়ে পড়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে মানিক বলেন, ‘আশা করছি কম্পিউটার বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাব। ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছা ছিল কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার। আমার ইচ্ছা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। সবাই দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ আমার সেই ইচ্ছা পূরণ করে দেন।’
সফলতার পেছনে কৃতিত্বের প্রশ্নে বলেন মানিক বলেন, ‘আমার প্রথম অনুপ্রেরণা আমার মা-বাবা। এরপর আমার শিক্ষক ও বন্ধুরা। সবাই আমাকে অকৃত্রিম সহায়তা করেছেন। আমি যেন আমার নিজের পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যাশারও সম্মান রাখতে পারি।’
ছেলের সফলতায় খুশি মানিকের মা-বাবা। তাঁর মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘সবকিছুর মূলে আল্লাহর রহমত। দুই হাত না থাকলেও আল্লাহ ওকে আলাদা দক্ষতা দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী হলেও দৃঢ় মনোবল মানিককে এ পর্যন্ত এগিয়ে আসতে সহায়তা করেছে। আমরা তার পেছনে শ্রম দিয়েছি। কিন্তু তার চেষ্টা ও একাগ্রতা ছিল মূল শক্তি। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন, যেন সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’
মানিকের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ছেলের ইচ্ছা ছিল বুয়েটে পড়ার। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য সেখানে তাকে আনফিট দেখানো হয়েছে। এখন আল্লাহর ইচ্ছায় সে হাবিপ্রবিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। তার ইচ্ছা কম্পিউটার নিয়ে পড়ার। আল্লাহ যেন সে সুযোগ দেন। আল্লাহ যেন তাকে কম্পিউটারে দক্ষ হওয়ার সুযোগ দেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
‘নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চল সুবর্ণচরে ছিল সুপেয় পানির ভান্ডার। খাল-বিল-ডোবায় ভরপুর ছিল এই জনপদ। কৃষির আঁতুড়ঘর বলা হয় সুবর্ণচরকে। কখনো ভাবিনি যে এখানে একদিন সুপেয় পানির জন্য হাহাকার হবে। সাতসকালে উঠেই পরিবারের সদস্যদের পানির তৃষ্ণা মেটাতে যুদ্ধ করতে হয়।
৩ মিনিট আগেতিন দফা দাবিতে রাজধানীর মৎস্য অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার (১২ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
৮ মিনিট আগেবিগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী ওঠানো নিয়ে দুই এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
১২ মিনিট আগেরংপুরের কাউনিয়ায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার গভীর রাতে কুর্শা ইউনিয়নের মীরবাগ বিজলেরঘুণ্টি এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে