সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
আলোকস্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি)। জানা গেছে, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারকাজে ব্যবহৃত লাইট প্রায় ২৫-৩০ বছরের পুরোনো। এতে পর্যাপ্ত আলো দেয় না। ফলে মোবাইলের আলোও ব্যবহার করতে হয়, যা অস্ত্রোপচারকাজে ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তা-ই নয়, অস্ত্রোপচারের সময় অপারেশন টেবিলটিও নিচে নেমে যায়, যা রোগীর জন্য বিপজ্জনক।
জেলায় সরকারিভাবে উন্নত চিকিৎসার একমাত্র কেন্দ্র হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য রোগী আসেন। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে ৫০০-৬০০ রোগী ভর্তি থাকেন, বিশেষ করে সার্জারি ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। পর্যাপ্ত অপারেশন থিয়েটার না থাকায় রোগীদের সপ্তাহে দু-এক দিন ভাগ করে সার্জারি করা হয়। ফলে সার্জারির জন্য একজন রোগীকে ৫-৭ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় বলেও জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, অপারেশন থিয়েটারের দুটি অস্ত্রোপচার কক্ষের অপারেশন লাইট প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছরের পুরোনো। লাইটগুলো পর্যাপ্ত আলো দিতে ব্যর্থ, যা সার্জারি করার সময় চিকিৎসকদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। শুধু তা-ই নয়, অপারেশন টেবিলটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিচে নেমে যায়, যা যেকোনো সময় রোগীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। আরও গুরুতর বিষয় হলো, অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহৃত তিনটি অটোক্লেভ মেশিনের মধ্যে দুটিই নষ্ট হয়ে আছে। একটি সচল থাকলেও সেটিও যেকোনো মুহূর্তে খারাপ হয়ে যেতে পারে। এমনটি হলে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপারেশন থিয়েটারের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছি। কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে; কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। অনেক সময় অপারেশন করতে যেখানে লাইটের আলো যায় না, সেখানে মোবাইলের আলো ব্যবহার করতে হয়। এতে রোগীদের জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়ে।’
হামিদা খাতুন নামের এক জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স জানান, ১৪ বছর ধরে হাসপাতালে আছেন তিনি এবং তখন থেকেই দেখছেন স্বল্প আলো দিয়ে অপারেশন করছেন চিকিৎসকেরা।
গাইনি অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ রহিমা খাতুন বলেন, অনেক দিন ধরে ২ নম্বর অপারেশন থিয়েটারে আলোর স্বল্পতা রয়েছে। এতে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
এদিকে ওটিতে সরঞ্জাম নিয়ে সমস্যা রয়েছে এমন কথা শুনে ভয়ে আছেন রোগী এবং তাঁদের স্বজনেরা। তবে উপায় না পেয়ে অনেকে হাসপাতালটিতে আসেন।
জামিরুল হাসান নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। প্রাইভেট হাসপাতালে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই এই হাসপাতালে অপারেশন করাতে এসেছি। এসে এখন শুনছি, এখানের যন্ত্রপাতি খারাপ।’
হাসান আলী নামের এক রোগী জানান, তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার লাগবে; কিন্তু এই হাসপাতালের অবস্থা দেখে তিনি ভয় পাচ্ছেন।
জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান কনসালটেন্ট শিহাব মাহমুদ শাহরিয়ার জানান, অপারেশন থিয়েটারে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় রোগী ও তাঁদের জন্য ঝুঁকি রয়েছে। অপারেশন কক্ষে যেসব সরঞ্জাম আছে, তা ২০ থেকে ২৫ বছরের পুরোনো এবং বর্তমানে আধুনিক নয়। অথচ প্রতিদিন শুধু গাইনি বাদ দিয়ে সার্জারি, ইএনটি মিলিয়ে মাসে প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০টি অপারেশন করা হয়। আধুনিক সরঞ্জাম চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হলে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা অবগত আছেন এবং মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত ফারজানা জানান, অপারেশন থিয়েটারে লাইটের কারণে রোগীরা যাতে ঝুঁকিতে না পড়েন, এ জন্য তিনি লাইটের ব্যবস্থা করে দেবেন।
আলোকস্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি)। জানা গেছে, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারকাজে ব্যবহৃত লাইট প্রায় ২৫-৩০ বছরের পুরোনো। এতে পর্যাপ্ত আলো দেয় না। ফলে মোবাইলের আলোও ব্যবহার করতে হয়, যা অস্ত্রোপচারকাজে ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তা-ই নয়, অস্ত্রোপচারের সময় অপারেশন টেবিলটিও নিচে নেমে যায়, যা রোগীর জন্য বিপজ্জনক।
জেলায় সরকারিভাবে উন্নত চিকিৎসার একমাত্র কেন্দ্র হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য রোগী আসেন। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে ৫০০-৬০০ রোগী ভর্তি থাকেন, বিশেষ করে সার্জারি ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। পর্যাপ্ত অপারেশন থিয়েটার না থাকায় রোগীদের সপ্তাহে দু-এক দিন ভাগ করে সার্জারি করা হয়। ফলে সার্জারির জন্য একজন রোগীকে ৫-৭ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় বলেও জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, অপারেশন থিয়েটারের দুটি অস্ত্রোপচার কক্ষের অপারেশন লাইট প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছরের পুরোনো। লাইটগুলো পর্যাপ্ত আলো দিতে ব্যর্থ, যা সার্জারি করার সময় চিকিৎসকদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। শুধু তা-ই নয়, অপারেশন টেবিলটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিচে নেমে যায়, যা যেকোনো সময় রোগীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। আরও গুরুতর বিষয় হলো, অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহৃত তিনটি অটোক্লেভ মেশিনের মধ্যে দুটিই নষ্ট হয়ে আছে। একটি সচল থাকলেও সেটিও যেকোনো মুহূর্তে খারাপ হয়ে যেতে পারে। এমনটি হলে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপারেশন থিয়েটারের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছি। কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে; কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। অনেক সময় অপারেশন করতে যেখানে লাইটের আলো যায় না, সেখানে মোবাইলের আলো ব্যবহার করতে হয়। এতে রোগীদের জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়ে।’
হামিদা খাতুন নামের এক জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স জানান, ১৪ বছর ধরে হাসপাতালে আছেন তিনি এবং তখন থেকেই দেখছেন স্বল্প আলো দিয়ে অপারেশন করছেন চিকিৎসকেরা।
গাইনি অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ রহিমা খাতুন বলেন, অনেক দিন ধরে ২ নম্বর অপারেশন থিয়েটারে আলোর স্বল্পতা রয়েছে। এতে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
এদিকে ওটিতে সরঞ্জাম নিয়ে সমস্যা রয়েছে এমন কথা শুনে ভয়ে আছেন রোগী এবং তাঁদের স্বজনেরা। তবে উপায় না পেয়ে অনেকে হাসপাতালটিতে আসেন।
জামিরুল হাসান নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। প্রাইভেট হাসপাতালে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই এই হাসপাতালে অপারেশন করাতে এসেছি। এসে এখন শুনছি, এখানের যন্ত্রপাতি খারাপ।’
হাসান আলী নামের এক রোগী জানান, তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার লাগবে; কিন্তু এই হাসপাতালের অবস্থা দেখে তিনি ভয় পাচ্ছেন।
জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান কনসালটেন্ট শিহাব মাহমুদ শাহরিয়ার জানান, অপারেশন থিয়েটারে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় রোগী ও তাঁদের জন্য ঝুঁকি রয়েছে। অপারেশন কক্ষে যেসব সরঞ্জাম আছে, তা ২০ থেকে ২৫ বছরের পুরোনো এবং বর্তমানে আধুনিক নয়। অথচ প্রতিদিন শুধু গাইনি বাদ দিয়ে সার্জারি, ইএনটি মিলিয়ে মাসে প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০টি অপারেশন করা হয়। আধুনিক সরঞ্জাম চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হলে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা অবগত আছেন এবং মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত ফারজানা জানান, অপারেশন থিয়েটারে লাইটের কারণে রোগীরা যাতে ঝুঁকিতে না পড়েন, এ জন্য তিনি লাইটের ব্যবস্থা করে দেবেন।
ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শুক্রবার সকালে তিনজন সাপুড়ে বসে ছিলেন খেলা দেখাতে। কাঠের বাক্স থেকে বের হচ্ছিল গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, দাঁড়াশ আর অজগর। চারপাশে ভিড় জমলেও দৃশ্যটা যেন একসময়ের তুলনায় ম্লান। এখন আর আগের মতো দর্শকের ভিড় নেই, গাছগাছালির ওষুধেরও কদর নেই।
১৩ মিনিট আগেবাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনবল, রোগ পরীক্ষার যন্ত্রপাতি সংকটসহ নানা সমস্যায় ধুঁকছে। এর সঙ্গে রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য। একসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ ১০-এ থাকা হাসপাতালটি বর্তমানে ৯৩ নম্বরে নেমে গেছে।
১৩ মিনিট আগেগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গবাদিপশুর তড়কা রোগ (অ্যানথ্রাক্স) প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এ ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন কৌশল ও হয়রানির ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮০ পয়সার ভ্যাকসিনের জন্য গবাদিপশুর মালিকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।
২৩ মিনিট আগেভাষাসৈনিক আহমদ রফিক স্মরণে ‘নাগরিক শোকসভা’ করবে জাতীয় কবিতা পরিষদ। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি। জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি, গত ২ তারিখ রাত ৮.৪৬ মিনিটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়...
৩ ঘণ্টা আগে