মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
ঈদের আনন্দ মাটি করে দিল কালবৈশাখী ঝড়। গতকাল শুক্রবার ঝড়ের আঘাতে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে। তাঁদের ভাবনায় আর ঈদ নেই। তাঁরা এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই কীভাবে করবে সেই চিন্তায় আচ্ছন্ন।
রংপুরের মিঠাপুকুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে তিন শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের তরফবাহাদি ও বারোঘরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি মেরামত করতে না পারায় এখনো অনেক পরিবার দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া টিনের বেড়া দিয়ে কোনোরকম মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে আঘাত হানে কালবৈশাখী। তিন থেকে পাঁচ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের তরফবাহাদি, বারোঘরিয়া ও কেশবপুর গ্রামের তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইটের বাড়িঘরও লন্ডভন্ড হয়ে যায়। শত-শত গাছপালা ভেঙে পড়ে। ১১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভুট্টা ও ধান খেত। এ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা ২০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও নগদ টাকা ও ইফতার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনেকের ঘরের টিনগুলো এমনভাবে দুমড়ে মুচড়ে গেছে যে ব্যবহারের উপযুক্ত নেই। এমন শতাধিক পরিবারের সবার আগে দরকার ঢেউ টিন।
গতকাল শুক্রবার ইউএনও ফাতেমাতুজ জোহরা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। সাংসদ এইচএন আশিকুর রহমান ও জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সহযোগিতায় টিনসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
টুটুল মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, আলাউদ্দিন, আলমগীর হোসেন আতিকুল ইসলাম রোজিনা বেগমসহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বলেন, ঈদ নিয়ে ভাবছেন না। তাঁদের চিন্তা বিধ্বস্ত বাড়ি ঘর মেরামত করা। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ঘর মেরামতের কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের।
আজ শনিবারও বৃষ্টি হয়েছে। টুটুলের স্ত্রী কোলের সন্তানকে দেখিয়ে বলেন, ঈদে দুধের এই শিশুকেও নতুন জামা কিনে দিতে পারছি না।
আর আতিকুল ইসলামের রান্না করার মতো অবস্থা ছিল না। শুক্রবার থেকে খোলা আকাশের নিচে ইট দিয়ে তৈরি চুলায় রান্না শুরু করেছেন।
রংপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবারের ঝড়ে ১১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
বড়বালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম স্বপন জানান, ৩৮০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২০ পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ। সরকারিভাবে টিন ও অর্থ সহায়তা না দিলে পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে পারবেন না।
এদিকে আমাদের জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে জয়পুরহাটেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আক্কেলপুর উপজেলায় বোরো খেতসহ গাছগালা, কাঁচা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে গাছের ডালপালা ভেঙে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ঝড়ের পর থেকে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আজ সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাছপালা ভেঙে সড়কের ওপর পড়ে আছে। স্থানীয়রা সড়কের ওপর থেকে গাছপালা অপসারণের কাজ করছেন। বোরো খেতে ধানগাছে হেলে পড়েছে। কাঁচা বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে।
জয়পুরহাট পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এনামুল হক প্রামাণিক বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ৩৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে পল্লিবিদ্যুতের দুই লাখ ৬৫ হাজার গ্রাহকের মধ্যে দুই লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন সচলে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি, সন্ধ্যার আগেই সব এলাকায় বিদ্যুৎ চাল হবে।
ঈদের আনন্দ মাটি করে দিল কালবৈশাখী ঝড়। গতকাল শুক্রবার ঝড়ের আঘাতে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে। তাঁদের ভাবনায় আর ঈদ নেই। তাঁরা এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই কীভাবে করবে সেই চিন্তায় আচ্ছন্ন।
রংপুরের মিঠাপুকুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে তিন শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের তরফবাহাদি ও বারোঘরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি মেরামত করতে না পারায় এখনো অনেক পরিবার দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া টিনের বেড়া দিয়ে কোনোরকম মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে আঘাত হানে কালবৈশাখী। তিন থেকে পাঁচ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের তরফবাহাদি, বারোঘরিয়া ও কেশবপুর গ্রামের তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইটের বাড়িঘরও লন্ডভন্ড হয়ে যায়। শত-শত গাছপালা ভেঙে পড়ে। ১১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভুট্টা ও ধান খেত। এ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা ২০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও নগদ টাকা ও ইফতার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনেকের ঘরের টিনগুলো এমনভাবে দুমড়ে মুচড়ে গেছে যে ব্যবহারের উপযুক্ত নেই। এমন শতাধিক পরিবারের সবার আগে দরকার ঢেউ টিন।
গতকাল শুক্রবার ইউএনও ফাতেমাতুজ জোহরা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। সাংসদ এইচএন আশিকুর রহমান ও জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সহযোগিতায় টিনসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
টুটুল মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, আলাউদ্দিন, আলমগীর হোসেন আতিকুল ইসলাম রোজিনা বেগমসহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বলেন, ঈদ নিয়ে ভাবছেন না। তাঁদের চিন্তা বিধ্বস্ত বাড়ি ঘর মেরামত করা। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ঘর মেরামতের কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের।
আজ শনিবারও বৃষ্টি হয়েছে। টুটুলের স্ত্রী কোলের সন্তানকে দেখিয়ে বলেন, ঈদে দুধের এই শিশুকেও নতুন জামা কিনে দিতে পারছি না।
আর আতিকুল ইসলামের রান্না করার মতো অবস্থা ছিল না। শুক্রবার থেকে খোলা আকাশের নিচে ইট দিয়ে তৈরি চুলায় রান্না শুরু করেছেন।
রংপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবারের ঝড়ে ১১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
বড়বালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম স্বপন জানান, ৩৮০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২০ পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ। সরকারিভাবে টিন ও অর্থ সহায়তা না দিলে পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে পারবেন না।
এদিকে আমাদের জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে জয়পুরহাটেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আক্কেলপুর উপজেলায় বোরো খেতসহ গাছগালা, কাঁচা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে গাছের ডালপালা ভেঙে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ঝড়ের পর থেকে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আজ সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাছপালা ভেঙে সড়কের ওপর পড়ে আছে। স্থানীয়রা সড়কের ওপর থেকে গাছপালা অপসারণের কাজ করছেন। বোরো খেতে ধানগাছে হেলে পড়েছে। কাঁচা বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে।
জয়পুরহাট পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এনামুল হক প্রামাণিক বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ৩৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে পল্লিবিদ্যুতের দুই লাখ ৬৫ হাজার গ্রাহকের মধ্যে দুই লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন সচলে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি, সন্ধ্যার আগেই সব এলাকায় বিদ্যুৎ চাল হবে।
রাজধানীর মৌচাকে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।
৭ মিনিট আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাব-১০ সদর দপ্তর, কেন্দ্রীয় কারাগার ও তেঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এই তথ্য জানান।
১৭ মিনিট আগেসাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এই নিয়ে ১২০ বারের মতো তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই তারিখ ধার্য করেন।
২০ মিনিট আগেমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন গণপিটুনির শিকার রূপলাল দাস ও প্রদীপ লাল। দুই হাতজোড় করে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আমি চোর না, ডাকাত না।’ তবুও শেষরক্ষা হয়নি রূপলাল দাস ও প্রদীপ লালের। তাঁদের সেই মর্মস্পর্শী আকুতির ভিডিও এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা দেখে অনেকেই..
২০ মিনিট আগে