Ajker Patrika

ফুলবাড়ীতে মজুরি না পেয়ে বিপাকে কর্মসৃজনের শ্রমিকেরা

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ফুলবাড়ীতে মজুরি না পেয়ে বিপাকে কর্মসৃজনের শ্রমিকেরা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ইজিপি প্রকল্পের আওতায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ শেষ করেও মজুরি পাননি শ্রমিকেরা। এতে পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন তাঁরা। প্রকল্পের হতদরিদ্র শ্রমিকেরা বলছেন, এমনিতেই শীতে তাদের হাতে কাজ নেই। এর ওপর টাকা না পেয়ে পরিবার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৫৪টি ওয়ার্ডে কর্মসৃজনের ২ হাজার ৩৬০ জন শ্রমিক রয়েছেন। এসব শ্রমিক বিভিন্ন সড়ক, মাঠ, মসজিদ, মন্দির ও পুকুর সংস্কারে ৪০ দিন মাটি কাটার কাজ করেছেন। 

গত বছরের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসব শ্রমিক কাজ শুরু করেন। নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে শেষ করেন। মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে শ্রমিকেরা মজুরির টাকা পান। মজুরি হিসাবে শ্রমিকদের দল নেতা দৈনিক ৪৫০ টাকা আর প্রত্যেক সাধারণ শ্রমিক পাবেন ৪০০ টাকা। 

উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি গ্রামের কর্মসৃজনের শ্রমিক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘হামরা গরিব মানুষ। ৪০ দিন ধরি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মাটি কাটার কামাই করেছি। আজ পর্যন্ত কামাইয়ের এক টাকাও পাই নাই। ধার-দেনা করি সংসার চালাইতেছি। এলা পাওনাদারের যন্ত্রণায় বাড়িতে থাইকপার পাই না। টাকাটা পাইলে যন্ত্রণামুক্ত হইলাম হয় বাহে।’ 

ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের আমেনা বেগম নামে অপর এক শ্রমিক জানান, তাঁর স্বামী অসুস্থ। তাই স্বামীর বদলে তিনি মাটি কাটার কাজ করছেন। এদিকে স্বামীর চিকিৎসা ও সংসারের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে। টাকা না পাওয়ায় অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছেন। 

ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুর রহমান বলেন, ‘হামরা ২৯ জনের একটা দল। ৪০ দিন থাকি রাস্তায় মাটি কাটছি। কাইও টাকা পাই নাই। হামার সর্দার কয় মোবাইলোত টাকা আইসপে। বারেবারে মোবাইল দেখি টাকা তো আইসে না। টাকাটা পাইলে খুব উপকার হয়।’ 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা কর্মসৃজনের সুবিধাভোগী শ্রমিকদের বিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। আশা করছি শ্রমিকেরা দ্রুত তাঁদের প্রাপ্য মজুরি পেয়ে যাবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত