রংপুর প্রতিনিধি

১৭ বছর পর রংপুরে বড় পরিসরে রাজনৈতিক ময়দানে ফিরল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর থেকে রংপুর জেলা স্কুল মাঠে ঢল নামে হাজারো মানুষের। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো মাঠ। আশপাশের দুই কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানুষের অবস্থান। নানা বয়সী নারী-পুরুষ, ছাত্র, শ্রমজীবী, পেশাজীবী মানুষের পদচারণে জমে ওঠে জনসমাবেশ। তাদের কণ্ঠে ছিল পরিবর্তনের প্রত্যাশা, হাতের প্ল্যাকার্ডে ছিল দাবি ও প্রতিবাদের ভাষা।
চার দফা দাবি সামনে রেখে আয়োজিত এ বিভাগীয় জনসভাকে কেন্দ্র করে রংপুর নগরীসহ আশপাশের জেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ ও আলোচনা।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহত ব্যক্তিদের হত্যার বিচার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ও রাজনৈতিক সংস্কার, উত্তরাঞ্চলের বহু দিনের দাবি ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার।
জনসভা ঘিরে সকাল থেকেই রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মিনিবাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, অটোরিকশা, কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দূরদূরান্ত থেকে আসেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাস, ট্রাকগুলো রংপুর মেডিকেল মাঠ, সিও বাজার, মডার্ন মোড়, মাহিগঞ্জ, কামাল কাছনায় রেখে হেঁটে জিলা স্কুল মাঠে যাচ্ছেন মানুষ। এতে শহরে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
বেলা ৩টায় জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। প্রধান বক্তা সদ্য কারামুক্ত কেন্দ্রীয় নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

মহানগর ও জেলা জামায়াতের যৌথ আয়োজনে জনসভাস্থলে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা জায়গা ও পর্দার ব্যবস্থা। মাঠে প্রবেশের জন্য খোলা হয়েছে নতুন দুটি পথ। জনসভাকে কেন্দ্র করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন এবং বড় বড় বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, জনসভা সফল করতে গঠন করা হয়েছে ১৩টি উপকমিটি, রয়েছে মেডিকেল ইউনিট ও ভলান্টিয়ার টিম। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম আশা প্রকাশ করে বলেন, রংপুরে এই জনসভায় দুই লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি হবে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনের মাঠে দল নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে বলে তাঁর প্রত্যাশা।
সকাল থেকেই জনসভাস্থলে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে জমায়েত হতে দেখা যায় নানা বয়সী মানুষকে। তাদের দাবি, দীর্ঘ ১৭ বছর দেশে চলেছে দমন-পীড়ন, গুম ও খুনের রাজনীতি। সেই বাস্তবতা তুলে ধরে তাঁরা বলছেন, ‘জুলাই গণ-আন্দোলনের’ চেতনায় দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা করতে চায় জামায়াত।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বৃহত্তর রংপুরের ৩৩টি আসনে বিজয়ের লক্ষ্যে এই জনসভাকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছে দলটি। একই সঙ্গে রংপুরবাসীর কাছে জামায়াতের রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বার্তাও পৌঁছে দিতে চান তাঁরা।

১৭ বছর পর রংপুরে বড় পরিসরে রাজনৈতিক ময়দানে ফিরল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর থেকে রংপুর জেলা স্কুল মাঠে ঢল নামে হাজারো মানুষের। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো মাঠ। আশপাশের দুই কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানুষের অবস্থান। নানা বয়সী নারী-পুরুষ, ছাত্র, শ্রমজীবী, পেশাজীবী মানুষের পদচারণে জমে ওঠে জনসমাবেশ। তাদের কণ্ঠে ছিল পরিবর্তনের প্রত্যাশা, হাতের প্ল্যাকার্ডে ছিল দাবি ও প্রতিবাদের ভাষা।
চার দফা দাবি সামনে রেখে আয়োজিত এ বিভাগীয় জনসভাকে কেন্দ্র করে রংপুর নগরীসহ আশপাশের জেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ ও আলোচনা।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহত ব্যক্তিদের হত্যার বিচার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ও রাজনৈতিক সংস্কার, উত্তরাঞ্চলের বহু দিনের দাবি ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার।
জনসভা ঘিরে সকাল থেকেই রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মিনিবাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, অটোরিকশা, কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দূরদূরান্ত থেকে আসেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাস, ট্রাকগুলো রংপুর মেডিকেল মাঠ, সিও বাজার, মডার্ন মোড়, মাহিগঞ্জ, কামাল কাছনায় রেখে হেঁটে জিলা স্কুল মাঠে যাচ্ছেন মানুষ। এতে শহরে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
বেলা ৩টায় জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। প্রধান বক্তা সদ্য কারামুক্ত কেন্দ্রীয় নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

মহানগর ও জেলা জামায়াতের যৌথ আয়োজনে জনসভাস্থলে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা জায়গা ও পর্দার ব্যবস্থা। মাঠে প্রবেশের জন্য খোলা হয়েছে নতুন দুটি পথ। জনসভাকে কেন্দ্র করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন এবং বড় বড় বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, জনসভা সফল করতে গঠন করা হয়েছে ১৩টি উপকমিটি, রয়েছে মেডিকেল ইউনিট ও ভলান্টিয়ার টিম। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম আশা প্রকাশ করে বলেন, রংপুরে এই জনসভায় দুই লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি হবে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনের মাঠে দল নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে বলে তাঁর প্রত্যাশা।
সকাল থেকেই জনসভাস্থলে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে জমায়েত হতে দেখা যায় নানা বয়সী মানুষকে। তাদের দাবি, দীর্ঘ ১৭ বছর দেশে চলেছে দমন-পীড়ন, গুম ও খুনের রাজনীতি। সেই বাস্তবতা তুলে ধরে তাঁরা বলছেন, ‘জুলাই গণ-আন্দোলনের’ চেতনায় দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা করতে চায় জামায়াত।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বৃহত্তর রংপুরের ৩৩টি আসনে বিজয়ের লক্ষ্যে এই জনসভাকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছে দলটি। একই সঙ্গে রংপুরবাসীর কাছে জামায়াতের রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বার্তাও পৌঁছে দিতে চান তাঁরা।

সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
১ ঘণ্টা আগে
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের একটি সড়ক পার হলেই পাশ থেকে ভেসে আসা মিষ্টি সুবাস যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ফুলের ঘ্রাণ মুহূর্তে শরীর-মন চাঙা করে তুলবে। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে নানা জাতের গাছের সঙ্গে রয়েছে অনেক ছাতিমগাছ। এই গাছগুলো এখন সাদা ফুলে ভরপুর। দিনের বেলায় হয়তো অন্য গাছের ভিড়ে অনেকের...
২ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নদী পারাপারের সুবিধার্থে নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সি-ট্রাক ‘এস টি সাঙ্গু’। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সি-ট্রাক যাত্রী পরিবহন কার্যক্রম শুরু করে। এর আগে গতকাল বিকেলে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সি-ট্রাকটি উদ্বোধন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং ২০২৪ সালের পরাজিত শত্রুরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জের বড় বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কারণ, দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা—সবকিছু নির্ভর করছে একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জনগণের মৌলিক অধিকার, নারীর শিক্ষা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর প্রতিষ্ঠা—এসবই বিএনপির উদ্যোগে বাস্তবায়িত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব আবুল খায়ের, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক কে এম বাবর আলী, সদস্য তৌফিকুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির দারা, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সহসম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, গোপালগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব মো. আবদুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান প্রমুখ।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং ২০২৪ সালের পরাজিত শত্রুরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জের বড় বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কারণ, দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা—সবকিছু নির্ভর করছে একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জনগণের মৌলিক অধিকার, নারীর শিক্ষা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর প্রতিষ্ঠা—এসবই বিএনপির উদ্যোগে বাস্তবায়িত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব আবুল খায়ের, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক কে এম বাবর আলী, সদস্য তৌফিকুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির দারা, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সহসম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, গোপালগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব মো. আবদুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান প্রমুখ।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহত ব্যক্তিদের হত্যার বিচার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ও রাজনৈতিক সংস্কার, উত্তরাঞ্চলের বহু দিনের দাবি ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার।
০৪ জুলাই ২০২৫
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের একটি সড়ক পার হলেই পাশ থেকে ভেসে আসা মিষ্টি সুবাস যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ফুলের ঘ্রাণ মুহূর্তে শরীর-মন চাঙা করে তুলবে। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে নানা জাতের গাছের সঙ্গে রয়েছে অনেক ছাতিমগাছ। এই গাছগুলো এখন সাদা ফুলে ভরপুর। দিনের বেলায় হয়তো অন্য গাছের ভিড়ে অনেকের...
২ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নদী পারাপারের সুবিধার্থে নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সি-ট্রাক ‘এস টি সাঙ্গু’। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সি-ট্রাক যাত্রী পরিবহন কার্যক্রম শুরু করে। এর আগে গতকাল বিকেলে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সি-ট্রাকটি উদ্বোধন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর সারা দেশে কর্মচারী রয়েছেন ২৬ হাজার। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো কাঠামোতে রয়ে গেছে।
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে। বক্তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্য দূর করার চূড়ান্ত আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান হলেও গ্রামীণ ডাক বিভাগে এখনো সেই বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো বিদ্যমান।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো—তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার ওপরে নতুন পে স্কেল নির্ধারণ করা, বিলিকারীদের (ডাক বহনকারী) জন্য বাইসাইকেল ও পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি এবং মানি অর্ডারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিই। অথচ আমাদের যে বেতনকাঠামো, তাতে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-স্বজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করব কী করে? আমরা কষ্টে আছি। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই অবস্থা দেশে ২৬ হাজার কর্মচারীর।’
তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে।

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর সারা দেশে কর্মচারী রয়েছেন ২৬ হাজার। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো কাঠামোতে রয়ে গেছে।
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে। বক্তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্য দূর করার চূড়ান্ত আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান হলেও গ্রামীণ ডাক বিভাগে এখনো সেই বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো বিদ্যমান।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো—তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার ওপরে নতুন পে স্কেল নির্ধারণ করা, বিলিকারীদের (ডাক বহনকারী) জন্য বাইসাইকেল ও পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি এবং মানি অর্ডারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিই। অথচ আমাদের যে বেতনকাঠামো, তাতে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-স্বজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করব কী করে? আমরা কষ্টে আছি। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই অবস্থা দেশে ২৬ হাজার কর্মচারীর।’
তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহত ব্যক্তিদের হত্যার বিচার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ও রাজনৈতিক সংস্কার, উত্তরাঞ্চলের বহু দিনের দাবি ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার।
০৪ জুলাই ২০২৫
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের একটি সড়ক পার হলেই পাশ থেকে ভেসে আসা মিষ্টি সুবাস যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ফুলের ঘ্রাণ মুহূর্তে শরীর-মন চাঙা করে তুলবে। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে নানা জাতের গাছের সঙ্গে রয়েছে অনেক ছাতিমগাছ। এই গাছগুলো এখন সাদা ফুলে ভরপুর। দিনের বেলায় হয়তো অন্য গাছের ভিড়ে অনেকের...
২ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নদী পারাপারের সুবিধার্থে নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সি-ট্রাক ‘এস টি সাঙ্গু’। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সি-ট্রাক যাত্রী পরিবহন কার্যক্রম শুরু করে। এর আগে গতকাল বিকেলে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সি-ট্রাকটি উদ্বোধন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেআব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের একটি সড়ক পার হলেই পাশ থেকে ভেসে আসা মিষ্টি সুবাস যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ফুলের ঘ্রাণ মুহূর্তে শরীর-মন চাঙা করে তুলবে।
ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে নানা জাতের গাছের সঙ্গে রয়েছে অনেক ছাতিমগাছ। এই গাছগুলো এখন সাদা ফুলে ভরপুর। দিনের বেলায় হয়তো অন্য গাছের ভিড়ে অনেকের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। তবে সূর্য ডুবলে বদলে যায় দৃশ্যপট। সন্ধ্যা হলে শিশিরের সঙ্গে ফুলের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। ভোর পর্যন্ত এই সুবাস মোহিত করে সবাইকে।
ঝিনাইদহ শহর ছাড়িয়ে দশমাইল বাজার পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে মাঝে মাঝেই ছাতিমগাছ। তবে সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ, আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ ও রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ এলাকায় এই গাছের সংখ্যা বেশি। সন্ধ্যার পর হালকা শীতের আবেশে এসব এলাকা পার হওয়ার সময় অন্যরকম অনুভূতি ছুঁয়ে যায় পথচারীদের।
সাগান্না গ্রামের কৃষক আফান মণ্ডল বলেন, ‘রাস্তার ধারে আমার ফসলি জমি রয়েছে। প্রতিদিন ভোরে খেত দেখতে আসি। ছাতিম ফুলের গন্ধে চারদিক ম-ম করে। খুব ভালো লাগে।’
একই গ্রামের বাসিন্দা আরিফ বলেন, ‘আমের চারা বাজার থেকে বৈডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে প্রচুর ছাতিমগাছ। সব গাছে অনেক ফুল ফুটেছে। সন্ধ্যার পর থেকে এই এলাকার বাতাস ফুলের সুবাসে ভরে থাকে। বন্ধুরা মিলে রাতে এখানে হাঁটতে আসি।’

আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের সামনে রাস্তার ধারে টিনের বেড়া দিয়ে তৈরি আমেনাদের ঘর। ঘরের পাশেই সাত-আটটি ছাতিমগাছ। আমেনা খাতুন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের ঘর, উঠান—সব ফুলের গন্ধে ভরে যায়।’
ঝিনাইদহ সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের জোহান ড্রিম ভ্যালির সামনে থেকে বোড়াই গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার ধারে কয়েক হাজার বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছাতিমগাছও আছে। বাতাস বিশুদ্ধকরণে এই গাছের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। এ ছাড়া এর ঔষধি গুণও রয়েছে।
শরতের শেষে ফোটে ছাতিম ফুল। সন্ধ্যার পর শিশির পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ফুল থেকে তীব্র ঘ্রাণ বের হয়। রাত যত গভীর হয়, ঘ্রাণের তীব্রতা তত বাড়ে। উঁচু গাছ হওয়ায় এই ঘ্রাণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
সাধারণত গ্রামীণ রাস্তাঘাট, নদীর তীর, বসতবাড়ির অনাবাদি জায়গায় ছাতিমগাছ জন্মে। অঞ্চলভেদে এটিকে ছাতিয়ান, ছাইত্যান, ছাতইন, ছেতেনসহ নানা নামে ডাকা হয়। ছাতিমগাছ ১৫ থেকে ২০ মিটার উঁচু হয়। এটি চিরসবুজ দুধকষভরা সুশ্রী গাছ।
ছাতিমগাছ ‘অ্যাপোসাইনেসি’ বর্গের অন্তর্ভুক্ত একটি উদ্ভিদ। বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলারিস। স্কলারিস শব্দটির সঙ্গে বিদ্যা, অর্থাৎ লেখাপড়ার যোগ আছে। এ ধরনের নামকরণের কারণ, ছাতিমের নরম কাঠ থেকে ব্ল্যাকবোর্ড ও পেনসিল তৈরি হয়।
এই গাছের আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। এর ছাল ও আঠা জ্বর, হৃদ্রোগ, হাঁপানি, ক্ষত, আমাশয় ও কুষ্ঠরোগের জন্য উপকারী।

সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের একটি সড়ক পার হলেই পাশ থেকে ভেসে আসা মিষ্টি সুবাস যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ফুলের ঘ্রাণ মুহূর্তে শরীর-মন চাঙা করে তুলবে।
ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে নানা জাতের গাছের সঙ্গে রয়েছে অনেক ছাতিমগাছ। এই গাছগুলো এখন সাদা ফুলে ভরপুর। দিনের বেলায় হয়তো অন্য গাছের ভিড়ে অনেকের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। তবে সূর্য ডুবলে বদলে যায় দৃশ্যপট। সন্ধ্যা হলে শিশিরের সঙ্গে ফুলের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। ভোর পর্যন্ত এই সুবাস মোহিত করে সবাইকে।
ঝিনাইদহ শহর ছাড়িয়ে দশমাইল বাজার পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে মাঝে মাঝেই ছাতিমগাছ। তবে সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ, আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ ও রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ এলাকায় এই গাছের সংখ্যা বেশি। সন্ধ্যার পর হালকা শীতের আবেশে এসব এলাকা পার হওয়ার সময় অন্যরকম অনুভূতি ছুঁয়ে যায় পথচারীদের।
সাগান্না গ্রামের কৃষক আফান মণ্ডল বলেন, ‘রাস্তার ধারে আমার ফসলি জমি রয়েছে। প্রতিদিন ভোরে খেত দেখতে আসি। ছাতিম ফুলের গন্ধে চারদিক ম-ম করে। খুব ভালো লাগে।’
একই গ্রামের বাসিন্দা আরিফ বলেন, ‘আমের চারা বাজার থেকে বৈডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে প্রচুর ছাতিমগাছ। সব গাছে অনেক ফুল ফুটেছে। সন্ধ্যার পর থেকে এই এলাকার বাতাস ফুলের সুবাসে ভরে থাকে। বন্ধুরা মিলে রাতে এখানে হাঁটতে আসি।’

আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের সামনে রাস্তার ধারে টিনের বেড়া দিয়ে তৈরি আমেনাদের ঘর। ঘরের পাশেই সাত-আটটি ছাতিমগাছ। আমেনা খাতুন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের ঘর, উঠান—সব ফুলের গন্ধে ভরে যায়।’
ঝিনাইদহ সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের জোহান ড্রিম ভ্যালির সামনে থেকে বোড়াই গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার ধারে কয়েক হাজার বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছাতিমগাছও আছে। বাতাস বিশুদ্ধকরণে এই গাছের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। এ ছাড়া এর ঔষধি গুণও রয়েছে।
শরতের শেষে ফোটে ছাতিম ফুল। সন্ধ্যার পর শিশির পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ফুল থেকে তীব্র ঘ্রাণ বের হয়। রাত যত গভীর হয়, ঘ্রাণের তীব্রতা তত বাড়ে। উঁচু গাছ হওয়ায় এই ঘ্রাণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
সাধারণত গ্রামীণ রাস্তাঘাট, নদীর তীর, বসতবাড়ির অনাবাদি জায়গায় ছাতিমগাছ জন্মে। অঞ্চলভেদে এটিকে ছাতিয়ান, ছাইত্যান, ছাতইন, ছেতেনসহ নানা নামে ডাকা হয়। ছাতিমগাছ ১৫ থেকে ২০ মিটার উঁচু হয়। এটি চিরসবুজ দুধকষভরা সুশ্রী গাছ।
ছাতিমগাছ ‘অ্যাপোসাইনেসি’ বর্গের অন্তর্ভুক্ত একটি উদ্ভিদ। বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলারিস। স্কলারিস শব্দটির সঙ্গে বিদ্যা, অর্থাৎ লেখাপড়ার যোগ আছে। এ ধরনের নামকরণের কারণ, ছাতিমের নরম কাঠ থেকে ব্ল্যাকবোর্ড ও পেনসিল তৈরি হয়।
এই গাছের আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। এর ছাল ও আঠা জ্বর, হৃদ্রোগ, হাঁপানি, ক্ষত, আমাশয় ও কুষ্ঠরোগের জন্য উপকারী।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহত ব্যক্তিদের হত্যার বিচার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ও রাজনৈতিক সংস্কার, উত্তরাঞ্চলের বহু দিনের দাবি ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার।
০৪ জুলাই ২০২৫
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
১ ঘণ্টা আগে
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নদী পারাপারের সুবিধার্থে নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সি-ট্রাক ‘এস টি সাঙ্গু’। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সি-ট্রাক যাত্রী পরিবহন কার্যক্রম শুরু করে। এর আগে গতকাল বিকেলে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সি-ট্রাকটি উদ্বোধন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ায় নদী পারাপারের সুবিধার্থে নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সি-ট্রাক ‘এস টি সাঙ্গু’। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সি-ট্রাক যাত্রী পরিবহন কার্যক্রম শুরু করে। এর আগে গতকাল বিকেলে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সি-ট্রাকটি উদ্বোধন করা হয়।
নতুন সি-ট্রাকটি চালুর ফলে হাতিয়া মূল ভূখণ্ড ও চেয়ারম্যানঘাট রুটের যাত্রীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সি-ট্রাক কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রথম ট্রিপে নলচিরা ঘাট থেকে সকাল ৯টায় ছাড়বে এবং চেয়ারম্যানঘাট থেকে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করবে। দ্বিতীয় ট্রিপে নলচিরা ঘাট থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ছাড়বে এবং চেয়ারম্যানঘাট থেকে বেলা সাড়ে ৩টায় ছেড়ে যাবে। তবে দ্বিতীয় ট্রিপ যাত্রীর ওপর নির্ভর করবে।
সি-ট্রাক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন, পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক মুমিন উল্লাহ রাসেল, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব খন্দকার সোহেল, বিএনপি নেতা অলি উল্লাহসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও যাত্রীরা।

উপস্থিত বক্তারা বলেন, নতুন এই সি-ট্রাক চালুর মাধ্যমে হাতিয়ার নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নতুন গতি আসবে। একই সঙ্গে দ্বীপবাসীর সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ আরও সহজ ও নিরাপদ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় নদী পারাপারের সুবিধার্থে নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সি-ট্রাক ‘এস টি সাঙ্গু’। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সি-ট্রাক যাত্রী পরিবহন কার্যক্রম শুরু করে। এর আগে গতকাল বিকেলে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সি-ট্রাকটি উদ্বোধন করা হয়।
নতুন সি-ট্রাকটি চালুর ফলে হাতিয়া মূল ভূখণ্ড ও চেয়ারম্যানঘাট রুটের যাত্রীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সি-ট্রাক কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রথম ট্রিপে নলচিরা ঘাট থেকে সকাল ৯টায় ছাড়বে এবং চেয়ারম্যানঘাট থেকে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করবে। দ্বিতীয় ট্রিপে নলচিরা ঘাট থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ছাড়বে এবং চেয়ারম্যানঘাট থেকে বেলা সাড়ে ৩টায় ছেড়ে যাবে। তবে দ্বিতীয় ট্রিপ যাত্রীর ওপর নির্ভর করবে।
সি-ট্রাক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন, পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক মুমিন উল্লাহ রাসেল, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব খন্দকার সোহেল, বিএনপি নেতা অলি উল্লাহসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও যাত্রীরা।

উপস্থিত বক্তারা বলেন, নতুন এই সি-ট্রাক চালুর মাধ্যমে হাতিয়ার নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নতুন গতি আসবে। একই সঙ্গে দ্বীপবাসীর সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ আরও সহজ ও নিরাপদ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহত ব্যক্তিদের হত্যার বিচার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ও রাজনৈতিক সংস্কার, উত্তরাঞ্চলের বহু দিনের দাবি ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার।
০৪ জুলাই ২০২৫
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
১ ঘণ্টা আগে
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের একটি সড়ক পার হলেই পাশ থেকে ভেসে আসা মিষ্টি সুবাস যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ফুলের ঘ্রাণ মুহূর্তে শরীর-মন চাঙা করে তুলবে। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে নানা জাতের গাছের সঙ্গে রয়েছে অনেক ছাতিমগাছ। এই গাছগুলো এখন সাদা ফুলে ভরপুর। দিনের বেলায় হয়তো অন্য গাছের ভিড়ে অনেকের...
২ ঘণ্টা আগে