আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর মাটি কেটে বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। নদীর চরসহ তীরবর্তী তিন কিলোমিটার এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাটি তোলা ও বিক্রি চললেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কিছু সময়ের জন্য মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চক রহিমাপুর, সাহেবগঞ্জ মেরী, ফকিরগঞ্জ নরেঙ্গবাদ, কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া, ফুলহার, রাখালবুরুজ ইউনিয়নের ধর্মপুর বড়দহ ব্রিজ এলাকা এবং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ট্রলার ও ট্রাক্টরে মাটি বিক্রি করছে চক্রটি। নদীর পাড়জুড়ে প্রতিদিন ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নেওয়ায় নদীর বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। নদী চরে ফসলি জমিও হারিয়ে যাচ্ছে। মাটি বহনের ভারী যানবাহনের কারণে নদীপাড়ের সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন মাঝেমধ্যে লোকদেখানো অভিযান চালালেও মাটিখেকোদের সঙ্গে আঁতাত করে থাকে স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। মাটি পরিবহনের পথে বাধা দিলে সাধারণ মানুষকে হামলা ও হেনস্তার শিকার হতে হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, ডাম্পট্রাক ও ট্রাক্টরের চলাচলে পাকা সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমেছে ধুলোর স্তর। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে।
এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটার ফলে নদীর গতিপ্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। নদীর বাঁধের ওপর দিয়ে মাটি পরিবহন করায় বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ কেটে বানানো হয়েছে গাড়ি ওঠানামার রাস্তা। ফলে নদীর চরাঞ্চল ও ফসলি জমি ডোবায় পরিণত হচ্ছে।
চক রহিমাপুরের শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম প্রিন্স বলেন, ‘প্রতিদিন ট্রাক্টরভর্তি মাটি যায়। স্কুলে যেতে ভয় লাগে—কখন ধাক্কা দিয়ে যায় কে জানে।’ অভিভাবক সুজা মিয়া বলেন, ‘সন্তানদের একা স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে।’ চক রহিমাপুরের মাটি ব্যবসায়ী মো. এনামুল বলেন, ‘প্রশাসন কখনো আসে না। সাংবাদিকেরা ফোন করলে তবেই তারা আসে।’ ফকিরগঞ্জের মাটি ব্যবসায়ী মাহবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জমি নদীর মধ্যে। সেখান থেকে মাটি কেটে বিক্রি করি।’
অভিযোগ উঠেছে, মাটিখেকোদের পরামর্শ দিয়ে ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) তাঁদের কাছে পুকুর বা জলাশয় খননের আবেদন করতে বলেন। এ সুযোগে নদীর চর ও আশপাশের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটা ও নির্মাণকাজে।
উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এম এ মতিন মোল্লা বলেন, ‘প্রশাসনের নীরবতায় মাটি ব্যবসা দিনের পর দিন চলছে। গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হচ্ছে। অবৈধভাবে মাটি পরিবহন বন্ধে প্রশাসনকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘প্রথমবার আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তারপরও বিষয়টি প্রশাসনের সঙ্গে শেয়ার করব।’ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ‘সাংবাদিকের কাজ রিপোর্ট করা। আপনারা নিউজ করেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি।’
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর মাটি কেটে বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। নদীর চরসহ তীরবর্তী তিন কিলোমিটার এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাটি তোলা ও বিক্রি চললেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কিছু সময়ের জন্য মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চক রহিমাপুর, সাহেবগঞ্জ মেরী, ফকিরগঞ্জ নরেঙ্গবাদ, কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া, ফুলহার, রাখালবুরুজ ইউনিয়নের ধর্মপুর বড়দহ ব্রিজ এলাকা এবং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ট্রলার ও ট্রাক্টরে মাটি বিক্রি করছে চক্রটি। নদীর পাড়জুড়ে প্রতিদিন ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নেওয়ায় নদীর বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। নদী চরে ফসলি জমিও হারিয়ে যাচ্ছে। মাটি বহনের ভারী যানবাহনের কারণে নদীপাড়ের সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন মাঝেমধ্যে লোকদেখানো অভিযান চালালেও মাটিখেকোদের সঙ্গে আঁতাত করে থাকে স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। মাটি পরিবহনের পথে বাধা দিলে সাধারণ মানুষকে হামলা ও হেনস্তার শিকার হতে হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, ডাম্পট্রাক ও ট্রাক্টরের চলাচলে পাকা সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমেছে ধুলোর স্তর। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে।
এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটার ফলে নদীর গতিপ্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। নদীর বাঁধের ওপর দিয়ে মাটি পরিবহন করায় বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ কেটে বানানো হয়েছে গাড়ি ওঠানামার রাস্তা। ফলে নদীর চরাঞ্চল ও ফসলি জমি ডোবায় পরিণত হচ্ছে।
চক রহিমাপুরের শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম প্রিন্স বলেন, ‘প্রতিদিন ট্রাক্টরভর্তি মাটি যায়। স্কুলে যেতে ভয় লাগে—কখন ধাক্কা দিয়ে যায় কে জানে।’ অভিভাবক সুজা মিয়া বলেন, ‘সন্তানদের একা স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে।’ চক রহিমাপুরের মাটি ব্যবসায়ী মো. এনামুল বলেন, ‘প্রশাসন কখনো আসে না। সাংবাদিকেরা ফোন করলে তবেই তারা আসে।’ ফকিরগঞ্জের মাটি ব্যবসায়ী মাহবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জমি নদীর মধ্যে। সেখান থেকে মাটি কেটে বিক্রি করি।’
অভিযোগ উঠেছে, মাটিখেকোদের পরামর্শ দিয়ে ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) তাঁদের কাছে পুকুর বা জলাশয় খননের আবেদন করতে বলেন। এ সুযোগে নদীর চর ও আশপাশের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটা ও নির্মাণকাজে।
উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এম এ মতিন মোল্লা বলেন, ‘প্রশাসনের নীরবতায় মাটি ব্যবসা দিনের পর দিন চলছে। গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হচ্ছে। অবৈধভাবে মাটি পরিবহন বন্ধে প্রশাসনকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘প্রথমবার আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তারপরও বিষয়টি প্রশাসনের সঙ্গে শেয়ার করব।’ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ‘সাংবাদিকের কাজ রিপোর্ট করা। আপনারা নিউজ করেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি।’
বগুড়ার শাজাহানপুরে মামলা তুলে না নেওয়া ও চাঁদা না দেওয়ায় হাতুড়িপেটায় আহত আল আমিন (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
৪ মিনিট আগেনাটোর চিনিকলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটেছে। রাতভর কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ লুট করেছে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি ডাকাতদল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ভোর পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চিনিকলের নিরাপত্তা প্রহরীদের বরাত দিয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্র
১২ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছে এক স্বামী। স্ত্রীকে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে তালাবদ্ধ করে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। স্থানীয়রা বসতবাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধূর শরীর। গতকাল শনিবার দিবাগ
৪২ মিনিট আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় মোসা. আইমিন (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিন্না গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আইমিন একই গ্রামের ফাইজুল হক ও আখতারুননাহারের মেয়ে। তিনি মো. রাজু মাঝির স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগে