প্রতিনিধি নবাবগঞ্জ ও দিনাজপুর
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীকে খুনের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। জমির দলিল ও টাকা লুট করতেই নিহত মো. হাফিজুর রহমান বড় ছেলে আ. মতিন মিঠু এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় আ. মতিন মিঠুসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শচীন চাকমা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহত মো. হাফিজুর রহমান বড় ছেলে আ. মতিন মিঠু, উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ধরঞ্জী গ্রামের মো. রাজা মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া (২৫), একই গ্রামের এনামুল হকের ছেলে মো. উজ্জ্বল হোসেন (২৫)।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নবাবগঞ্জ থানার ৬ নম্বর ভাদুরিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নির্শা কাজলদীঘি গ্রামের হাফিজুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় গৃহকর্তা হাফিজুর রহমান (৭৫) এবং তাঁর স্ত্রী ফেন্সীয়ারা বেগম অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের হাতে খুন হন। পরে মৃতের ছোট ছেলে মো. আব্দুল মালেকের (২৩) নবাবগঞ্জ থানায় একটি খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। দিনাজপুর জেলা পুলিশ ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। পুলিশের একাধিক টিম ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা বেশ কিছু বিষয়কে সামনে নিয়ে তদন্ত পরিচালনা করেন।
অবশেষে গত বুধবার মামলার ঘটনাটির রহস্য উদ্ঘাটন করতে সমর্থ হয় পুলিশ।
পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জানান, ঘটনার পর হতে নিহত হাফিজুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল মতিন মিঠুর (৫০) আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এই সূত্র ধরে পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি দুজন জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে দিনাজপুর সরকারি কলেজ এলাকা থেকে রাজন মিয়াকে এবং দাউদপুর এলাকা থেকে মো. উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে একই দিনে বাবা-মার হত্যায় জড়িত থাকায় মৃতের ছেলে মো. আব্দুল মতিন মিঠুকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মিঠু তাঁর বাবার হেফাজতে থাকা জমির দলিল চুরি করার জন্য তাঁর ফুপাতো ভাই সুলতান মাহমুদের সঙ্গে এ ঘটনার পরিকল্পনা করেন। মিঠু তাঁর বাবার কাছে থাকা জমির দলিল এনে দেবে বিনিময়ে বাড়িতে থাকা টাকা নিবে। পরবর্তীতে সেই পরিকল্পনা মতো সুলতান মাহমুদ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে একাধিকবার চেষ্টার পর ঘটনার দিন আসামিরা প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় ফেন্সীয়ারা বেগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হন। এই সুযোগে আসামিরা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর প্রথমে ফেন্সীয়ারা বেগমকে অন্য রুমে বেঁধে ফেলেন। পরে শোয়ার ঘরে গিয়ে জমির দলিল, টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় হাফিজুর রহমানকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রথমে তাঁকে হত্যা করেন এবং পরবর্তীতে উপায়ন্তর না পেয়ে ফেন্সীয়ারা বেগমকেও হত্যা করেন তাঁরা। পরে লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যার যার মতো চলে যান।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীকে খুনের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। জমির দলিল ও টাকা লুট করতেই নিহত মো. হাফিজুর রহমান বড় ছেলে আ. মতিন মিঠু এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় আ. মতিন মিঠুসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শচীন চাকমা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহত মো. হাফিজুর রহমান বড় ছেলে আ. মতিন মিঠু, উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ধরঞ্জী গ্রামের মো. রাজা মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া (২৫), একই গ্রামের এনামুল হকের ছেলে মো. উজ্জ্বল হোসেন (২৫)।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নবাবগঞ্জ থানার ৬ নম্বর ভাদুরিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নির্শা কাজলদীঘি গ্রামের হাফিজুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় গৃহকর্তা হাফিজুর রহমান (৭৫) এবং তাঁর স্ত্রী ফেন্সীয়ারা বেগম অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের হাতে খুন হন। পরে মৃতের ছোট ছেলে মো. আব্দুল মালেকের (২৩) নবাবগঞ্জ থানায় একটি খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। দিনাজপুর জেলা পুলিশ ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। পুলিশের একাধিক টিম ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা বেশ কিছু বিষয়কে সামনে নিয়ে তদন্ত পরিচালনা করেন।
অবশেষে গত বুধবার মামলার ঘটনাটির রহস্য উদ্ঘাটন করতে সমর্থ হয় পুলিশ।
পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জানান, ঘটনার পর হতে নিহত হাফিজুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল মতিন মিঠুর (৫০) আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এই সূত্র ধরে পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি দুজন জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে দিনাজপুর সরকারি কলেজ এলাকা থেকে রাজন মিয়াকে এবং দাউদপুর এলাকা থেকে মো. উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে একই দিনে বাবা-মার হত্যায় জড়িত থাকায় মৃতের ছেলে মো. আব্দুল মতিন মিঠুকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মিঠু তাঁর বাবার হেফাজতে থাকা জমির দলিল চুরি করার জন্য তাঁর ফুপাতো ভাই সুলতান মাহমুদের সঙ্গে এ ঘটনার পরিকল্পনা করেন। মিঠু তাঁর বাবার কাছে থাকা জমির দলিল এনে দেবে বিনিময়ে বাড়িতে থাকা টাকা নিবে। পরবর্তীতে সেই পরিকল্পনা মতো সুলতান মাহমুদ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে একাধিকবার চেষ্টার পর ঘটনার দিন আসামিরা প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় ফেন্সীয়ারা বেগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হন। এই সুযোগে আসামিরা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর প্রথমে ফেন্সীয়ারা বেগমকে অন্য রুমে বেঁধে ফেলেন। পরে শোয়ার ঘরে গিয়ে জমির দলিল, টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় হাফিজুর রহমানকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রথমে তাঁকে হত্যা করেন এবং পরবর্তীতে উপায়ন্তর না পেয়ে ফেন্সীয়ারা বেগমকেও হত্যা করেন তাঁরা। পরে লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যার যার মতো চলে যান।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
৩৬ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে তাঁর আটকের আগে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে