পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারকে সরকারের দেওয়া দুটি গরু বাড়িতে নিতে দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনবিঘা করিডর সড়ক দিয়ে গরু নেওয়ার সময় এই বাধা দেওয়া হয়।
সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, বিলুপ্ত ছিটমহল ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলের গরিব বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি বিতরণের উদ্যোগ নেয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের চত্বর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র পরিবারকে ২০টি বকনা গরু দেওয়া হয়। গরুগুলো দরিদ্রদের হাতে তুলে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন।
উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র জবেদা খাতুন (৪০) ও মোজাম্মেল হক (৬৫) একটি করে গরু পান। তাঁরা গরু দুটি নিয়ে দুপুরে বাড়ি যাওয়ার সময় দহগ্রাম তিনবিঘা করিডর গেটে দায়িত্বরত বিএসএফ সদস্যরা বাধা দেন। পরে পানবাড়ি বিজিবি কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার হারুন অর রশীদ বিএসএফের সঙ্গে কথা বললেও লাভ হয়নি।
এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। সীমান্তের ৮১২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে আয়োজিত বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার হারুন অর রশীদ পাঁচ সদস্যের নেতৃত্ব দেন। বিএসএফ ৬ ব্যাটালিয়নের তিনবিঘা কোম্পানি কমান্ডার শামসের সিং পাঁচ সদস্য নিয়ে সভায় অংশ নেন।
সভা সূত্র জানায়, সভায় বিএসএফ কমান্ডার বলেছেন, তিনবিঘা করিডর সড়ক দিয়ে কোনো গরু নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থার ব্যাপারে জানানো হবে।
দহগ্রামের একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএসএফের সঙ্গে পানবাড়ি ও দহগ্রাম ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা সব সময় দায়সারাভাবে কথা বলেন। যেকোনো ইস্যুতে ভালো ভূমিকা রাখেন না। এতে এখানকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি বেড়েছে।’
দহগ্রামের বাসিন্দা সাবেক শিক্ষক রেজানুর রহমান রেজা (৬০) বলেন, ‘আমাদের দেশের পণ্য আমরা কেন দেশের মধ্যে নিতে পারব না? স্বাধীন দেশের নাগরিককে কেন এ ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হবে?’
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক (৬৫) বলেন, ‘দরিদ্র পরিবার হিসেবে সরকারি একটি বকনা গরু পেয়েছি। আমাদের বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশে নিতে দেয়নি বিএসএফ। পরে অন্যের বাড়িতে রেখে এসেছি।’
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এটা আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আমাদের দেশে যেকোনো বৈধ জিনিস কেন বিএসএফ আনতে দেবে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এ ব্যাপারে রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার এ এফ এম আজমল হোসেন খান বলেন, ‘দহগ্রামে গরু নিতে বিএসএফের বাধা দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারকে সরকারের দেওয়া দুটি গরু বাড়িতে নিতে দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনবিঘা করিডর সড়ক দিয়ে গরু নেওয়ার সময় এই বাধা দেওয়া হয়।
সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, বিলুপ্ত ছিটমহল ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলের গরিব বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি বিতরণের উদ্যোগ নেয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের চত্বর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র পরিবারকে ২০টি বকনা গরু দেওয়া হয়। গরুগুলো দরিদ্রদের হাতে তুলে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন।
উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র জবেদা খাতুন (৪০) ও মোজাম্মেল হক (৬৫) একটি করে গরু পান। তাঁরা গরু দুটি নিয়ে দুপুরে বাড়ি যাওয়ার সময় দহগ্রাম তিনবিঘা করিডর গেটে দায়িত্বরত বিএসএফ সদস্যরা বাধা দেন। পরে পানবাড়ি বিজিবি কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার হারুন অর রশীদ বিএসএফের সঙ্গে কথা বললেও লাভ হয়নি।
এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। সীমান্তের ৮১২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে আয়োজিত বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার হারুন অর রশীদ পাঁচ সদস্যের নেতৃত্ব দেন। বিএসএফ ৬ ব্যাটালিয়নের তিনবিঘা কোম্পানি কমান্ডার শামসের সিং পাঁচ সদস্য নিয়ে সভায় অংশ নেন।
সভা সূত্র জানায়, সভায় বিএসএফ কমান্ডার বলেছেন, তিনবিঘা করিডর সড়ক দিয়ে কোনো গরু নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থার ব্যাপারে জানানো হবে।
দহগ্রামের একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএসএফের সঙ্গে পানবাড়ি ও দহগ্রাম ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা সব সময় দায়সারাভাবে কথা বলেন। যেকোনো ইস্যুতে ভালো ভূমিকা রাখেন না। এতে এখানকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি বেড়েছে।’
দহগ্রামের বাসিন্দা সাবেক শিক্ষক রেজানুর রহমান রেজা (৬০) বলেন, ‘আমাদের দেশের পণ্য আমরা কেন দেশের মধ্যে নিতে পারব না? স্বাধীন দেশের নাগরিককে কেন এ ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হবে?’
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক (৬৫) বলেন, ‘দরিদ্র পরিবার হিসেবে সরকারি একটি বকনা গরু পেয়েছি। আমাদের বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশে নিতে দেয়নি বিএসএফ। পরে অন্যের বাড়িতে রেখে এসেছি।’
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এটা আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আমাদের দেশে যেকোনো বৈধ জিনিস কেন বিএসএফ আনতে দেবে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এ ব্যাপারে রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার এ এফ এম আজমল হোসেন খান বলেন, ‘দহগ্রামে গরু নিতে বিএসএফের বাধা দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
প্রায় ১৭০ বছর আগে বাংলাদেশে চায়ের চাষ শুরু হয়। পরে সময় যত পেরিয়েছে, চা-বাগানের সংখ্যা ও পরিধি বেড়েছে। কিন্তু বাগানের শ্রমিকদের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এখন বেকারত্বে জর্জরিত হয়ে আছে শ্রমিকদের পরিবারগুলো।
১ ঘণ্টা আগেশ্রমিকের হাতুড়ির আঘাতে ভাঙছে ইট, গড়ে উঠছে দালান, সেতু, রাস্তা। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এই পরিশ্রমের কাজ করেও জোড়া লাগেনি তাঁদের ভাগ্য। এখান থেকে পাওয়া সামান্য আয়ে তাঁরা কোনোরকমে ধরে রেখেছেন সংসারের হাল।
১ ঘণ্টা আগেসড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৯ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৯ ঘণ্টা আগে