তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
‘ভালো করি ফটো তুলি নেও। হামার র্দুদশা কাঁয়ও দ্যাখেনা। কাদার জন্যে বর্ষার সময়ে ঘর থাকি বেরার পাই না। হামার গ্রামের নাম শুনলে রিকশা-ভ্যান আইসে না। হাটি যাওয়া আইসা করা নাগোছে। হামরা দশ সের পাঁচ সের চাউল চাই না। হামাক রাস্তাটা পাকা করি দেও।’
বর্ষায় বেহাল রাস্তায় এভাবেই দুর্দশার বর্ণনা দেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ বলরাম রায় (৬৫)।
উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার দূরে সয়ার ইউনিয়নের কামারপাড়া-চেংপাড়া কাঁচা রাস্তাটির দৈর্ঘ্য তিন কিলোমিটার। রাস্তার দুই পাশে কামারপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, মুচিপাড়া, ভাদুপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, চেংপাড়া, বকসিপাড়া, কাজীপাড়া, ফকিরপাড়া, আশ্রমপাড়া, চেংপাড়াসহ ১১টি গ্রাম। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। বর্ষা এলেই এক হাঁটু কাদাপানি জমে থাকে।
আজ শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটিতে ১০-১৫ মিটার পরপর বড় বড় গর্ত। গর্তে জমে আছে কাদাপানি। লোকজন কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করছে।
কামারপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তরনী কান্ত রায় বলেন, রাস্তাটিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। যার ফলে বৃষ্টির পানি জমে কাদাপানির সৃষ্টি হয়। কাদার কারণে এলাকার লোকজন যাতায়াত করতে পারছে না। গ্রামে গাড়িঘোড়া আসে না। কৃষকেরা ফসল ভারে করে অন্য সড়কে নিয়ে যাওয়ার পর ভ্যানে করে শহরে হাটে বাজারে নিয়ে যায়। রাস্তাটি পাকা করার জন্য বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছি। কিন্তু কেউ পদক্ষেপ নেয়নি। রাস্তাটি পাকা হলে কয়েকটি গ্রামের মানুষের জীবন পাল্টে যাবে।
চেংপাড়া মোড়ে কাদাপানির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ডালিম রায়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘ভাই মেম্বার-চেয়ারম্যানকে একশবার পার হইছে সড়কটা পাকা বানার কথা কবার জন্যে। তাও কাঁয়ও শোনে না। কাদার জন্যে হামরা চলাচল করিবার পাওছি না। গ্রামের সউগ লোক এবার একটে হছি (ঐক্যবদ্ধ হয়েছি), যাঁয় রাস্তা পাকা বানাইবে, তাকে ভোট দিমো।’
এই রাস্তার কারণে এলাকার মানুষেরা শুধু অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, এখানে কিছু সামাজিক সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশের গ্রামগুলোতে বর্ষাজুড়ে সামাজিক কর্মকাণ্ড প্রায় বন্ধ থাকে।
মুচিপাড়া গ্রামের গৃহবধূ প্রজাপতি রানী বলেন, ‘এই রাস্তাটাই যত সমস্যার। রাস্তাটার জন্য এলাকাত বিয়ার সম্বন্ধ আইসে না। বর্ষার সময় বিয়া সাদিও হয় না। ছাওয়া ছোটোর বিয়াও খড়ার সময় ছাড়া দিবার পারি না। সাগাই সোদরও (আত্মীয়-স্বজন) বিরক্ত। এমনতোন আরও কতো সমস্যাত আছি। তাঁক তোমাক কয়া বুঝির পামো না। সরকারেরটে হামরা কিছু চাই না, খালি হামাক রাস্তাটা পাকা বানে দেউক।’
জানতে চাইলে সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আজম বলেন, ওই রাস্তাটিসহ আমার ইউনিয়নের বেশ কিছু রাস্তা পাকা করণের জন্য উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় একাধিকবার উপস্থাপন করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। ফলে কামারপাড়া-চেংপাড়া রাস্তার পাশের গ্রামের মানুষ পানি মারিয়ে অতি কষ্টে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ হয়দার জামান বলেন, ওই কাঁচা রাস্তাটি ছাড়াও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে বেশ কিছু কাচা রাস্তা রয়েছে। বর্ষার সময় কাদায় লোকজনের দুর্ভোগের কথা জানা আছে। বরাদ্দ এলে পর্যাক্রমে রাস্তাগুলো পাকা করা হবে।
‘ভালো করি ফটো তুলি নেও। হামার র্দুদশা কাঁয়ও দ্যাখেনা। কাদার জন্যে বর্ষার সময়ে ঘর থাকি বেরার পাই না। হামার গ্রামের নাম শুনলে রিকশা-ভ্যান আইসে না। হাটি যাওয়া আইসা করা নাগোছে। হামরা দশ সের পাঁচ সের চাউল চাই না। হামাক রাস্তাটা পাকা করি দেও।’
বর্ষায় বেহাল রাস্তায় এভাবেই দুর্দশার বর্ণনা দেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ বলরাম রায় (৬৫)।
উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার দূরে সয়ার ইউনিয়নের কামারপাড়া-চেংপাড়া কাঁচা রাস্তাটির দৈর্ঘ্য তিন কিলোমিটার। রাস্তার দুই পাশে কামারপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, মুচিপাড়া, ভাদুপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, চেংপাড়া, বকসিপাড়া, কাজীপাড়া, ফকিরপাড়া, আশ্রমপাড়া, চেংপাড়াসহ ১১টি গ্রাম। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। বর্ষা এলেই এক হাঁটু কাদাপানি জমে থাকে।
আজ শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটিতে ১০-১৫ মিটার পরপর বড় বড় গর্ত। গর্তে জমে আছে কাদাপানি। লোকজন কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করছে।
কামারপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তরনী কান্ত রায় বলেন, রাস্তাটিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। যার ফলে বৃষ্টির পানি জমে কাদাপানির সৃষ্টি হয়। কাদার কারণে এলাকার লোকজন যাতায়াত করতে পারছে না। গ্রামে গাড়িঘোড়া আসে না। কৃষকেরা ফসল ভারে করে অন্য সড়কে নিয়ে যাওয়ার পর ভ্যানে করে শহরে হাটে বাজারে নিয়ে যায়। রাস্তাটি পাকা করার জন্য বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছি। কিন্তু কেউ পদক্ষেপ নেয়নি। রাস্তাটি পাকা হলে কয়েকটি গ্রামের মানুষের জীবন পাল্টে যাবে।
চেংপাড়া মোড়ে কাদাপানির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ডালিম রায়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘ভাই মেম্বার-চেয়ারম্যানকে একশবার পার হইছে সড়কটা পাকা বানার কথা কবার জন্যে। তাও কাঁয়ও শোনে না। কাদার জন্যে হামরা চলাচল করিবার পাওছি না। গ্রামের সউগ লোক এবার একটে হছি (ঐক্যবদ্ধ হয়েছি), যাঁয় রাস্তা পাকা বানাইবে, তাকে ভোট দিমো।’
এই রাস্তার কারণে এলাকার মানুষেরা শুধু অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, এখানে কিছু সামাজিক সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশের গ্রামগুলোতে বর্ষাজুড়ে সামাজিক কর্মকাণ্ড প্রায় বন্ধ থাকে।
মুচিপাড়া গ্রামের গৃহবধূ প্রজাপতি রানী বলেন, ‘এই রাস্তাটাই যত সমস্যার। রাস্তাটার জন্য এলাকাত বিয়ার সম্বন্ধ আইসে না। বর্ষার সময় বিয়া সাদিও হয় না। ছাওয়া ছোটোর বিয়াও খড়ার সময় ছাড়া দিবার পারি না। সাগাই সোদরও (আত্মীয়-স্বজন) বিরক্ত। এমনতোন আরও কতো সমস্যাত আছি। তাঁক তোমাক কয়া বুঝির পামো না। সরকারেরটে হামরা কিছু চাই না, খালি হামাক রাস্তাটা পাকা বানে দেউক।’
জানতে চাইলে সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আজম বলেন, ওই রাস্তাটিসহ আমার ইউনিয়নের বেশ কিছু রাস্তা পাকা করণের জন্য উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় একাধিকবার উপস্থাপন করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। ফলে কামারপাড়া-চেংপাড়া রাস্তার পাশের গ্রামের মানুষ পানি মারিয়ে অতি কষ্টে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ হয়দার জামান বলেন, ওই কাঁচা রাস্তাটি ছাড়াও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে বেশ কিছু কাচা রাস্তা রয়েছে। বর্ষার সময় কাদায় লোকজনের দুর্ভোগের কথা জানা আছে। বরাদ্দ এলে পর্যাক্রমে রাস্তাগুলো পাকা করা হবে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৩ ঘণ্টা আগে