Ajker Patrika

চালের চেয়ে আটার দাম বেশি, বেকারিশিল্প বন্ধের আশঙ্কা

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২২, ১৬: ৪৫
চালের চেয়ে আটার দাম বেশি, বেকারিশিল্প বন্ধের আশঙ্কা

নীলফামারীর বাজারে চালের চেয়ে বেড়ে গেছে আটার দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। একই দামে খোলা আটা বিক্রি হলেও প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আটার এমন মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষের। অন্যদিকে আটার মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়েছে বেকারিশিল্পে। বাজারমূল্যে এমন ঊর্ধ্বগতি থাকলে বেকারিশিল্পের সব পণ্যের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। তা না হলে বেকারিশিল্প বন্ধ করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মালিকেরা।

নীলফামারীর পৌর বাজারে আটা কিনতে আসা রিকশাচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সীমিত আয়ে ছয়জনের সংসারে একবেলা রুটি আর একবেলা ভাত খেয়ে দিনাতিপাত করি। কয়েক দিন আগে এক কেজি আটা কিনতে ৫০ টাকা লাগত। এখন সেই আটা ৫৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এতে সংসারে অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চাহিদা অনুযায়ী কেনা সম্ভব হচ্ছে না।’

ডিমলা বাবুরহাট বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী রশিদ স্টোরের মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘দাম বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি হিসেবে প্রতি কেজি খোলা আটা ৫৩ টাকা এবং প্যাকেটজাত প্রতি কেজি আটা ৫৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এভাবে কোম্পানিগুলো দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় আমাদেরও বাধ্য হয়ে বেশি দামে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ এ ছাড়া পূজার কারণে গম আমদানি না হওয়ায় বাজারে আটার সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির মালিকেরা।

সৈয়দপুর গাউছিয়া কনফেকশনারির মালিক মো. আওরঙ্গজেব বলেন, লোকসানের বোঝা বইতে বইতে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই বেকারিশিল্প টিকিয়ে রাখতে কাঁচামালের মূল্য কমাতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বাজারে ৭৪ কেজি ওজনের আটার বস্তা ৩ হাজার ৯০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এর বাইরেও রয়েছে নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য (ফুড গ্রেড) ও পণ্যের প্যাকেজিং সামগ্রী, যার মূল্যও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। রয়েছে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও শ্রমিক মজুরির মতো মোটা অঙ্কের খরচ। ফলে খরচের তুলনায় আয় কম হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বেকারিশিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়, বন্ধ করে দিতে হবে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম সিয়াম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের বাজারে আটার দাম যেভাবে বাড়ছে, সেটা একেবারেই অস্বাভাবিক। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে আটার দাম এখন কমতে শুরু করেছে। তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের খতিয়ে দেখা দরকার।

মঞ্জুরুল আলম সিয়াম আরও বলেন, চালের দাম বাড়লে অল্প আয়ের মানুষ আটার ওপর নির্ভর করেন। ফলে এ ধরনের পণ্যের ওপর সরকারের আলাদা নজর রাখতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত