Ajker Patrika

বাজারে দাম বেশি, রাণীনগর-আত্রাই খাদ্যগুদামে ধান দেননি কৃষক

রানীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৪: ৪৩
বাজারে দাম বেশি, রাণীনগর-আত্রাই খাদ্যগুদামে ধান দেননি কৃষক

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও কোনো ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।

রাণীনগর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন বলেন, আমন মৌসুমে এই উপজেলায় ৩০ টাকা কেজি দরে ৭৬০ টন ধান এবং ৪৪ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৩৮৩ টন সেদ্ধ চাল ও ৪৩ টাকা কেজি দরে ৩৬ টন আতপ চাল ক্রয় বরাদ্দ পাওয়া যায়। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান-চাল ক্রয়ের সময় নির্ধারণ করা হয়। এই সময়ের মধ্যে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা চাল সরবরাহ করলেও কৃষকেরা কোনো ধান দেননি। ফলে ধান ক্রয়ে শূন্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

এদিকে আত্রাই উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৩০ টাকা কেজি দরে ২৯৭ টন ধান এবং ৪৪ টাকা কেজি দরে ২৬৬ টন চাল সংগ্রহে ক্রয় বরাদ্দ পাওয়া যায়। এই সময়ের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা চাল সরবরাহ করলেও খাদ্যগুদামে কোনো ধান দেননি কৃষক। ফলে এই উপজেলায়ও ধান ক্রয়ে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা শূন্য।

রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাট বাজারের ধান-চাল আড়তদার হেলাল উদ্দীন হেলু মণ্ডল, আত্রাই উপজেলার পতিসর বাজারের ধান-আড়তদার সাইফুল ইসলাম টুটুল ও নওদুলি বাজারের আড়তদার তুষার আহম্মেদ বলেন, চলমান বাজার অনুযায়ী জিরাশাইল ধান প্রতিমণ ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫২০-৩০ টাকা, স্বর্ণা-৫ জাতের ধান প্রতিমণ সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ব্রি-৯০ জাতের প্রতিমণ ধান ১ হাজার ৪০০ টাকা ও চিনি আতপ প্রতিমণ ধান সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের আমদানি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান, গোনা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, আত্রাই উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক শরিফ উদ্দীন, বড়সাওতা গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম, নওদুলি বিশা গ্রামের কৃষক মহিউদ্দীন হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে ধানের আর্দ্রতা ও রকম যাচাই-বাছাই করা হয়। এ ছাড়া গুদামে বিক্রীত ধানের টাকা নিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা নিতে হয়। তাতে অনেক ঝামেলা হয়। তা ছাড়া সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে বাজারে প্রতি মণ ধানে ২৫০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দেননি।

রাণীনগর উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে তাবাসসুম বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে স্থানীয় বাজারে বেশি দাম পাওয়ায় কৃষকেরা গুদামে ধান দেননি।

তবে আত্রাই উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, এমনিতেই এ উপজেলায় আমন ধানের চাষ কম হয়। এর মধ্যে বন্যায় শত শত বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তা ছাড়া সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত