নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিলের নিচু জমির পাকা ধান পানিতে ভাসছে। গাছে থাকা অবস্থায় এসব ধানে চারা গজাতে শুরু করেছে। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানিতে নেমে কৃষকেরা সেই ধান কেটে ঘরে তুলছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তার কোনো হিসাব নেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ মে দিবাগত রাত থেকে রাজশাহী অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ২০ মে ৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার, ২১ মে ৩৩ দশমিক ৩ মিলিমিটার, ২২ মে ৮৪ মিলিমিটার, ২৪ মে ৩১ দশমিক ৮ মিলিমিটার, ২৫ মে ১৫ মিলিমিটার, ২৬ মে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবশেষ গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, টানা এই বৃষ্টিতে নিচু ও বিল এলাকার জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বামলাইন বিলের কৃষক আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিলে এখন হাঁটুপানি। তার তিন বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। শিষের ধানেই এখন চারা গজাচ্ছে।’
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলের কৃষক তুহিন আলী বলেন, ‘বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে ধান কেটে জমিতেই পাড়ন দিয়েছিলেন। আঁটি বেঁধে ওই ধান ঘরে তোলার আগেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ফলে ধান আর ঘরে তোলা যায়নি। বিলের পানিতে ধান এখন ভাসছে। এই ধানে চারা গজাতে শুরু করেছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের হাঁকরইল গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘বোরো ধানের ফলন এবার খুব ভালো হয়েছিল। বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ২৭ মণ ফলন আশা করেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টিতে ধান শুয়ে পড়েছে। এ কারণে অনেক ধান ঝরে গেছে। শিষের ধানেও চারা গজিয়েছে। এখন বিঘাপ্রতি ফলন কমে ১৫ থেকে ১৬ মণ হতে পারে।’
নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন বিলের জমির বোরো ধান এখনো তলিয়ে আছে। মান্দার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আহসান হাবীব বলেন, ‘গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে অনেক জমির ধান তলিয়ে গেছে। রোদ না থাকায় শিষ ধান থেকে বীজ বের হচ্ছে। এই ধানের ফলন কম হবে বলে কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’
তবে বরেন্দ্র অঞ্চলের বৃষ্টিতে ক্ষতি খুব একটা হবে না বলে মনে করেন রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা। তিনি বলেন, ‘রুক্ষ বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টিতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। আর আমাদের রাজশাহী জেলায় ইতিমধ্যে ৭৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। বাকি ধানগুলোও দ্রুতই কাটা শেষ হয়ে যাবে। বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হবে না।’
ঝড় ছাড়া বৃষ্টি হলে ক্ষয়ক্ষতির কোনো হিসাব সংগ্রহ করা হয় না বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘যদি ঝড় এবং ভারী শিলাবৃষ্টি হয়, তখন আমরা ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করি। এ ধরনের বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব সংগ্রহ করা হয় না। আমরা মাঠপর্যায়ে খোঁজ রাখছি।’
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি অঞ্চলের চার জেলা—রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে চলতি মৌসুমে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫ টন।
এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিলের নিচু জমির পাকা ধান পানিতে ভাসছে। গাছে থাকা অবস্থায় এসব ধানে চারা গজাতে শুরু করেছে। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানিতে নেমে কৃষকেরা সেই ধান কেটে ঘরে তুলছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তার কোনো হিসাব নেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ মে দিবাগত রাত থেকে রাজশাহী অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ২০ মে ৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার, ২১ মে ৩৩ দশমিক ৩ মিলিমিটার, ২২ মে ৮৪ মিলিমিটার, ২৪ মে ৩১ দশমিক ৮ মিলিমিটার, ২৫ মে ১৫ মিলিমিটার, ২৬ মে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবশেষ গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, টানা এই বৃষ্টিতে নিচু ও বিল এলাকার জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বামলাইন বিলের কৃষক আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিলে এখন হাঁটুপানি। তার তিন বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। শিষের ধানেই এখন চারা গজাচ্ছে।’
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলের কৃষক তুহিন আলী বলেন, ‘বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে ধান কেটে জমিতেই পাড়ন দিয়েছিলেন। আঁটি বেঁধে ওই ধান ঘরে তোলার আগেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ফলে ধান আর ঘরে তোলা যায়নি। বিলের পানিতে ধান এখন ভাসছে। এই ধানে চারা গজাতে শুরু করেছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের হাঁকরইল গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘বোরো ধানের ফলন এবার খুব ভালো হয়েছিল। বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ২৭ মণ ফলন আশা করেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টিতে ধান শুয়ে পড়েছে। এ কারণে অনেক ধান ঝরে গেছে। শিষের ধানেও চারা গজিয়েছে। এখন বিঘাপ্রতি ফলন কমে ১৫ থেকে ১৬ মণ হতে পারে।’
নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন বিলের জমির বোরো ধান এখনো তলিয়ে আছে। মান্দার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আহসান হাবীব বলেন, ‘গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে অনেক জমির ধান তলিয়ে গেছে। রোদ না থাকায় শিষ ধান থেকে বীজ বের হচ্ছে। এই ধানের ফলন কম হবে বলে কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’
তবে বরেন্দ্র অঞ্চলের বৃষ্টিতে ক্ষতি খুব একটা হবে না বলে মনে করেন রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা। তিনি বলেন, ‘রুক্ষ বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টিতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। আর আমাদের রাজশাহী জেলায় ইতিমধ্যে ৭৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। বাকি ধানগুলোও দ্রুতই কাটা শেষ হয়ে যাবে। বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হবে না।’
ঝড় ছাড়া বৃষ্টি হলে ক্ষয়ক্ষতির কোনো হিসাব সংগ্রহ করা হয় না বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘যদি ঝড় এবং ভারী শিলাবৃষ্টি হয়, তখন আমরা ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করি। এ ধরনের বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব সংগ্রহ করা হয় না। আমরা মাঠপর্যায়ে খোঁজ রাখছি।’
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি অঞ্চলের চার জেলা—রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে চলতি মৌসুমে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫ টন।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
১৬ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২১ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
২৬ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে