রাবি প্রতিনিধি
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট খেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাবি ক্রিকেট দলের অন্তত চারজন খেলোয়াড় আহত হয়েছেন। আজ সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষ। আহত খেলোয়াড়রা হলেন–সিফাত, ইমন, তূর্য ও রোকন। তাঁরা রাজশাহীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাঠে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তারা আমলে নেয়নি। এমনকি ঢাবি উপাচার্য রাবি উপাচার্যের সঙ্গের কথাও বলেছেন। তিনি কথা দিয়েছেন যে মাঠের ভেতরে কোনো দর্শক থাকবে না, অথচ ম্যাচের শুরুতে শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে মাঠে প্রবেশ করে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তারা যখন ম্যাচ হারার পথে, তখনই বারি শিক্ষার্থীরা মাঠে প্রবেশ করে খেলোয়াড়দের ওপর আক্রমণ করে। এ ঘটনায় অন্তত চারজন খেলোয়াড় আহত হয়েছেন।’ এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আজ দুপুরে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের মুখোমুখি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দল। ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাবি ক্রিকেট দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫০ রানের টার্গেট দেয় ঢাবি ক্রিকেট দল। জবাবে খেলতে নেমে ভালো সূচনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দল।
খেলায় ১৩ ওভার চলাকালে এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তকে ঘিরে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ঢাবির খেলোয়াড়েরা। পরে দুই দলের কোচ ও শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে ফের খেলা শুরু হয়। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দল। ১৮ ওভার শেষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩০ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে লংঅনে পাঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ব্যাটসম্যান। বলটি বাউন্ডারি লাইনে ড্রাইভ দিয়ে তালুবন্দী করেন ঢাবির খেলোয়াড় সাকিব। আউট হয়েছে কি না সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই মাঠে ঢুকে রাবি শিক্ষার্থীরা ঢাবির খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করেন। হামলাকারীদের মধ্যে শাখা ছাত্রলীগ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে অংশ নিতে দেখা যায়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের সহযোগিতায় ঢাবির খেলোয়াড়দের প্যাভিলিয়নে ফেরত আনা হয়। এ সময় মাইকে আলোক স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে উভয় দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন ম্যাচ পরিচালক। পরে মানবঢাল তৈরি করে পুলিশি পাহারায় মাঠ থেকে ঢাবি খেলোয়াড়দের সরিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় রাবি শিক্ষার্থীরা ‘রাবি-ঢাবি ভাই ভাই, ভয়ের কোনো কারণ নাই’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
হামলায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান। পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে রাবি প্রক্টর অধ্যাপক আসহাবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। মাঠে আমাদের সহকারী প্রক্টর ও পুলিশ প্রশাসন মোতায়েন করা হয়। কিন্তু আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। ক্ষণিকের মধ্যে বিষয়টি ভিন্ন আকার ধারণ করে। তারপরও আমরা খেলোয়াড়দের নিরাপদে মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়েছি।’
হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রথমে শিক্ষার্থীদের গ্যালারিতে বসার ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা তাদের মাঠে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়ে। হামলার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ইতিমধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট খেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাবি ক্রিকেট দলের অন্তত চারজন খেলোয়াড় আহত হয়েছেন। আজ সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষ। আহত খেলোয়াড়রা হলেন–সিফাত, ইমন, তূর্য ও রোকন। তাঁরা রাজশাহীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাঠে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তারা আমলে নেয়নি। এমনকি ঢাবি উপাচার্য রাবি উপাচার্যের সঙ্গের কথাও বলেছেন। তিনি কথা দিয়েছেন যে মাঠের ভেতরে কোনো দর্শক থাকবে না, অথচ ম্যাচের শুরুতে শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে মাঠে প্রবেশ করে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তারা যখন ম্যাচ হারার পথে, তখনই বারি শিক্ষার্থীরা মাঠে প্রবেশ করে খেলোয়াড়দের ওপর আক্রমণ করে। এ ঘটনায় অন্তত চারজন খেলোয়াড় আহত হয়েছেন।’ এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আজ দুপুরে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের মুখোমুখি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দল। ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাবি ক্রিকেট দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫০ রানের টার্গেট দেয় ঢাবি ক্রিকেট দল। জবাবে খেলতে নেমে ভালো সূচনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দল।
খেলায় ১৩ ওভার চলাকালে এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তকে ঘিরে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ঢাবির খেলোয়াড়েরা। পরে দুই দলের কোচ ও শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে ফের খেলা শুরু হয়। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দল। ১৮ ওভার শেষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩০ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে লংঅনে পাঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ব্যাটসম্যান। বলটি বাউন্ডারি লাইনে ড্রাইভ দিয়ে তালুবন্দী করেন ঢাবির খেলোয়াড় সাকিব। আউট হয়েছে কি না সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই মাঠে ঢুকে রাবি শিক্ষার্থীরা ঢাবির খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করেন। হামলাকারীদের মধ্যে শাখা ছাত্রলীগ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে অংশ নিতে দেখা যায়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের সহযোগিতায় ঢাবির খেলোয়াড়দের প্যাভিলিয়নে ফেরত আনা হয়। এ সময় মাইকে আলোক স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে উভয় দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন ম্যাচ পরিচালক। পরে মানবঢাল তৈরি করে পুলিশি পাহারায় মাঠ থেকে ঢাবি খেলোয়াড়দের সরিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় রাবি শিক্ষার্থীরা ‘রাবি-ঢাবি ভাই ভাই, ভয়ের কোনো কারণ নাই’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
হামলায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান। পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে রাবি প্রক্টর অধ্যাপক আসহাবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। মাঠে আমাদের সহকারী প্রক্টর ও পুলিশ প্রশাসন মোতায়েন করা হয়। কিন্তু আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। ক্ষণিকের মধ্যে বিষয়টি ভিন্ন আকার ধারণ করে। তারপরও আমরা খেলোয়াড়দের নিরাপদে মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়েছি।’
হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রথমে শিক্ষার্থীদের গ্যালারিতে বসার ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা তাদের মাঠে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়ে। হামলার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ইতিমধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
৩ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
১ ঘণ্টা আগে