মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদের চার স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে পানি। অন্তত ১ হাজার ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ১ হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের খেত। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্লাবিত এলাকার মানুষ।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গত রোববার সকাল থেকে আত্রাই নদে পানি বাড়তে শুরু করে। আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ নদের পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে আরও কয়েক দিন পানি বাড়তে পারে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশ কিছু এলাকা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেরামতের কাজ করছেন শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার পারনুরুল্লাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিনের পুরোনো বেড়িবাঁধটি সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে প্রতিবছর বেড়িবাঁধ স্থানে ভেঙে পুরো গ্রামটি প্লাবিত হয়। এ সময় পরিবারের লোকজনসহ গরু-ছাগল নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তলিয়ে যায় খেতের ফসল। আমরা মজবুত বেড়িবাঁধটি নির্মাণের দাবি করছি। সরকারি কোনো অনুদান চাই না।’
নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে বেশি পানি প্রবেশ করেছে। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪০০ পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকার অন্তত ৬০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫০০ পরিবার।
নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আত্রাই নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের অন্তত ১০০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের পানিবন্দী মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
প্রসাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, সোমবার রাত ২টার দিকে বাইবুল্যা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম গোলাম আজম বলেন, কয়লাবাড়ী বেড়িবাঁধের ভাঙনস্থানটি মেরামত না করায় ওই স্থান দিয়ে পানি অনায়াসে গ্রামে ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২০০ পরিবার। একই সঙ্গে তলিয়ে গেছে অন্তত ৩০০ বিঘা জমির আমন ধানের খেত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, ‘বন্যার পানিতে নদী-তীরবর্তী ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকা ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করছেন। দু-এক দিনের মধ্যে ক্ষতির পুরো তথ্য জানা যাবে।’
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, এরই মধ্যে বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। প্লাবিত এলাকা সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে কৃষি দপ্তর।
নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদের চার স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে পানি। অন্তত ১ হাজার ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ১ হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের খেত। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্লাবিত এলাকার মানুষ।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গত রোববার সকাল থেকে আত্রাই নদে পানি বাড়তে শুরু করে। আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ নদের পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে আরও কয়েক দিন পানি বাড়তে পারে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশ কিছু এলাকা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেরামতের কাজ করছেন শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার পারনুরুল্লাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিনের পুরোনো বেড়িবাঁধটি সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে প্রতিবছর বেড়িবাঁধ স্থানে ভেঙে পুরো গ্রামটি প্লাবিত হয়। এ সময় পরিবারের লোকজনসহ গরু-ছাগল নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তলিয়ে যায় খেতের ফসল। আমরা মজবুত বেড়িবাঁধটি নির্মাণের দাবি করছি। সরকারি কোনো অনুদান চাই না।’
নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে বেশি পানি প্রবেশ করেছে। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪০০ পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকার অন্তত ৬০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫০০ পরিবার।
নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আত্রাই নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের অন্তত ১০০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের পানিবন্দী মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
প্রসাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, সোমবার রাত ২টার দিকে বাইবুল্যা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম গোলাম আজম বলেন, কয়লাবাড়ী বেড়িবাঁধের ভাঙনস্থানটি মেরামত না করায় ওই স্থান দিয়ে পানি অনায়াসে গ্রামে ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২০০ পরিবার। একই সঙ্গে তলিয়ে গেছে অন্তত ৩০০ বিঘা জমির আমন ধানের খেত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, ‘বন্যার পানিতে নদী-তীরবর্তী ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকা ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করছেন। দু-এক দিনের মধ্যে ক্ষতির পুরো তথ্য জানা যাবে।’
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, এরই মধ্যে বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। প্লাবিত এলাকা সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে কৃষি দপ্তর।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৩ ঘণ্টা আগে