পাবনা ও চাটমোহর প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা দিতে রোগীর কাছে টাকা দাবির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়েরের এক সপ্তাহ পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ফরহাদ পারভেজ লিখনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে ৪ জুন হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী রোগী হুমায়ূন রশিদ সোহাগ।
কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক ও ডা. আসিফ উদ্দিন খান। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী রোগী হুমায়ূন রশিদ সোহাগ উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের মাঝগ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ময়লা পরিষ্কারের সময় কটনবার হুমায়ূন রশিদ সোহাগের কানের ভেতরে আটকে যায়। এতে কয়েক দিন ধরে অস্বস্তিতে ভুগছিলেন তিনি। বাধ্য হয়ে তিনি চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। ৪ জুন বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে গেলে তাঁকে পাঠানো হয় ২২ নম্বর কক্ষে নাক, কান গলা বিভাগে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল আযম তাঁর কান পরীক্ষা করে ‘কানের অবস্থা খারাপ করে ফেলছেন’ উল্লেখ করে ভয় ধরিয়ে দেন। পরে চিকিৎসককে কানের ভেতর থেকে কটনবারটি বের করে দিতে অনুরোধ করলে চিকিৎসক সাইফুল আযম ৩০০ টাকা দাবি করেন।
ভুক্তভোগী সোহাগ অভিযোগের বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে টাকা দিতে হবে কেন জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক রাগান্বিত স্বরে বলেন, কান থেকে তুলা বের করতে হলে ৩০০ টাকা দিতে হবে। না হলে এখান থেকে বের হন। আমি তাঁর এমন ব্যবহারে প্রতিবাদ করলে ওই চিকিৎসক ও তাঁর সহকারীরা উত্তেজিত হয়ে আমাকে অশালীন আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে আমি ওই চিকিৎসক ও তাঁর সহকারীদের বিচার চেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বুলবুল বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। অভিযোগটি হাসপাতালের হেড ক্লার্ক নুরুল ইসলামের কাছে জমা দিই।’
ভুক্তভোগী সোহাগ আরও বলেন, ঘটনার এক সপ্তাহ পর আজ সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা জানলে দুপুরে তড়িঘড়ি করে ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক সাইফুল আযম বলেন, ‘অভিযোগ সঠিক নয়। নাক, কান গলার চিকিৎসা করাতে যেসব যন্ত্রপাতির প্রয়োজন সেসব যন্ত্রপাতি হাসপাতালে নেই। আমার ব্যক্তিগত যন্ত্রপাতি দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিই। অভিযোগকারীর কানের খুব গভীরে কটনবার গেছে, যেটা হাসপাতালে বের করা সম্ভব ছিল না। বাইরে থেকে করতে বলেছি। আর তাঁর সঙ্গে অশালীন বা খারাপ আচরণে কোনো কথা বলা হয়নি।’
সাইফুল আযম আরও বলেন, ‘অভিযোগকারী বিষয়টি নিয়ে অতিরঞ্জিত করছেন। আমি এরই মধ্যে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সার্কেল সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বুলবুলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনো লিখিত অভিযোগ আমি পাইনি। লিখিত অভিযোগ না পেলে তো আমরা মুখের কথায় কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
৪ জুন দেওয়া লিখিত অভিযোগ আজও ডা. ওমর ফারুক বুলবুলের কাছে পৌঁছায়নি কেন? বিষয়টি অনুসন্ধানে হেড ক্লার্ক নুরুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্যারকেও ফাইলে করে দিয়েছি।’ পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি বলেন, অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি। এ সময় হেড ক্লার্ককে ডেকে পাঠালে তিনি ফাইল নিয়ে এলে দেখা যায়, ওই ফাইলে লিখিত অভিযোগটি রয়েছে। তখন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা তো আমাকে দেখানো হয়নি।’ এ সময় তাৎক্ষণিক তিনি ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা দিতে রোগীর কাছে টাকা দাবির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়েরের এক সপ্তাহ পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ফরহাদ পারভেজ লিখনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে ৪ জুন হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী রোগী হুমায়ূন রশিদ সোহাগ।
কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক ও ডা. আসিফ উদ্দিন খান। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী রোগী হুমায়ূন রশিদ সোহাগ উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের মাঝগ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ময়লা পরিষ্কারের সময় কটনবার হুমায়ূন রশিদ সোহাগের কানের ভেতরে আটকে যায়। এতে কয়েক দিন ধরে অস্বস্তিতে ভুগছিলেন তিনি। বাধ্য হয়ে তিনি চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। ৪ জুন বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে গেলে তাঁকে পাঠানো হয় ২২ নম্বর কক্ষে নাক, কান গলা বিভাগে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল আযম তাঁর কান পরীক্ষা করে ‘কানের অবস্থা খারাপ করে ফেলছেন’ উল্লেখ করে ভয় ধরিয়ে দেন। পরে চিকিৎসককে কানের ভেতর থেকে কটনবারটি বের করে দিতে অনুরোধ করলে চিকিৎসক সাইফুল আযম ৩০০ টাকা দাবি করেন।
ভুক্তভোগী সোহাগ অভিযোগের বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে টাকা দিতে হবে কেন জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক রাগান্বিত স্বরে বলেন, কান থেকে তুলা বের করতে হলে ৩০০ টাকা দিতে হবে। না হলে এখান থেকে বের হন। আমি তাঁর এমন ব্যবহারে প্রতিবাদ করলে ওই চিকিৎসক ও তাঁর সহকারীরা উত্তেজিত হয়ে আমাকে অশালীন আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে আমি ওই চিকিৎসক ও তাঁর সহকারীদের বিচার চেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বুলবুল বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। অভিযোগটি হাসপাতালের হেড ক্লার্ক নুরুল ইসলামের কাছে জমা দিই।’
ভুক্তভোগী সোহাগ আরও বলেন, ঘটনার এক সপ্তাহ পর আজ সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা জানলে দুপুরে তড়িঘড়ি করে ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক সাইফুল আযম বলেন, ‘অভিযোগ সঠিক নয়। নাক, কান গলার চিকিৎসা করাতে যেসব যন্ত্রপাতির প্রয়োজন সেসব যন্ত্রপাতি হাসপাতালে নেই। আমার ব্যক্তিগত যন্ত্রপাতি দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিই। অভিযোগকারীর কানের খুব গভীরে কটনবার গেছে, যেটা হাসপাতালে বের করা সম্ভব ছিল না। বাইরে থেকে করতে বলেছি। আর তাঁর সঙ্গে অশালীন বা খারাপ আচরণে কোনো কথা বলা হয়নি।’
সাইফুল আযম আরও বলেন, ‘অভিযোগকারী বিষয়টি নিয়ে অতিরঞ্জিত করছেন। আমি এরই মধ্যে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সার্কেল সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বুলবুলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনো লিখিত অভিযোগ আমি পাইনি। লিখিত অভিযোগ না পেলে তো আমরা মুখের কথায় কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
৪ জুন দেওয়া লিখিত অভিযোগ আজও ডা. ওমর ফারুক বুলবুলের কাছে পৌঁছায়নি কেন? বিষয়টি অনুসন্ধানে হেড ক্লার্ক নুরুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্যারকেও ফাইলে করে দিয়েছি।’ পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি বলেন, অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি। এ সময় হেড ক্লার্ককে ডেকে পাঠালে তিনি ফাইল নিয়ে এলে দেখা যায়, ওই ফাইলে লিখিত অভিযোগটি রয়েছে। তখন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা তো আমাকে দেখানো হয়নি।’ এ সময় তাৎক্ষণিক তিনি ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজারহাটে জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের এক নেতার ‘কলিজা টেনে ছিঁড়ে ফেলা’ ও তাঁর দলকে (জামায়াত) নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠি পাঠানো হয়।
২৪ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ববিরোধ ও এক নারীর দিকে তাকানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চানমনিপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা
৩৮ মিনিট আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেছেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা কোন জায়গায় যাবে সেটি জনগণের কাছে পরিষ্কার না করে আপনি করিডর দিতে চাচ্ছেন? আপনাকে জনগণের মানসিকতা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যেখানে দেশ ও মানুষ বিপন্ন হতে পারে, সেই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের (মে দিবস) শোভাযাত্রায় বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা শহরে শ্রমিক দলের দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে শ্রমিক দলের নেতা–কর্মীরা...
১ ঘণ্টা আগে