গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন, বাঘা (রাজশাহী)
জীবন মানেই সংগ্রাম। নিরন্তর সংগ্রাম আর প্রকৃতির সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই। এই লড়াই করে টিকে থাকার এক অসাধারণ গল্প ছিদ্দিক মাঝির। পদ্মা নদীর স্রোত, জোয়ার-ভাটা আর ঝড়-বৃষ্টিকে সঙ্গী করে তিনি পার করেছেন জীবনের ২০টি বছর। ছিদ্দিক রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের সরেরহাট খেয়াঘাটের অভিজ্ঞ নৌকার মাঝি। তাঁর জীবন পদ্মার মতোই অনিশ্চয়তা আর কঠোর বাস্তবতায় ঘেরা, কিন্তু হাল ছাড়েননি কখনোই।
প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠেই ছিদ্দিক ছুটে যান খেয়াঘাটে। পদ্মার পানি, স্রোত এবং বাতাসের গতিবিধি দেখেই তিনি দিনের কাজের হিসাব কষেন। কখনো শান্ত নদী তাঁকে স্বস্তি দেয়, আবার কখনো উত্তাল ঢেউ নিয়ে আসে দুশ্চিন্তা। যখন পদ্মায় পানি থাকে না, তখন সংসার চালাতে তাঁকে দিনমজুরের কাজ করতে হয়। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে এবং নদীর স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে তিনি যাত্রী পারাপার করেন। এই সামান্য রোজগারেই চলে তার সংসার এবং দুই সন্তানের পড়াশোনার খরচ।
ছিদ্দিকের জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল ছেলে-মেয়েকে শিক্ষিত করে তোলা। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি জীবনের সবকিছু উৎসর্গ করেছেন। নৌকার সামান্য আয় দিয়ে তিন-চার মাসের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতেন, বাকি সময় মাঠে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর এই কঠোর পরিশ্রম বিফলে যায়নি। তাঁর মেয়ে সাবিনা এখন বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করছেন, আর ছেলে বেলাল হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
নৌকায় চলতে চলতে ছিদ্দিকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে নৌকা চালাচ্ছি। এই নৌকাটা চার বছর আগে বানিয়েছি। প্রতি মৌসুমে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় হয়। এখন আর টাকার দরকার নেই, কিন্তু এই মৌসুমে নৌকা না চালিয়ে থাকতে পারি না।’
ছিদ্দিকের কাছে তার নৌকা কেবল জীবিকার মাধ্যম নয়, বরং জীবনের একটি অংশ। তার ভাষায়, ‘এই নৌকায় মিশে আছে আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ, আমার জীবনের ইতিহাস।’ এখন আর সংসারের জন্য নদীর ওপর নির্ভর করতে হয় না, তবু পদ্মার প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে তিনি প্রতি মৌসুমে নৌকা নিয়ে নেমে পড়েন। ছিদ্দিক মাঝির এই গল্প কেবল একজনের নয়, এটি হাজারো সংগ্রামী মানুষের জীবনযুদ্ধের এক সফল প্রতিচ্ছবি।
জীবন মানেই সংগ্রাম। নিরন্তর সংগ্রাম আর প্রকৃতির সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই। এই লড়াই করে টিকে থাকার এক অসাধারণ গল্প ছিদ্দিক মাঝির। পদ্মা নদীর স্রোত, জোয়ার-ভাটা আর ঝড়-বৃষ্টিকে সঙ্গী করে তিনি পার করেছেন জীবনের ২০টি বছর। ছিদ্দিক রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের সরেরহাট খেয়াঘাটের অভিজ্ঞ নৌকার মাঝি। তাঁর জীবন পদ্মার মতোই অনিশ্চয়তা আর কঠোর বাস্তবতায় ঘেরা, কিন্তু হাল ছাড়েননি কখনোই।
প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠেই ছিদ্দিক ছুটে যান খেয়াঘাটে। পদ্মার পানি, স্রোত এবং বাতাসের গতিবিধি দেখেই তিনি দিনের কাজের হিসাব কষেন। কখনো শান্ত নদী তাঁকে স্বস্তি দেয়, আবার কখনো উত্তাল ঢেউ নিয়ে আসে দুশ্চিন্তা। যখন পদ্মায় পানি থাকে না, তখন সংসার চালাতে তাঁকে দিনমজুরের কাজ করতে হয়। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে এবং নদীর স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে তিনি যাত্রী পারাপার করেন। এই সামান্য রোজগারেই চলে তার সংসার এবং দুই সন্তানের পড়াশোনার খরচ।
ছিদ্দিকের জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল ছেলে-মেয়েকে শিক্ষিত করে তোলা। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি জীবনের সবকিছু উৎসর্গ করেছেন। নৌকার সামান্য আয় দিয়ে তিন-চার মাসের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতেন, বাকি সময় মাঠে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর এই কঠোর পরিশ্রম বিফলে যায়নি। তাঁর মেয়ে সাবিনা এখন বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করছেন, আর ছেলে বেলাল হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
নৌকায় চলতে চলতে ছিদ্দিকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে নৌকা চালাচ্ছি। এই নৌকাটা চার বছর আগে বানিয়েছি। প্রতি মৌসুমে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় হয়। এখন আর টাকার দরকার নেই, কিন্তু এই মৌসুমে নৌকা না চালিয়ে থাকতে পারি না।’
ছিদ্দিকের কাছে তার নৌকা কেবল জীবিকার মাধ্যম নয়, বরং জীবনের একটি অংশ। তার ভাষায়, ‘এই নৌকায় মিশে আছে আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ, আমার জীবনের ইতিহাস।’ এখন আর সংসারের জন্য নদীর ওপর নির্ভর করতে হয় না, তবু পদ্মার প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে তিনি প্রতি মৌসুমে নৌকা নিয়ে নেমে পড়েন। ছিদ্দিক মাঝির এই গল্প কেবল একজনের নয়, এটি হাজারো সংগ্রামী মানুষের জীবনযুদ্ধের এক সফল প্রতিচ্ছবি।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামে ছেলের হাতে মা খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত করুনা রানী (৬২) মান্দারতা গ্রামের মৃত পটিক চন্দ্র ভদ্রের স্ত্রী। অভিযুক্ত ছেলের নাম রবি চন্দ্র ভদ্র (৪২)।
২৪ মিনিট আগেপ্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, আহত শিক্ষার্থীদের পূর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশসহ ৭ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশনে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৯ শিক্ষার্থী। অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বাম সংগঠন ও কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী এ কর্মসূচি পালন করছেন।
১ ঘণ্টা আগেনান্দাইলের আচারগাঁও ইউনিয়নের টঙ্গির চর এলাকার বাসিন্দা ইনতাজ আলী ব্যাপারী প্রায় ৩০ বছর ধরে কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে বয়সজনিত কারণে তিনি আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। গত পাঁচ বছরে ছয়জনের কাছে পাওনা ২৫ হাজার টাকা ফেরত পেতে বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
১ ঘণ্টা আগেআজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদি এলাকায় রেলপথের ৮১ নম্বর গেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে আলগী ইউনিয়নবাসী বিক্ষোভ শুরু করেন। এই অবরোধের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন আটকে পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে