লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে। ভাঙ্গারি বর্জ্যের গন্ধে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শ্বাসরোগে আক্রান্তের আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ী বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে ভাঙ্গারি সামগ্রীর স্তূপ করে রেখেছেন। এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়টি কচুয়া বাজার সংলগ্ন। প্রধান সড়ক হতে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের নিজস্ব রাস্তা রয়েছে। রাস্তার উত্তর পার্শ্বে বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার উত্তর পার্শ্বে জনৈক মো. শফিকুল ইসলাম ভাঙারি ব্যবসায়ী টিনের বেড়া দিয়ে ভাঙারি জিনিসপত্র রাখেন। বাকি অংশে বস্তা ভর্তি বোতল সামগ্রী রাখেন। যা ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ইতিপূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেও অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যবস্থা নেননি। সারি সারি বস্তা রাখার কারণে প্রধান সড়ক হতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নোংরা দেখায়। তা ছাড়াও বস্তা ভর্তি বোতলের দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ে ক্লাস পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে উঠে। শিশু শিক্ষার্থীরা অসুস্থ বোধ করে। পরিদর্শন পূর্বক বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, কচুয়া প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তার দুই ধারে ভাঙ্গারির স্তূপ দখল করে আছে। রাস্তা ছাড়াও বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে আবর্জনা রাখা হয়েছে। বস্তাবন্দী কাচের বোতল আর পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ভাঙ্গারি দ্রব্য থেকে বিষাক্ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নাক-মুখ চেপে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সন্ধ্যা আক্তার জানায়, দুর্গন্ধের কারণে নাক-মুখ চেপে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাফিউর রহমান জানায়, তীব্র গন্ধে ক্লাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসিফ ইকবাল জানায়, বিদ্যালয়ে ঢোকার সময় পচা গন্ধে বমি চলে আসে। ফেরার সময় সে গন্ধ নাকে করেই বাড়ি ফিরতে হয়।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিরাজুম মনিরা বলে, বিষের ঝাঁজালো গন্ধে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। আশপাশের পানিতে হাত-পায়ে ঘা দেখা দেয়।
অভিভাবক কামাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে দুর্গন্ধময় ভাঙ্গারি দোকান কাম্য নয়। এতে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাঁর সন্তান শ্বাস কষ্টে ভুগছে।
কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ ও রাস্তা দখল করে পরিবেশ দূষণকারী মালামাল রাখতে নিষেধ করা হলেও ওই ব্যবসায়ী শুনেননি। বিষাক্ত বায়ু দূষণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
অভিযুক্ত মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় রাস্তা ও খেলার মাঠে ভাঙ্গারি মালামাল রেখেছেন। দ্রুত এগুলো সরিয়ে নেবেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী বলেন, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগপত্র ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম সাহাব উদ্দীন বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে এ ধরনের পরিবেশ দূষণ শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। দূষিত বায়ু শ্বাস-প্রশ্বাসে ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত ও হৃদ্রোগ দেখা দিতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
নাটোরের লালপুরে কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে। ভাঙ্গারি বর্জ্যের গন্ধে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শ্বাসরোগে আক্রান্তের আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ী বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে ভাঙ্গারি সামগ্রীর স্তূপ করে রেখেছেন। এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়টি কচুয়া বাজার সংলগ্ন। প্রধান সড়ক হতে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের নিজস্ব রাস্তা রয়েছে। রাস্তার উত্তর পার্শ্বে বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার উত্তর পার্শ্বে জনৈক মো. শফিকুল ইসলাম ভাঙারি ব্যবসায়ী টিনের বেড়া দিয়ে ভাঙারি জিনিসপত্র রাখেন। বাকি অংশে বস্তা ভর্তি বোতল সামগ্রী রাখেন। যা ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ইতিপূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেও অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যবস্থা নেননি। সারি সারি বস্তা রাখার কারণে প্রধান সড়ক হতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নোংরা দেখায়। তা ছাড়াও বস্তা ভর্তি বোতলের দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ে ক্লাস পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে উঠে। শিশু শিক্ষার্থীরা অসুস্থ বোধ করে। পরিদর্শন পূর্বক বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, কচুয়া প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তার দুই ধারে ভাঙ্গারির স্তূপ দখল করে আছে। রাস্তা ছাড়াও বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে আবর্জনা রাখা হয়েছে। বস্তাবন্দী কাচের বোতল আর পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ভাঙ্গারি দ্রব্য থেকে বিষাক্ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নাক-মুখ চেপে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সন্ধ্যা আক্তার জানায়, দুর্গন্ধের কারণে নাক-মুখ চেপে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাফিউর রহমান জানায়, তীব্র গন্ধে ক্লাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসিফ ইকবাল জানায়, বিদ্যালয়ে ঢোকার সময় পচা গন্ধে বমি চলে আসে। ফেরার সময় সে গন্ধ নাকে করেই বাড়ি ফিরতে হয়।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিরাজুম মনিরা বলে, বিষের ঝাঁজালো গন্ধে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। আশপাশের পানিতে হাত-পায়ে ঘা দেখা দেয়।
অভিভাবক কামাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে দুর্গন্ধময় ভাঙ্গারি দোকান কাম্য নয়। এতে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাঁর সন্তান শ্বাস কষ্টে ভুগছে।
কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ ও রাস্তা দখল করে পরিবেশ দূষণকারী মালামাল রাখতে নিষেধ করা হলেও ওই ব্যবসায়ী শুনেননি। বিষাক্ত বায়ু দূষণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
অভিযুক্ত মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় রাস্তা ও খেলার মাঠে ভাঙ্গারি মালামাল রেখেছেন। দ্রুত এগুলো সরিয়ে নেবেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী বলেন, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগপত্র ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম সাহাব উদ্দীন বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে এ ধরনের পরিবেশ দূষণ শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। দূষিত বায়ু শ্বাস-প্রশ্বাসে ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত ও হৃদ্রোগ দেখা দিতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর একটি বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতি মিটারে খরচ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ টাকা। আর প্রতি ফুটে খরচ পড়ছে ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকা। অভিযোগ উঠেছে...
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মৎস্য বিভাগের নেওয়া ৪৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে। এরপরও মৎস্য বিভাগের ছয়টি হ্যাচারির মধ্যে মাত্র দুটি সচল। বাকিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেগুলোয় ডিম ফোটানোর সাকুলার ও সিস্টেন ট্রাংকের অবস্থা করুণ।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে সমন্বিত মানবিক সহায়তা জোরদার করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘হিউম্যানিটারিয়ান-ডেভেলপমেন্ট কোএক্সিসটেন্স নেক্সাস টু অ্যাড্রেস রোহিঙ্গা ক্রাইসিস ইন কক্সবাজার’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের যাত্রা...
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের আফতাবনগরের দুটি ব্লক এবং স্যানভ্যালির আংশিক জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৫ ঘণ্টা আগে