পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার আটঘরিয়ায় ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কার্ড বিতরণে দুর্নীতি এবং এক নারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে অশালীন ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছে জামায়াত নেতা আকরাম হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিওতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভাইরাল হওয়া অডিওতে প্রতি কার্ডে ২ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া ও নারীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার বক্তব্য পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত আকরাম হোসেন পলাশ শ্রীকান্তপুর গ্রামের মো. আলাউদ্দিন খানের ছেলে এবং দেবোত্তর ইউনিয়ন জামায়াতের প্রচার সম্পাদক। ভুক্তভোগী নারীও একই গ্রামের বাসিন্দা।
ভাইরাল হওয়া ২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের ওই অডিওতে শোনা যায়, এক নারী তাঁর কার্ড করার জন্য জামায়াত নেতা আকরাম হোসেন পলাশকে ফোন দেন। প্রথমে ওই নারীর পরিচয় জানার পর পলাশ বলেন, ‘আরে, কী খবর, দেখা করার কথা বলছিলাম, সাঁজের বেলা দেখা করেন। কিন্তু দেখা করলেন না তো ভাবী।’ এরপর জামায়াত নেতা পলাশ ওই নারীকে কিছু অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন।
ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার মাঝে তাঁকে লাইনে রেখেই অন্য একজনের সঙ্গে কথা বলেন পলাশ। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যতই টাকি মাছ দেন আর যা দেন, ২ হাজার টাকার নিচে কাম হবে না।’ তিনি কাউকে দুটি কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ৪ হাজার টাকা দাবি করেন। আবার এক কার্ডে ২ হাজার টাকা লাগবে বলে জানান।
এভাবে কথা শেষ করার পর আবার ওই নারীর সঙ্গে কিছু সময় কথা বলেন। সেখানে ওই নারী কার্ডের জন্য ভোটার আইডির ফটোকপি পলাশের বাড়িতে দিয়ে এসেছেন বলে তাঁকে জানান। পলাশ তাঁকে বলেন, ‘আমি তো সব কাগজ জমা দিয়ে আসছি। তারপরও চেষ্টা করবোনে, না হলে কিছু মনে কইরেন না।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকরাম হোসেন পলাশ বলেন, ‘বিষয়টি ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ওই অডিওতে আমার কথা এডিট করে বানানো হয়েছে। যখন কথা হয়, তখন আমি বাজারের মধ্যে ছিলাম। আর ভরা বাজারে কেউ এসব কথা কি বলতে পারে?’
ওই অডিওতে কথা বলা পুরুষ কণ্ঠটি তাঁর কি না জানতে চাইলে পলাশ বলেন, ‘হ্যাঁ কণ্ঠ আমার। তবে প্রথম অংশটুকু এডিট করে বানানো। ওটা আমার কথা না। আমি তো ওই সব কথা বলি-ই নাই।’ তিনি নিজে জামায়াতের কোনো পদে নাই বলেও দাবি করেন।
দেবোত্তর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘পলাশ ইউনিয়ন জামায়াতের প্রচার সম্পাদক। তবে তিনি তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় অন্য একজনকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করাতে হচ্ছে। অডিও ভাইরালের বিষয়টি শুনেছি। যদি তিনি এমন কথা বলে থাকেন, তাহলে তাঁর উচিত হয়নি। আর কার্ড নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে পলাশই ভালো বলতে পারবেন। কারণ আমরা যে ১৮টি কার্ড পেয়েছিলাম, প্যানেল চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে তালিকা করে দিয়েছি। সুবিধাভোগীরা সেগুলো পেয়েছেন।’
দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রতন মোল্লা বলেন, ‘দেবোত্তর ইউনিয়নে মোট ৩৪০টি ভিডব্লিউবি কার্ড বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুপারিশক্রমে জামায়াত নেতাদের ১৮টি কার্ড দেওয়া হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে জামায়াত নেতার অডিও ভাইরালের বিষয়টি জানতে পেরেছি। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি।’
আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. নকিবুল্লাহ বলেন, ‘মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) বাদ মাগরিব বিষয়টি জেনেছি। এখনো অডিও শুনি নাই। সম্ভবত পলাশ দলীয় কোনো পদে নাই। তবে সে আমাদের সাংগঠনিক কর্মী। বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নিই। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আটঘরিয়া উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ পাল বলেন, ‘কেউ যদি এই কার্ডে দুর্নীতি করেন, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৭ জুলাই ওই নারী আমার কাছে এসে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং জামায়াত নেতার ওই অডিও আমাকে শুনিয়েছেন। আমি তার ভিডব্লিউবি কার্ডটি করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর হ্যারাজমেন্টের বিষয়টি তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।’
অভিযুক্ত জামায়াত নেো পলাশ কার্ড বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা না হয়েও কীভাবে তিনি টাকার বিনিময়ে কার্ড করে দিচ্ছেন, সে বিষয়ে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ইউএনও মিনহাজুল বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
পাবনার আটঘরিয়ায় ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কার্ড বিতরণে দুর্নীতি এবং এক নারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে অশালীন ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছে জামায়াত নেতা আকরাম হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিওতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভাইরাল হওয়া অডিওতে প্রতি কার্ডে ২ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া ও নারীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার বক্তব্য পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত আকরাম হোসেন পলাশ শ্রীকান্তপুর গ্রামের মো. আলাউদ্দিন খানের ছেলে এবং দেবোত্তর ইউনিয়ন জামায়াতের প্রচার সম্পাদক। ভুক্তভোগী নারীও একই গ্রামের বাসিন্দা।
ভাইরাল হওয়া ২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের ওই অডিওতে শোনা যায়, এক নারী তাঁর কার্ড করার জন্য জামায়াত নেতা আকরাম হোসেন পলাশকে ফোন দেন। প্রথমে ওই নারীর পরিচয় জানার পর পলাশ বলেন, ‘আরে, কী খবর, দেখা করার কথা বলছিলাম, সাঁজের বেলা দেখা করেন। কিন্তু দেখা করলেন না তো ভাবী।’ এরপর জামায়াত নেতা পলাশ ওই নারীকে কিছু অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন।
ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার মাঝে তাঁকে লাইনে রেখেই অন্য একজনের সঙ্গে কথা বলেন পলাশ। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যতই টাকি মাছ দেন আর যা দেন, ২ হাজার টাকার নিচে কাম হবে না।’ তিনি কাউকে দুটি কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ৪ হাজার টাকা দাবি করেন। আবার এক কার্ডে ২ হাজার টাকা লাগবে বলে জানান।
এভাবে কথা শেষ করার পর আবার ওই নারীর সঙ্গে কিছু সময় কথা বলেন। সেখানে ওই নারী কার্ডের জন্য ভোটার আইডির ফটোকপি পলাশের বাড়িতে দিয়ে এসেছেন বলে তাঁকে জানান। পলাশ তাঁকে বলেন, ‘আমি তো সব কাগজ জমা দিয়ে আসছি। তারপরও চেষ্টা করবোনে, না হলে কিছু মনে কইরেন না।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকরাম হোসেন পলাশ বলেন, ‘বিষয়টি ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ওই অডিওতে আমার কথা এডিট করে বানানো হয়েছে। যখন কথা হয়, তখন আমি বাজারের মধ্যে ছিলাম। আর ভরা বাজারে কেউ এসব কথা কি বলতে পারে?’
ওই অডিওতে কথা বলা পুরুষ কণ্ঠটি তাঁর কি না জানতে চাইলে পলাশ বলেন, ‘হ্যাঁ কণ্ঠ আমার। তবে প্রথম অংশটুকু এডিট করে বানানো। ওটা আমার কথা না। আমি তো ওই সব কথা বলি-ই নাই।’ তিনি নিজে জামায়াতের কোনো পদে নাই বলেও দাবি করেন।
দেবোত্তর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘পলাশ ইউনিয়ন জামায়াতের প্রচার সম্পাদক। তবে তিনি তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় অন্য একজনকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করাতে হচ্ছে। অডিও ভাইরালের বিষয়টি শুনেছি। যদি তিনি এমন কথা বলে থাকেন, তাহলে তাঁর উচিত হয়নি। আর কার্ড নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে পলাশই ভালো বলতে পারবেন। কারণ আমরা যে ১৮টি কার্ড পেয়েছিলাম, প্যানেল চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে তালিকা করে দিয়েছি। সুবিধাভোগীরা সেগুলো পেয়েছেন।’
দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রতন মোল্লা বলেন, ‘দেবোত্তর ইউনিয়নে মোট ৩৪০টি ভিডব্লিউবি কার্ড বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুপারিশক্রমে জামায়াত নেতাদের ১৮টি কার্ড দেওয়া হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে জামায়াত নেতার অডিও ভাইরালের বিষয়টি জানতে পেরেছি। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি।’
আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. নকিবুল্লাহ বলেন, ‘মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) বাদ মাগরিব বিষয়টি জেনেছি। এখনো অডিও শুনি নাই। সম্ভবত পলাশ দলীয় কোনো পদে নাই। তবে সে আমাদের সাংগঠনিক কর্মী। বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নিই। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আটঘরিয়া উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ পাল বলেন, ‘কেউ যদি এই কার্ডে দুর্নীতি করেন, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৭ জুলাই ওই নারী আমার কাছে এসে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং জামায়াত নেতার ওই অডিও আমাকে শুনিয়েছেন। আমি তার ভিডব্লিউবি কার্ডটি করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর হ্যারাজমেন্টের বিষয়টি তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।’
অভিযুক্ত জামায়াত নেো পলাশ কার্ড বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা না হয়েও কীভাবে তিনি টাকার বিনিময়ে কার্ড করে দিচ্ছেন, সে বিষয়ে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ইউএনও মিনহাজুল বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
নাটোর চিনিকলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটেছে। রাতভর কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ লুট করেছে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি ডাকাতদল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ভোর পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চিনিকলের নিরাপত্তা প্রহরীদের বরাত দিয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্র
৮ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছে এক স্বামী। স্ত্রীকে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে তালাবদ্ধ করে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। স্থানীয়রা বসতবাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধূর শরীর। গতকাল শনিবার দিবাগ
৩৮ মিনিট আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় মোসা. আইমিন (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিন্না গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আইমিন একই গ্রামের ফাইজুল হক ও আখতারুননাহারের মেয়ে। তিনি মো. রাজু মাঝির স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিষ্ঠার পরের বছর থেকে (২০২২ সাল) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা নিজস্ব ক্যাম্পাসে নয়, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ১০ তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। কথা ছিল নির্দিষ্ট সময় পর নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাবে, কিন্তু তা হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগে