নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন বলে দলীয় নেতা–কর্মীদের জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শনিবার রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিএনপির বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
গায়েবি মামলা প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারের সময় আমাদের প্রায় ৬০ লাখ নেতা–কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এটি গায়েবি মামলা নামে সারা দেশে পরিচিত। অবশ্যই আমরা এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে কথা বলছি। এটি একটি আইনগত চলমান প্রক্রিয়া। একবারে হয়তো সম্ভব হবে না। পর্যায়ক্রমে নিশ্চয় আমরা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করাব বা করাতে সক্ষম হব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ওদের পার্থক্যটা এখানেই। আমরা যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, সেটিকে আমরা ভাঙতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যের শিকার যাতে মানুষ না হয়, সেই প্র্যাকটিসটা আমরা গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন। বিগত স্বৈরাচার সরকার শুধু বিচারব্যবস্থা নয়, প্রতিটি ব্যবস্থাকে ভেঙেচুরে নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা দেখেছি, কোনোটা ডামি নির্বাচন, কোনোটা নিশিরাতের নির্বাচন, কোনোটা ভোট ডাকাতির নির্বাচন।
কোনোবারই প্রকৃত জনপ্রতিনিধি ছিল না। তাই তারা যা ইচ্ছা তা-ই করেছে। আমরা আগামী দিনে চাইছি, প্রকৃত একজন জনপ্রতিনিধি। আগামী দিনে যারা যোগ্য, সেই যোগ্য মানুষটিকে যোগ্য জায়গায় স্থান যদি আমরা দিতে পারি, তাহলেই এই দেশটাকে আমরা পরিবর্তন করতে পারব।’
রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে সব তথ্য নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘এখানে একটি বিষয় আছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কিছু বিষয় থাকে। এই বিষয়, যেগুলোকে স্বাভাবিক নিরাপত্তার নজরে দেখতে হবে। সব ডিসক্লোজ করা সব সময় বোধ হয় করা যায় না, সম্ভব না। এর বাইরে যেগুলো থাকবে সেগুলো অবশ্যই স্বচ্ছ থাকবে। যে কেউ দেখতে পারবে। এই সিস্টেমটা আমাদের গড়ে তুলতে হবে।’
ফারাক্কা বাঁধ থেকে পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের ব্যাপারে তারেক রহমান বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি।
পতিত স্বৈরাচার সরকার ইচ্ছা করেই করেনি প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য। এটা আন্তর্জাতিক লবি, আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করব। প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করব আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য।’
রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষ রোপণ করব।’
এর আগে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজন কর্মশালাটি শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব এ বি এম মোশাররফ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, রেহেনা আক্তার বানু, নেওয়াজ হালিমা আরলী, শফিকুল হক মিলন প্রমুখ।

বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন বলে দলীয় নেতা–কর্মীদের জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শনিবার রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিএনপির বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
গায়েবি মামলা প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারের সময় আমাদের প্রায় ৬০ লাখ নেতা–কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এটি গায়েবি মামলা নামে সারা দেশে পরিচিত। অবশ্যই আমরা এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে কথা বলছি। এটি একটি আইনগত চলমান প্রক্রিয়া। একবারে হয়তো সম্ভব হবে না। পর্যায়ক্রমে নিশ্চয় আমরা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করাব বা করাতে সক্ষম হব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ওদের পার্থক্যটা এখানেই। আমরা যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, সেটিকে আমরা ভাঙতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যের শিকার যাতে মানুষ না হয়, সেই প্র্যাকটিসটা আমরা গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন। বিগত স্বৈরাচার সরকার শুধু বিচারব্যবস্থা নয়, প্রতিটি ব্যবস্থাকে ভেঙেচুরে নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা দেখেছি, কোনোটা ডামি নির্বাচন, কোনোটা নিশিরাতের নির্বাচন, কোনোটা ভোট ডাকাতির নির্বাচন।
কোনোবারই প্রকৃত জনপ্রতিনিধি ছিল না। তাই তারা যা ইচ্ছা তা-ই করেছে। আমরা আগামী দিনে চাইছি, প্রকৃত একজন জনপ্রতিনিধি। আগামী দিনে যারা যোগ্য, সেই যোগ্য মানুষটিকে যোগ্য জায়গায় স্থান যদি আমরা দিতে পারি, তাহলেই এই দেশটাকে আমরা পরিবর্তন করতে পারব।’
রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে সব তথ্য নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘এখানে একটি বিষয় আছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কিছু বিষয় থাকে। এই বিষয়, যেগুলোকে স্বাভাবিক নিরাপত্তার নজরে দেখতে হবে। সব ডিসক্লোজ করা সব সময় বোধ হয় করা যায় না, সম্ভব না। এর বাইরে যেগুলো থাকবে সেগুলো অবশ্যই স্বচ্ছ থাকবে। যে কেউ দেখতে পারবে। এই সিস্টেমটা আমাদের গড়ে তুলতে হবে।’
ফারাক্কা বাঁধ থেকে পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের ব্যাপারে তারেক রহমান বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি।
পতিত স্বৈরাচার সরকার ইচ্ছা করেই করেনি প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য। এটা আন্তর্জাতিক লবি, আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করব। প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করব আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য।’
রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষ রোপণ করব।’
এর আগে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজন কর্মশালাটি শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব এ বি এম মোশাররফ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, রেহেনা আক্তার বানু, নেওয়াজ হালিমা আরলী, শফিকুল হক মিলন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন বলে দলীয় নেতা–কর্মীদের জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শনিবার রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিএনপির বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
গায়েবি মামলা প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারের সময় আমাদের প্রায় ৬০ লাখ নেতা–কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এটি গায়েবি মামলা নামে সারা দেশে পরিচিত। অবশ্যই আমরা এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে কথা বলছি। এটি একটি আইনগত চলমান প্রক্রিয়া। একবারে হয়তো সম্ভব হবে না। পর্যায়ক্রমে নিশ্চয় আমরা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করাব বা করাতে সক্ষম হব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ওদের পার্থক্যটা এখানেই। আমরা যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, সেটিকে আমরা ভাঙতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যের শিকার যাতে মানুষ না হয়, সেই প্র্যাকটিসটা আমরা গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন। বিগত স্বৈরাচার সরকার শুধু বিচারব্যবস্থা নয়, প্রতিটি ব্যবস্থাকে ভেঙেচুরে নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা দেখেছি, কোনোটা ডামি নির্বাচন, কোনোটা নিশিরাতের নির্বাচন, কোনোটা ভোট ডাকাতির নির্বাচন।
কোনোবারই প্রকৃত জনপ্রতিনিধি ছিল না। তাই তারা যা ইচ্ছা তা-ই করেছে। আমরা আগামী দিনে চাইছি, প্রকৃত একজন জনপ্রতিনিধি। আগামী দিনে যারা যোগ্য, সেই যোগ্য মানুষটিকে যোগ্য জায়গায় স্থান যদি আমরা দিতে পারি, তাহলেই এই দেশটাকে আমরা পরিবর্তন করতে পারব।’
রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে সব তথ্য নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘এখানে একটি বিষয় আছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কিছু বিষয় থাকে। এই বিষয়, যেগুলোকে স্বাভাবিক নিরাপত্তার নজরে দেখতে হবে। সব ডিসক্লোজ করা সব সময় বোধ হয় করা যায় না, সম্ভব না। এর বাইরে যেগুলো থাকবে সেগুলো অবশ্যই স্বচ্ছ থাকবে। যে কেউ দেখতে পারবে। এই সিস্টেমটা আমাদের গড়ে তুলতে হবে।’
ফারাক্কা বাঁধ থেকে পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের ব্যাপারে তারেক রহমান বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি।
পতিত স্বৈরাচার সরকার ইচ্ছা করেই করেনি প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য। এটা আন্তর্জাতিক লবি, আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করব। প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করব আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য।’
রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষ রোপণ করব।’
এর আগে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজন কর্মশালাটি শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব এ বি এম মোশাররফ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, রেহেনা আক্তার বানু, নেওয়াজ হালিমা আরলী, শফিকুল হক মিলন প্রমুখ।

বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন বলে দলীয় নেতা–কর্মীদের জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শনিবার রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিএনপির বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
গায়েবি মামলা প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারের সময় আমাদের প্রায় ৬০ লাখ নেতা–কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এটি গায়েবি মামলা নামে সারা দেশে পরিচিত। অবশ্যই আমরা এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে কথা বলছি। এটি একটি আইনগত চলমান প্রক্রিয়া। একবারে হয়তো সম্ভব হবে না। পর্যায়ক্রমে নিশ্চয় আমরা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করাব বা করাতে সক্ষম হব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ওদের পার্থক্যটা এখানেই। আমরা যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, সেটিকে আমরা ভাঙতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যের শিকার যাতে মানুষ না হয়, সেই প্র্যাকটিসটা আমরা গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন। বিগত স্বৈরাচার সরকার শুধু বিচারব্যবস্থা নয়, প্রতিটি ব্যবস্থাকে ভেঙেচুরে নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা দেখেছি, কোনোটা ডামি নির্বাচন, কোনোটা নিশিরাতের নির্বাচন, কোনোটা ভোট ডাকাতির নির্বাচন।
কোনোবারই প্রকৃত জনপ্রতিনিধি ছিল না। তাই তারা যা ইচ্ছা তা-ই করেছে। আমরা আগামী দিনে চাইছি, প্রকৃত একজন জনপ্রতিনিধি। আগামী দিনে যারা যোগ্য, সেই যোগ্য মানুষটিকে যোগ্য জায়গায় স্থান যদি আমরা দিতে পারি, তাহলেই এই দেশটাকে আমরা পরিবর্তন করতে পারব।’
রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে সব তথ্য নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘এখানে একটি বিষয় আছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কিছু বিষয় থাকে। এই বিষয়, যেগুলোকে স্বাভাবিক নিরাপত্তার নজরে দেখতে হবে। সব ডিসক্লোজ করা সব সময় বোধ হয় করা যায় না, সম্ভব না। এর বাইরে যেগুলো থাকবে সেগুলো অবশ্যই স্বচ্ছ থাকবে। যে কেউ দেখতে পারবে। এই সিস্টেমটা আমাদের গড়ে তুলতে হবে।’
ফারাক্কা বাঁধ থেকে পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের ব্যাপারে তারেক রহমান বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি।
পতিত স্বৈরাচার সরকার ইচ্ছা করেই করেনি প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য। এটা আন্তর্জাতিক লবি, আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করব। প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করব আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য।’
রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষ রোপণ করব।’
এর আগে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজন কর্মশালাটি শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব এ বি এম মোশাররফ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, রেহেনা আক্তার বানু, নেওয়াজ হালিমা আরলী, শফিকুল হক মিলন প্রমুখ।

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশ থেকে মোফাজ্জল হোসেন (৫২) নামে এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস-সংলগ্ন সড়কে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের জোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসলামি ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো মিলে নির্বাচনী সমঝোতা করব। দ্রুতই জামায়াত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে, আর তা যথাসময়ে জানানো হবে।’
১৯ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বরগুনা সদর উপজেলা থেকে প্রার্থী ঘোষণা করায় আমতলী ও তালতলীবাসী ক্ষুব্ধ। ২ লাখ ৯২ হাজার ভোটারের এই অঞ্চলের দাবি উপেক্ষা করে সদর উপজেলা থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং
২২ মিনিট আগে
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয়
১ ঘণ্টা আগেশাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশ থেকে মোফাজ্জল হোসেন (৫২) নামে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস-সংলগ্ন সড়কে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত মোফাজ্জল হোসেন শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খলিশাকান্দি পণ্ডিতপাড়া গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে।
নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মেহেদী হাসান জানান, মোফাজ্জল প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে তাঁর অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, কিন্তু রাতে আর ফেরেননি। বুধবার সকালে বনানী বিশ্বরোড এলাকায় তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মেহেদী হাসানের ধারণা, অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা তাঁর চাচাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ড। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন বা কাটা দাগ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে নিহত ব্যক্তির অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি, যা ছিনতাইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশ থেকে মোফাজ্জল হোসেন (৫২) নামে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস-সংলগ্ন সড়কে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত মোফাজ্জল হোসেন শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খলিশাকান্দি পণ্ডিতপাড়া গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে।
নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মেহেদী হাসান জানান, মোফাজ্জল প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে তাঁর অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, কিন্তু রাতে আর ফেরেননি। বুধবার সকালে বনানী বিশ্বরোড এলাকায় তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মেহেদী হাসানের ধারণা, অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা তাঁর চাচাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ড। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন বা কাটা দাগ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে নিহত ব্যক্তির অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি, যা ছিনতাইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন বলে দলীয় নেতা–কর্মীদের জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২৩ নভেম্বর ২০২৪
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের জোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসলামি ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো মিলে নির্বাচনী সমঝোতা করব। দ্রুতই জামায়াত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে, আর তা যথাসময়ে জানানো হবে।’
১৯ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বরগুনা সদর উপজেলা থেকে প্রার্থী ঘোষণা করায় আমতলী ও তালতলীবাসী ক্ষুব্ধ। ২ লাখ ৯২ হাজার ভোটারের এই অঞ্চলের দাবি উপেক্ষা করে সদর উপজেলা থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং
২২ মিনিট আগে
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয়
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

আমরা সবাইকে নিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব, দেরি হলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ বুধবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এর আগে তৃতীয়বারের মতো দলটির আমির নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সিলেট সফরে এসে নেতা-কর্মীদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হন শফিকুর রহমান।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের জোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসলামি ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো মিলে নির্বাচনী সমঝোতা করব। দ্রুতই জামায়াত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে, আর তা যথাসময়ে জানানো হবে।’
গণভোট নিয়ে আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জামায়াত আমির বলেন, ‘গণতন্ত্রের ফর্মুলা হচ্ছে একাধিক মত। তাই আমরা জনগণকে নিয়ে পিআর পদ্ধতির দাবি আদায় করে নেব। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আমাদের শ্রেষ্ঠ দাবি। আশা করি, জনগণ সেটায় সমর্থন দেবে।’

আমরা সবাইকে নিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব, দেরি হলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ বুধবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এর আগে তৃতীয়বারের মতো দলটির আমির নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সিলেট সফরে এসে নেতা-কর্মীদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হন শফিকুর রহমান।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের জোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসলামি ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো মিলে নির্বাচনী সমঝোতা করব। দ্রুতই জামায়াত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে, আর তা যথাসময়ে জানানো হবে।’
গণভোট নিয়ে আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জামায়াত আমির বলেন, ‘গণতন্ত্রের ফর্মুলা হচ্ছে একাধিক মত। তাই আমরা জনগণকে নিয়ে পিআর পদ্ধতির দাবি আদায় করে নেব। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আমাদের শ্রেষ্ঠ দাবি। আশা করি, জনগণ সেটায় সমর্থন দেবে।’

বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন বলে দলীয় নেতা–কর্মীদের জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২৩ নভেম্বর ২০২৪
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশ থেকে মোফাজ্জল হোসেন (৫২) নামে এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস-সংলগ্ন সড়কে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
৬ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বরগুনা সদর উপজেলা থেকে প্রার্থী ঘোষণা করায় আমতলী ও তালতলীবাসী ক্ষুব্ধ। ২ লাখ ৯২ হাজার ভোটারের এই অঞ্চলের দাবি উপেক্ষা করে সদর উপজেলা থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং
২২ মিনিট আগে
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয়
১ ঘণ্টা আগেআমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বরগুনা সদর উপজেলা থেকে প্রার্থী ঘোষণা করায় আমতলী ও তালতলীবাসী ক্ষুব্ধ। ২ লাখ ৯২ হাজার ভোটারের এই অঞ্চলের দাবি উপেক্ষা করে সদর উপজেলা থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ক্ষুব্ধ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে অবিলম্বে প্রার্থী পরিবর্তন করে আমতলী-তালতলী থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে।
জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন আওয়ামী লীগের দুর্গ হলেও ২০০১ সালে সেই দুর্গে হানা দেন সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির নেতা মতিউর রহমান তালুকদার। ওই সময় এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে মতিয়ার রহমান তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৫ হাজার ভোটে হেরে যান। শেখ হাসিনা এই আসন ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে মতিয়ার রহমান তালুকদার বিএনপিতে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় আমতলী-তালতলী উপজেলার উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন হয়।
২০০৮ সালে সেনাশাসিত সরকার বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসনকে দুটি আসনে রূপান্তর করে। বরগুনা সাবেক-৩ আসন (আমতলী-তালতলী) বিলুপ্ত হয়ে বরগুনা সদরের সঙ্গে একীভূত হয়। আমতলী-তালতলী উপজেলার ৪ লাখ মানুষের ভাগ্যে নেমে আসে অন্ধকার। ২০০৯ সাল থেকে এই আসনে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু তিন-তিনবার সংসদ সদস্য হলেও আমতলী-তালতলীর কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদারের রেখে যাওয়া উন্নয়নই তিনি (শম্ভু) ওলটপালট করে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছেন। গত ১৬ বছর নানাভাবে উন্নয়নবঞ্চিত হয় আমতলী-তালতলী উপজেলার মানুষ।
পায়রা নদীর পূর্ব পারে আমতলী-তালতলী উপজেলা। পশ্চিম পারে বরগুনা সদর উপজেলা। দুই পার মিলিয়ে এই আসনে ভোটার ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে আমতলী উপজেলায় ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৮ ও তালতলী উপজেলার ভোটার ৯৩ হাজার ৭২৫ জন। এই দুই উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ জন। বরগুনা সদর উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৪১ জন। বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ে পায়রা নদীর পূর্ব পারে আমতলী-তালতলী উপজেলায় ২৬ হাজার ৩৯২ ভোটার বেশি।
এবার আমতলী-তালতলী থেকে সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার, তৌহিদুল ইসলাম গাজী, ওমর আব্দুল্লাহ শাহীনসহ একাধিক নেতা মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু দুই উপজেলার প্রায় ৫২ শতাংশ ভোটারকে বঞ্চিত করে সোমবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বরগুনা সদর উপজেলা থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লাকে মনোনয়ন দেয়।
আমতলী-তালতলী থেকে প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ায় দুই উপজেলার মানুষ ক্ষুব্ধ হয় এবং সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং ওমর আব্দুল্লাহ শহীন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রায়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, ‘আমতলী-তালতলীর ২ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ জন ভোটারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁদের দাবি পূরণে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেব।’
সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আগামী নির্বাচনে লড়ব। জনগণ আমার মূল শক্তি। আমতলী-তালতলীর মাটি ও মানুষের নেতা আমি। আমার হারানোর কিছু নেই। হারলে এই দুই উপজেলার জনগণকে নিয়ে হারব।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বরগুনা সদর উপজেলা থেকে প্রার্থী ঘোষণা করায় আমতলী ও তালতলীবাসী ক্ষুব্ধ। ২ লাখ ৯২ হাজার ভোটারের এই অঞ্চলের দাবি উপেক্ষা করে সদর উপজেলা থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ক্ষুব্ধ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে অবিলম্বে প্রার্থী পরিবর্তন করে আমতলী-তালতলী থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে।
জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন আওয়ামী লীগের দুর্গ হলেও ২০০১ সালে সেই দুর্গে হানা দেন সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির নেতা মতিউর রহমান তালুকদার। ওই সময় এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে মতিয়ার রহমান তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৫ হাজার ভোটে হেরে যান। শেখ হাসিনা এই আসন ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে মতিয়ার রহমান তালুকদার বিএনপিতে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় আমতলী-তালতলী উপজেলার উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন হয়।
২০০৮ সালে সেনাশাসিত সরকার বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসনকে দুটি আসনে রূপান্তর করে। বরগুনা সাবেক-৩ আসন (আমতলী-তালতলী) বিলুপ্ত হয়ে বরগুনা সদরের সঙ্গে একীভূত হয়। আমতলী-তালতলী উপজেলার ৪ লাখ মানুষের ভাগ্যে নেমে আসে অন্ধকার। ২০০৯ সাল থেকে এই আসনে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু তিন-তিনবার সংসদ সদস্য হলেও আমতলী-তালতলীর কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদারের রেখে যাওয়া উন্নয়নই তিনি (শম্ভু) ওলটপালট করে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছেন। গত ১৬ বছর নানাভাবে উন্নয়নবঞ্চিত হয় আমতলী-তালতলী উপজেলার মানুষ।
পায়রা নদীর পূর্ব পারে আমতলী-তালতলী উপজেলা। পশ্চিম পারে বরগুনা সদর উপজেলা। দুই পার মিলিয়ে এই আসনে ভোটার ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে আমতলী উপজেলায় ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৮ ও তালতলী উপজেলার ভোটার ৯৩ হাজার ৭২৫ জন। এই দুই উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ জন। বরগুনা সদর উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৪১ জন। বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ে পায়রা নদীর পূর্ব পারে আমতলী-তালতলী উপজেলায় ২৬ হাজার ৩৯২ ভোটার বেশি।
এবার আমতলী-তালতলী থেকে সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার, তৌহিদুল ইসলাম গাজী, ওমর আব্দুল্লাহ শাহীনসহ একাধিক নেতা মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু দুই উপজেলার প্রায় ৫২ শতাংশ ভোটারকে বঞ্চিত করে সোমবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বরগুনা সদর উপজেলা থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লাকে মনোনয়ন দেয়।
আমতলী-তালতলী থেকে প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ায় দুই উপজেলার মানুষ ক্ষুব্ধ হয় এবং সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং ওমর আব্দুল্লাহ শহীন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রায়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, ‘আমতলী-তালতলীর ২ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ জন ভোটারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁদের দাবি পূরণে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেব।’
সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আগামী নির্বাচনে লড়ব। জনগণ আমার মূল শক্তি। আমতলী-তালতলীর মাটি ও মানুষের নেতা আমি। আমার হারানোর কিছু নেই। হারলে এই দুই উপজেলার জনগণকে নিয়ে হারব।’

বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন বলে দলীয় নেতা–কর্মীদের জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২৩ নভেম্বর ২০২৪
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশ থেকে মোফাজ্জল হোসেন (৫২) নামে এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস-সংলগ্ন সড়কে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের জোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসলামি ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো মিলে নির্বাচনী সমঝোতা করব। দ্রুতই জামায়াত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে, আর তা যথাসময়ে জানানো হবে।’
১৯ মিনিট আগে
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয়
১ ঘণ্টা আগেখান রফিক, বরিশাল

জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ঘোষণার পর বরিশালে বিএনপির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকাংশে পাল্টে গেছে। জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও মনোনয়ন না পাওয়াদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা। মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির প্রার্থীদের বাসাবাড়িতে এখন নেতা-কর্মীদের ঢল। অপর দিকে মনোনয়ন না পাওয়া ব্যক্তিরা অনেকটা চুপ হয়ে গেছেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয় ঐক্য কতটা ধরে রাখতে পারবে বিএনপি, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। একই চিত্র জেলার পাঁচটি আসনে।
মনোনয়ন-পরবর্তী পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত বরিশাল-৫ (সদর) আসনে। এই আসনে দলের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার মনোনয়ন পেয়েছেন। সোমবার রাতে সরোয়ারের অনুসারী আক্তারুজ্জামান সাব্বির মোটরসাইকেল বহর নিয়ে নগরীতে মহড়া দিয়েছেন।
বরিশাল-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ছিল, যিনি মনোনয়ন পাবেন তিনি মনোনয়ন না পাওয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোলাকুলি করবেন। কিন্তু সরোয়ার ভাই সেটা করেননি, বরং তাঁর লোকজন মোটরসাইকেল মহড়ায় নগরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। সাধারণ নেতা-কর্মীরা হতাশাগ্রস্ত এবং অস্বস্তিতে পড়েছেন।’
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন একই অভিযোগ করে বলেন, তারেক রহমানের স্কাইপি সভা অনুযায়ী সবাই মিলেমিশে কাজ করার আশা থাকলেও সরোয়ার কোনো খোঁজ নেননি।
বরিশাল-৫ আসনে মনোনয়ন না পাওয়া নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলকে ছোট করতে পারি না, তাই প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছি। এখন তো প্রার্থীর দায়িত্ব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তিনি যাঁরা পাবেন না তাঁদের বাসায় যাবেন, তাঁদের নিয়ে কাজ করবেন। মনোনয়ন পেয়ে মিস্টি বিতরণ, ফুর্তি করা যাবে না। কিন্তু তারা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করে। এমন কথা তো ছিল না।’ ফারুক বলেন, ‘সরোয়ার ভাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, বাসায়ও আসেননি। আমরা মহানগরের দায়িত্বে। আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। কারও মনে ক্ষোভ থাকলেও কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি।’
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারকে ফোন করা হলে তিনি ‘একটি সভায় আছেন, পরে কথা বলবেন’ বলে জানান।
তবে সরোয়ারের ঘনিষ্ঠজন নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আকবর বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে সরোয়ার ভাই আছেন। সামনের দিনগুলোতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর সরোয়ার ভাইয়ের বাসায় মানুষের ঢল নেমেছে। একের পর এক সভার কারণে তিনি সময়ই পাচ্ছেন না।’
এদিকে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। সোমবার সন্ধ্যায় স্বপনের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম রোকন লোকজন নিয়ে গৌরনদীতে একটি দোকানে মহড়া দিয়ে এসেছেন। ওই দোকানের মালিক এবং সাংবাদিক মিজান সস্প্রতি রোকনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার জেরে এই মহড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বরিশাল-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সস্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। তিনি হুমকির কথা শিকার করে জানান, রোকন স্থনীয় সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছে। স্বপন ভাই যোগাযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফোন দিয়ে তাঁকে বলেছেন, ‘আমি তোমাকে ডাকব।’
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।’ মেজবাহ বলেন, এই আসনে যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, সেই প্রার্থী কোনো খোঁজ নেননি তাঁর।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল হোসেন। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশী নজরুল ইসলাম রাজন বলেন, ‘আমি অভিনন্দন জানিয়েছি ফেসবুকে। কিন্তু আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’
এসব বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সস্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘আসলে এটা নেতাদের মনমানসিকতার বিষয়। কষ্ট যখন পায়, সান্ত্বনা তখনই দরকার হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তিনি না পাওয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুকে টেনে নেবেন। এখানে সব আসনে প্রার্থীরা চেয়ারম্যানের নির্দেশ মানেননি। বরিশাল মহানগর বিএনপি সরোয়ারকে অভিনন্দন জানালেও তিনি (সরোয়ার) নির্লিপ্ত। আশা করি, প্রার্থীদের ঘুম ভাঙবে।’

জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ঘোষণার পর বরিশালে বিএনপির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকাংশে পাল্টে গেছে। জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও মনোনয়ন না পাওয়াদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা। মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির প্রার্থীদের বাসাবাড়িতে এখন নেতা-কর্মীদের ঢল। অপর দিকে মনোনয়ন না পাওয়া ব্যক্তিরা অনেকটা চুপ হয়ে গেছেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয় ঐক্য কতটা ধরে রাখতে পারবে বিএনপি, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। একই চিত্র জেলার পাঁচটি আসনে।
মনোনয়ন-পরবর্তী পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত বরিশাল-৫ (সদর) আসনে। এই আসনে দলের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার মনোনয়ন পেয়েছেন। সোমবার রাতে সরোয়ারের অনুসারী আক্তারুজ্জামান সাব্বির মোটরসাইকেল বহর নিয়ে নগরীতে মহড়া দিয়েছেন।
বরিশাল-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ছিল, যিনি মনোনয়ন পাবেন তিনি মনোনয়ন না পাওয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোলাকুলি করবেন। কিন্তু সরোয়ার ভাই সেটা করেননি, বরং তাঁর লোকজন মোটরসাইকেল মহড়ায় নগরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। সাধারণ নেতা-কর্মীরা হতাশাগ্রস্ত এবং অস্বস্তিতে পড়েছেন।’
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন একই অভিযোগ করে বলেন, তারেক রহমানের স্কাইপি সভা অনুযায়ী সবাই মিলেমিশে কাজ করার আশা থাকলেও সরোয়ার কোনো খোঁজ নেননি।
বরিশাল-৫ আসনে মনোনয়ন না পাওয়া নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলকে ছোট করতে পারি না, তাই প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছি। এখন তো প্রার্থীর দায়িত্ব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তিনি যাঁরা পাবেন না তাঁদের বাসায় যাবেন, তাঁদের নিয়ে কাজ করবেন। মনোনয়ন পেয়ে মিস্টি বিতরণ, ফুর্তি করা যাবে না। কিন্তু তারা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করে। এমন কথা তো ছিল না।’ ফারুক বলেন, ‘সরোয়ার ভাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, বাসায়ও আসেননি। আমরা মহানগরের দায়িত্বে। আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। কারও মনে ক্ষোভ থাকলেও কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি।’
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারকে ফোন করা হলে তিনি ‘একটি সভায় আছেন, পরে কথা বলবেন’ বলে জানান।
তবে সরোয়ারের ঘনিষ্ঠজন নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আকবর বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে সরোয়ার ভাই আছেন। সামনের দিনগুলোতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর সরোয়ার ভাইয়ের বাসায় মানুষের ঢল নেমেছে। একের পর এক সভার কারণে তিনি সময়ই পাচ্ছেন না।’
এদিকে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। সোমবার সন্ধ্যায় স্বপনের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম রোকন লোকজন নিয়ে গৌরনদীতে একটি দোকানে মহড়া দিয়ে এসেছেন। ওই দোকানের মালিক এবং সাংবাদিক মিজান সস্প্রতি রোকনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার জেরে এই মহড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বরিশাল-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সস্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। তিনি হুমকির কথা শিকার করে জানান, রোকন স্থনীয় সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছে। স্বপন ভাই যোগাযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফোন দিয়ে তাঁকে বলেছেন, ‘আমি তোমাকে ডাকব।’
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।’ মেজবাহ বলেন, এই আসনে যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, সেই প্রার্থী কোনো খোঁজ নেননি তাঁর।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল হোসেন। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশী নজরুল ইসলাম রাজন বলেন, ‘আমি অভিনন্দন জানিয়েছি ফেসবুকে। কিন্তু আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’
এসব বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সস্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘আসলে এটা নেতাদের মনমানসিকতার বিষয়। কষ্ট যখন পায়, সান্ত্বনা তখনই দরকার হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তিনি না পাওয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুকে টেনে নেবেন। এখানে সব আসনে প্রার্থীরা চেয়ারম্যানের নির্দেশ মানেননি। বরিশাল মহানগর বিএনপি সরোয়ারকে অভিনন্দন জানালেও তিনি (সরোয়ার) নির্লিপ্ত। আশা করি, প্রার্থীদের ঘুম ভাঙবে।’

বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন বলে দলীয় নেতা–কর্মীদের জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২৩ নভেম্বর ২০২৪
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশ থেকে মোফাজ্জল হোসেন (৫২) নামে এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস-সংলগ্ন সড়কে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের জোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসলামি ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো মিলে নির্বাচনী সমঝোতা করব। দ্রুতই জামায়াত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে, আর তা যথাসময়ে জানানো হবে।’
১৯ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বরগুনা সদর উপজেলা থেকে প্রার্থী ঘোষণা করায় আমতলী ও তালতলীবাসী ক্ষুব্ধ। ২ লাখ ৯২ হাজার ভোটারের এই অঞ্চলের দাবি উপেক্ষা করে সদর উপজেলা থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং
২২ মিনিট আগে