Ajker Patrika

দুলাল ঘোষ ও তাঁর জামাতার ঘরবাড়ির চিহ্নও নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ০৮
দুলাল ঘোষ ও তাঁর জামাতার ঘরবাড়ির চিহ্নও নেই

সবুজ ধানখেতের পাশে কাঠা দশেক জায়গা হালচাষ করা। জমির এক কোণে শুধু একটা আমগাছ। দেখে মনে হচ্ছে, হালচাষের পর এ জমি পতিত ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু আট দিন আগে এখানেই ছিল দুলাল ঘোষ আর তাঁর জামাতা কমল ঘোষের বাড়ি। এখন এ বাড়ি দুটির চিহ্নমাত্র নেই।

দুলালের এ বাড়ি ছিল রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হিজলগাছি গ্রামে। একই জমিতে পাশের বাড়িটি ছিল দুলালের জামাতা কমল ঘোষের। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেদিনই বিকেলে এ বাড়ি দুটিতে লুটপাট চালান স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা। পরদিন বাড়ি দুটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এখানেই যে দুলাল-কমলের বাড়ি ছিল, তা এখন বোঝার উপায় নেই। 

বাড়ির চারপাশে ছিল অন্তত ৩০টি গাছ। একটি আমগাছ ছাড়া সবই কেটে ফেলা হয়েছে। তবে জমিতে এখনো দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যুতের একটি খুঁটি। সেই খুঁটির সঙ্গে টানানো তার দেখিয়ে দুলাল ঘোষ বলেন, ‘কারেন্টের তারগুলা শুধু আছে। মিটারডাও খুইল্যা লিইয়্যা গেলছে। এখুন আমার থাকার জাগা নাই। ব্যাটার বাড়িতে আছি। বিটি আছে আরাক বিটির বাড়িতে।’ 

ভিটেছাড়া হয়ে ৫ আগস্ট থেকেই কিছুটা দূরে ছেলের বাড়িতে থাকছেন বৃদ্ধ কৃষক দুলাল ঘোষ। আজ মঙ্গলবার সকালে যোগাযোগ করা হলে দুলাল তাঁর ভিটায় এসে বলেন, ‘তারা হুমকি দিয়্যাছে, ভিটায় আইলে লাশ ফেল্যা দেওয়া হবে। আমি জানের ভয়ে আসি না। ৫ তারিখের পর আইজ প্রথম আসনু।’ কান্নায় ভেঙে পড়ে দুলাল এ ঘটনার বিচার চান। নিজের বসতভিটা রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

দুলাল জানালেন, প্রায় ৩০ বছর আগে পৌনে দুই বিঘা খাস জমি তাঁর দাদা সরকারের কাছ থেকে ১০০ বছরের জন্য পত্তন নেন। এর আগে এলাকার কিছু লোক এই জমি ভোগ করতেন। সরকার দুলালের দাদাকে জমি পত্তন দেওয়ার পর কিছু লোক ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করেন। তখন গ্রামে সালিস বসে। সালিসে কাগজপত্র দেখে জমি দুলালদেরই দেওয়া হয়।

এখন জমিতে ফসলের আবাদ করা হয়। প্রায় ১০ বছর আগে দুলাল জমির একটি অংশে বাড়ি করেন। কয়েক বছর আগে জামাতা কমল ঘোষকেও বাড়ি করতে দেন। এত দিন আর কখনো কোনো ঝামেলা হয়নি। হঠাৎ ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জয়দুল ইসলাম ফেন্সু, তাঁর দুই ছেলে নবাব ও জনি; ভাই সাবেক সেনাসদস্য শরিফুল ইসলাম ও লালমিয়া; ভগ্নিপতি আসারুল ও সেলিম; বিএনপিকর্মী পলাশ, সুইট, সাল্লাম, জাকিরুল, রিপনসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। এরপর দুই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, ঢেউটিন, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুটে নেওয়া হয়।

পরদিন হামলাকারীরা তাঁর সেমিপাকা বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। বাড়ির ইটগুলো পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কমলের বাড়ির ঢেউটিনগুলো নিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। প্রাণভয়ে দুলাল ও কমল তাঁদের বাড়ি রক্ষায় হামলাকারীদের সামনেই যেতে পারেননি। ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ফেন্সু দীর্ঘদিন ধরেই এ জমি দখলের চেষ্টা করছিলেন বলে জানান দুলাল।

শিবা রানী। ছবি: আজকের পত্রিকাকমল ঘোষ গরুর দুধ সংগ্রহের কাজ করেন। বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর স্ত্রী শিবা রানীর বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আজ সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে শিবা রানীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘হামলার সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ ছিল না। হামলাকারীরা আমার ১৫ বছরের মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিল। মেয়ের ইজ্জত রক্ষায় আমি তাকে নিয়ে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছি। বাড়ির আর কিছুই পাইনি।’

হামলা, লুটপাট ও উচ্ছেদের পর শিবা রানী ও তাঁর বাবা দুলাল ঘোষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াতের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। দুলাল বলেন, ইউএনও সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন। সেনা সদস্যরা রিপন নামের এক হামলাকারীকে আটকও করেছিল। পরে একই জমিতে তাঁদের বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে রিপনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে বাড়ি তো করে দেওয়া হয়নি, উল্টো এখন ভিটা ছেড়ে দিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন দুলাল ঘোষ।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জয়দুল ইসলাম ফেন্সুর মোবাইলে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়। গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, ঘটনাটি তিনি জানেন। অভিযোগ পেয়ে তিনিই সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন। এখনো সমস্যার সমাধান না হলে তিনি নিজে যাবেন। দুলাল ও কমলের বসতবাড়ি কেউ দখলে নিতে পারবে না। এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড ও ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বুধবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আইজিপি বাহারুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আয়ারল্যান্ড ও ইইউর ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। ছবি: সংগৃহীত
আজ বুধবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আইজিপি বাহারুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আয়ারল্যান্ড ও ইইউর ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের পাঁচজন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একজনসহ মোট ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেছে। আজ বুধবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বল হয়, প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রথম পুলিশ ন্যায়পাল ব্যারোনেস নুয়ালা ও’লোন এবং ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কারপ্রক্রিয়ার বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহায়তা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করে। আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের চলমান সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন এবং এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে বাসচাপায় পথচারী নারী নিহত

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম), প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেপরোয়া গতির বাসের চাপায় আফরোজা বেগম (৫৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পৌরসদরস্থ পন্থিছিলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পথচারী নারী চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প এলাকার নজরুল ইসলামের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকামুখী সৌদিয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের পন্থিছিলা এলাকা অতিক্রমকালে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওই নারীকে চাপা দেয়। এতে বাসচাপায় পিষ্ট হয়ে ওই নারী গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) জাকির রাব্বানী। তিনি জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহত ওই নারীর মরদেহ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ শঙ্কামুক্ত, গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সরওয়ার বাবলা নামে আরেকজন নিহত হয়েছেন। শান্ত নামে এক বিএনপি কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

হতাহত তিনজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনজনের মধ্যে সরওয়ার বাবলা মারা গেছেন। বাকি দুইজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

এদিকে ঘটনাস্থলে গুলিতে লুটিয়ে পড়া সরওয়ার বাবলার একটি ছবি আজকের পত্রিকার সংগ্রহে এসেছে। বুধবার (০৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজার বাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, মনোনয়ন পেয়ে হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন এরশাদ উল্লাহ। সময়টা ছিল মাগরিবের নামাজের পরপরই। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করে।

ঘটনাস্থলে এরশাদ উল্লাহর কাছাকাছি থাকা বিএনপি নেতা মো. ইসমাইল বলেন, ‘আমি এরশাদ ভাইয়ের খুব কাছেই ছিলাম। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়া শুরু করে। হুড়োহুড়িতে আমি নিজেও পায়ে আঘাত পেয়েছি।’ বর্তমানে তিনিও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান ইসমাইল।

বিষয়টি জানতে বায়েজিদ থানারি ওসিকে বারবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ড

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় মুজিবুর রহমান শেখ (৪৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে মোড়লডাঙ্গা এলাকার একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, মুজিবুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

মুজিবুর উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মোড়লডাঙ্গা গ্রামের গোলাপ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ সকালে মোড়লডাঙ্গায় নিজাম শেখের বাগানের একটি মেহগনিগাছে মুজিবুরের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়।

মৃতের ভাই জিল্লাল শেখ ও হাবি শেখের দাবি, তাঁদের ভাইকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাঁরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা মুজিবুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজজাক মীর বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে সঠিকভাবে জানা যাবে আসলে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত