শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে বকেয়া এক শ টাকা চাওয়ায় এক বিএনপি সমর্থকের দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের মধ্যভাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তাতে অন্তত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দোকানি দাবি করেছেন।
হামলায় আহত হয়েছেন এই দোকান মালিক আবদুল হান্নান (৪০), তাঁর স্ত্রী স্বপ্না বেগম (২৬), ছেলে মো. সজীব (১৭) ও আবদুল হান্নানের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম (৪৪।
প্রতিবেশীরা জানান, নজরুল ইসলামসহ হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে মুদি দোকানি আবদুল হান্নান বিএনপির রাজনীতির সমর্থক। হামলাকারীদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন সুঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আর মোশাররফ হোসেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক।
আবদুল হান্নানের স্ত্রী স্বপ্না বেগম বলেন, তাঁদের মুদি দোকান থেকে নজরুল ইসলাম ১২০ টাকা বাকি খেয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে ওই টাকা চাইলে তাতে ক্ষুব্ধ হন নজরুল ইসলাম। পরে তিনি মোশারফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মো. নূরনবী, মো. আলামিন, মো. আলাউদ্দিন, জামিল উদ্দিন, আনন্দ প্রামাণিক, নাসির প্রামাণিকসহ ২৫-৩০ জনসহ রামদা, কুড়াল, রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে দোকানে ভাঙচুর চালান নজরুল ইসলাম।
স্বপ্না বেগম আরও বলেন, ‘তারা দোকানের মালামাল সড়কের ওপর ফেলে দেয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমাদের মারধর করা হয়। খবর পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে হান্নানের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম এলে হামলাকারীরা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। হামলায় দোকানের অন্তত এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
হান্নানের বাবা গোলাম রসূল বলেন, ‘হামলাকারীরা তাদের দোকানে হামলা চালানোর পর রাতেই লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামে মহড়া দিয়েছে। এ কারণে মৃত্যুর ভয়ে তার ছেলে আবদুল হান্নান ও আসাদুল ইসলাম গ্রাম থেকে পালিয়েছে।’
আব্দুল হান্নানের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘এক শ টাকা বাকি চাওয়া কোনো ঘটনা নয়। মূলত আমরা বিএনপির রাজনীতি করি, এ জন্যই আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেছে। আমরা প্রাণভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছি না।’
তবে আব্দুল হান্নানের মুদির দোকানে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মুদির দোকানে তাঁর বাকি থাকায় হান্নান তাঁকে অশালীনভাবে গালাগাল করেছিল। তিনি প্রতিবাদ করায় হান্নান ও তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা তাঁকে এবং তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করেছে। তাতে আহত হয়ে মোশারফ হোসেন চিকিৎসা নিয়েছে।’
এ নিয়ে সুঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বাকি টাকা চাওয়া নিয়ে এভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোকজনের হামলা চালানো দুঃখজনক। এই ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সুঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জিন্নাহ বলেন, ‘প্রথমে আব্দুল হান্নান ও তাঁর লোকজন নজরুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। পরে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় কিছু লোক হান্নানের দোকানে হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বগুড়ার শেরপুরে বকেয়া এক শ টাকা চাওয়ায় এক বিএনপি সমর্থকের দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের মধ্যভাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তাতে অন্তত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দোকানি দাবি করেছেন।
হামলায় আহত হয়েছেন এই দোকান মালিক আবদুল হান্নান (৪০), তাঁর স্ত্রী স্বপ্না বেগম (২৬), ছেলে মো. সজীব (১৭) ও আবদুল হান্নানের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম (৪৪।
প্রতিবেশীরা জানান, নজরুল ইসলামসহ হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে মুদি দোকানি আবদুল হান্নান বিএনপির রাজনীতির সমর্থক। হামলাকারীদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন সুঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আর মোশাররফ হোসেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক।
আবদুল হান্নানের স্ত্রী স্বপ্না বেগম বলেন, তাঁদের মুদি দোকান থেকে নজরুল ইসলাম ১২০ টাকা বাকি খেয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে ওই টাকা চাইলে তাতে ক্ষুব্ধ হন নজরুল ইসলাম। পরে তিনি মোশারফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মো. নূরনবী, মো. আলামিন, মো. আলাউদ্দিন, জামিল উদ্দিন, আনন্দ প্রামাণিক, নাসির প্রামাণিকসহ ২৫-৩০ জনসহ রামদা, কুড়াল, রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে দোকানে ভাঙচুর চালান নজরুল ইসলাম।
স্বপ্না বেগম আরও বলেন, ‘তারা দোকানের মালামাল সড়কের ওপর ফেলে দেয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমাদের মারধর করা হয়। খবর পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে হান্নানের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম এলে হামলাকারীরা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। হামলায় দোকানের অন্তত এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
হান্নানের বাবা গোলাম রসূল বলেন, ‘হামলাকারীরা তাদের দোকানে হামলা চালানোর পর রাতেই লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামে মহড়া দিয়েছে। এ কারণে মৃত্যুর ভয়ে তার ছেলে আবদুল হান্নান ও আসাদুল ইসলাম গ্রাম থেকে পালিয়েছে।’
আব্দুল হান্নানের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘এক শ টাকা বাকি চাওয়া কোনো ঘটনা নয়। মূলত আমরা বিএনপির রাজনীতি করি, এ জন্যই আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেছে। আমরা প্রাণভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছি না।’
তবে আব্দুল হান্নানের মুদির দোকানে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মুদির দোকানে তাঁর বাকি থাকায় হান্নান তাঁকে অশালীনভাবে গালাগাল করেছিল। তিনি প্রতিবাদ করায় হান্নান ও তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা তাঁকে এবং তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করেছে। তাতে আহত হয়ে মোশারফ হোসেন চিকিৎসা নিয়েছে।’
এ নিয়ে সুঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বাকি টাকা চাওয়া নিয়ে এভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোকজনের হামলা চালানো দুঃখজনক। এই ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সুঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জিন্নাহ বলেন, ‘প্রথমে আব্দুল হান্নান ও তাঁর লোকজন নজরুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। পরে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় কিছু লোক হান্নানের দোকানে হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
৭ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
১ ঘণ্টা আগে