শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

সরকারিভাবে বিনা মূল্যের বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের জন্য জনগণকে গুনতে হচ্ছে টাকা। আবার টাকা না দিলে মিলবে না খুঁটি, এমনকি সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার শেরপুরের নর্দান ইলেকট্রিসিটি কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের বিরুদ্ধে।
আজ সোমবার দুপুরে এর প্রতিকার চেয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন শেষে উপজেলা কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ও মির্জাপুর ইউনিয়নে বেশ কয়েক বছর আগে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়। সে সময় গ্রামগুলো থেকে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হলেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাঁশের খুঁটিতে সংযোগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি সেসব এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা শুরু হয়েছে। এ জন্য প্রকৌশলী মামুন, উচরং গ্রামের সুজাব আলী ও আলমগীর রহমান গ্রাহকদের কাছে টাকা দাবি করেন। বলা হয় নেসকো অফিসে টাকা না দিলে খুঁটি দেওয়া হবে না। একজন প্রকৌশলী সঙ্গে থাকায় তাঁরা সরল বিশ্বাসে প্রতি খুঁটি বাবদ প্রায় ৫ হাজার করে টাকা দেন। পরে তাঁরা জানতে পারেন সরকার ঠিকাদারের মাধ্যমে বিনা মূল্যে জনগণের জন্য খুঁটিগুলি স্থাপন করছে। এ বিষয়ে নেসকোর শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বললে, তিনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। শুধু তা-ই নয়, সুজাব ও আলমগীরের সঙ্গে নেসকোর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান। তবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পেছনে শেরপুরের নেসকো অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
এ মানববন্ধন অনুষ্ঠানে ভুক্তভোগীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। মির্জাপুর ইউনিয়নের খোট্টা পাড়ার জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার পাড়ায় ১০টি খুঁটির জন্য ২২ হাজার টাকা দিয়েছি।’
একই গ্রামের কফিল উদ্দিন বলেন, ‘৩টি খুঁটির জন্য নেসকো অফিসে দেওয়ার কথা বলে উচরংয়ের সুজাব আলী আমার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ৬ হাজার টাকা দিয়েছি। তার টানার সময় বাকি ২ হাজার টাকা দিতে হবে।’
শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রাজবাড়ি এলাকার নায়েব আলী বলেন, ‘আমি ৬টি খুঁটির জন্য সুজাবকে ২৪ হাজার টাকা দিয়েছি। সে সময় অনেক লোক উপস্থিত ছিল। সুজাব এখন টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করছে। উপরন্তু খুঁটি তুলে নেওয়া ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিচ্ছে। নেসকো অফিসে মৌখিক অভিযোগ করলেও তারা আমলে নেয়নি।’
মামুরশাহী গ্রামের মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমার এলাকায় ১১টি খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। আমরা চারজন দায়িত্ব নিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা উঠিয়েছি। এর মধ্যে ২২ হাজার টাকা ঠিকাদারের প্রকৌশলী মামুনকে দেওয়া হয়েছে। আর বাকিটা উচরংয়ের আলমগীরকে দিয়েছি।’
একই ইউনিয়নের সাধু বাড়ির দুলাল বলেন, ‘খুঁটির জন্য নেসকোর মিটার লেখার লোক আমার কাছে ৫ হাজার টাকা চেয়েছে। আমি পাগল মানুষ। টাকা দিতে পারি নাই। তাই খুঁটিও দেয় নাই।’
অভিযুক্ত সুজাব ও অলমগীর নেসকোর কর্মচারী না হলেও কর্মকর্তাদের দালাল হিসেবে কাজ করে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তাঁরা স্থানীয় টেকনিশিয়ান হলেও অফিসের সঙ্গে তাঁদের সুসম্পর্ক রয়েছে। এমনকি তাদের মারফত ছাড়া কাজ করলে অফিসে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয় বলে জানান কিছু কিছু গ্রাহক।
উচরং গ্রামের সাইফুল ইসলাম সাফি বলেন, ‘এ ঘটনায় নেসকোর কর্মকর্তাদের অবশ্যই যোগসাজশ রয়েছে। আমরা তাদের বিষয়টি জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই টাকার বিনিময়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি পেয়েছেন এমন গ্রাহকদের স্বাক্ষরসহ ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি ও মানববন্ধন করেছি। আমরা দোষীদের বিচার চাই, জনগণের টাকা ফেরত চাই।’
টাকা উত্তোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে শেরপুরের নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, ‘যারা টাকা নিয়েছে তারা প্রতারক। জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই এলাকাগুলোতে মাইকে প্রচার চালাচ্ছি। যাঁরা টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, তাঁরা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।’
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘স্মারকলিপিটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সরকারিভাবে বিনা মূল্যের বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের জন্য জনগণকে গুনতে হচ্ছে টাকা। আবার টাকা না দিলে মিলবে না খুঁটি, এমনকি সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার শেরপুরের নর্দান ইলেকট্রিসিটি কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের বিরুদ্ধে।
আজ সোমবার দুপুরে এর প্রতিকার চেয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন শেষে উপজেলা কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ও মির্জাপুর ইউনিয়নে বেশ কয়েক বছর আগে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়। সে সময় গ্রামগুলো থেকে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হলেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাঁশের খুঁটিতে সংযোগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি সেসব এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা শুরু হয়েছে। এ জন্য প্রকৌশলী মামুন, উচরং গ্রামের সুজাব আলী ও আলমগীর রহমান গ্রাহকদের কাছে টাকা দাবি করেন। বলা হয় নেসকো অফিসে টাকা না দিলে খুঁটি দেওয়া হবে না। একজন প্রকৌশলী সঙ্গে থাকায় তাঁরা সরল বিশ্বাসে প্রতি খুঁটি বাবদ প্রায় ৫ হাজার করে টাকা দেন। পরে তাঁরা জানতে পারেন সরকার ঠিকাদারের মাধ্যমে বিনা মূল্যে জনগণের জন্য খুঁটিগুলি স্থাপন করছে। এ বিষয়ে নেসকোর শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বললে, তিনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। শুধু তা-ই নয়, সুজাব ও আলমগীরের সঙ্গে নেসকোর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান। তবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পেছনে শেরপুরের নেসকো অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
এ মানববন্ধন অনুষ্ঠানে ভুক্তভোগীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। মির্জাপুর ইউনিয়নের খোট্টা পাড়ার জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার পাড়ায় ১০টি খুঁটির জন্য ২২ হাজার টাকা দিয়েছি।’
একই গ্রামের কফিল উদ্দিন বলেন, ‘৩টি খুঁটির জন্য নেসকো অফিসে দেওয়ার কথা বলে উচরংয়ের সুজাব আলী আমার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ৬ হাজার টাকা দিয়েছি। তার টানার সময় বাকি ২ হাজার টাকা দিতে হবে।’
শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রাজবাড়ি এলাকার নায়েব আলী বলেন, ‘আমি ৬টি খুঁটির জন্য সুজাবকে ২৪ হাজার টাকা দিয়েছি। সে সময় অনেক লোক উপস্থিত ছিল। সুজাব এখন টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করছে। উপরন্তু খুঁটি তুলে নেওয়া ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিচ্ছে। নেসকো অফিসে মৌখিক অভিযোগ করলেও তারা আমলে নেয়নি।’
মামুরশাহী গ্রামের মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমার এলাকায় ১১টি খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। আমরা চারজন দায়িত্ব নিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা উঠিয়েছি। এর মধ্যে ২২ হাজার টাকা ঠিকাদারের প্রকৌশলী মামুনকে দেওয়া হয়েছে। আর বাকিটা উচরংয়ের আলমগীরকে দিয়েছি।’
একই ইউনিয়নের সাধু বাড়ির দুলাল বলেন, ‘খুঁটির জন্য নেসকোর মিটার লেখার লোক আমার কাছে ৫ হাজার টাকা চেয়েছে। আমি পাগল মানুষ। টাকা দিতে পারি নাই। তাই খুঁটিও দেয় নাই।’
অভিযুক্ত সুজাব ও অলমগীর নেসকোর কর্মচারী না হলেও কর্মকর্তাদের দালাল হিসেবে কাজ করে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তাঁরা স্থানীয় টেকনিশিয়ান হলেও অফিসের সঙ্গে তাঁদের সুসম্পর্ক রয়েছে। এমনকি তাদের মারফত ছাড়া কাজ করলে অফিসে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয় বলে জানান কিছু কিছু গ্রাহক।
উচরং গ্রামের সাইফুল ইসলাম সাফি বলেন, ‘এ ঘটনায় নেসকোর কর্মকর্তাদের অবশ্যই যোগসাজশ রয়েছে। আমরা তাদের বিষয়টি জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই টাকার বিনিময়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি পেয়েছেন এমন গ্রাহকদের স্বাক্ষরসহ ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি ও মানববন্ধন করেছি। আমরা দোষীদের বিচার চাই, জনগণের টাকা ফেরত চাই।’
টাকা উত্তোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে শেরপুরের নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, ‘যারা টাকা নিয়েছে তারা প্রতারক। জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই এলাকাগুলোতে মাইকে প্রচার চালাচ্ছি। যাঁরা টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, তাঁরা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।’
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘স্মারকলিপিটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

লালমনিরহাটে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সংস্কারকাজের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন থাকা দুটি সড়ক দখলের অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা সেখানে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও কার্যাদেশ ছাড়াই কাজ শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে কাজ পাওয়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের তা ছেড়ে দিতে হুমকি দিচ্ছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার সংযোগকারী মওলানা ভাসানী সেতু আজ বুধবার দুপুরে উদ্বোধন হচ্ছে। তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৪৯০ মিটার। সেতুটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাটের সঙ্গে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সড়ক যোগাযোগে নতুন দুয়ার উন্মোচন হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েছে রাজশাহীর নিম্ন আয়ের মানুষ। চারদিক থেকে অভাব-অনটনে ঘিরে ধরা মানুষগুলো বাঁচার আশায় ঋণ নিচ্ছেন। কেউ চড়া সুদে নিচ্ছেন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে, কেউ সুদের কারবারি কিংবা আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে। একসময় এই ঋণই অনেকের বোঝায় পরিণত হচ্ছে, যা তাঁদের ঠেলে দিচ্ছে হতাশা আর মৃত্যুর দিকে।
৫ ঘণ্টা আগে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে পাপড়ি রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফতাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর উপশহর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আমিনুর রহমান চৌধুরী লালাবাজার ইউনিয়ন...
৬ ঘণ্টা আগে